রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মহাজোট সরকারের পররাষ্ট্রনীতি : একটি মূল্যায়ন

আগামী বছরের জানুয়ারিতে মহাজোট সরকার তার তিন বছর পার করবে। এই তিন বছরে একাধিকবার সরকারের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা উঠেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আলোচিত হয়েছে বেশি করে। এক্ষেত্রে আমাদের স্বার্থ সব সময় রক্ষিত হয়নি। এসব অভিযোগও উঠেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সর্বশেষ ঘটনায় ভারতের সাথে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর দু’জন উপদেষ্টাকে যখন নয়াদিল্লি যেতে হয়, তখন এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের কাজটি ঠিকমতো করতে পারছে না। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা ও এর জন্য কাজ করা হলো একটি দেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য। কিন্তু গত তিন বছরে জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হয়, এমন খুব কম ক্ষেত্রেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সফলতা দেখাতে পেরেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি, যিনি গত তিন বছরে সবচেয়ে বেশিদিন বিদেশে কাটিয়েছেন। সংখ্যার দিক থেকে যা ইতিমধ্যে একশ’ দিবস অতিক্রম করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার শিশুসুলভ বালখিল্যতায় অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ছবি তুলে ও অটোগ্রাফ সংগ্রহ করে তার ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা সমৃদ্ধি করতে পারলেও (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৪ নভেম্বর ’১১) গত তিন বছরে বাংলাদেশের অর্জন খুব বেশি নয়।
মহাজোট সরকারের সময় অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় ভারতের সাথে সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি উন্নত হয়েছে। ট্রানজিট (ট্রান্সশিপমেন্ট অথবা করিডোর) নিয়ে বাংলাদেশে বড় বিতর্ক থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে তা কার্যকরীও হয়েছে, যদিও ট্রানজিট ফি এখনও নির্ধারিত হয়নি। বলা হচ্ছে ট্রানজিটের বিষয়টি বহুপাক্ষিকতার আলোকে দেখা হবে। কিন্তু দেখা গেল ভারত একপক্ষীয়ভাবে তা ব্যবহার করছে, ভুটান বা নেপাল এখনও ট্রানজিট পায়নি। ভারতের এই দুটো দেশকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার কথা। কিন্তু ইতিমধ্যে এই সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে- এ তথ্য আমাদের জানা নেই। এমনকি ভারতের ‘সাত বোন’ রাজ্যগুলো কর্তৃক চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাও বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি যেভাবে বাড়ছে তাতে করে আগামী দিনগুলো বাংলাদেশী পণ্য খালাস করতেই হিমশিম খাবে। এক্ষেত্রে ‘সাত বোন’ রাজ্যের পণ্য বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। ভারত অবকাঠামো খাতে যে ঋণ দিয়েছে, তাও বাংলাদেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অন্যান্য দাতাগোষ্ঠীর ঋণের মতোই এই ঋণ দিয়ে ভারতীয় পণ্য ও সেবা কিনতে আমরা বাধ্য। মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় যে উন্নয়ন ও সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তার গুরুত্ব অনেক বেশি। ওই চুক্তিতে যে ‘ভাষা’ ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে করে ভারতীয় স্বার্থই রক্ষিত হয়েছে বেশি করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি। গত দু’বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে পাল্লাটা ভারতের দিকে ঝুঁকে গেছে, বাংলাদেশের প্রাপ্তিটা তুলণামূলকভাবে কম। বাংলাদেশ তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে পারেনি। এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা হলেও (৪৮:৫২ ভাগ), চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করা হবে না এবং সেখানে কোন অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে বাংলাদেশকে তা জানানো হবে- এ ধরনের প্রতিশ্র“তি ভারত দিলেও, কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল ভারতে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি গত ২২ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ এ ব্যাপারে তার কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। টিপাইমুখ বাঁধ ও ফুলেরতল ব্যারাজ কার্যকর হলে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল পানিশূন্য হয়ে পড়বে ও এ অঞ্চলে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ভারতের অনুকূলে। ঘাটতি বাড়ছে। ভারত অতি সম্প্রতি ৪৬টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের কথা বললেও তা দিয়ে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কমানো যাবে না। স্পর্শকাতর তালিকা বাদ কিংবা সাফটা চুক্তি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আমাদের যে সুবিধা পাওয়ার কথা, তাও আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। ছিটমহল বিনিময় নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে, তাতেও অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর পরই বেড়ুবাড়ি আমরা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনবিঘা আমরা পাইনি। সমুদ্র সীমানা নিয়ে ভারতের সাথে বিবাদ (ভারত বাংলাদেশের সীমানার ৮নং ব্লকে ৩১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা দাবি করেছে। ৪নং ব্লকেরও দাবি ভারতের) দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সমাধান হয়নি। এখন আমরা গেছি আরবিট্রেশনে। ফলশ্র“তি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হলেও, দেখা গেছে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অর্জন কম, কিন্তু ভারতের প্রাপ্তি অনেক বেশি। পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারতের প্রতি এক ধরনের ঝুঁকে পড়ার প্রবণতাও আমরা লক্ষ্য করি।
তবে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের আগে চীন সফর করে এই দুই নিকট প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে পররাষ্ট্রনীতিতে এক ধরনের ব্যালেন্স বা ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। চীন সফরের সময় তিনি কুনমিং-কক্সবাজার সড়ক ও বাংলাদেশে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। চীন এ ব্যাপারে আগ্রহও দেখিয়েছে। কুনমিং-কক্সবাজার মহাসড়ক নির্মিত হলে, তা এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এর ফলে আগামীতে আমরা সড়ক পথেই যে শুধু চীন যেতে পারবো তা নয়, বরং চীন তার ইউনান প্রদেশের পণ্য রফতানিতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরও ব্যবহার করতে পারবে। চীন বড় অর্থনীতির দেশ। আমাদের জন্য চীনের সাথে সম্পর্ক রাখাটা জরুরি। এখন দেখতে হবে ভারত-বাংলাদেশ পরিবর্তিত সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক কোন পর্যায়ে উন্নীত হয়। ইতিমধ্যে চীনকে সার্কের সদস্যপদ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রস্তাবটি সমর্থন করতে পারে। সেক্ষেত্রে সার্কের নাম পরিবর্তন করতে হবে। চীন বর্তমানে সার্কের পর্যবেক্ষক। সম্প্রতি মালদ্বীপের আদ্দু সিটিতে ১৭তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ভুটান, ভারত, নেপাল ও চীনকে নিয়ে ‘গঙ্গা নদী অববাহিকা সংস্থা’ ও ‘ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকা সংস্থা’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনার জন্য এ ধরনের সংস্থার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এখানেও মূল সমস্যা ভারতের আচরণ নিয়ে। কেননা এ অঞ্চলে বিপুল জ্বালানি সম্পদের (জলবিদ্যুৎ) সম্ভাবনা থাকলেও, ভারত দ্বিপাক্ষিক আলোকে এর সমাধান করছে। আর বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতায় বিশ্বাস করে। ফলে বাংলাদেশ যে বহুপাক্ষিকতার প্রস্তাব করেছে, তা কাগজে-কলমে থেকে যেতে পারে। ২৬ বছরে পা দিয়েও সার্কের কর্মকাণ্ড তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। এক সময় চীন এ অঞ্চলের দেশগুলোর সমন্বয়ে ২০০১ সালে ‘কুনমিং উদ্যোগ’-এর কথা বলেছিল। কিন্তু ভারত তাতে সায় দেয়নি। ভারত চাচ্ছে ‘মেকং-গঙ্গা সহযোগিতা’, যা ‘কুনমিং উদ্যোগ’-এর বিকল্প।
বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে বড় ধরনের উত্থান-পতন হচ্ছে। এর ঢেউ এসে বাংলাদেশেও লাগবে। ইউরোপ আমাদের তৈরি পোশাকের একটি বড় বাজার। কিন্তু ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দা আমাদের পোশাক শিল্পে আঘাত হেনেছে। রফতানিতে ধস নেমেছে। এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের নতুন নতুন বাজার সন্ধান করতে হবে এবং সেই আলোকে পররাষ্ট্রনীতি নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। আসিয়ান একটি বড় বাজার। ভারত চেষ্টা করছে আসিয়ানের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে। বাংলাদেশের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে তারা এখন আসিয়ানের ‘ডায়ালগ পার্টনার’ (বাংলাদেশ আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের সদস্য)। বাংলাদেশকে এখন আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে উদ্যোগী হতে হবে। সেই সাথে সার্ক ও আসিয়ানের মাঝে সম্পর্ক কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে প্রচেষ্টাও চালাতে হবে। জনশক্তি রফতানির বাজার আমরা খুঁজছি। গত তিন বছরে উল্লেখযোগ্য কোন নতুন বাজার আমরা খুঁজে পাইনি। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে এই বিষয়টির ওপর এখন গুরুত্ব দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঝুঁকির মুখে যে ক’টি দেশ রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম’ (সিডিএফ)-এর তৃতীয় সম্মেলন। সম্মেলন শেষে ১৪ নভেম্বর ১৪ দফা ঢাকা ঘোষণা গৃহীত হয়। ওই ১৪ দফায় বিদেশ থেকে অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে অর্থপ্রাপ্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা, বিশেষ করে ‘আইলা’ ও ‘সিডর’ পরবর্তী মানুষগুলোর দুরবস্থা বিশদ আকারে তুলে ধরা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কতটুকু সফল, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। পররাষ্ট্রনীতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থটাই হলো প্রধান। এই জাতীয় স্বার্থ সব সময় রক্ষিত হয়েছে, তা বলা যাবে না। মহাজোট সরকারের সময় গত তিন বছরে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা কতটুকু রক্ষিত হয়েছে, তা নিয়ে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ, জ্বালানি, বিদেশে কর্মসংস্থান ইত্যাদি ‘অপ্রচলিত ধারণা’ এখন বৈদেশিক নীতিতে প্রভাব ফেলছে। এর সাথে যোগ হয়েছে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। তাই ২০২১ সালকে সামনে রেখে (যখন বাংলাদেশের বয়স গিয়ে দাঁড়াবে ৫০ বছর) বাংলাদেশকে তার সনাতন পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। আর শুরুটা করতে হবে এখন থেকেই। কিন্তু গত তিন বছর পররাষ্ট্রনীতি যেভাবে পরিচালিত হয়েছে, তাতে করে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হয়েছে, তা এক বড় প্রশ্ন এখন। জাতীয় স্বার্থের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী নীতি গ্রহণ করা জরুরি। পৃথিবী খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা, ইউরোপে ‘ইউরোর’ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় পররাষ্ট্রনীতি ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দক্ষ লোকের অভাব রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় আমরা বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। এ কারণে ‘বিশেষজ্ঞদের’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে সম্পর্কিত করা যায়। এবং তাদের দ্বারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিচালনা সম্ভব। মোটকথা পররাষ্ট্রনীতিতে সফলতা পেতে হলে, একদিকে যেমনি প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি, অন্যদিকে প্রয়োজন সঠিক নীতিটি প্রণয়ন। ভারতের ওপর অতি নির্ভরতা কমাতে হবে। সেই সাথে নিকট প্রতিবেশী চীনের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধিও জরুরি। এ দিকটির দিকে লক্ষ্য রেখে আগামী দু’বছর সরকার যদি পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করে, তাহলে দেশটির জন্য তা মঙ্গলই বয়ে আনবে।

দৈনিক ইনকিলাব। ২২ ডিসেম্বর ২০

ড. তারেক শামসুর রেহমান
অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

0 comments:

Post a Comment