রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এশিয়া সফর প্রসঙ্গে

৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২ দিনের এক সফরে এশিয়ায় এসেছেন। এ সফরে তিনি Asia Pacific Economic Co-operation (APEC) সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এ প্রথম তিনি এশিয়া সফরে এলেন। এ সফরে তিনি চীনের পাশাপাশি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনও সফর করবেন। ৩ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত এ সফর। সফরে তিনি ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত আপেক (অচঊঈ) সম্মেলনে যোগ দেবেন। একই সঙ্গে যোগ দেবেন ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত অঝঊঅঘ শীর্ষ সম্মেলনেও। যুক্তরাষ্ট্র আপেকের সদস্য হলেও আসিয়ানের সদস্য নয়। সাম্প্রতিক সময়গুলোয় এশিয়ার গুরুত্ব বেড়েছে নানা কারণে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্ররা জানেন, নতুন করে যে স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হতে যাচ্ছে, তার কেন্দ্রভূমি হচ্ছে এশিয়া। পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চলের চেয়ে এ অঞ্চলে বর্তমানে উত্তেজনা বেশি। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার একের পর এক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক হামলার হুমকি; অন্যদিকে দক্ষিণ চীন সাগর ঘিরে চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব এ অঞ্চলকে চরম উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এমনই এক পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন উত্তেজনাপূর্ণ এ এলাকায় আসেন, তখন বিশ্বের দৃষ্টি এ অঞ্চলের দিকে থাকবেÑ এটাই স্বাভাবিক। তাই এ অঞ্চলে এসে ট্রাম্প কী ধরনের বক্তব্য রাখেন, সে ব্যাপারেও দৃষ্টি থাকবে অনেকের। এখানে আরও একটা কথা বলা প্রয়োজন, আর তা হচ্ছে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে স্ট্র্যাটেজি, তাতে ভারতের ভূমিকা। ট্রাম্পের এ ১২ দিনের সফরে এশিয়ার দুইটি বড় অর্থনৈতিক শক্তির দেশ চীন ও জাপানের নাম থাকলেও এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি ভারতের নাম নেই। কিন্তু ট্রাম্পের এ সফরের প্রায় কাছাকাছি সময়ে ভারত নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ওয়াশিংটনের থিংক-ট্যাংক স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি একবিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ভারতকে বেছে নেয়ার পরিকল্পনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি চীনের সঙ্গে ভারতের তুলনা করেছেন। কয়েক বছর আগে থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল, চীনের বিরুদ্ধে প্রক্সি বাহিনী হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশকে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো কৌশল। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ব্যবহার করেছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। এখন ইউরোপের কর্তৃত্ব এ প্রভাববলয় বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্নায়ুযুদ্ধের জন্ম হয়েছিল। আজ একুশ শতকে এসে স্নায়ুযুদ্ধের নতুন এক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে এশিয়ায়। সোভিয়েত ইউনিয়নের বদলে চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেট। আর চীনের বিরুদ্ধে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারতকে ব্যবহার করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তাই ভারতকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে দেশটি। চীনের সঙ্গে ভারতের দ্বন্দ্বকে কাজে লাগাতে চাইছে তারা। চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড কর্মসূচির ব্যাপারে ভারতের আপত্তি রয়েছে। ভারত তাতে যোগ দেয়নি, যদিও বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বিরুদ্ধে ভারতকে ব্যবহার করতে চায়। অনেকের মনে থাকার কথা, কিছুদিন আগে ভারত দক্ষিণ চীন সাগরে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছিল। ভারত ভিয়েতনাম নিয়ন্ত্রিত এলাকায় দক্ষিণ চীন সাগরে গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাব্যতা নিয়ে গভীর কূপ খননে নিয়োজিত। চীন এ কাজকে ভালো চোখে দেখছে না। ডোকলাম নিয়ে অতিসম্প্রতি ভারত ও চীনের দ্বন্দ্ব এবং সম্ভাব্য একটি সংঘর্ষের খবর সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে নয়া স্ট্র্যাটেজি, তাতে যুক্তরাষ্ট্র চায় ভারত সেখানে একটি বড় ভূমিকা পালন করুক। আফগানিস্তানে ভারতের ভূমিকা বাড়ছে। সেখানে ভারতের একটি বিমানঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভারতীয় মহাসাগরে প্রভাববলয় বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে চীনের একধরনের স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনের পাশাপাশি ভারতও মহাসাগরভুক্ত কোনো কোনো দেশে তাদের নৌঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করছে। ফলে চীনকে ঘিরে ফেলার যুক্তরাষ্ট্রের যে দীর্ঘ স্ট্র্যাটেজি, তাতে ভারত অন্যতম অংশীদার হবেÑ এটাই স্বাভাবিক। তাই ট্রাম্প যখন এশিয়ায় দীর্ঘ সফরে এলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক নিয়েও আগ্রহ থাকল অনেকের।
ট্রাম্পের এ সফর তালিকায় চীনের নাম আছে। তিনি চীনে যাবেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। ট্রাম্পের অনেক বক্তব্য ছিল চীনবিরোধী। চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ট্যাক্স আরোপ করার কথা তিনি বলেছিলেন। এখন আর তিনি এ ধরনের কথা বলেন না; বরং তিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রশংসাও করেছেন। চীনের ১৯তম পার্টি কংগ্রেসে শি জিনপিং ফের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে এৎবধঃ খবধফবৎ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। এমনকি তাকে রাজার সঙ্গে তুলনা করতেও তিনি দ্বিধাবোধ করেনি। (গার্ডিয়ান, ২৫ অক্টোবর ২০১৭)। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে হামবুর্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। এখন আবারও তিনি সাক্ষাৎ করবেন। 

সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে চীনের কোনো কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ট্রাম্প খুশি। চীন উত্তর কোরিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণসমর্থন জানিয়ে চীন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সবধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভালো করে জানে, উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ করতে হলে চীনের সাহায্য প্রয়োজন। এজন্যই ট্রাম্প চীনে গিয়ে চীনবিরোধী কোনো শক্ত মন্তব্য করবেন না। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে উত্তর কোরিয়াবিরোধী একটি অ্যালায়েন্স গড়ে তুলতে হলে ট্রাম্পের প্রয়োজন রয়েছে চীনের সহযোগিতার। তবে দক্ষিণ চীন সাগর প্রশ্নে তিনি স্ট্যাটাস কো পন্থা অবলম্বন করবেন কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। দক্ষিণ চীন সাগরের আশপাশে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নিয়মিত টহল দেয়। এটা চীন কোনো মতে মেনে নেয়নি। তারা মনে করে, এ অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজের চলাচল চীনের সার্বভৌমত্ব খর্বের শামিল। দক্ষিণ চীন সাগর চীনের অন্তর্ভুক্ত বলে দেশটি মনে করে। এরই মধ্যে চীন সেখানে তার সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। এ অঞ্চলে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রচুর গ্যাস ও তেল রয়েছে এ অঞ্চলে, যা চীনের জ্বালানি সুধা মেটাতে সাহায্য করবে। এ অঞ্চলের ব্যাপারে তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামের দাবি রয়েছে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক আদালত চীন-ফিলিপাইন দ্বন্দ্বে ফিলিপাইনের দাবির পক্ষে রায় দিয়েছেন। কিন্তু ফিলিপাইন চীনের আর্থিক সহযোগিতার (২০ বিলিয়ন ডলার) পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর তার দাবি থেকে সরে এসেছে। চীনের সঙ্গে ফিলিপাইনের সম্পর্ক এখন ভালো। প্রেসিডেন্ট দুতার্তে এরই মধ্যে চীন সফর করেছেন। এ এলাকার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণ এখানকার স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব। যুক্তরাষ্ট্র তার ষষ্ঠ নৌবাহিনীর ফ্লিটের রসদ সরবরাহের জন্য এ রুটের গুরুত্ব অপরিসীম। সুতরাং দক্ষিণ চীন সাগরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সীমান্ত না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র এ এলাকার ব্যাপারে তার আগ্রহ হারায়নি। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে চীন সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দক্ষিণ চীন সাগরের প্রশ্নটি না-ও উত্থাপন করতে পারেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফরের সময় নিঃসন্দেহে উত্তর কোরিয়ার পরমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবেন। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অ্যালায়েন্স গড়ে তুলতে তিনি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে ব্যবহার করবেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় এরই মধ্যে থাড ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। এ ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়ার যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে দেশটিকে রক্ষা করবে। যদিও থাড ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, থাড ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সব খরচ দক্ষিণ কোরিয়াকে বহন করতে হবে; কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া তাতে রাজি হয়নি। এ বিরোধের কোনো সমাধান হয়নি। তবে একটা ভালো খবর হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়া সফরে ট্রাম্প দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অসামরিক এলাকায় যাবেন না। এতে উত্তর কোরিয়া যে কোনো ধরনের প্রভোকেশন থেকে নিবৃত্ত থাকবে। কোনো কোনো মহল থেকে বলা হচ্ছে, ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কেন্দ্রে আগাম হামলা চালাতে পারেন। প্রেসিডেন্ট বুশ ২০০৩ সালে ইরাকে আগাম হামলা চালিয়েছিলেন। বুশের যুক্তি ছিল, সাদ্দাম হোসেনের কাছে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র রয়েছে। এ মারণাস্ত্র ধ্বংস এবং সাদ্দাম হোসেন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালানোর (?) আগেই বুশ সাদ্দাম হোসেনের সব সমরাস্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। অথচ পরে জানা গেল, সাদ্দাম হোসেনের কাছে কোনো ধরনের অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র ছিল না। এখন ট্রাম্প একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে। আগাম আক্রমণ বা ঢ়ৎববসঢ়ঃরাব ধঃঃধপশ যাতে ট্রাম্প সূচনা করতে না পারেন, সেজন্য ডেমোক্র্যাটরা কংগ্রেসে একটি বিল উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। এ বিল কংগ্রেসে পাস হলে ট্রাম্প আর উত্তর কোরিয়ায় আগাম হামলা চালাতে পারবেন না। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়Ñ চূড়ান্ত বিচারে ট্রাম্প উত্তর কেরিয়ার ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই দেখার বিষয়। 

ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হয়ে টিপিপি বা ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ চুক্তি বাতিল ঘোষণা করেছিলেন, যা বারাক ওবামার শাসনামলে সম্পাদিত হয়েছিল। প্রশান্ত মহাসাগরের সীমান্তঘেঁষা ১২টি দেশ (যে দেশগুলোয় সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প) এ টিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিশ্বের শতকরা ৪০ ভাগ জিডিপির অন্তর্ভুক্ত ছিল এ দেশগুলো। এর মাধ্যমে একটি শুল্কমুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা ছিল। এখন যুক্তরাষ্ট্র টিপিপি বাতিল করায় অন্য দেশগুলো কী করবে, তা স্পষ্ট নয়। চীন টিপিপিতে ছিল না। ফলে বাকি ১১টি দেশ (যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া) চীনের সঙ্গে এ ধরনের একটি চুক্তি করতে পারে। বলা ভালো, জাপান এ চুক্তিটি এরই মধ্যে রেটিফাই করেছে। ট্রাম্পের এ সফরে টিপিপির বিকল্প নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নিঃসন্দেহে ট্রাম্পের এশিয়া সফর এ অঞ্চলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও উন্নত করবে। তবে সত্যিকার অর্থেই যুক্তরাষ্ট্র তার এশীয় নীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আনে, সেটাই হচ্ছে মুখ্য বিষয়। 


আলোকিত ০৫ নভেম্বর ২০১৭

0 comments:

Post a Comment