রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

অথঃ ভিসি কাহিনী

শরীফ এনামুল কবীর আমাদের ভিসি ছিলেন। তার পদত্যাগের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একজন নতুন ভিসি পেয়েছে। পদত্যাগী উপাচার্য আমাদের বন্ধু মানুষ। ভালো একাডেমিসিয়ান। কিন্তু তার তিন বছরের ‘রাজত্বে’ তিনি যেসব ‘কাজ’ করে গেলেন, তাতে করে ভিসি নামের একটি ‘প্রতিষ্ঠানের’ ওপর থেকে আমার আস্থা উঠে গেছে। কী পেলেন অধ্যাপক কবীর? তাকে নিয়ে প্রকাশ্যে ব্যঙ্গচিত্র এঁকেছিল ছাত্ররা। একাত্তরের ঘাতকদের মতো করে তার ব্যঙ্গচিত্র আঁকা হয়েছিল এবং তা সেঁটে দেয়া হয়েছিল সারা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুনেছি সচিবালয়ের গেটেও নাকি টানিয়ে দেয়া হয়েছিল দু-একটি পোস্টার। তাতে করে কি তার সম্মান বেড়েছে? কোন মুখ নিয়ে তিনি এখন দাঁড়াবেন তার সহকর্মীদের পাশে? চৈতী, তার ‘সন্তান’, ছাত্রী, যখন
তার বাড়ির সামনে অনশনে বসল, তিনি তখন দিব্যি বাড়ির ভেতরে ‘খাওয়া-দাওয়া’ নিয়ে ব্যস্ত! তার সহকর্মী সোমা মমতাজ, শামীমা সুলতানাও যখন অনশন করলেন, তিনি একদিনও দেখতে গেলেন না তাদের। একজন ভিসি কি এ কাজটি করতে পারেন? আমাদের আরেক সহকর্মী অধ্যাপক মামুন, যাকে আমরা সবাই ভোট দিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি বানিয়েছি, তাকে যখন আরেক ‘শিক্ষক’ প্রহার করল, ভিসি তখনও নির্বিকার। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের রেশ ধরে দু’জন শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করল রাত ২টায় ভিসির নির্দেশে। কোন উপাচার্য কি পারেন এভাবে কোন নির্দেশ দিতে? একজন শিক্ষক যখন অপর একজন শিক্ষিকা কর্তৃক যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ‘অভিযুক্ত’ হলেন, তিনি তখন ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে ‘প্রোটেকশন’ দিলেন দলীয় বিবেচনায়। অথচ তার উচিত ছিল ওই শিক্ষিকার, যে কিনা তার মেয়ের বয়সী, তার পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। ভিসি তা করেননি। উচ্চ আদালত তাকে ডেকে ভর্ৎসনা করেছিল। তাতে করে কি তার সম্মান বেড়েছিল? রাগে-দুঃখে, অপমানে ওই শিক্ষিকা দেশত্যাগ করেছেন। আর অভিযুক্ত শিক্ষক এখন বহাল তবিয়তে, রীতিমতো ‘নেতা’ বনে গেছেন। তাকে ভিসি ব্যবহার করেছেন নিজ স্বার্থে। যেদিন শিক্ষক ও ছাত্ররা তার বাসার গেটে অনশনে বসেছিল, তিনি তখন অন্য গেটে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে বসিয়ে দিয়েছিলেন অনেকটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে। এ কাজটা করা কি সমীচীন হয়েছে তার?
তিনি যেদিন দায়িত্ব নেন (২০০৯), সেদিন এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই খুশি হয়েছিল। কারণ তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কিন্তু ভিসি হয়ে কী করলেন তিনি? দুশ’ শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন, যাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাদের অনেকেই ক্লাসে পাঠদান করতে পারেন না। এটা সর্বকালের রেকর্ড। অতিরিক্ত ও অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ কি শিক্ষার মান বাড়ায়? এক বিষয়ের ছাত্রকে ভিসি অন্য বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। দল ভারি করার জন্য একের পর এক অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন, যাদের পড়ানোর মতো কোন কোর্স নেই। কোন কোন বিভাগ চলছে শুধু প্রভাষকদের দিয়ে। শিক্ষার মানোন্নয়ন তাতে কতটুকু হল? লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হয়ে যায়, যখন শুনি টাকার বিনিময়ে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে। যদিও শিক্ষকরা মিছিল করে এর প্রতিবাদ করেছেন, তারা নতুন উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয়, ভিসিবিরোধী আন্দোলন যখন হচ্ছিল, তখন তারা এ প্রসঙ্গে কোন কথা বলেননি! অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসেনের বিরুদ্ধে তাদের যে অভিযোগ, এ অভিযোগ এর আগেও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তখন এরা কেউ প্রতিবাদ করেননি। ৪০ লাখ টাকা নিয়ে ধরা পড়ল জাবির এক কর্মচারী। নাম তার জসিমুদ্দিন। আশুলিয়া থানায় মামলা হল। এ তো আরেক ‘কালো বিড়ালে’র কাহিনী। যুগান্তরে ৪ মে প্রকাশিত ওই সংবাদের কোন প্রতিবাদ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন কর্মকর্তা, শিক্ষক জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। বিদায়ী ভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ‘ছাত্র-সাংবাদিকদের’ মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য একটি ‘প্রেস ক্লাব’ গঠন করেছেন। এর কি আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল। ছাত্ররা সাংবাদিকতা করে। ওদেরকে ওদের মতো থাকতে দেয়াই মঙ্গল। গত ৪০ বছরে যা হয়নি, তা বিদায়ী ভিসির জমানায় হল। একজন সাংবাদিককে তিনি ‘শিক্ষক’ হিসেবে নিয়োগ দিলেন কলা অনুষদের একটি বিভাগে। অভিযোগ উঠেছে, ‘ছাত্র সাংবাদিকদের’ ‘সাইজ’ করার জন্যই মূলত এ কাজটি তিনি করেছেন। এভাবে কি সাংবাদিকদের ‘নিয়ন্ত্রণে’ রাখা যায়?

ভিসিরা কেন এমন হন? শরীফ এনামুল কবীরের বাড়ি গোপালগঞ্জে। তাই বলে কি শুধু গোপালগঞ্জের মানুষকে চাকরি দিতে হবে? গ্রেটার ফরিদপুর হলেই কি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে, কিংবা প্রমোশন? শুধু গোপালগঞ্জ আর ফরিদপুর নিয়েই কি বাংলাদেশ? আমার এক ছাত্র, অনার্স ও মাস্টার্স দুটোতেই প্রথম শ্রেণীতে প্রথম, শিক্ষক হিসেবে তার চাকরি হয়নি। কেননা সে দলবাজ ছিল না। ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্টকে আমরা শিক্ষক হিসেবে নেইনি, নিয়েছি ফার্স্ট ক্লাস সপ্তমকে। এর পেছনে যে ‘কাহিনী’, তা এ জাতির জানা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ‘কালো বিড়াল’ রয়েছে, তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের জন্য এসব ‘কাহিনী’ কি যথেষ্ট নয়? ইতিহাসে শরীফ এনামুল কবীরের নাম থেকে যাবে বটে, কিন্তু সে নামকে উজ্জ্বল করবে না।
যখন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে ছিলাম, তখন তদন্ত করে দেখেছিলাম অনেক ভিসি অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ করেন। ব্যক্তিগত কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার করেন। আমি মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলাম। এখন শুনছি, সাবেক ভিসি একাধিক গাড়ি ব্যবহার করতেন। গাড়ি অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এটা যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আরেকজন উপ-উপাচার্য গত চার বছর নিয়মিত ঢাকা থেকে গিয়ে সরকারি জ্বালানি (গ্যাস নয়, অকটেন) খরচ করে অফিস করেছেন। তিনি এটি পারেন না। মঞ্জুরি কমিশনের উচিত ‘সরকারি অর্থের অপচয়ের’ অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা। একজন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য আর্থিক কেলেংকারিতে অভিযুক্ত হবেন নাÑ এমনটাই দেখতে চাই।
ভিসিরা কেন এমন হন? ভিসি হলেই নিজ এলাকার লোকদের চাকরি দিতে হবে। রংপুর কিংবা বরিশালের ভিসির যেসব কাহিনী পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তা ভয়াবহ। রংপুরের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নাকি আপনজন থেকে শুরু করে তার গ্রামের বাড়ির প্রায় অর্ধশত লোককে ‘চাকরি’ দিয়েছেন। ছেলে, ছেলের বউ, ভাইÑ কে নেই সেই লিস্টে। এরা কেমন উপাচার্য? জাবির ভিসি তার নিজের মেয়েকে শিক্ষক বানাননি বটে, কিন্তু তার সঙ্গে যারা ‘দল’ করেছেন তাদের সবার সন্তানের, তাদের বউ অথবা স্বামীদের ‘চাকরি’ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগরে। তারা এত ‘মেধাবী’ যে তাদের অন্য ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও চাকরি হয় না! বিশ্ববিদ্যালয় কি চাকরির একটি ক্ষেত্র? এখানে নিজের আÍীয়স্বজন কিংবা দলীয় লোকদের অথবা নিজ এলাকার লোকদের চাকরি দিতে হবে? এমন ভিসি আমরা কবে পাব, যিনি দলবাজ হবেন না, যোগ্যদেরই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেবেন? শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা তাই প্রয়োজন। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে ‘সাফল্য’ বিবেচনায় নিলে চলবে না। তার উপস্থাপনের যোগ্যতা এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়াও জরুরি। আর এ কাজটি করবে মঞ্জুরি কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় নয়। উপাচার্যের হাতে শিক্ষক নিয়োগের কোন ক্ষমতা থাকবে না। এর চেয়েও বড় কথা, একজন ছাত্রকে পাস করার পর গবেষণা সহকারী হিসেবে একজন সিনিয়র শিক্ষকের অধীনে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

 পৃথিবীর প্রতিটি উন্নত দেশে এমনটি আছে। তারপরই তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে, এর আগে নয়। মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আজাদ চৌধুরী তো পারেন সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন একটি আইন করতে। এটি নিয়ন্ত্রণ করবে মঞ্জুরি কমিশন। উপাচার্যের হাতে ক্ষমতা থাকলে দলবাজ শিক্ষকদের সন্তানরা শিক্ষক হবে, আর মেধাবীরা হারিয়ে যাবে। জাবির শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে বিগত তিন বছরের সব অনিয়মের শ্বেতপত্র প্রকাশ করার। ক্ষতি কী? বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই এটি করা উচিত। আর এভাবে অনির্বাচিত উপাচার্য নয়, আমরা চাই নির্বাচিত একজন উপাচার্য, যার দায়বদ্ধতা থাকবে জাবি পরিবারের কাছে। জাবিতে অনেক ‘ক্ষত’ সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক ভিসি ওই ‘ক্ষতগুলো’ সারিয়ে তোলার কোন উদ্যোগ নেননি। ফলে অনাকাক্সিক্ষত অনেক ঘটনা ঘটেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে সিনিয়র শিক্ষকরা অপমানিত হয়েছেন। অত্যন্ত সুকৌশলে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব ‘তৈরি’ করা হয়েছে, যা কাক্সিক্ষত নয়।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ করা যে ন্যায়সঙ্গত, এটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা প্রমাণ করলেন। তাদের লাল সালাম। হƒদয় নিংড়ানো ভালোবাসা তাদের জন্য। তাদের ‘কাজটি’ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের হারানো গৌরব ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে তাদেরই পালন করতে হবে বড় ভূমিকা। আন্দোলনের একটা ধাপ পার হয়েছে মাত্র। বাকি কাজগুলো এখনও অসমাপ্ত। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন নতুন মানুষ। তিনি অনেক কিছুই জানেন না। তাকে ‘পরামর্শ’ দেয়ার ইচ্ছা আমার নেই। তবে নিচের কাজগুলো যদি তিনি করেন, তিনি ভালো করবেন।
১. সব ধরনের নিয়োগ (কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারী) আপাতত কয়েক মাসের জন্য বন্ধ রাখা; ২. বিগত প্রশাসনের সব অনিয়ম, আর্থিক দুর্নীতি খতিয়ে দেখার জন্য মঞ্জুরি কমিশনকে চিঠি লেখা ও মঞ্জুরি কমিশনের একজন সদস্যের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা; ৩. উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা এবং এ সংক্রান্ত প্রাক-নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করা; ৪. সাবেক উপাচার্য একটি মোসাহেবী শ্রেণী তৈরি করেছিলেন, যারা তাকে ঘিরে থাকত। ওই মোসাহেবী শ্রেণী থেকে দূরে থাকতে পারলে নতুন ভিসি ভালো করবেন; ৫. আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ‘শত্র“’ নয়, বরং ‘বন্ধু’ ও সহকর্মী ভাবা; ৬. সব দল ও মতের শিক্ষকদের নিয়ে একটি ‘পরামর্শ কমিটি’ গঠন করা; ৭. বিতাড়িত ছাত্র ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসা ও সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত করা; ৮. শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।
শরীফ এনামুল কবীর ‘রাজনীতি’ করা মানুষ। রাজনীতি করলে ‘সংকট’ তৈরি হবে। তিনি ভালো করবেন, যদি তিনি নিরপেক্ষ থেকে বর্তমান উপাচার্যকে সাহায্য ও সহযোগিতা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। একজন ভিসির পদত্যাগই যথেষ্ট নয়। যেসব সমস্যা তৈরি হয়েছে, নতুন প্রশাসনকে সেসব সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য,
প্রফেসর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tsrahmanbd@yahoo.com

0 comments:

Post a Comment