রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ঘুরেফিরে ‘তৃতীয় শক্তি’

ঘুরেফিরে আবারও ‘তৃতীয় শক্তির’ কথা আলোচিত হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। আসম আবদুর রব বলেছেন, তিনি রাজনীতিতে তৃতীয় ধারা সৃষ্টি করতে চান। নাজমুল হুদা বললেন, তিনি তৃতীয় ধারার নেতৃত্ব দেবেন। জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট নামে একটি দল ইতোমধ্যে তিনি গঠন করে ফেলেছেন। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্যের এক সভায় বলা হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃতীয় শক্তির উত্থান জরুরি। আর সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তো প্রকাশ্যেই বললেন তিনিই তৃতীয় শক্তি। মূল বিষয় একটাই, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের বাইরে আলাদা একটি রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টি করা। বাংলাদেশে গত বেশ কিছুদিন ধরেই একটি বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির কথা বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছে। এই বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উদ্যোগ যে নেওয়া হয়নি, তেমনটি নয়। উদ্যোগ নেওয়া হলেও এই উদ্যোগ কাজে লাগেনি। অতীতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কিংবা সরকারের উচ্চ মহল থেকে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ার যে উদ্যোগ, তা কাগজ-কলমেই থেকে গেছে পরবর্তীতে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্পষ্টতই দ্বিদলীয় একটি রাজনীতির ধারা সূচিত হয়েছে। এর বাইরে তৃতীয় ধারার জন্ম হচ্ছে না। উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বটে। কিন্তু তা কোনো অবদান রাখতে পারছে না। কেন তৃতীয় ধারা বিকশিত হচ্ছে না, এটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশ যখনই একটি সঙ্কটের মুখে পড়ে, তখনই এই তৃতীয় ধারা বা বিকল্প ধারার কথা উচ্চারিত হয়। অতীতেও হয়েছে। এখনও হচ্ছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য। এর মূল কারণ উদ্যোক্তাদের সঠিক রাজনীতি বাতলে দেওয়ার ব্যর্থতা। বিকল্প রাজনীতির কথা যারা বলছেন তারা মূলত ব্যক্তিনির্ভর। এই ব্যক্তিনির্ভরতা কোনো বিকল্প রাজনীতির পথ আমাদের দেখিয়ে দেয়নি। আবার ব্যক্তিনির্ভর রাজনীতিবিদদের মাঝে ব্যক্তিদ্বন্দ্ব এত বেশি যে, সবাই মিলে এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাও ক্ষীণ। ফলে দুটি বড় দল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ওপরই নির্ভর করছে এ দেশের ভাগ্য। একদল ‘ভুল’ করলে, সাধারণ মানুষ অন্য দলের দিকে তাকায়। সেই দলকে ভোট দেয়। কিন্তু কোনো বিকল্প শক্তির দিকে তাকায় না।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ১/১১-এর (১১ জানুয়ারি ২০০৭) ঘটনার পর আমরা একটি তৃতীয় শক্তির কথা শুনেছিলাম। সেই তৃতীয় শক্তি বিকশিত হয়নি। আজ ঠিক পাঁচ বছর পর পুনরায় আবার তৃতীয় শক্তির কথা উঠেছে। গত ৭ জুন নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এই তৃতীয় শক্তি গড়ার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি বড় দল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে তৃতীয় ধারা সৃষ্টির প্রয়াস অনেক দিন ধরেই নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সমাজে আদৌ তা কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। একসময় জাতীয় পার্টি বা বাম ধারার দলগুলোকে তৃতীয় ধারার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হতো। কিন্তু জাতীয় পার্টি সেই অর্থে গ্রহণযোগ্য একটি তৃতীয় শক্তি না হয়ে উত্তরবঙ্গকেন্দ্রিক একটি আঞ্চলিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আর বাম দলগুলোর আদৌ কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। এখন মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য একটি তৃতীয় ধারার সূচনা করবে, এ বিশ্বাস রাখতে পারছি না। কিংবা হুদা একটি তৃতীয় ধারার জন্ম দেবেন এটাও মনে হয় না।
এটা স্বীকার করতেই হবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি অবিসংবাদিত শক্তি। আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত দল। এদের রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। যে কারণে ১৯৭৫ সালের বিয়োগান্তক ঘটনার পরও দলটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে দু’দুবার সরকারও গঠন করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিকল্প হিসেবে বিএনপি একটি ধারা তৈরি করেছে। বিএনপি আওয়ামী লীগের বিকল্প শক্তি। এই বিকল্প শক্তি বাংলাদেশে একটি দ্বি-দলীয় রাজনীতির সূচনা করেছে। পরিসংখ্যান বলে সংসদীয় রাজনীতিতে এই দল দুটির অবস্থান অত্যন্ত শক্তিশালী। প্রথম সংসদ থেকে শুরু করে সর্বশেষ নবম সংসদ পর্যন্ত সংসদীয় রাজনীতির যে ধারা, তাতে দেখা যায় যেখানে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, সেখানে বিএনপির অবস্থান বিরোধী শিবিরে। শক্তিশালী তৃতীয় কোনো পক্ষ বিকশিত হয়নি। স্বতন্ত্ররা প্রথম সংসদে (৪টি আসন), মুসলিম লীগ-আইডিএল দ্বিতীয় সংসদে (২০ আসন), জাতীয় পার্টি (৫ম, ৭ম, ৮ম, ৯ম) তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও, জাতীয় পার্টি বরাবরই সরকারের অংশীদার। ফলে তৃতীয় শক্তি বিকশিত হতে পারেনি। এখন বাংলাদেশে একটি তৃতীয় শক্তির প্রয়োজনীয়তার কথাও আকার-ইঙ্গিতে বলছেন দাতারা। দুর্নীতির প্রশ্নটি এখন সামনে চলে এসেছে। বলা হচ্ছে এই তথাকথিত তৃতীয় শক্তি দুর্নীতিমুক্ত থাকবে। এই দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতির কথা বলছে নাগরিক ঐক্য। পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক তথা দাতাগোষ্ঠীর একটা ‘বিরোধ’ তৈরি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক সরাসরি দুর্নীতির প্রশ্ন তুলেছে। এই ‘দুর্নীতি’র ইস্যুটি বিশ্বব্যাংক তথা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি ‘শব্দ’। এটা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় বিশ্বে সরকার পরিবর্তন করায়। পাকিস্তানে তারা ইমরান খানকে সামনে নিয়ে এসেছে। মিসরে ‘আরব বসন্ত’-এ দুর্নীতির বিষয়টি ছিল মুখ্য। মজার ব্যাপার হচ্ছে যারা মিসরে আরব বসন্তকে সংঘটিত করেছিল তাদের নেতৃত্ব সারির অনেকেই ওয়াশিংটনে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। এখন মিসরে পরিবর্তন এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র উন্নয়নশীল বিশ্বে গণতন্ত্র বিনির্মাণে তরুণ সমাজ, সুশীল সমাজকে ‘প্র্রমোট’ করে। পাঠক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করুন। হিলারি ক্লিনটন তৃতীয় বা চতুর্থ রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে দেখা না করলেও, তরুণ সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন এবং রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ায় তরুণদের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন। এখন যারা নাগরিক ঐক্যের ব্যাপারে সংগঠিত হয়েছেন, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় তেমন একটা নেই। তারা মূলত সুশীল সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন। সঙ্গত কারণেই যে আশঙ্কাটা থেকে যায়, তা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যে সুশীল সমাজকে ‘প্রমোট’ করছে, তারাই কি নাগরিক ঐক্যের ব্যানারে সংগঠিত হচ্ছে?
এই তথাকথিত তৃতীয় শক্তি নিয়ে দুটি বড় দল আবার পরস্পরকে অভিযুক্ত করেছে। গত ২২ জুন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি তৃতীয় শক্তির উত্থান চাইছে। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর একদিন আগে বলেছেন, বিএনপি কোনো তৃতীয় শক্তিকে সমর্থন করে না। তবে নাগরিক ঐক্য যদি একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, তাহলে তারা দল হিসেবে এটাকে সমর্থন করবে। যাকে কেন্দ্র করে এই নাগরিক ঐক্য, বা তৃতীয় শক্তি, সেই মাহমুদুর রহমান মান্না একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় লিখেছেন, জনগণ দুটো বড় দলের কাছে জিম্মি। জনগণের কথা শুনছে না এই দল দুটি। কিন্তু জনগণকে ওই দল দুটি তাদের কথা শুনতে বাধ্য করেছে। তিনি বলেছেন, এই দল দুটি জনগণের কথা না শুনলে, তৃতীয় শক্তির অভ্যুদয় ঘটবেই। তিনি বড় দল দুটোর নৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন প্রত্যাশা করেছেন। একজন মান্না কি এই তৃতীয় শক্তির প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন? মান্নার রাজনীতি কতটা স্বচ্ছ? মান্না আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও, তিনি মূল ধারার আওয়ামী লীগার নন। এক সময় জাসদ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে যান। কিন্তু নেত্রীর কাছাকাছি যেতে পারেননি। সংস্কারবাদী হিসেবে তার একটা পরিচিতি আছে। এই পরিচয়ের কারণে এবং বিভিন্ন টক শোতে স্পষ্ট বক্তব্য রাখার কারণে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন না বলে অনেকের ধারণা। এ কারণেই তিনি নাগরিক ঐক্যের জন্ম দিলেন। এর কিছুদিন পর হুদা দিলেন আরেকটি দলের জন্ম।
ফ্রন্ট বা নাগরিক ঐক্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো তৃতীয় ধারার সূচনা করতে পারবে না। তাদের কোনো সুস্পষ্ট দিকদর্শনও নেই। এরা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন। সুশীল সমাজকে দিয়ে রাজনীতি হয় না, অন্তত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি সম্ভব নয়। সুশীল সমাজের সঙ্গে যারা আছেন, তারা যদি রাজনীতিতে অবদান রাখতে চান, সেটা নিঃসন্দেহে একটা ভালো দিক। রাজনীতি করতে হলে তাদেরকে মূল ধারার রাজনীতিতে আসতে হবে। মূল ধারার বাইরে গিয়ে কেউ অতীতে কোনো সুবিধা করতে পারেননি। ড. ইউনূস কিংবা ড. কামাল হোসেনের মতো ব্যক্তিত্ব এখন শুধু সংবাদপত্রের পাতাতেই আছেন। অধ্যাপক ইউনূস চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি। রাজনীতি একটা ভিন্ন জিনিস। রাজনীতিবিদরা ভুল করতে পারেন। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে যেতে পারেন, এটা সত্য। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জনগণের সঙ্গে এরাই থাকেন। সাধারণ একজন মানুষ যখন কোনো সমস্যায় পড়েন, তখন তিনি ছুটে যান স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে। তারাই তাদের আশ্রয়স্থল। ড. ইউনূস সাধারণ মানুষকে নিয়ে এখন সামাজিক ব্যবসার কথা বলেন। কিন্তু তিনি কি আদৌ সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে কোনোদিন দাঁড়িয়েছেন? একজন কামাল হোসেনের কাছে কি সাধারণ মানুষ যেতে পারে? ড. কামাল হোসেনের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তার সীমাবদ্ধতা তাকে জাতীয় নেতায় পরিণত করতে পারেনি। আজ একজন মান্নার মাঝে হতাশা কাজ করে। তার নিজের নির্বাচনী এলাকা কোনটি, এটা নিয়েও সমস্যা আছে। বগুড়াতে তিনি নির্বাচন করেছিলেন বটে। কিন্তু নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি আর তার নির্বাচনী এলাকায় যাননি। ফলে ঢাকাকেন্দ্রিক একজন ‘বুদ্ধিজীবী’ হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আর বুদ্ধিজীবী এক কথা নয়। মান্না আজ যে কথাগুলো বলছেন, সেই কথাগুলো তিনি দলীয় ফোরামে বললে ভালো করতেন। এটাই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। এটা না বলে আরেকটি ‘দল’ গঠন করা, তৃতীয় শক্তির কথা বলা জনগণকে বিভ্রান্ত করার শামিল। এই তথাকথিত ‘তৃতীয় শক্তি’ বাংলাদেশের রাজনীতিতে আদৌ কোনো অবদান রাখতে পারবে না। তবে এটা ঠিক বর্তমানে রাজনীতি যেভাবে চলছে, সে ধারায় রাজনীতি চললে একুশ শতকে আমরা বাংলাদেশকে যোগ্য স্থানে নিয়ে যেতে পারব না। দুটি বড় দলের মাঝে সুস্পষ্ট দিকদর্শন নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা আমরা বলছি বটে। কিন্তু সেই অর্থে কোনো উদ্যোগ আমরা নিচ্ছি না। নতুন নেতৃত্বও তৈরি হচ্ছে না। দুটি বড় দলের নেতৃত্বের সারিতে যারা আছেন, তারা আগামী ৫-৬ বছর পর অবসরে যাবেন। তখন দলটি থাকবে বটে। কিন্তু নয়া নেতৃত্ব তো তৈরি হচ্ছে না। নয়া নেতৃত্ব তৈরি করার কোনো উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে না। আগামী ২০৫০ সালকে সামনে রেখে একটি রূপকল্প প্রণয়ন করা উচিত। আমাদের জনসংখ্যা, খাদ্য, অর্থনীতি, নিরাপত্তা, জলবায়ু, সুপেয় পানি, জ্বালানি, যোগাযোগ, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে দুটো বড় দলেরই বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত। এদের এসব বিষয়ে বেশ কয়েকটি ‘সেল’ থাকা উচিত। গবেষণা ‘সেল’ থাকা প্রয়োজন। ওই গবেষণা ‘সেল’ দলের নীতি নির্ধারণ  করবে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে। দ্বি-দলীয় ব্যবস্থায় এটাই নিয়ম। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া আর জনসমর্থন হারিয়ে অন্য দলের জন্য পথ করে দেওয়া। এর কোনো বিকল্প নেই। আজ যারা তৃতীয় ধারার কথা বলছেন, এরা ভালো করতেন, যদি স্ব স্ব দলে থেকে দলকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে পারতেন। তারা তা করেননি। একজন আমলা, একজন শিক্ষাবিদ কিংবা একজন আইনজীবী বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে কোনো পরিবর্তন ডেকে আনতে পারবেন না। তৃতীয় শক্তি বা নাগরিক ঐক্য তাই কোনো সমাধান নয়।
Daily SAKALER KHOBOR
27.08.12

0 comments:

Post a Comment