রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

এ কিসের ইঙ্গিত দিলেন ড্যান মজিনা

ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে মজিনা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পেতে হলে বাংলাদেশকে ‘টিকফা’ বা ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্ট’ চুক্তি করতে হবে। এর আগে তিনি প্রেসক্লাবের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন, যার একটি নেতিবাচক দিক আছে। তিনি ওই অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, এ দেশের পণ্য কিনতে মার্কিন ক্রেতারা ঝুঁকি না-ও নিতে পারেন। এই বক্তব্যটি এল এমন একটি সময়ে যখন পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। সরকার এখন চেষ্টা করছে এডিবি, আইডিবি কিংবা জাইকা থেকে এই ফান্ড জোগাড় করতে। কিন্তু কাজটি খুব সহজ হবে বলে মনে হয় না। বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিলের কারণে অন্য দাতা সংস্থাগুলো আগ্রহী হবে বলেও মনে হয় না। সরকার এরই মধ্যে আবার সিদ্ধান্তও নিয়েছে যে, বিশ্বব্যাংকের কাছে আর ধরনা তারা দেবে না। গত ৯ জুলাই মন্ত্রিসভায় একটি সিদ্ধান্তও হয়েছে যে পদ্মা সেতু সরকার নিজেই করবে। সরকার যদি নিজেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করে, এর প্রতিক্রিয়া, ৩০ প্রজেক্টে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের ভবিষ্যত্ ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু আমি গুরুত্ব দিতে চাই ড্যান মজিনার বক্তব্যটিতে, যেখানে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশি পণ্য বিক্রি বন্ধ হয়ে যেতে পারে (?)। এই বক্তব্যটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বক্তব্য নয়। এটি রাষ্ট্রদূত মজিনার উপলব্ধি। তিনি দু’সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্রে থেকে সম্প্রতি ঢাকায় ফিরে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই দু’সপ্তাহে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর, পেন্টাগন, মার্কিন কংগ্রেস ছাড়াও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এসব কথাবার্তা থেকে তার মনে হয়েছে বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপারে মার্কিন নীতিনির্ধারকরা তথা ব্যবসায়ীরা একটি নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর বাংলাদেশি পণ্য মানেই তো তৈরি পোশাক। সেই তৈরি পোশাক রফতানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তার কী প্রতিক্রিয়া হবে আমরা কি তা আদৌ ভেবে দেখেছি? শুধু বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিলের কারণেই যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতায় কিছুটা দাগ লেগেছে, তা নয়। বরং শ্রমিকনেতা আমিনুল ইসলামের হত্যাকাণ্ড, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর ‘গুম’ হয়ে যাওয়ার ঘটনা, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ-ইত্যাদি নানা কারণে মাঝে মধ্যেই দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর ওপরে রয়েছে ড. ইউনূস ইস্যুটি। যদিও মজিনা বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুর ঘটনায় ইউনূসের হাত নেই।’ এটাই সত্য এবং বাস্তব। কিন্তু ড. ইউনূসের অনেক ‘বন্ধু’ রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে, বিশেষ করে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে তার পরিচয় রয়েছে ব্যক্তিগত পর্যায়ে। এদের অনেকেই গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ড. ইউনূসের অপসারণে খুশি হননি। খোদ হিলারি ক্লিনটনও অখুশি। অতি সম্প্রতি ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে তার উদ্বেগ আবার প্রকাশ করেছেন। এই সংবাদটি যে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছে গেছে এটা স্বাভাবিক। হিলারি ক্লিনটনের ঢাকা সফরের সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তিনি সময় বের করতে পারেননি। কিন্তু ঠিকই ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি একটি মেসেজ দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের নীতিনির্ধারকরা ওই  মেসেজটি বুঝতে পেরেছিলেন বলে মনে হয় না। ঢাকা সফরে মিসেস ক্লিনটন ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান ও গার্মেন্ট শ্রমিকনেতা আমিনুল ইসলামের হত্যাকাণ্ড নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন। এরপর অনেক সময় পার হয়ে গেছে। আজও ইলিয়াস আলী ফিরে আসেননি। তিনি মৃত, কি বেঁচে আছেন, আমরা কেউ তা জানি না। রাষ্ট্রের এতগুলো এজেন্সি তার অন্তর্ধান সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারবে না, এটা আশা করা যায় না। ঠিক তেমনি শ্রমিকনেতা আমিনুল ইসলামকে কারা হত্যা করল, তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানবে না, তা তো হতে পারে না। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই ভূমিকা তাদেরকে আরও বিতর্কিত করেছে।
সাম্প্রতিক সময়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত হলেও তাতে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের পর বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন চিন্তা-চেতনার জন্ম হয়েছিল মার্কিন নীতিনির্ধারকদের কাছে। ক্লিনটনের সফরের সময় একটি ‘অংশীদারি সংলাপ’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার বিস্তারিত আমরা কিছুই জানি না। অভিযোগ আছে, যুক্তরাষ্ট্র ‘চীনকে ঘিরে ফেলার’ যে স্ট্র্যাটেজি রচনা করছে, তাতে এই চুক্তি একটা ভূমিকা পালন করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ‘আকসা’ চুক্তি নিয়েও কথা আছে। ‘আকসা’ চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর বাংলাদেশে উপস্থিতির সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রস্তাবিত এই চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র তাদের সশস্ত্র বাহিনীর জ্বালানি সংগ্রহ, যাত্রাবিরতি, সাময়িক অবস্থানসহ বিভিন্ন সুবিধার জন্য ‘পোর্ট অব কল’ সুবিধা পাবে। এই চুক্তি নিয়েও কথা আছে। প্রস্তাবিত এই চুক্তি বাংলাদেশে মার্কিন ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, যদিও বাংলাদেশ এখনও চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি হয়নি।
আর এখন মজিনা বললেন ‘টিকফা’ চুক্তির কথা। এই চুক্তিটি আসলে কী, কিংবা এতে করে আমরা কতটুকু উপকৃত হব, এ ব্যাপারে বিস্তারিত আমরা অনেকেই জানি না। সংবাদপত্রেও এটা নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়নি। তবে মজিনা বলেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষিত হবে। কীভাবে হবে, তা অবশ্য তিনি বিস্তারিত বলেননি। এমনকি এই চুক্তির সঙ্গে ‘টিফা’ বা টিআইসিএফ চুক্তির কোনো যোগ আছে কি না, তা-ও আমরা নিশ্চিত নই। যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই ‘টিফা’ চুক্তি করতে চেয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশ তাতে রাজি হয়নি। এখন বাংলাদেশের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র টিআইসিএফ চুক্তি করার প্রস্তাব করে। চুক্তিটির পূর্ণ নাম হচ্ছে ‘ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন ফোরাম’। বাংলাদেশ যদি এই চুক্তি স্বাক্ষর করে তাহলে বাংলাদেশ পাইরেটেড কোনো পণ্য বাজারজাত করতে পারবে না। শ্রমিকের মানও হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের। তা ছাড়া ওষুধ প্রস্তুত ও রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২০১৬ সাল পর্যন্ত ডব্লিউটিও’র কাছ থেকে ট্রিপসের আওতায় যে সুবিধা ভোগ করছে, তা-ও বাতিল হতে পারে। আসলে টিআইসিএফের বিকল্প নাম হচ্ছে ‘টিফা’। এর বিস্তারিত কোনো পক্ষ থেকেই উপস্থাপন না করায় তাতে নানা সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো একটি চুক্তির প্রস্তাব করে। তখন এর নাম ছিল ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট’ বা ‘টিফা’। ২০০২ সালে প্রণীত টিফার প্রথম খসড়াটিতে ১৩টি ধারা ও ৯টি প্রস্তাবনা ছিল। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আপত্তি থাকায় ২০০৫ সালে সংশোধিত টিফায় ৭টি ধারা ও ১৯টি প্রস্তাবনা বহাল থাকে। ওই সময় সংশোধিত টিফায় ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে বিনিয়োগ বাতিল করাসহ মামলার মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়টিও শর্ত হিসেবে জুড়ে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র টিফা চুক্তির খসড়ায় ১৫, ১৬ ও ১৭ নম্বর প্রস্তাবনায় মেধাস্বত্ব অধিকার, আন্তর্জাতিক শ্রম মান ও পরিবেশগত সুরক্ষা এই তিনটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। শুধু এই তিনটি ধারাই নয়, বরং টিফা চুক্তির একাধিক ধারা ছিল বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী। যেমন বলা যেতে পারে মেধাস্বত্ব আইন। এটা মানলে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে ধস নামবে। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর প্রায় ৫৫টি দেশে ওষুধ রফতানি করে। বাংলাদেশের ওষুধের মান আন্তর্জাতিক মানের। এখন মেধাস্বত্বের শর্তের কারণে বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশের ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য সংশ্লিষ্ট দেশ বা কোম্পানির অনুমতি ছাড়া তৈরি করতে পারবে না। কিন্তু স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের একটি বিশেষ অধিকার রয়েছে। ওষুধের প্যাটেন্ট ব্যবহার করেই বাংলাদেশ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক ওষুধ তৈরি করছে, যা দিয়ে দেশের লাখো মানুষ উপকৃত হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই সুযোগ ভোগ করবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের শর্তের কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা ভোগ করতে পারবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যে শ্রমমানের কথা বলছে, সেটা নিয়েও কথা আছে। এটা স্বীকার করতেই হবে যে বাংলাদেশের শ্রমিকদের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আইএলও’র মান বজায় রাখা কঠিন। ইউরোপের একজন শ্রমিক যে সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন এবং শ্রমিকদের যে মান, তার সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমিকদের মানের বিচার করা যাবে না। ইউরোপে একজন শ্রমিকের যে অধিকার, সেই অধিকার বাংলাদেশের শ্রমিকদের নেই। এটাই বাস্তব। এই বাস্তবতা মানতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব শ্রমিক মানকে বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের শ্রমমানকে বিচার করা যাবে না। সুতরাং আজ ‘টিকফা’ বলি, আর ‘টিআইসিএফ’ চুক্তি বলি কোনো চুক্তিই বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করবে না। বরং এ ধরনের চুক্তি মার্কিনিদের স্বার্থই রক্ষা করবে মাত্র। এ ধরনের কোনো চুক্তির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারকে কোনোমতেই মেলানো যাবে না। শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার আমাদের অধিকার। আমরা তো একের পর এক যুক্তরাষ্ট্রকে সুযোগ দিয়েই যাচ্ছি। কিন্তু বিনিময়ে আমাদের প্রাপ্তি শূন্য। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশন’ (এমসিসি) থেকেও কোনো সাহায্য পাচ্ছে না। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিভিন্ন দেশকে বড় অঙ্কের মজুরি সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে এমসিসি গঠন করেছিল মার্কিন কংগ্রেস। এর যুক্তি হিসেবে সুস্পষ্টভাবে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া না হলেও ধারণা করা হচ্ছে গণতন্ত্র, সুশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, বিনিয়োগের পরিবেশ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এমসিসি থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ড. ইউনূসের বিষয়টিও যে অন্যতম একটি কারণ, তা জোসেফ ক্রাউলির একটি মন্তব্য থেকে জানা যায়। জোসেফ ক্রাউলি মার্কিন কংগ্রেসের বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ারম্যান।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিদেশে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যথেষ্ট নষ্ট হয়েছে। দুর্নীতির বিষয়টি এখানে প্রাধান্য পাচ্ছে। আর এখন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বললেন ‘টিকফা’ চুক্তি না হলে বাংলাদেশেরই ক্ষতি। নিঃসন্দেহে এই বিষয়গুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্র এখানে নাক গলাতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের কথামতো আমরা যেমন শ্রমমান নির্ধারণ করতে পারি না, ঠিক তেমনি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, সেই
সুযোগ আমরা প্রত্যাখ্যান করতে পারি না। মজিনার ‘হুমকি’তে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আত্মসমর্পণ করবে, এটা জাতি প্রত্যাশা করে না।
Daily SAKALER KHOBOR
31.7.12

0 comments:

Post a Comment