রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কোন পথে দক্ষিণ এশিয়া



কোন পথে এখন দক্ষিণ এশিয়া! দক্ষিণ এশিয়া তথা সার্কভুক্ত আটটি দেশের প্রায় প্রতিটি দেশেই এক ধরনের অস্থিরতা বজায় রয়েছে। ভুটান বাদে বাকি সাতটি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে। নেপালে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ শেষ পর্যন্ত থেকেই গেল। রাজনৈতিক দলগুলো নেপালের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত পার্লামেন্ট এখন বাতিল হয়ে গেল। আগামী নভেম্বরে সেখানে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মালদ্বীপে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া গুরু হয়েছিল। কিন্তু অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট নাশিদের উৎখাতের পর সেখানে স্থিতিশীলতা এসেছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ও সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়া মামুন আবদুল গাইয়ুমের প্রভাব ও কর্তৃত্ব রয়েছে ড. মোহাম্মদ ওযয়াহিদের নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর। ইসলামী মৌলবাদীরাও সেখানে তৎপর। শ্রীলঙ্কার জন্যও রয়েছে খারাপ খবর। প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ। আফগানিস্তানের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক নয়। ২০১৪ সালে সেখান থেকে সব বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে কট্টরপন্থী তালেবানদের তৎপরতা বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে হামিদ কারজাইয়ের ক্ষমতায় টিকে থাকা একটা প্রশ্নের মাঝে থেকে যাবে। এর বাইরে ভারত ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি যে খুব ভালো, তা বলা যাবে না। পাকিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। বিচার বিভাগের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব বাড়ছে। আইএসআইয়ের ভূমিকা বহির্বিশ্বে উন্নত হয়নি। পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে চালকবিহীন মার্কিনি ড্রোন বিমান হামলা বন্ধ হয়নি সংসদে গৃহীত একটি সিদ্ধান্তের পরও। এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ভারতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকলেও, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পরিবর্তন আসছে। ইউপিএ জোটে ভাঙনের ইঙ্গিত শোনা যাচ্ছে। ২০১৪ সালে সেখানে সাধারণ নির্বাচন। এর চেয়েও বড় কথা_ দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বড় দেশ পাকিস্তান ও ভারত এক ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। ভারত অগি্ন-৫ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর পাকিস্তান হাতেফ গজনবী নানক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। অগি্ন এবং হাতেফ পারমাণবিক বোমা বহনযোগ্য। এর রেশ শেষ হতে না হতেই ভারত 'আকাশ' ও পাকিস্তান হাতেফ ৯ নামে আরো দুধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটি এক ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষায় লিপ্ত হল। এতে করে দেশ দুটির দরিদ্রতা দূরীকরণ কর্মসূচি ব্যাহত হতে বাধ্য। এর কী আদৌ কোনো প্রয়োজন ছিল? প্রশ্ন হচ্ছে, বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে দরিদ্রতার মাঝে রেখে দুদেশের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি কোন দেশের বিরুদ্ধে পরিচালিত হবে? পাঠকদের একটা ধারণা দিয়ে রাখি। একটা দূরপাল্লার (যেমন অগি্ন-৫) মিসাইলের মূল্য ৫ লাখ ৬৯ হাজার ডলার থেকে ৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫ কোটি টাকা। একটি ক্রস সিমাইলের (সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য) মূল্য ১ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলার (প্রায় সাড়ে এগার কোটি টাকা)। আর বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের (যা ভারত ইতিমধ্যে অর্জন করেছে) মূল্য ৬ লাখ ডলার। এই টাকা এ খাতে ব্যয় না করে তা হাসপাতাল বা শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা যেত। এমনকি ভারতে চরম দরিদ্রতম রাজ্য হিসেবে পরিচিত (দারিদ্র্যের কারণে যেখানে মাওবাদীদের তৎপরতা বেশি) মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ কিংবা ঝাড়খন্ডে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করতে পারত। ভারত তা করেনি। মুম্বাইয়ের চাকচিক্যময় ছবি দেখে ভারতের মানুষের জীবনযাত্রার মান বিচার করা যাবে না। ভারতে ১ লাখ ৮৩ হাজার কৃষক ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে গত ১০ বছরে আত্মহত্যা করছে_ এরকম একটি সংবাদ সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। পাকিস্তান থেকে এ ধরনের সংবাদ তেমন একটা শোনা যায় না। এ কারণেই নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, এমডিজি (মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস) অর্জনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন ভারতের চেয়ে ভালো।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত প্রতিরক্ষা খাতে যথেষ্ট ব্যয় বরাদ্দ বাড়িয়েছে। সিপরির (ঝওচজও) বার্ষিক গবেষণা গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত ২০১৫ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ৮০ মিলিয়ন ডলার খরচ করবে। জিডিপিতে প্রতিরক্ষা খাতে প্রবৃদ্ধির হার ২.৫ ভাগ থেকে ৩ ভাগ। ২০০০ সালের পর প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে শতকরা ৬৪ ভাগ। ওই সময়সীমায় ভারতে যে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে, তার মাঝে রাশিয়া একাই সরবরাহ করেছে ৮২ ভাগ। অনেকেরই স্মরণ থাকার কথা ভারত ইতিমধ্যে তার নৌবহরে পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভারত ভারত মহাসাগর অন্যতম নৌশক্তিরূপে আবির্ভূত হতে চায়। ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের নৌবাহিনীতে যেখানে জাহাজের সংখ্যা ১৩৫টি, সেখানে ভারতের জাহাজ রয়েছে ১০৩টি। অর্থাৎ প্রায় কাছাাকছি। ভারতের উদ্দেশ্য যে কী তা সহজেই অনুমেয়। পাঠক, স্মরণ করার চেষ্টা করুন প্রেসিডেন্ট ওবামার ভারত সফরের সময় ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র কেনার জন্য চুক্তি করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী ১১ মিলিয়ন ডলার মূল্যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে। যেখানে জনগোষ্ঠীর অর্ধেক মানুষ নূ্যনতম টয়লেট সুবিধা পায় না, ৩১ ভাগ জনগোষ্ঠীর দৈনিক আয় ১ দশমিক ২৫ সেন্টের নিচে (যা কীনা জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত অতি দরিদ্রের মানদ-), সেখানে শত শত কোটি রুপি ভারত ব্যয় করছে অস্ত্র খাতে। ইতিমধ্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে, অগি্ন-৫ উৎক্ষেপণের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র চায় ভারত এ অঞ্চলে অন্যতম পারমাণবিক শক্তিরূপে আবির্ভূত হোক। সদূরপ্রসারী এক মহাপরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে অস্ত্রসজ্জায় সজ্জিত করেছে। তার টার্গেট মূলত চীন, চীনকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা। আর এ লক্ষ্যেই দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অক্ষ গড়ে উঠছে। ভারত এখন আর পাকিস্তানকে 'অন্যতম শত্রু' বলে মনে করে না। ভারতের অন্যতম 'শত্রু' এখন চীন। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের স্বার্থ এখানে এক ও অভিন্ন। হিলারি ক্লিনটন সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন। উদ্দেশ্য ছিল এটি_ ভারতকে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা। আমরা ইতিমধ্যে দৈনিক ডেসটিনিতে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ঘুরেও গেছেন সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি আর বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব হিলারি ক্লিনটন। মিসেস ক্লিনটনের ঝুড়িতে যে নিরাপত্তার বিষয়টি ছিল, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় যে মার্কিন স্ট্রাটেজি, অর্থাৎ ভারত-যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক ও সামরিক বলয়, সেই বলয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। ভারতকে দিয়ে পারমাণবিক বোমা বহনযোগ্য অগি্ন-৫ ও আকাশ উৎক্ষেপণ এই স্ট্রাটেজিরই একটি অংশ। ভারতকে চীনের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো কিংবা ভারতকে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতিতে পরিণত করার উদ্যোগ কতটুকু সফল হবে বলতে পারব না; কিন্তু যে দেশ তার দরিদ্রতা দূরীকরণে কোনো বড় কর্মসূচি নিতে পারে না কিংবা কৃষকের আত্মহত্যা রোধ করার উদ্যোগ নিতে পারে না, সেই দেশ অগি্ন-৫ মিসাইল ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন করে আমাদের জন্য কোনো 'মডেল' হতে পারে না। আগামী দিনে ভারতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যেমনি বাড়বে তেমনি বাড়বে কন্যা শিশুর ভ্রূণ হত্যার প্রবণতাও। একটি সভ্য সমাজে যা কল্পনাও করা যায় না। অগি্ন-৫ উৎক্ষেপণ ছিল একটি প্রহসন মাত্র। আর পাকিস্তানের পরিস্থিতি যে ভারতের চেয়ে ভালো, তা বলা যাবে না। পাকিস্তান কার্যত আরেকটি 'তালেবানি রাষ্ট্রে' পরিণত হতে যাচ্ছে। একুশ শতকে এসেও পাকিস্তানের কোনো কোনো প্রদেশে মেয়েদের শিক্ষা সীমিত। তালেবান নারীরা মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে_ এ রকম সংবাদ আমরা একাধিকবার পাঠ করেছি। পাকিস্তানের মতো দেশে, যেখানে তারা জঙ্গি তৎপরতা দমন কতে পারছে না, সেখানে শাহীন (১৮০০ মাইল দূরপাল্লা) কিংবা হাতফ গজনবীর (১৮০ মাইল দূরে আঘাত হানার ক্ষমতাসম্পন্ন) মতো মিসাইল উদ্ভাবন করে পাকিস্তান পারমাণবিক প্রতিযোগিতাকে উসকে দিল মাত্র। পাকিস্তান বা ভারতের এ থেকে লাভবান হবার কিছু নেই। এতে করে দুদেশের দরিদ্রতা আরো বাড়বে। আর লাভবান হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্র ব্যবসায় তাদের প্রসার বাড়বে। ইতিমধ্যে খবর বেরিয়েছে, ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৬৬ কোটি ডলার ব্যয়ে ১৪৫টি হালকা কামান আমদানি করছে। এক সময় তথাকথিত 'নিরাপত্তা সুরক্ষার' নাম করে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ১০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে সাহায্য করেছিল (বিবিসি, ডিসেম্বর ১৬, ২০১০)। এখানে বলা ভালো, ভারত ও পাকিস্তান এনপিটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। পারমাণবিক অস্ত্র সীমিতকরণের ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপার মার্কিনি দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে ভারতের ব্যাপারে তার নীতির যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। উপমহাদেশে আগামী দিনগুলোতে এই প্রতিযোগিতা বাড়বে বলে মনে হয়।
দক্ষিণ এশিয়ায় ওই পারমাণবিক প্রতিযোগিতায় অন্য দেশগুলোও আক্রান্ত হতে পারে। প্রভাব বলয় বিস্তারের রাজনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো দুই বস্নকে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে। এতে করে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হতে বাধ্য। বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৮১ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৫৪৯ মিলিয়ন (প্রতিদিনের আয় ১ ডলার ২৫ সেন্ট হিসেবে)। ২০০৫ সালে তা দাঁড়ায় ৫৯৫ মিলিয়নে। আর বর্তমান হিসাব অনুযায়ী এ সংখ্যা ৬৫০ মিলিয়নের কাছাকাছি। পরিসংখ্যানে আরো দেখা গেছে, ২৫০ মিলিয়ন শিশু অপুষ্টির শিকার। ৩০ মিলিয়ন শিশু কোনোদিন স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায় না। মোট নারী জনগোষ্ঠীর তিন ভাগের এক ভাগ রক্তশূন্যতায় ভোগে। ভারতে প্রতি ৩ জনের মাঝে ১ জন দরিদ্র। ১২১ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে অর্ধেক জনগোষ্ঠীর জন্য টয়লেটের কোনো সুবিধা নেই। আর প্রতিদিন ভারতে মারা যায় ৫ হাজার শিশু। এই যে পরিসংখ্যান, এই পরিসংখ্যান কোনো আশার কথা বলে না। সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে দরিদ্রতা বিমোচনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে দরিদ্রতা কমেনি। অথচ দুটি বড় দেশ ভারত ও পাকিস্তান আজ কোটি কোটি ডলার খরচ করছে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবনে। দক্ষিণ এশিয়ার এই মুহূর্তে সমস্যা হচ্ছে দরিদ্রতা দূর করা, জাতিগত দ্বন্দ্বের অবসান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা ও সেই সঙ্গে জেন্ডার সমতা আনা। ব্যাপক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে জরুরি। দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃবৃন্দ এ দিকে দৃষ্টি দিলে ভালো করবেন।
Daily DESTINY
6.6.12

0 comments:

Post a Comment