রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

বিশ্বে পুজিবাজার বিরোধী বিক্ষোভ।

 ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলন এখন বিশ্বব্যাপী একটি পরিচিত নাম। নিউইয়র্কের পুঁজিবাদের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ওয়াল স্ট্রিটের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল গেল ১৭ সেপ্টেম্বর, সেই আন্দোলন ছড়িয়ে গেছে আটলান্টিকের ওপারে লন্ডন, ফ্রাংকফুর্ট, ব্রাসেলস কিংবা জুরিখে। পুঁজিবাদবিরোধী এ আন্দোলনের ঢেউ গিয়ে লেগেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে। বিভিন্ন ভাষায় শোভা পাচ্ছে প্ল্যাকার্ড, যার বক্তব্য নিউইয়র্ক থেকে ফ্রাংকফুর্ট পর্যন্ত এক  We are the 99 percent’ অর্থাৎ ‘আমরাই জনগোষ্ঠীর ৯৯ ভাগ’। অসমতা, ধনী-গরিবের মধ্যে পার্থক্য, কিছু ধনী পরিবারের হাতে সব সম্পদ কেন্দ্রীভূত হওয়াÑ এটাই হচ্ছে ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলনের মূল কথা। নিউইয়র্কের ওয়াল স্ট্রিটের পাশে জুকোটি পার্কে সমবেত হওয়া হাজার হাজার তরুণ-যুবার কণ্ঠে ঘোষিত হচ্ছে একটিই স্লোগান, ‘আমরাই ৯৯ ভাগ’। দিনের পর দিন পার্কে অবস্থান করে তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় যে অসমতার সৃষ্টি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে। শুধু অসমতা বলি কেন, আমেরিকায়ও একশ্রেণীর মানুষের কাছে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হওয়ায় সেখানকার সমাজে বড় ধরনের ব্যবধানের সৃষ্টি হয়েছে। ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে মাত্র।
এ আন্দোলন আজ যদি শুধু নিউইয়র্কে সীমাবদ্ধ থাকত, তাহলে প্রশ্ন উঠত না। কিন্তু এ আন্দোলন যখন প্রায় প্রতিটি ধনতান্ত্রিক দেশের প্রধান প্রধান শহরে হয়, তখন এই পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বৈকি! ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্রের পতন এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল, সমাজতন্ত্র মানুষের মুক্তি আনতে পারেনি। আমেরিকান অনেক স্কলারের (ফ্রান্সিস ফুকিয়ামা) মন্তব্য পড়েছি, যেখানে তারা বলতে চেষ্টা করেছেন সমাজতন্ত্র একটি ভ্রান্ত ধারণা। এটা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি গত ২০ বছরে। কিন্তু ২০১১ সালে এসে বিশ্বব্যাপী যখন পুঁজিবাদবিরোধী স্লোগান শক্তিশালী হয়, তখন এটা বলতেই হয় যে, সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে পুঁজিবাদও কোন সমাধান নয়। স্পষ্টতই পুঁজিবাদী সমাজ একধরনের বৈষম্য তৈরি করেছে। সেখানে বেকারত্ব বাড়ছে। তরুণ সমাজ গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে চাকরি পাচ্ছে না। রাষ্ট্র তার সিনিয়র সিটিজেনদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারছে না। শিশুরাও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট কাট এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। নিউইয়র্কে জুকোটি পার্কে বিক্ষোভকারীরা যখন যুক্তরাষ্ট্রে অসমতার বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন, তখন ওয়াশিংটনের ফ্রিডম প্লাজায় সমবেত হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে, তার পরিমাণ কমিয়ে সামাজিক খাতে (শিক্ষা, স্বাস্থ্য) ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ানো হোক। সেখানেও এসেছে ওই প্রশ্নটিÑ আমরা ৯৯ ভাগ অবহেলিত। যারা ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে সম্প্রতি ইউরি ফ্রিডম্যানের প্রবন্ধটি পড়েছেন (The World 99 Percent), তারা দেখেছেন বিশ্বের বিভিন্ন শহরে যে বিক্ষোভ হয়েছে (নিউইয়র্ক থেকে রোম, তাইপে থেকে অকল্যান্ড), সেখানে বক্তব্য ওই একটাই ‘আমরাই ৯৯ ভাগ’। এখানে যে মূল সুরটি কাজ করে তা হচ্ছে, আমরাই সমাজের ৯৯ ভাগ, আমরাই অবহেলিত।
পরিসংখ্যান বলে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় অর্থনীতির দেশ যেখানে যুদ্ধের পেছনে (ইরাক ও আফগানিস্তান) তিন দশমিক সাত ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করছে (প্রতি মাসে নয় দশমিক সাত বিলিয়ন), সেখানে জনগোষ্ঠীর নয় দশমিক এক ভাগের কোন চাকরি নেই। শতকরা ১৫ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদের পাঁচ ভাগের এক ভাগের মালিক হচ্ছে জনগোষ্ঠীর মাত্র এক ভাগ। ক্ষোভটা তাই ওয়াল স্ট্রিটকে ঘিরেই। ওয়াল স্ট্রিটকে ধরা হয় পুঁজিবাদের একটা প্রতীক হিসেবে। প্রধান প্রধান কর্পোরেট হাউসের অফিস সেখানে। স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনও সেখানে অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রে পুঁজিবাদী সমাজে ১৯৭০ সালে ধনিক শ্রেণী হিসেবে পরিচিতদের হাতে দেশটির মোট আয়ের আট থেকে নয় ভাগ অর্থ সঞ্চিত হতো। আজ ২০১১ সালে তারা ভোগ করে মোট সম্পদের ২৩ দশমিক ৫ ভাগ। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (ব্রাকলে) অধ্যাপক ইমানুয়েল সাজ (Emanuel Saez) তার এক গবেষণায় দেখিয়েছেন কীভাবে আমেরিকান সমাজে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। তার মতে, ১০ ভাগ আমেরিকান দেশটির মোট বেতনের ৪৯ দশমিক ৭ ভাগ গ্রহণ করে। ডেভিড গ্র (David Graw) তার এক প্রবন্ধে (The richest 1% have captured America's Wealth, alternet) উল্লেখ করেছেন, আমেরিকান ধনীদের মোট সম্পদের পরিমাণ এক দশমিক পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার, যা কিনা যুক্তরাষ্ট্রে গরিব জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের মোট সম্পদের চেয়েও বেশি। অর্থাৎ ১৫৫ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর সম্পদের চেয়েও বেশি। তার মতে, শীর্ষে থাকা এক ভাগ ধনী যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭০ ভাগের মালিক। যদিও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎজ মনে করেন, শীর্ষে থাকা ওই এক ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্রের মোট সম্পদের ৪০ ভাগ। অথচ ২৫ বছর আগে ধনীরা নিয়ন্ত্রণ করতেন মাত্র ১২ ভাগ সম্পদ(By the 1%, for the 1%, Vanity-Fare)। অপর এক গবেষক রবার্ট রাইচের (Robert Reich) মতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেতনভোগী মানুষের ৫ ভাগ ৩৭ ভাগ ভোগ্যপণ্যের ক্রেতা। এই পরিসংখ্যানটি বলে দেয়, যুক্তরাষ্ট্রে একটি শ্রেণী ধনী থেকে আরও ধনী হচ্ছে, আর অপর শ্রেণী গরিব থেকে আরও গরিব হচ্ছে, যাদের ক্রয়ক্ষমতা কম, সম্পদের পরিমাণও কম। যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি সমাজব্যবস্থার জš§ হয়েছে যাকে বলা হচ্ছে Casino Capitalism। অর্থাৎ ক্যাসিনোনির্ভর একটি অর্থনীতি, যেখানে এক রাতে লাখো ডলার জুয়া খেলায় হেরে যান অনেক আমেরিকান। বছর কয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটিতে অবস্থিত বিখ্যাত ট্রাম্প তাজমহল ক্যাসিনো দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ধনীরা ব্যক্তিগত প্লেন নিয়ে আটলান্টায় যান। ক্যাসিনোগুলোর নিজস্ব ফাইভ স্টার হোটেল আছে, সেখানে থাকেন। সারারাত জুয়া খেলে রোববার যার যার শহরে চলে যান। ওখানে একদিকে ক্যাসিনোগুলোর জৌলুস, অন্যদিকে এর কিছুটা দূরে জরাজীর্ণ পুরনো বাড়ি, সেখানে বাস করেন ব্ল্যাক আমেরিকানরা। তাদের অনেকেরই চাকরি নেই। স্বাস্থ্যসেবাও তারা পান না। কী বৈসাদৃশ্য! একই দেশের নাগরিক। একজন যেখানে এক রাতে জুয়া খেলে হেরে যান কয়েক হাজার ডলার, সেখানে অন্যজনের সারামাসেও রোজগার নেই মাত্র এক হাজার ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের এই সমাজব্যবস্থায় বৈষম্য তৈরি হয়েছে। পশ্চিম ইউরোপের সমাজব্যবস্থায় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেসি’র ধারণা গরিবদের, বেকারদের ন্যূনতম অধিকার (স্বাস্থ্য, শিক্ষা) নিশ্চিত করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এই অধিকার নিশ্চিত হয়নি। রাষ্ট্র সব নাগরিকের ন্যূনতম অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। আমি যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীন মানুষ দেখেছি। ভিক্ষা করে এমন লোকও আমি সাবওয়েতে দেখেছি। গায়িকা ম্যাডোনার ভাইও গৃহহীনদের একজনÑ এ খবরও ছাপা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রপত্রিকায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেখানে ১৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন, অর্থাৎ ১ কোটি ৬৪ লাখ শিশু অত্যন্ত গরিব। ফেডারেল সরকার দরিদ্র পরিবারের যে সীমা নির্ধারণ করেছে (অর্থাৎ ২২ হাজার ৫০ ডলার বছরে), সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ২১ ভাগ শিশুসন্তান (প্রতি পাঁচজনে একজন) ওইসব পরিবারে বসবাস করে। জীবনের কোন এক সময় ৯০ ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ শিশু ‘ফুড স্টাম্পের’ (বিনা পয়সায় খাদ্য) ওপর নির্ভরশীল ছিল। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য পাস করা একজন গ্রাজুয়েট কোন চাকরির সংস্থান করতে পারছেন না, সেখানে ২০১০ সালে কর্পোরেট হাউসগুলোর প্রধান নির্বাহীর বেতন বেড়েছে শতকরা ২৩ ভাগ। জুকোটি পার্কে যারা দিনের পর দিন অবস্থান করে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন, তাদের অনেকেরই চাকরি নেই। অথচ সরকারি হিসাব অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র বছরে ৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করে আফগান সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্য। এর বাইরে দেশটি আফগানিস্তানে যুদ্ধের জন্য ব্যয় করেছে ৩ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। অথচ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে অনেকের চাকরির সংস্থান করা যেত। শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়ান যেত। বাড়ান যেত ‘সামাজিক নেটের’ পরিধি (ফুড স্টাম্প, হাউজিং ইত্যাদি)। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা করেনি। ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধ সেখানে যখন কোন সমাধান বয়ে আনতে পারেনি, তখন লিবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ‘তৃতীয় যুদ্ধের’ সূচনা করেছিল। গাদ্দাফির হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়েছে বটে, কিন্তু লিবিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী একটি অস্থিতিশীলতার জন্ম হল। লিবিয়ায় ‘আরেকটি আফগানিস্তান’ কিংবা ‘আরেকটি সোমালিয়া’ তৈরি হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। যুক্তরাষ্ট্র সেখানে জড়িয়ে গেছে। এখন জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় সেখানে যুদ্ধের খরচ মেটাতে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ধনী ও গরিবের মাঝে এই যে বৈষম্য, তা এখন Ôclass warfare’বা ‘শ্রেণীযুদ্ধে’র সূচনা করেছে। মার্কসের বিশ্লেষণে এই শ্রেণীদ্বন্দ্ব কোন সমাজে বিপ্লবের সূচনা করতে পারে। রাশিয়ায় যে বিপ্লব সম্পন্ন হয়েছিল ১৯১৭ সালে, তা ছিল ওই শ্রেণীদ্বন্দ্বেরই ফল। মার্কসের ব্যাখ্যা একুশ শতকে অচল কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু নিউইয়র্কের অকুপাই ওয়াল স্ট্রিটের ঘটনায় প্রমাণ হল, সেখানে শ্রেণীদ্বন্দ্ব রয়েছে এবং একটি সামাজিক বিপ্লব আসন্ন। রাশিয়ায় সামন্ততান্ত্রিক সমাজে কৃষক ও শ্রমিকরা বিপ্লব সম্পন্ন করেছিল। মাও কৃষকদের নিয়ে চীনে লংমার্চ করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন। আর একুশ শতকে এসে নতুন এক বিপ্লব সম্পন্ন করেছে তরুণ সমাজ। মিসরের তাহরির স্কয়ারের বিপ্লব এর বড় প্রভাব। অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলন এই তাহরির স্কয়ারের বিপ্লব দ্বারাই অনুপ্রাণিত। হেরি এ গিরক্স (Hery A Girox) তাই লিখেছেন, ‘May be the Tehrir square and Arab Spring movement has finally ignited the passion and promise of youth, encouraging them to act in the interest of building a far more just and sustainable future than the one we have created for them’ (Hot Class Warfare? Occupy Wall Streets Now, Truthout, 6 Oct, 2011)| এটাই হচ্ছে মোদ্দা কথা। তাহরির স্কয়ার পথ দেখিয়েছে একটি নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠার। সেই পথ ধরেই অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের জন্ম, যা ছড়িয়ে গেছে এক শহর থেকে অন্য শহরে। আমেরিকান সমাজে একটি পরিবর্তন তাই অবশ্যম্ভাবী।

ড. তারেক শামসুর রেহমান
অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য,
tsrahmanbd@yahoo.com 
১ নভেম্বর, ২০১১

0 comments:

Post a Comment