রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব ও ভারত মহাসাগরে উত্তেজনা



চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব এখন নতুন দিকে টার্ন নিয়েছে। এমনিতেই চীন-মার্কিন বাণিজ্যিক যুদ্ধ যখন বড় সংকট তৈরি করেছিল, তখন জুলাই মাসে একাধিক ঘটনা ঘটেছে, যা চীন-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। ইতিমধ্যে এসব মন্তব্যও করা হয়েছে যে, এই চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা করতে পারে। এই জুলাই মাসে একাধিক ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র হিউস্টনে অবস্থিত চীনের কনস্যুলেট অফিস বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় চীন ও চেংডুতে মার্কিন কনস্যুলেট অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ওই কনস্যুলেট অফিসটি গোয়েন্দাকাজে ব্যবহৃত হয়। ওই অফিসটিকে ‘massive spy center’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। অথচ ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের ২২ জুলাইয়ের সংখ্যায় বলা হয়েছে, কনস্যুলেট অফিসটি শুধু ভিসা দেওয়ার কাজেই ব্যবহৃত হয়। এ ঘটনাটি ঘটল যুক্তরাষ্ট্রে দুজন চীনা ছাত্রকে গ্রেপ্তারের পর, যাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা কার্যক্রম, বিশেষ করে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত গবেষণার তথ্য গোপনে সংগ্রহ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এদিকে পেইচিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ আনা হয়েছে যে, ওয়াশিংটন ডিসিতে চীনা দূতাবাসে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং দূতাবাসকর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে হত্যার সম্মুখীন হয়েছেন।


হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট অফিস বন্ধের নির্দেশের পরপরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওর একটি বক্তব্য বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। পম্পেও চীনা জনগণকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নিক্সন লাইব্রেরি ও মিউজিয়ামে একটি বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এ কথাও বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে চীনা জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো এবং যুক্তরাষ্ট্র এ কাজটিই করবে (ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ২৩ জুলাই)। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে সিনেটর জিম রিস ((Jim Risch) ও সিনেটর করি গার্ডনার (Cory Gardner)) একটি বিল উপস্থাপন করেছেন, সেখানে চীনা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মেধাযুদ্ধ চুরি করার অভিযোগে আনা হয়েছে এবং ওই কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ধারণা করছি, এই বিলটি সিনেটে পাস হবে এবং এতে করে আগামীতে দুদেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হবে।


এর আগে মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প  Taipei Act-এ স্বাক্ষর করেছিলেন। এই আইন বলে তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। চীন এই সিদ্ধান্তকে কোনো ভালো চোখে নেবে না। তাইওয়ানকে চীন বৃহত্তর চীনের অংশ বলেই মনে করে। ‘হংকং মডেলে’ চীন তাইওয়ানকে বৃহত্তর চীনের অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। তবে বিষয়টি অত সহজ নয়। অনেক দেশের সঙ্গেই তাইওয়ানের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার না করলেও, ওয়াশিংটন ডিসিতে তাইওয়ানের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে। তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাইওয়ানের নিরাপত্তার অন্যতম গ্যারান্টার যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানে অত্যাধুনিক অস্ত্র, বিশেষ করে সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান সরবরাহ নিয়ে অতীতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি হয়েছিল। এখন নতুন করে ট্রাম্পের Taipei Act  দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাবে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন চলতি সপ্তাহে পম্পেও যুক্তরাজ্য সফরে এসেছিলেন। এখানে তিনি চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে ফাইভ-জি ( (Huawei 5-G) নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী চীনের বিরুদ্ধে একটি ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবে’ (সুমবার্র্গ)। মেসেজটি স্পষ্ট যুক্তরাষ্ট্র এখন চীনকে টার্গেট করছে এবং চীনবিরোধী একটি অ্যালায়েন্স গড়ে তুলতে চাইছে। অতীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি উদ্যোগ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর এভাবেই জন্ম হয়েছিল স্নায়ুযুদ্ধের। এখন সেই স্নায়ুযুদ্ধের ধারণায় আবার ফিরছে যুক্তরাষ্ট্র। পম্পেওর কথায় সে ধারণাটি প্রতিফলিত হলো।


যুক্তরাষ্ট্র চীনকে টার্গেট করে একের পর এক যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ও উদ্যোগে নৌ-সামরিক মহড়া। দু-দুটি নৌ-সামরিক মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র অংশ নিয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ অংশ নিয়েছে। এই নৌ-সামরিক মহড়া কার্যত চীনের প্রতি এক ধরনের হুমকি। ২২ জুলাই দক্ষিণ চীন সাগরের পাশর্^বর্তী এলাকা ফিলিপাইনস সাগরে নৌ-মহড়া সম্পন্ন করেছে জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে সঙ্গে নিয়ে। একই সঙ্গে ভারতের নৌবাহিনীর সঙ্গেও নৌ-মহড়া সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অনেকেই স্মরণ করতে পারেন এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র্র তার কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে একটি চার দেশীয় সামরিক জোট গঠন করেছিল। ছটঅউ বা QUAD ev Quadrilateral Security Dialogue গঠিত হয়েছিল ২০০৭ সালে। বলা হচ্ছে, এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই ওই জোট। এই জোটের উদ্যোগে ও ভারতের আগ্রহে এই জোটের পক্ষ থেকে মালাক্কা প্রণালীর অদূরে প্রতি বছরই একটি নৌ-মহড়া অনুষ্ঠিত হয়, যা ‘মালাবার’ নৌ-মহড়া নামে পরিচিত। যদিও গত কয়েক বছর অস্ট্রেলিয়া এই মালাবার নৌ-মহড়ায় অংশ নিচ্ছে না। তবে ২০২০ সালের ‘মালাবার মহড়ায়’ ভারত অস্ট্রেলিয়াকে আমন্ত্রণ জানাবে বলে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চীন এসব নৌ-সামরিক মহড়াকে যে খুব সহজভাবে নেবে, তা মনে করার কোনো কারণ নেই।


হঠাৎ করেই দক্ষিণ এশিয়া তথা ভারত মহাসাগরকেন্দ্রিক রাজনীতি কিছুটা উত্তপ্ত। হিমালয় অঞ্চলে গালওয়ান উপত্যকায় চীন-ভারত উত্তেজনার পর এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ভারত মহাসাগর তথা দক্ষিণ চীন সাগর। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এক ধরনের ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ চলছে। জুলাই মাসে জাপানকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে নৌ-মহড়া সম্পন্ন করেছে, তা স্পষ্টতই চীন সাগরকে টার্গেট করেই করা হয়েছে। এটা চীনের প্রতি পরোক্ষ হুমকি। বলা ভালো, দক্ষিণ চীন সাগরের কর্তৃত্ব নিয়ে চীনের সঙ্গে পাশর্^বর্তী ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, এমনকি দূরবর্তী ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের এক ধরনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট এই এলাকায় রয়েছে বিপুল তেল ও গ্যাসের রিজার্ভ। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব মতে, এ অঞ্চলে তেলের রিজার্ভ নিম্নরূপ : দক্ষিণ চীন ১৫০০ মিলিয়ন ব্যারেল, হাইনান অঞ্চলের দক্ষিণাংশ : ২১০ মি. ব্যারেল, মান্দা শেলফ ১৮০ মি. ব্যারেল। এর বাইরে ফিলিপাইনস নিয়ন্ত্রিত সমুদ্রসীমায় (৪০৯ মি. ব্যা.), ও দক্ষিণ ভিয়েতনামের (২৮৪৭মি.) সমুদ্রসীমায় তেল রয়েছে। একই সঙ্গে ২৬৬ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট গ্যাস রয়েছে এখানে। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ এ কারণেই। আরও একটা কারণ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। দক্ষিণ চীন সাগরবর্তী সমুদ্রপথ প্রশান্ত মহাসাগরকে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। পাঠকদের জানিয়ে রাখি, গুয়ামে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর বড় স্থাপনা। গুয়ামে মোতায়েন বিমানবাহী জাহাজ ও মেরিন সেনারা দক্ষিণ চীন সাগরকে (দূরত্ব ৩২৭৫ কিলোমিটার) টহলের কাজে ব্যবহার করে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ডের আওতাভুক্ত হচ্ছে ভারত মহাসাগর। এর নতুন নামকরণ হচ্ছে ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড। সুতরাং গুয়াম ও হাওয়াই (প্যাসিফিক কমান্ডের সদর দপ্তর) থেকে যুদ্ধজাহাজগুলোকে ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করতে হলে দক্ষিণ চীন সাগরের সমুদ্রপথ ব্যবহার করতে হবে। চীন যদি এই সমুদ্রপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তাহলে ভারত মহাসাগরে মার্কিনি জাহাজ চলাচলে বড় বাধা সৃষ্টি হবে। ভারত মহাসাগরে ইতিমধ্যে চীনের এক ধরনের কর্তৃত্বের সৃষ্টি হয়েছে। চীন এই অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে নৌ-স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করেছে (জিবুতি)। Feydhoofinolhu দ্বীপপুঞ্জে রয়েছে চীনের সাবমেরিন ঘাঁটি। পাকিস্তানের গাওদারে (বেলুচিস্তান) চীনা নৌবাহিনী পোর্ট সুবিধা পায়।


এ অঞ্চলে অবস্থিত মালাক্কা প্রণালী, সুনদা স্ট্রেইট কিংবা লমবক স্ট্রেইট চীনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ পথ দিয়ে চীন তার জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। এ ক্ষেত্রে এই সমুদ্রপথে যদি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যায়, তাহলে তা চীনের অর্থনীতিতে বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে। চীনকে দুর্বল করার জন্য এই স্ট্র্যাটেজিই যথেষ্ট। এ কারণেই দক্ষিন চীনের সমুদ্রপথের গুরুত্ব অনেক বেশি। চীন এটা বোঝে। তাই এই এলাকায় সম্প্রতি নৌ-মহড়া করেছে চীনা নৌবাহিনী। দক্ষিণ চীন সাগর এলাকায় সামরিক স্থাপনা, সাবমেরিন ঘাঁটিও গড়ে তুলেছে চীন। এসব কর্মকা- যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী। যুক্তরাষ্ট্র তাই ভারত মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে একটি জোট গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে। একটি Asian Nato গড়ার কথাও কোনো কোনো মহল থেকে উচ্চারিত হচ্ছে ((Asian review ২২ জুলাই)। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের পর ন্যাটো গঠন করা হয়েছিল উদ্দেশ্য ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব কমানো। পশ্চিমা শক্তিগুলোকে নিয়ে ন্যাটো গঠিত হয়েছিল (১৯৪৯)। আজ নতুন আঙ্গিকে এশিয়ান ন্যাটোর কথা বলা হচ্ছে। টার্গেট এবার চীন। ছটঅউ-কেই যুক্তরাষ্ট্র ‘নয়া এশিয়ান ন্যাটোতে’ রূপান্তর করতে চায়। প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের একটি সামরিক বলয়ে এ অঞ্চলের কটি দেশ যোগ দেবে? ভারতের বর্তমান সরকারের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। ভারত যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এক ধরনের সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। এই চুক্তিবলে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধবিমান ভারতের বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে। ভারতের ইতিহাসে অতীতে কোনো ধরনের কোনো সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়নি ভারত। মোদি সরকার সেই নীতি থেকে এখন ভারতকে বের করে আনছে। গালওয়ান উপত্যকায় এক ধরনের ‘স্ট্যাটাস কো’ বজায় রয়েছে সত্য, কিন্তু বেশ কিছু এলাকা চীনের দখলে চলে গেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ও গালওয়ান উপত্যকা থেকে সেনা সরিয়ে চীন ঐকান্তিকভাবে সহযোগিতা করবে এমনটাই আশা করে ভারত (আনন্দবাজার, ২৪ জুলাই)। কিন্তু চীন ওই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে, তা মনে হয় না। ফলে হিমালয় অঞ্চলে একটা সংকট থেকেই গেল। এখন মালাবার নৌ-মহড়ার আয়োজন করে ভারত চীনকে কতটুকু চাপে রাখতে পারবে, এটা একটা প্রশ্ন।


ফলে ভারত মহাসাগরকে ঘিরে চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং এই দ্বন্দ্বে ভারত যুক্ত হওয়ায় এই সংকট নতুন একটি মাত্রা পেতে যাচ্ছে। উইঘুর ও হংকংয়ের পরিস্থিতির কারণে চীনের ওপর নতুন করে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ওই দুটি ঘটনায় জড়িত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের যুক্তরাষ্ট্র সফর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস নিয়েও দেশ দুটির মধ্যে অসন্তোষ আছে। সব মিলিয়ে নয়া বিশ^ব্যবস্থা বিকাশে যেখানে দুই শক্তি, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সমঝোতা প্রয়োজন, সেখানে জন্ম হয়েছে বৈরিতার। এই বৈরিতা নয়া বিশ^ব্যবস্থার জন্য কোনো ভালো খবর নয়।Desh Rupantor

25 .7.2020

0 comments:

Post a Comment