রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

এ রায়কে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের রায় দিয়েছে দ্য হেগে অবস্থিত পার্মানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন। এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে গত মঙ্গলবার। রায় প্রকাশকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এ রায়ে বাংলাদেশই জয়ী হয়েছে। কিন্তু পুরো রায় পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সালিশি কোর্ট বাংলাদেশের পুরো দাবি মেনে নেননি। বাংলাদেশের দাবি ছিল ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ ৬ হাজার ১৩৫ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ কম পেয়েছে। বাংলাদেশের দাবি ছিল ভূমির মূল বিন্দু থেকে সমুদ্রের দিকে ১৮০ ডিগ্রি সোজা রেখা টেনে সীমানা চিহ্নিত করার। আর ভারত দাবি করেছিল সমুদ্রের তট বিবেচনায় রেখে এ রেখা ১৬২ ডিগ্রি করার। আদালত এ ক্ষেত্রে কোনো পক্ষেরই যুক্তি গ্রহণ করেননি। আদালতের রায়ে মূল বিন্দু থেকে ১৭৭.৩ ডিগ্রি রেখা টানা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সমতা ও ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে যে সীমানা রেখা নির্ধারণের দাবি করেছিল, তা বাহ্যত এ রায়ের ফলে স্বীকৃতি পেল। আদালত নিজস্ব মতামত, তারা সমতার ভিত্তিতেই এ রায় দিয়েছেন। ভারতের দাবি ছিল সমদূরত্বের নীতিতে সীমানা নির্ধারণ করার। আন্তর্জাতিক আইনে দুটিই স্বীকৃত। তবে সীমানা নির্ধারণের এ রায়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ তালপট্টির ওপর তার অধিকার হারিয়েছে। অনেকের স্মরণ থাকার কথা, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর বাংলাদেশ সীমান্তে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি জেগে ওঠে। দ্বীপটি ছিল খুলনা-বাগেরহাটের দক্ষিণে। আমাদের রায়মঙ্গল নদী এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনার অদূরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় এ দ্বীপটি জেগে উঠেছিল। নদীর মোহনা থেকে ২ কিলোমিটার দূরে এর অস্তিত্ব ছিল। ১৯৭৪ সালে মার্কিন স্যাটেলাইটে আড়াই হাজার বর্গমিটারের এ দ্বীপটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে। পরে দ্বীপটির আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার বর্গমিটার। তবে দ্বীপটির মালিকানা দাবি করেছিল ভারত। বাংলাদেশী এলাকায় এর নাম দক্ষিণ তালপট্টি হলেও ভারতীয় এলাকায় এর নাম হল পূর্বাশা। ১৯৭৮ সালের মার্চে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার সেখানে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করে। বাংলাদেশ দ্বীপটির ব্যাপারে যৌথ সমীক্ষার প্রস্তাব করলেও ভারতের কাছে তখন তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। ১৯৮১ সালের ৯ মে ভারতীয় নৌবাহিনী দক্ষিণ তালপট্টিতে অবতরণ করে। বাংলাদেশ তখন দক্ষিণ তালপট্টি থেকে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানালেও ভারত তাতে রাজি হয়নি। তবে সাম্প্রতিককালে দ্বীপটির অস্তিত্ব আর ধরা পড়েনি। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার একবার প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, এ দ্বীপটির কোনো অস্তিত্ব নেই। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরাও এটা স্বীকার করেছেন যে, দ্বীপটির এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এটা তো বাস্তবতা, ভূপৃষ্ঠে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় মরু অঞ্চলের বরফ গলছে। ফলে সাগর-মহাসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে দক্ষিণ তালপট্টি তার অস্তিত্ব হারিয়েছে কি-না, তা একমাত্র গবেষণার মাধ্যমেই নির্ধারণ করা সম্ভব। এখানে আরও একটা প্রশ্ন- বাংলাদেশ সালিশি আদালতে দক্ষিণ তালপট্টির দাবি করে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছিল কি-না? সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন, ২০১০ সালে সরকার বাংলাদেশের যে মানচিত্র তৈরি করেছিল, তাতে ওই দ্বীপটির অর্থাৎ দক্ষিণ তালপট্টির কোনো অস্তিত্ব নেই। কোর্টও তার রায়ে বলেছেন, দক্ষিণ তালপট্টির কোনো অস্তিত্ব নেই। তারা নাকি নিজেরা দেখে গেছেন। এখন এ রায়ের ফলে এই এলাকা আমরা পুরোপুরিভাবে হারালাম। এ এলাকা এখন ভারতের। এক সময় আমরা গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ব্লক ২১-এর অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম এ এলাকাটিকে। এ এলাকায় বিশাল জ্বালানি সম্পদের রিজার্ভ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এ সম্পদ এখন স্থায়ীভাবে ভারতের হয়ে গেল। তবে কোর্টের রায়ে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই খুশি। এ রায়ে উভয় রাষ্ট্রের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন। তিনি বলেছেন, এ বিজয় বন্ধুত্বের বিজয়। বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সাধারণ মানুষের বিজয়। বঙ্গোপসাগরের আয়তন প্রায় ৩ লাখ বর্গকিলোমিটার। রায়ের ফলে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের মধ্যে অবস্থিত সব ধরনের খনিজ ও অখনিজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হল। এতদিন দক্ষিণ তালপট্টিতে কোনো দেশ তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চালায়নি। এখন ভারত চালাবে। আমাদের করার কিছু নেই। এখানে বলা ভালো, ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মিয়ানমার ও ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সমুদ্রসীমা নির্ধারণে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার বিষয়টি অবহিত করেছিলেন। দীর্ঘ শুনানির পর ২০১২ সালের ১৪ মার্চ মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণে আমরা একটা রায় পেয়েছি। এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ হয়েছে। এখন ভারতের সঙ্গেও এ সীমা নির্ধারিত হল। সমুদ্রের সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি বেশ জটিল। সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য বর্তমানে বলবৎ রয়েছে 3rd United Nations Convention on the Law of Sea (UNCLOS III)। এই আইন ১৯৮২ সালে গৃহীত এবং ১৯৯৪ সালের নভেম্বর থেকে কার্যকর। ভারত ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন, আর মিয়ানমার ১৯৯৬ সালের ২১ মে UNCLOS III অনুমোদন করে। আর বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষরের পর তা অনুমোদন করে ২০০১ সালের ২৭ জুলাই। আইন অনুযায়ী অনুমোদনের ১০ বছরের মধ্যে সমুদ্রসীমার দাবির স্বপক্ষে তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপন করতে হয়। UNCLOSS III-এর ধারা ২৮৭, এনেক্স VII, আর্টিকেল ১ অনুযায়ী বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই তার দাবি উপস্থাপন করেছিল। এখানে বলা ভালো, বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে Territorial Waters and Maritime Zones Act 1974 গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এ অ্যাক্টের বেইজ লাইন ৬০ ফুট সমুদ্র গভীরতার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত বংলাদেশের এ দাবির বিরোধিতা করে এই যুক্তিতে যে, সর্ব পশ্চিমের পয়েন্ট তার (ভারতের) ২১ মাইল ভেতরে চলে গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ভারত ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরেই সমুদ্রসীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনায় বসে। আরও বলা ভালো, কোন নীতি অনুসরণ করে এ বিবাদ নিষ্পত্তি করা হবে, তা নিয়ে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে পরস্পরবিরোধী অবস্থান ছিল। মিয়ানমার ও ভারত চেয়েছে সমদূরত্ব নীতি অনুসরণ করে এ বিবাদের নিষ্পত্তি। অন্যদিকে বাংলাদেশ চেয়ে এসেছে সমতা নীতি। সমদূরত্ব পদ্ধতি বা নীতি অনুসরণ করলে বঙ্গোপসাগরের ওপর যথাক্রমে দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দুটি সীমারেখা টানা হতো। ফলে বাংলাদেশ সমুদ্র অঞ্চলের ওপর তার অধিকার হারাত। অন্যদিকে সমতা পদ্ধতি অনুসরণ করলে সোজা দক্ষিণ দিকে এ সীমারেখা টানা হবে। তবে এটাও সত্য, আন্তর্জাতিক আইনে সমদূরত্ব ও সমতা নীতি দুটিই স্বীকৃত এবং দুটিই অনুসরণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে দুই পক্ষ যদি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমঝোতায় উপনীত হতে না পারে, তাহলে আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতে দেশ দুটিকে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আদালতের রায় দেশ দুটি মানতে বাধ্য। এখন বাংলাদেশ ও ভারত কোনো আপত্তি উত্থাপন করতে পারবে না। রায় মানতে হবে। আপিলেরও কোনো সুযোগ নেই। জাতিসংঘের সমুদ্র আইন অনুযায়ী কোনো দেশ বেইজলাইন থেকে সমুদ্রের দিকে ২০০ মাইল পর্যন্ত একান্ত অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে দাবি করতে পারে। সব দেশের ক্ষেত্রে সমান দূরত্বের এ বিধানকে সমদূরত্ব নীতি বলা হয়। তবে যদি দুটি বা ততোধিক দেশের উপকূল রেখা পরস্পর বিপরীতভাবে বা বক্রভাবে বিরাজ করে, তাহলে সমদূরত্বের নীতি কার্যকর হবে না। কারণ তাতে কোনো একটি দেশ তার ব্যাখ্যা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে UNCLOS-এর ৭৪ ধারা অনুযায়ী দেশগুলোকে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে ন্যায়পরায়ণতার নীতির ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে হবে, আর এজন্য একাধিক বিষয় বিবেচনায় আনতে বলা হয়েছে। যেমন দেশের উপকূলের রেখা বিন্যাস, তার বক্রতা, তার দৈর্ঘ্য ইত্যাদি। অথচ বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সমুদ্র উপকূল পরস্পর বক্র আকারে বিরাজ করলেও তারা দীর্ঘদিন তা গণ্য করেনি, বরং সমদূরত্বের নীতির আলোকে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের দাবি করে আসছিল। এখন আদালত এ সমদূরত্বের নীতি গ্রহণ না করে কিছুটা সমতা ও ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে এ রায়টি দিল। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের উপকূল নাজুক এবং নিরন্তর পলি জমার কারণে তীরের গভীরতাও খুব কম। অপরদিকে ভারত ও মিয়ানমারের উপকূল উত্তল বা কনভেক্স, অর্থাৎ তাদের উপকূল সমুদ্রের ভেতরে ঢুকে গেছে। আর আমাদের উপকূল হল অবতল বা কনকেভ। সমুদ্র এখানে উপকূলের ভেতরের দিকে ঢুকে গেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে উপকূল আঁকাবাঁকা হয়, পলি বেশি জমা পড়ে। বাংলাদেশের এ অবস্থান এখন আদালত মেনে নিল। আমার ধারণা, আদালত অতীতের কয়েকটি রায়ের আলোকেই এ রায়টি দিলেন। সমুদ্র এলাকায় বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের যে অবস্থান তার সঙ্গে ইউরোপের তিনটি দেশ জার্মানি, ডেনমার্ক আর নেদারল্যান্ডসের অবস্থানের একটি অদ্ভুত মিল রয়েছে। বাংলাদেশের মতো মাঝখানে অবস্থান জার্মানির। একদিকে ডেনমার্ক অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস। সবাই তেল সমৃদ্ধ সাগর নর্থ সিতে তেল অনুসন্ধানে আগ্রহী ছিল। সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হলে তিনটি দেশই ১৯৬৭ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে যায়। ওই মামলায় একদিকে ছিল জার্মানি (আজকে যেমন বাংলাদেশ), অপর পক্ষে ছিল ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস (এ ক্ষেত্রে ভারত ও মিয়ানমার)। ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসের দাবি ছিল সমদূরত্বের নীতি অনুসরণ করার। ১৯৬৯ সালে আদালত রায় দিয়েছিলেন সমদূরত্বের নীতিতে নয়, বরং ন্যায়পরায়ণতার নীতির ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে হবে। ২০১২ সালে হামবুর্গে ইটলসের রায়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়েছিল। এখন দ্য হেগে সালিশি আদালতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হল। এতে করে কোনো একটি পক্ষ বিজয়ী হয়েছে এটা বলা যাবে না। একটা ভালো জিনিস হয়েছে- তা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে একটা বিবাদ জিইয়ে ছিল। দীর্ঘ আলোচনায় কোনো ফল মেলেনি। বাংলাদেশ আলোচনায় সময়ক্ষেপণ না করে সালিশি আদালতে গিয়ে এবং নিজেদের খরচায় (ট্রাইব্যুনাল ও সদস্যদের খরচ দুপক্ষ সমানভাবে ভাগ করবে। আইনজীবীর খরচ তো আছেই) একটি রায় পেল, এটি একটি ভালো দিক। এখন এ রায়কে অনুসরণ করে সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের ওপরই নির্ভর করছে এর সফলতা। এটা নিয়ে যদি রাজনীতি হয়, তাহলে তা হবে একটি দুঃখজনক ঘটনা। সাধারণ মানুষের কল্যাণেই এ রায়কে এখন ব্যবহার করতে হবে। Daily JUGANTOR ১০ জুলাই, ২০১৪

0 comments:

Post a Comment