রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

আস্থার একটা জায়গা তৈরি হয়েছে

ছাত্রীকে যৌনকর্মী সাব্যস্ত করায় ইউএনওকে হাইকোর্ট তলব করেছেন। এ ধরনের একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে সকালের খবর-এ, গত ১৮ জানুয়ারি। একজন ইউএনও একজন স্নাতক ছাত্রীকে পতিতা হিসেবে রায় দিয়েছিলেন। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছিল জাতীয় দৈনিকে। ওই রিপোর্টটি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের নজরে আনা হলে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ইউএনওকে তলব করেন। গত ২৩ জানুয়ারি ইউএনও হাইকোর্টে উপস্থিত হন। মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। অতীতে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এমন অনেক রায় দিয়েছেন, যা আমাদের আশান্বিত করেছে। আমরা একটা আস্থার জায়গা খুঁজে পেয়েছি। ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। সেদিন উপাচার্য ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে কোনো ব্যবস্থা নেননি। কিন্তু হাইকোর্টের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছিল ওই সংবাদে। তখন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ একটি রায় দিয়েছিলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেও জাবিতে ফেইসবুক সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলাম। সেদিন উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানানোর পরও উপাচার্য অভিযোগটিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেননি। হাইকোর্টের ওই রায়ের পর (ফেইসবুক সংক্রান্ত) আমি আশা করব জাবির উপাচার্য ফেইসবুক কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত করবেন। হাইকোর্ট বিষয়টি দেখবেন, সেটাও আমি আশা করব। কেননা আমাদের আস্থার জায়গাটা তো ওই হাইকোর্ট।
যে ‘গুণধর’ একজন ছাত্রীকে পতিতা হিসেবে রায় দেন তার নাম কাউসার নাসরীন। তিনি নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা। তার নামও পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। আমার ভাবতে অবাক লাগে একজন নির্বাহী কর্মকর্তা কী করে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। তিনি তো উচ্চশিক্ষিত। সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিও নিয়েছেন। একজন কলেজে পড়ুয়া ছাত্রী যদি কারও সঙ্গে কোনো প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে, তাকে তো কোনো অবস্থাতেই ‘পতিতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় না এবং তাকে এক টাকা জরিমানাও করা যায় না। গুণধর কাউসার নাসরীন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার নিজের যোগ্যতাকেই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিলেন না, বরং প্রশাসনের ক্যাডারদের ভূমিকা ও যোগ্যতাকেও প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। আরেকজন ‘গুণধর’ প্রাশাসনিক কর্মকর্তার নাম বলি। তিনি হচ্ছেন জনাব মুজাহিদ। তিনি পিরোজপুর জেলা সদরের এসি (ল্যান্ড)। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অদক্ষতার অভিযোগ প্রচুর। আমি নিজেও তার একটি অন্যায় সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছি। ক্ষমতায় থাকলে সিদ্ধান্ত দেওয়া যায়। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তটি যদি অযৌক্তিক ও নিয়মবহির্ভূত হয়, তাহলে তার ওই সিদ্ধান্তটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বৈকি! জনাব মুজাহিদ কিংবা কাউসার নাসরীনরা প্রশাসনের প্রতিনিধিত্ব করেন। ওরা এক সময় সচিব পর্যন্ত হবেন। তারা কি এই যোগ্যতা রাখেন? লোভ যেখানে জনাব মুজাহিদকে সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করে, সেখানে পর্যায়ক্রমে মুজাহিদ সাহেবরা সচিব হলে কী করবেন, আল্লাহ মালুম। কাউসার নাসরীন আর মুজাহিদরা আমাদের জন্য কোনো আশার জায়গা নয়। হাইকোর্টের ওই রুলের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যদি কাউসার আর মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, আমি খুশি হব। প্রসঙ্গক্রমেই এসে গেল পুলিশ বিভাগে পাঁচটি সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তার পদ সৃষ্টির প্রসঙ্গটিও।
পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পাঁচজন ‘এ’ গ্রেডভুক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা হবেন। একই সঙ্গে পুলিশ পরিদর্শকদের (ইন্সপেক্টর) প্রথম শ্রেণী ও উপপরিদর্শকদের (এসআই) দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীত করা হচ্ছে। গত ৩ জানুয়ারি পুলিশ সপ্তাহ ২০১২ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে পুলিশ বাহিনীকে সন্তুষ্ট করবে। কিন্তু যে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশ বাহিনী চলে, সেই জনগণের কাছে পুলিশের আস্থা এতে কতটুকু বাড়বে? নানা কারণে পুলিশ আজ বিতর্কিত। সংসদ সদস্য ফারুককে পিটিয়ে আহত করার ঘটনার মধ্য দিয়ে পুলিশের ‘সাফল্য’ কতটুকু নিহিত ছিল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কিন্তু এতে করে পুলিশের ভাবমূর্তি দেশে ও বিদেশে উজ্জ্বল হয়নি, এটা আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরেই ‘তদবির’ করে আসছিলেন তাদের জন্য ১০টি ‘সচিব পদ’ সৃষ্টি করা হোক। ব্যক্তিগত আলাপ চারিতায় অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমার কাছে এর যুক্তি তুলে ধরেছেন। এর প্রয়োজনীয়তা আছে কি নেই, এই বিতর্কে আমি যাব না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ‘পাঁচ সচিব পদ’ সৃষ্টির ঘোষণার একদিন আগে দৈনিক যুগান্তরে যে প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছিল (সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেসামাল), তাতে আমি হতাশ না হয়ে পারি না। আমার আস্থার জায়গাটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মহাজোট সরকারের ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে যুগান্তর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিল, তাতে দেখা যায় সারা দেশে হত্যাকাণ্ড হয়েছে ৯ হাজার ১০৪টি, অপহরণ হয়েছে ১ হাজার ২৮০টি, ক্রসফায়ার হয়েছে ৪০৪টি, গুপ্তহত্যা হয়েছে ৭১টি, রাজনৈতিক খুন ৫০০, চাঞ্চল্যকর তিনটি হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২৩ আসামিকে দণ্ডাদেশ মওকুফ, শাসক দলের ৭ হাজার ১০০ নেতাকর্মীর মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই যে পরিসংখ্যান, এই পরিসংখ্যান কি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত বাহিনীর জন্য কোনো আশার সংবাদ? শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা কি এ সংবাদে খুশি? আমরা সাধারণ আমজনতা, আমরা এ ঘটনায় খুশি নই। পুলিশ বাহিনী এখন ‘পাঁচজন সচিব’ পাবে। তাতে করে আমাদের আমজনতার লাভ কী হল? ‘সচিব পর্যায়ের’ পদ সৃষ্টি করে সম্মান বাড়ানো যায় না। তবে আমি  পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (যার আইজি হওয়ার কথা ছিল) ফণীভূষণ চৌধুরীর বক্তব্যে কিছুটা আশার আলো দেখতে পেয়েছি। তিনি বলেছিলেন, ‘পুলিশের অনেক ব্যর্থতা আছে। থানায় প্রকৃত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মামলা কিংবা জিডি নিতে চায় না। পুলিশ বিভাগে দুর্নীতি বাড়ছে। এমনকি ক্ষমতার অপব্যবহারও হচ্ছে।’ ফণীবাবুর এই বক্তব্য (পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে) পত্রপত্রিকায় ছাপাও হয়েছিল। জানি না আইজিপি হলে তিনি এ ধরনের কথা বলতে পারতেন কি না। তবুও তাকে সাধুবাদ জানাই সত্য কথা বলার জন্য। যে অনুষ্ঠানে তিনি তার বক্তব্য রাখছিলেন, সেখানেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে (সকালের খবর, ৪ জানুয়ারি)। সিনিয়ার পুলিশ কর্মকর্তাদের এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়। এতে করে পুলিশের মতো একটি শৃঙ্খলা বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভেঙে যায়। এতে করে অন্যরা আরও উত্সাহিত হতে পারেন। ফণীবাবুর বক্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া উচিত। আজ একজন ফণীবাবু বলছেন, কালকে আরেকজন বলবেন। পুলিশ বিভাগে দুর্নীতি কি ‘ওপেন সিক্রেট’ নয়? জুনিয়ার কর্মকর্তারা ঢাকায় পোস্টিং পেতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন এই অভিযোগটি কি অসত্য? ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে-বেনামে যে সম্পত্তি রয়েছে, তা কি বৈধ? সাবেক একজন আইজিপির সংবাদ ছাপা হয়েছিল, যিনি ৩০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সরকার তাকে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু ওই অভিযোগটি কি অসত্য? দুদক বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে, এটা শুনেছিলাম। এর পরের খবর আমরা জানি না। তবুও আমি চাই উত্থাপিত অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হোক। কেননা সবাই আইজিপি হতে পারেন না। তিনি যদি অভিযুুক্ত হন, তাহলে জাতির আস্থার জায়গাটা নষ্ট হয়ে যায়।
পুলিশ বিভাগে পাঁচজন সচিব পদ সৃষ্টি করে পুলিশের সেবার মান বাড়ানো যাবে না। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের জন্য সরকারের ব্যয় বরাদ্দ এখন এমনিতেই অনেক বেশি। এরপর পাঁচটি পদ সৃষ্টির ফলে রাষ্ট্রের ব্যয় বরাদ্দ আরও বাড়বে। বাংলাদেশের মতো একটি গরিব রাষ্ট্রে সচিবদের সংখ্যা অনেক। সচিবদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এখন বিশ্বব্যাপী কৃচ্ছ্র সাধন চলছে। অনেক ধনী রাষ্ট্র রাষ্ট্রের ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। সাম্প্রতিককালে গ্রিস, ইতালি কিংবা পর্তুগাল ও স্পেনের খবর আমরা জানি। সেখানে বিশ্ব মন্দার কারণে অর্থনীতি মহাবিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থাও খুব ভালো নয়। মুদ্রাস্ফীতি কমানো যাচ্ছে না। ডলারের সঙ্গে টাকার মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে। রেমিট্যান্সের প্রবাহ কম। রিজার্ভও বাড়ছে না। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাচ্ছে। অর্থনীতি নিয়ে যখন আমরা শঙ্কায়, তখন এই মুহূর্তে পুলিশ বিভাগে পাঁচ সচিবের পদ সৃষ্টি করার প্রয়োজন ছিল না। এতে করে খরচ আরও বাড়বে। এই মুহূর্তে পাঁচ সচিবের প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত মানতেই হবে। এই সিদ্ধান্তটি যদি পরে কার্যকর হয়, তাতে ক্ষতির কিছু নেই। এই মুহূর্তে যেটা প্রয়োজন, তা হচ্ছে পুলিশের ভাবমূর্তি উদ্ধার করা। র্যাবের ভূমিকা আজ আন্তর্জাতিক পরিসরে ‘মনিটর’ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো র্যাবের ভূমিকায় আজ সোচ্চার। ঝালকাঠির লিমনের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। র্যাবের অনেক ভালো কাজ এই একটি ঘটনায় ম্লান হয়ে গেছে। ঢাবির মেধাবী ছাত্র আবদুল কাদেরকে নির্যাতন করা ও তার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা দেওয়া-এই একটি ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি কোথায় নেমে গিয়েছিল সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা তা যদি উপলব্ধি করে না থাকেন, তাহলে তারা ভুল করবেন। উচ্চ আদালত ‘কাদেরের ঘটনায়’ কী মন্তব্য করেছিলেন, আমরা নিশ্চয়ই তা ভুলে যাইনি।
আজ উচ্চ আদালত একজন ইউএনওর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে যে রুল ইস্যু করেছেন, তা একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। উচ্চ আদালতের এই রায়টি এল এমন একটি সময় যখন প্রশাসনে ৮টি সিনিয়র সচিব পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব পদ সৃষ্টি করে কি প্রশাসনের দক্ষতা বাড়ানো যাবে? এতে করে তো সরকারের খরচ আরও বাড়ল। যখন কাউসার নাসরীন আর মুজাহিদের মতো প্রশাসনিক ক্যাডারের অযোগ্যতা ও অদক্ষতা উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তখন সিনিয়র আট সচিব পদ সৃষ্টি আমাদের কোনো আশার বাণী শোনায় না। আমি জানি একজন কাউসারকে দিয়ে সব প্রশাসনিক ক্যাডারকে বিচার করা যাবে না। ঠিক তেমনি একজন মুজাহিদকে দিয়ে আমার সব ছাত্রকে (যারা এসি-ল্যান্ড হয়েছে) আমি বিচারও করতে পারব না। তবে ছোটখাটো ঘটনায় হতাশার জায়গা তৈরি হয়। বলতে দ্বিধা নেই-অনেক এসি (ল্যান্ড) ও সচিবকে আমি পেয়েছি, যারা যথেষ্ট দক্ষ। মহামান্য হাইকোর্টের একটি রুল ইস্যু আমাদের একটা ভরসার জায়গা তৈরি করেছে। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ থেকে যদি কিছু শেখেন, যদি জুনিয়র কর্মকর্তাদের ‘জনগণের সেবক’ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন, তাহলে তা প্রশাসনের জন্য ভালো। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে নয়, বরং অন্যায়কারীকে শাস্তি দেওয়াই শ্রেয়।
দৈনিক সকালের খবর ২৬ জানুয়ারি ২০১২।
লেখক : প্রফেসর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tsrahmanbd(a)yahoo.com

0 comments:

Post a Comment