রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

আবারও মার্কিন সপ্তম নৌবহর!


সংবাদটি ছাপা হয়েছে ভারতীয় পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে গত ৩১ মে। দৈনিক সকালের খবর সংবাদটি ছাপে গত ২ জুন। তাতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামে ঘাঁটি গাড়ছে সপ্তম নৌবহর। যদিও তা অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ। পত্রিকাটি উদ্ধৃতি দিয়েছে ভারতের টিভি চ্যানেল টাইমস নাউ-এর। সংবাদটিতে বলা হয়েছে, হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরকালে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা নৌবাহিনীর উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি গাড়তে চাইছে। এর মধ্য দিয়ে জাপান থেকে শুরু করে ভারত মহাসাগরের দিয়াগো গার্সিয়া পর্যন্ত এশিয়ার প্রায় পুরোটাতেই যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইছে। এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে আরও একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘আকসা’ বা ‘অ্যাকুইজিশন ও ক্রস সার্ভিসেস অ্যাগ্রিমেন্ট’ দিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। দুটো সংবাদই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের সময় যে কৌশলগত সংলাপের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তার পরপরই যখন এ ধরনের সংবাদ ছাপা হয়, তখন এর গুরুত্ব বাড়ে বৈকি! এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন শেষ পর্যায়ে বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহরের একটি জাহাজ প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি সমঝোতায় যাওয়া। তাতে অবশ্য মার্কিন প্রশাসন সফল হয়নি। ইতোমধ্যে সকালের খবর-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে আমি বলেছি বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিনিদের আগ্রহ বাড়ছে।
বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ বেড়েছে নানা কারণে। প্রথমত, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের নৌবাহিনীর প্রভাব বৃদ্ধি, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে আঘাত করতে পারে। সে কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে একটি অ্যালায়েন্স গড়ে তোলা প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে সকল মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে সেখানে যে ‘শূন্যতা’র সৃষ্টি হবে, সেই ‘শূন্যতা’ পূরণের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সমন্বয়ে একটি ‘শান্তিরক্ষী’ বাহিনী গঠন করা, যারা ২০১৪ সালে মার্কিন সৈন্যদের পরিবর্তে আফগানিস্তানে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত হবে। তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে ইসলামিক কট্টরপন্থীরা দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে নতুন করে একটি ঘাঁটি গড়তে পারে। সে কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে একটি সন্ত্রাসবিরোধী মোর্চা গঠন করা প্রয়োজন। চতুর্থত, এ অঞ্চলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে বিপুল জ্বালানি সম্পদ রয়েছে (গভীর সমুদ্রে)। মার্কিনি আইওসির এ ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে যথেষ্ট। বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের জন্য এ কারণেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে অবস্থান করে খুব সহজেই মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা যায় এবং বাংলাদেশের নিকট-প্রতিবেশী চীনের রাজনৈতিক উত্থান-পতনে প্রভাব খাটানো সম্ভব। হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের পরপরই বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি রচিত হয়েছে। ‘আকসা’ চুক্তি এ লক্ষ্যেই স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে।
হিলারির সফরের গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল একটি যৌথ অংশীদারিত্ব সংলাপ চুক্তি স্বাক্ষর। এই সংলাপের আওতায় বছরে একবার বাংলাদেশ ও মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা মিলিত হবেন। চুক্তিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই, সহিংস চরমপন্থা এবং মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান ও জলদস্যুতার মতো আন্তঃদেশীয় অপরাধ রোধ ও নিরাপত্তা সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের ব্যাখ্যা নানাভাবে বিশ্লেষণ হতে পারে। ‘সন্ত্রাসবাদ রোধে সহযোগিতার’ আলোকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কোন পর্যায়ে উন্নীত হয় সেটাই দেখার বিষয় এখন। আরও একটা কথা। তরুণদের এক সমাবেশে হিলারি ক্লিনটন যখন বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্বের কথা বলেন, তখন আমাদের প্রখ্যাত মার্কিন স্ট্র্যাটেজিস্ট রবার্ট কাপলানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কাপলান লিখেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতির উদ্দেশ্য একটাই-আর তা হচ্ছে চীনের প্রভাবকে সঙ্কুচিত করা। বাংলাদেশের অবস্থান তাই খুব স্বাভাবিক কারণেই মার্কিন নীতিনির্ধারকদের আকৃষ্ট করবে। মার্কিন স্ট্র্যাটেজিতে ভারতের গুরুত্ব বেড়েছে। এটাই হচ্ছে মোদ্দা কথা। চীন যাতে শক্তিশালী হয়ে উঠতে না পারে, সে জন্য ভারতকে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা। চীন ইতোমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তথা ভারত মহাসাগরে অন্যতম নৌ-শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে আঘাত করছে। চীন এ অঞ্চলে ঝঃত্রহম ড়ভ চবধত্ষং বা ‘মুক্তার মালা’র মতো বিভিন্ন সামুদ্রিক বন্দরে তার অবস্থান শক্তিশালী করে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। চীনের ঝঃত্রহম ড়ভ চবধত্ষং-এর যে নেটওয়ার্ক, তাতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত গাওদার সমুদ্রবন্দর একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মালাক্কা প্রণালী হয়ে ভারত মহাসাগর পার হয়ে অ্যারাবিয়ান গালফ পর্যন্ত যে সমুদ্রপথ, এ পথের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় চীন। চীন যে তেল আমদানি করে তার ৮০ ভাগ এই মালাক্কা প্রণালী হয়ে চীনে যায়। তাই সঙ্গত কারণেই চীনের জন্য তার ভারত মহাসাগরে উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাওদারে চীনা নৌবাহিনীর একটি ছোট্ট ইউনিটও থাকবে, যা কিনা ভারত মহাসাগরের সকল নৌ মুভমেন্ট মনিটর করবে। যুক্তরাষ্ট্রের  সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে গাওদার বন্দরের  কৌশলগত গুরুত্ব আরও বেড়েছে। স্ট্রেইট অব হরমুজ থেকে গাওদারের দূরত্ব মাত্র ১৮০ নটিক্যাল মাইল। আর ইরান সীমান্ত রয়েছে মাত্র ৭২ কিলোমিটার দূরে। চীন প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে গাওদার সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে। চীন তার দক্ষিণাঞ্চলের ইউনান প্রদেশে মধ্য এশিয়ার গ্যাস এই গাওদার বন্দর দিয়েই পাইপলাইনের মাধ্যমে নিয়ে যেতে চায়। চীন শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করছে। তামিল টাইগারদের সঙ্গে যুদ্ধে চীন শ্রীলঙ্কা সরকারকে সমর্থন করেছিল। মিয়ানমারে রয়েছে চীনের নৌবাহিনীর একটি রাডার স্টেশন। সিটওয়েসহ আরও বেশ ক’টি বন্দরে রয়েছে চীনা উপস্থিতি। ভারত মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে চীন যে বিশাল প্রতিরক্ষা গড়ে তুলছে, তা মূলত তার জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখেই করা হয়েছে। চীনের এই জাতীয় স্বার্থকে আঘাত করা ও চীনের নৌবাহিনীর ভূমিকাকে খর্ব করার উদ্দেশ্য নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সঙ্গে নিয়ে এই অঞ্চলে একটি মোর্চা গড়ে তুলছে, যাতে বাংলাদেশকে অন্যতম একটি পার্টনার হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে স্ট্র্যাটেজি সেই স্ট্র্যাটেজিকে সামনে রেখেই এখন যুক্তরাষ্ট্র ‘আকসা’ চুক্তি করতে আগ্রহী হয়েছে। ‘আকসা’ চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। যতদূর জানা গেছে, এ ধরনের চুক্তি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। প্রস্তাাবিত ‘আকসা’ চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ‘গাইডেড মিসাইল’সহ বেশ কয়েক ধরনের আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করবে। এসব অস্ত্র ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়ার কথাও রয়েছে। এ ছাড়া থাকবে যৌথ মহড়া ও সংলাপের ব্যবস্থা। প্রস্তাবিত ‘আকসা’ চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী জ্বালানি সংগ্রহ, যাত্রাবিরতি, সাময়িক অবস্থানসহ এ ধরনের বিভিন্ন সুবিধার জন্য বাংলাদেশে ‘পোর্ট অব কল’ সুবিধা পাবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর বাংলাদেশে উপস্থিতিরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রস্তাবিত এই চুক্তিটির একসময় নাম ছিল ‘ন্যাটো মিউচুয়্যাল সাপোর্ট অ্যাক্ট’। যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা ও সরবরাহ বিনিময় সহজ করার জন্য এটি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ওই অ্যাক্টে পরিবর্তন আনা হয় যাতে করে ন্যাটোর সদস্য নয় এমন দেশগুলোর সঙ্গে এ ধরনের একটি চুক্তি করা যায়। চুক্তিটির নামেও পরিবর্তন আনা হয়। চুক্তিটি এখন ‘আকসা’ চুক্তি নামে পরিচিত।
‘আকসা’ চুক্তি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে না। বরং বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে, বাংলাদেশ সেই পরিকল্পনার যদি অংশ হয়, তা হলে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে ইমেজ সঙ্কটের মুখে পড়বে। একইসঙ্গে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতেও বাধ্য। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজির অংশ হতে পারি না। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রাপ্তিও খুব কম। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর ও তথাকথিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে পারব না। তাই প্রস্তাবিত চুক্তিটি স্বাক্ষরের আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া জরুরি। চুক্তিটি নিয়ে সংসদে আলোচনা করারও প্রয়োজন রয়েছে। এ ধরনের একটি চুক্তি বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের উসকে দিতে পারে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও বেড়ে যেতে পারে, যা কোনোমতেই কাম্য নয়। সংসদকে অবহিত না করে এ ধরনের একটি চুক্তি যদি করা হয়, তাহলে সেই চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই।
‘আকসা’র রেশ শেষ হতে না হতেই এখন প্রকাশিত হল চট্টগ্রামে সপ্তম নৌঘাঁটি স্থাপনের খবরটি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য কিছুটা পাওয়া গেলেও তা স্পষ্ট নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা পরোক্ষভাবে এটা স্বীকার করে নিয়েছেন। গত ২ জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘সাংগ্রিলা ডায়ালগে’ প্যানেট্টা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে রণতরীর সংখ্যা বাড়াবে। ২০১৩ সালে এই রণতরীর সংখ্যা ৬-এ দাঁড়াবে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ভারতীয় পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার পেছনে কিছুটা হলেও সত্যতা রয়েছে। খুব সঙ্গত কারণেই তাই যে প্রশ্নটি আসবে তা হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে যেকোনো মার্কিন রণতরী মোতায়েন বাংলাদেশের জন্য কোনো মঙ্গল ডেকে আনবে কি না। এর জবাব না-বাচক। অর্থাত্ এতে করে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হবে না। বরং চীনের সঙ্গে আমাদের যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক, তাতে অবিশ্বাস জন্ম হতে পারে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে আসতে পারে স্থবিরতা। অথচ আমাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য চীনের সাহায্য ও সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। সরকার এ ধরনের মোতায়েনের খবর অস্বীকার করলেও সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহ রয়ে গেছে। এখন আগামী দিনগুলোই প্রমাণ করবে প্রকাশিত সংবাদটির পেছনে সত্যতা কতটুকু আছে।
Daily SAKALER KHOBOR
4.6.2012

0 comments:

Post a Comment