রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ইরাকে আল কায়দার উত্থান


ইরাক থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মাথায় গত ২২ ডিসেম্বর সেখানে একাধিক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। আর তাতে মারা গেছেন ৬৯ জন মানুষ। এই আত্মঘাতী বোমা হামলার কথা স্বীকার করেছে আল কায়দার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপ, যারা নিজেদের ‘ইসলামিক স্টেট অব ইরাক’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। ইন্টারনেটে প্রচারিত তাদের এই বার্তাটি অনুবাদ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা (SITE Intelligence), যারা জিহাদি কর্মকাণ্ড নিয়ে গবেষণা করে। ইরাকে ইসলামিক স্টেট অব ইরাকের উত্থান ও সুন্নিদের পক্ষে অবস্থান এটাই প্রমাণ করে যে আরব বিশ্বে আল কায়দা সংগঠিত হচ্ছে। একসময় মনে করা হয়েছিল যে ওসামা বিন লাদেনের হত্যার পর আল কায়দা বিলুপ্ত হবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, তেমনটি হচ্ছে না। তারা নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে।
নিঃসন্দেহে ওসামা বিন লাদেন একজন বিতর্কিত ব্যক্তি ছিলেন। ইসলামের নামে তার কর্মকাণ্ড অনেকেই সমর্থন করবেন না। ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মঘাতী বোমারু তৈরি করা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা, প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার নাম আর যাই হোক ইসলাম নয়। আমাদের দেশে যারা ইসলাম প্রচার করার জন্য একসময় আরব দেশ থেকে এসেছিলেন, তারা এভাবে ইসলাম প্রচার করেননি। একে-৪৭ রাইফেল হাতে নিয়ে আর পুঁজিবাদের প্রতীক ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস করে দিলেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয় না। এ কারণেই ওসামা বিন লাদেনের কর্মকাণ্ড বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। যেহেতু তিনি অন্যায় করেছেন এবং অভিযুক্ত, সেহেতু তার বিচার হওয়া উচিত ছিল। এ ধরনের বিচার তো হচ্ছে। যারা বসনিয়া, রুয়ান্ডা কিংবা কসভোতে গণহত্যা চালিয়েছিল, হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচার হচ্ছে।
লাইবেরিয়া কিংবা রুয়ান্ডায় যারা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল, তাদেরও বিচার হচ্ছে। চার্লস টেলর, কিংবা রুয়ান্ডার সাবেক প্রেসিডেন্টের মতো ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা আজ বিচারের মুখোমুখি। পানামার নরিয়েগাকে যুক্তরাষ্ট্র পানামা থেকে ধরে নিয়ে এসেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের জেল থেকে এখন তাকে পানামার জেলে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাজি বাহিনী ইউরোপে ‘অপরাধ’ করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধ সংগঠিত করা, শান্তি বিঘ্নিত করা। ১৯৪৫ সালে গঠিত International MIlitary Tribunal (Nuremburg)-এ তাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়েছিল। বিচার তাদেরও হয়েছিল, যারা দূরপ্রাচ্যে (Far East) অপরাধ সংগঠিত করেছিল। ১৯৪৬ সালে গঠিত হয়েছিল International Millitary Tribunal for Far East (Japan)। জাপানি যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার হয়েছিল। ওসামা বিন লাদেনও তো একই ধরনের অপরাধ করেছেন-মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধ ও হত্যাকাণ্ড। এর জন্য উপযুক্ত জায়গা ছিল হেগে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেখানে তাকে তার অপরাধের জন্য ‘বিচার’ করা যেত। তা না করে যুক্তরাষ্ট্র কমান্ডো পাঠিয়ে তাকে হত্যা করল। আন্তর্জাতিক আইন এ ধরনের হত্যা অনুমোদন করে না। এমনকি কোনো দেশের সীমান্ত লঙ্ঘন করাও আন্তর্জাতিক আইনে ‘অপরাধ’। International Law Association ২০১০ সালের আগস্টে হেগে একটি আইন অনুমোদন করেছিল। তাতে বলা হয়েছে, Calls on all states to observe carefully the distinction between situations of armed conflict as defined in International Law and situations of peace in developing and carrying out policies involving the use of lethal force, detention and trials, asylam obligations, and other relevant state action. European Court of Human Rights (ECHR) ১৯৯৫ সালে সংগঠিত একটি ঘটনার রায় দিয়েছিল, যে ঘটনার সঙ্গে ‘বিন লাদেনের’ ঘটনার অদ্ভুত এক মিল রয়েছে। মামলাটি ছিল ম্যাকক্যান (গপ ঈধহহ) বনাম যুক্তরাষ্ট্র। এই মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন ওজঅ সদস্যরা, যাদেরকে জিব্রালটারে হত্যা করেছিল ব্রিটিশ ঝঅঝ বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ওজঅ সদস্যরা বোমা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঊঈঐজ তখন রায় দিয়েছিল ঝঅঝর উচিত ছিল তাদের গ্রেফতার করা। যদি সন্দেহভাজনরা গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করতেন, তাহলে তারা অস্ত্র ব্যবহার করতে পারতেন। এখন লাদেনের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি কী সে রকম দাঁড়ালো না? লাদেন নিরস্ত্র ছিলেন। জিব্রালটার ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত এলাকা ছিল। কিন্তু পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রিত এলাকা নয়। পাকিস্তান একটি স্বাধীন দেশ। সেই স্বাধীন দেশের সীমানায় অনুমতি ব্যতিরেকে প্রবেশ করে একজন ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা করা একটা অপরাধ ও স্থানীয় তথা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের শামিল। Inter American Court-ও বলছে সন্ত্রাস দমনের নামে অস্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহারের বৈধতা দেওয়া যায় না [আইনের অধ্যাপক গধু OConnell (Notre Dame)-এর প্রবন্ধ The Bin Laden Aftermath : Abbottabad of International Law, AFPAK channel, 4 May]। যুক্তরাজ্যের কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিশেষজ্ঞ নিক গ্রিফ লন্ডনের গার্ডিয়ানে ঠিক এ প্রশ্নটিই তুলেছেন যে লাদেনের হত্যাকাণ্ড আইনসম্মত ছিল না।
এ অভিযোগ সাবেক পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফেরও। এর খারাপ দিকটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যাকে ‘শত্রু’ মনে করবে, তাকে হত্যা করতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে এতটুকুও দ্বিধাবোধ করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই ভূমিকা জাতিসংঘ সনদ ৪.১ ও ৪.৪-এর পরিপন্থী, যেখানে ‘সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার’ কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এই ভূমিকা বিশ্বে পুনরায় স্নায়ুযুদ্ধের জন্ম দিতে বাধ্য।
লাদেন নিঃসন্দেহে অন্যায় করেছিলেন। তিনি ইসলাম ধর্মকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবেন অনেকেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিন্তু ইসলাম ধর্মকে তিনি নতুন এক ‘ব্র্যান্ড’-এ উপস্থাপন করেছেন, যা সন্ত্রাসী ভাবধারায় প্রভাবান্বিত। এটা ইসলাম নয়। কোটি কোটি মানুষ, যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী তারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে বরং ঘৃণাই করবেন। তবে ভেবে দেখতে হবে ওসামার উত্থান কেন হল। অনেক গবেষক মনে করেন ওসামার উত্থানের পেছনে যে বিষয়টি কাজ করে, তা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব ব্যবস্থার প্রতি এক ধরনের বিকল্প। ওসামা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘বিকল্প’ উপস্থাপন করেছিলেন (Niall Ferguson-এর প্রবন্ধ Foreign Affairs, April 2005)।’ বিশ্বায়নের বিকল্প হচ্ছে ইসলাম। কিংবা মিসরের প্রখ্যাত পণ্ডিত সাঈদ কুতুব (Sayyid Qutb)-এর ব্যাখ্যা Islam is the solution (ইসলামই একমাত্র সমাধানের পথ) মতবাদে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা কিছুটা আস্থা খুঁজে পেলেও ওসামা যেভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসলামকে উপস্থাপন করেছেন, সে ব্যাপারে আপত্তি উঠেছিল খোদ মুসলিম বিশ্ব থেকেই। ওসামা মূলত ছিলেন, ‘ওয়াহাবিজম’-এর প্রবক্তা। এরা সালাফি বা আদিপন্থী হিসেবেও পরিচিত। সৌদি রাজপরিবার এই ‘ওয়াহাবিজম’ মতবাদে বিশ্বাসী (১৭০৩ সালে জন্ম নেওয়া মুহম্মদ ইবন আবদ আল ওয়াহাব ইসলামের নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন)। ‘ওয়াহাবি’ মতবাদে জিহাদকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। ওসামা বিন লাদেন মূলত ওয়াহাবি মতবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বব্যাপী জিহাদের ডাক দিয়েছিলেন। এর সঙ্গে যে ইসলামের আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসলাম সন্ত্রাসবাদকে যে সমর্থন করে না-মুসলিম বিশ্ব এটা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছিল। যার পরিণামে ৯/১১-এর ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ’ শুরু করেছিল, তা লাদেনের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গেছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ (Bush Doctrine) ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এর নতুন এক ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন (Preemptive attack_শত্রু আঘাত করার আগেই শত্রুকে আঘাত করে শেষ করে দেওয়া। দৃষ্টান্ত ইরাক)। আর ওবামা এটাকে নতুনভাবে উপস্থাপন করলেন (Humanitarian intervention, লিবিয়া)। মনে রাখতে হবে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ টার্গেট করা হয়েছে মুসলমানদের। শুধু মুসলমানদেরকেই সন্ত্রাসী বানানো হয়েছে। ইহুদি সন্ত্রাসীদের টার্গেট করা হয়নি। কিংবা ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করলেও, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রেসিডেন্ট ওবামার কায়রো ভাষণ মুসলিম বিশ্বে একটি ইমেজ সৃষ্টি করেছিল। ধারণা করা হয়েছিল ওসামা মুসলিমবিদ্বেষী ভাবধারা থেকে বেরিয়ে আসবেন। কিন্তু ওসামার হত্যাকাণ্ড, বিশেষ করে অসম্মানিতভাবে তার মৃতদেহ সাগরে ফেলে দিয়ে মাছের খাবারে পরিণত করা তথা ইসলামকে অবমাননা করা, তার মৃতদেহের ছবি প্রকাশ  না করা, কিংবা তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়া ইত্যাদি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে বাধ্য। এতে করে ২০১২ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ওবামার অবস্থান শক্তিশালী হবে সন্দেহ নেই। কিন্তু মুসলিম বিশ্বে তার ইমেজ বৃদ্ধি ঘটবে না। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও বন্ধ হবে না।
লাদেনের মৃত্যুর পর আল কায়দার কর্মকাণ্ডে কিছুটা স্থবিরতা এসেছে সন্দেহ নেই। কিন্তু তারা পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে আইমান আল জাওয়াহিরি নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। ইরাকে আল কায়দার উত্থান প্রমাণ করল তাদের কর্মস্পৃহা এতটুকু কমেনি। বরং ইরাক নিয়ে একটা শঙ্কা তৈরি হল। লিবিয়ার পরিস্থিতিও ভালো নয়। ইরাক কিংবা লিবিয়া যদি আরেকটি ‘দ্বিতীয় আফগানিস্তান’-এ পরিণত হয়, আমি অবাক হব না। ধারণা করছি আল কায়দার কর্মকাণ্ড এখন স্থানান্তরিত হবে উত্তর আফ্রিকায়। লিবিয়া, মালি, মৌরিতানিয়া কিংবা সোমালিয়ায় আল কায়দার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলো আরও তত্পর হবে এবং ওইসব অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে। লাদেনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ওবামা প্রশাসনের আগ্রাসী নীতি এই সন্ত্রাসী তত্পরতাকে আরও উসকে দিল। ইরাক এর বড় প্রমাণ। এরপর আমরা এ ধরনের তত্পরতা প্রত্যক্ষ করব লিবিয়া ও ইয়েমেনে। ফলে ২০১২ সালে উত্তর আফ্রিকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নতুন রূপ আমরা দেখব। তাদের স্ট্র্যাটেজিতেও পরিবর্তন আসতে পারে। আত্মঘাতী বোমা হামলার পাশাপাশি ‘Spider Web অর্থাত্ মাকড়সার মতো এখানে সেখানে ‘জাল’ তৈরি করে ছোট ছোট সেলে বিভক্ত হয়ে হামলা চালানোর কৌশল তারা অবলম্বন করবে। সুতরাং বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমে যাবে-এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এখন মার্কিন প্রশাসনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা এসব সন্ত্রাসীর ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেবেন। আফগানিস্তান কিংবা ইরাকে তাদের ‘মিশন’ ব্যর্থ হয়েছে। লিবিয়াতেও ব্যর্থ হবে। আফগানিস্তানে তালেবানদের সঙ্গে ‘সংলাপ’ খুব একটা সফল হচ্ছে না।
মুসলিম বিশ্বে আস্থা অর্জন করাটা আজ জরুরি ওবামা প্রশাসনের জন্য।
দৈনিক সকালের খবর, ৪ জানুয়ারি ২০১২
লেখক : প্রফেসর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tareque.rahman(a)aol.com

0 comments:

Post a Comment