পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের উত্থান নিয়ে সারা বিশ্ব যখন উদ্বিগ্ন, তখন ইরান-সৌদি আরব দ্বন্দ্ব নতুন করে এ অঞ্চলের রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবেই শিয়া ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সুন্নি ধর্মাবলম্বীদের দ্বন্দ্ব-বিভেদ রয়েছে। এ নিয়ে অতীতে এ অঞ্চলে অনেক হিংসাত্মক ঘটনারও জন্ম হয়েছে। কিন্তু বোধকরি এবারের এই দ্বন্দ্বের মাত্রাটা একটু ভিন্ন ধরনের। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বোমাবর্ষণের পরও যখন সিরিয়া ও ইরাক থেকে আইএসের জঙ্গিদের উৎখাত করা যাচ্ছে না, তখন শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব উসকে দিয়ে কোন ‘পক্ষ’ এখান থেকে কী সুবিধা নিতে চায়- এ প্রশ্নও কোনো কোনো মহল থেকে উচ্চারিত হয়েছে। শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে, যা আগামী দিনের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে। ইরান তার জলসীমায় ‘অনুপ্রবেশের অভিযোগে’ ২টি জলযানসহ ১০ মার্কিন মেরিনকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল (যাদের পরবর্তীকালে ছেড়ে দেয়া হয়েছে)। এর আগে একটি মার্কিন জাহাজ লক্ষ্য করে ইরানি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এ ধরনের ঘটনা নয়া ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বাধ্য। ইরানের সঙ্গে ৬ জাতি আলোচনায় যে ‘পারমাণবিক সমঝোতা’ হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি জানুয়ারি মাসে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশ’ বিলিয়ন ডলারের ইরানি ‘সম্পদ’ জব্দ করা হয়েছিল। সেই আদেশও প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা। কিন্তু সেখানে এখন জটিলতা আসতে পারে। উপসাগরীয় অঞ্চলের জ্বালানি তেলের ওপর ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র নির্ভরশীল। সেই জ্বালানি তেলের মূল্য এখন ব্যারেলপ্রতি ৩০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। নিঃসন্দেহে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বের রেশ ধরে সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এদিকে সম্প্রতি সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি ‘সামরিক জোট’ গঠিত হয়েছে (বাংলাদেশ যার সদস্য), যদিও বলা হচ্ছে এ ‘জোটটি’ শুধু সন্ত্রাসবিরোধী একটি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে এবং জোট কার্যত একটি তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবে, যার মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান করা হবে। কিন্তু বাস্তবে এটি শুধু একটি তথ্য বিনিময় কেন্দ্র হিসেবেই থাকবে, নাকি সত্যিকার অর্থে একটি সামরিক জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, এ প্রশ্ন থাকলই। ইতিমধ্যে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাকিস্তান সফর করেছেন এবং অত্যন্ত ক্ষমতাধর পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে তার আলোচনাও হয়েছে। ফলে একটি সামরিক জোট গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। ফলে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট নিয়ে প্রশ্ন থাকলই। এই জোট গঠন ও এ অঞ্চলের রাজনীতিতে সৌদির ভূমিকা একই সূত্রে গাঁথা। ফলে সৌদি শিয়া সম্প্রদায়ের নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নিয়ে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এর ফলে, অর্থাৎ শিয়া-সুন্নিদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ও বিভেদ উপসাগরের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়বে।
এখানে একটা কথা বলা দরকার, পারস্য উপসাগরভুক্ত অঞ্চলে সুন্নিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এ অঞ্চলের জনসংখ্যার ৫৬ ভাগ সুন্নি সম্প্রদায়ভুক্ত, আর ৩৬ ভাগ শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ইরান, ইরাক, লেবানন, ইয়েমেন আর বাহরাইনে শিয়া সম্প্রদায়ের লোক বেশি বাস করে। যেমন- বলা যেতে পারে, ইরানে যেখানে ৮৫ ভাগ লোক শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত, সেখানে সুন্নি মাত্র ১৫ ভাগ। ইরাকে ৬৩ ভাগ শিয়া, ৩২ ভাগ সুন্নি। সিরিয়ায় ১৫ ভাগ শিয়া, আর ৭৩ ভাগ সুন্নি। বাহরাইনে ৭৫ ভাগ শিয়া, ২৫ ভাগ সুন্নি। ইয়েমেনে ৪৪ ভাগ শিয়া, ৫৬ ভাগ সুন্নি। মজার ব্যাপার হল, বাহরাইনে শিয়ারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের কোনো ভূমিকা নেই। সুন্নি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে খলিফা হামাদ ও তার পরিবার সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। সিরিয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ আলাউট সম্প্রদায়ের লোক। আলাউট সম্প্রদায় শিয়াদের একটি উপশাখা। একটি গোত্র। এই গোত্র সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বাসার আল আসাদের বাবা হাফিজ আল আসাদও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সিরিয়া ও ইরাকে একসময় বামমনা বাথ পার্টি গঠিত হয়েছিল। হাফিজ আল আসাদ সেনাবাহিনীর লোক হয়েও বাথ পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০০০ সালে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হলে তার ছেলে বাসার আল আসাদকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল। ইরাকে সাদ্দাম-পরবর্তী জমানায় শিয়ারা ক্ষমতা পরিচালনা করলেও সাদ্দামের (সুন্নি) সময় শিয়ারা ছিলেন উপেক্ষিত। এখন ইরাকে শিয়ারা ক্ষমতায়। এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজন। শিয়া নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল এমন একটি সময় যখন এ অঞ্চলে সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক জোট গঠিত হয়েছে। এ জোট গঠনকে ইরান ভালো চোখে দেখেনি। খুব সঙ্গত কারণেই এই সামরিক জোটটি গঠনের প্রেক্ষাপট আলোচনার দাবি রাখে।
এই সৌদি জোট অনেক প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এল এখন। সৌদি আরব নিজে এ অঞ্চলের রাজনীতিতে অন্যতম ‘অ্যাক্টর’ অর্থাৎ অন্যতম নির্ধারক হিসেবে নিজেকে দেখতে চায়। অতীতের কোনো সৌদি বাদশাহ এভাবে সৌদি পররাষ্ট্রনীতি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে এমন বড় ভূমিকা পালন করেননি। কিন্তু বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের ‘অ্যাপ্রোচ’ একটু ভিন্ন। তিনি সৌদি আরবকে দেখতে চান এ অঞ্চলের রাজনীতির অন্যতম নির্ধারক হিসেবে। তাই তার নেতৃত্বে একটি সামরিক জোটের প্রয়োজন ছিল। সৌদি আরব পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়াতে চায়। এর প্রকাশ হিসেবে আমরা দেখেছি ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি আরবের হস্তক্ষেপ তথা সৌদি বিমানবাহিনীর ইয়েমেনে বোমাবর্ষণের মধ্য দিয়ে। এর আগে লেবাননের গৃহযুদ্ধে সৌদি ট্যাংকবহরকে আমরা লেবাননে প্রবেশ করতে দেখেছি। অতীতে কুয়েতের আমীর যখন ইরাকি সেনাদের দ্বারা উৎখাত হন (১৯৯০), তখন সৌদি আরব আমীরকে আশ্রয় দিয়েছিল বটে, কিন্তু আমীরের সমর্থনে কোনো সেনা বা বিমান পাঠায়নি। ২০১১ সালে তিউনিসিয়ায় ‘জেসমিন বিপ্লব’ জাইন আল-আবেদিন বেন আলিকে ক্ষমতাচ্যুত করলে এবং তিনি সৌদি আরবে আশ্রয় নিলেও সৌদি আরব তিউনিসিয়ায় হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতাসীন হয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনেন। তারই ফলস্বরূপ নতুন এক সৌদি আরবকে আমরা দেখছি। সৌদি আরবের নীতিনির্ধারকদের বরাবরই একটা বড় ভয় ইরানকে নিয়ে। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতিতে ইরানের ভূমিকা বাড়ছে এবং ইরানের এই ভূমিকাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন স্বীকারও করে। ইরানের সঙ্গে ৬ জাতি পারমাণবিক চুক্তি, ইরানের ধর্মীয় নেতা খামেনিকে ওবামার গোপন চিঠি লেখা ইত্যাদি প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে ইরানের ভূমিকাকে স্বীকার করে নিয়েছে।
৬ জাতি সমঝোতা অনুযায়ী ইরানের ওপর থেকে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হলে ইরান আবারও একটি ‘শক্তি’ হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে। অতীতে ইরানি বিপ্লবের আগে (১৯৭৯), রেজা শাহ পাহলভির সময়ে ইরানের ভূমিকাকে ‘পারস্য অঞ্চলের পুলিশের’ ভূমিকার সঙ্গে তুলনা করা হতো। ইরান সেই ভূমিকায় আবার ফিরে যাচ্ছে। সৌদি আরবের ভয়টা এখানেই। ইরানের উত্থান সৌদি আরবসহ এ অঞ্চলের শিয়া সম্প্রদায়কে আরও বেশি উৎসাহিত করবে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে সিরিয়াকে রাখা হয়নি। সবাই জানেন, সৌদি আরব চাচ্ছে সিরিয়ায় আসাদের উৎখাত। কিন্তু সৌদি পছন্দের তালিকায় আইএসও নেই। সম্প্রতি আসাদবিরোধী দলগুলোর একটি সম্মেলন হয়ে গেল রিয়াদে। সেখানে এমন অনেক দল অংশ নিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে সৌদি আরবের ভূমিকা কী হবে এসব দল ও জোটের বিরুদ্ধে? অনেকেই জানেন, সিরিয়া ও ইরাকের একটা অংশ নিয়ে ইসলামিক স্টেটের নেতৃত্বে ‘সুন্নিস্তান’ নামে তথাকথিত একটি জিহাদি রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে, যারা ওয়াহাবি মতাদর্শ ও আদি ইসলামিক রাষ্ট্রের ধ্যান-ধারণায় পরিচালিত হচ্ছে। সৌদি রাষ্ট্রের ভিত্তিই হচ্ছে এই ওয়াহাবি মতাদর্শ। সুতরাং আপাতদৃষ্টিতে আইএসের সঙ্গে সৌদি নীতিনির্ধারকদের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও আদর্শগতভাবে মিল তো আছেই। সে ক্ষেত্রে সৌদি-আইএস সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই।
আরও একটা কথা বলা দরকার। ইরাক ও সিরিয়ার তেলের কূপগুলোর একটা বড় অংশ ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। কালোবাজারে আইএস এই তেল বিক্রি করে। দৈনিক তাদের গড় আয় ২ মিলিয়ন ডলার। আর এ কারণেই আইএস পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী জঙ্গিগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। এই তেল তুরস্কের মধ্য দিয়ে অন্যত্র যায়। ইসরাইল এই তেলের অন্যতম ক্রেতা। এই তেল নিয়েই সেখানে একটি ‘যুদ্ধের’ সম্ভাবনা বাড়ছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় বহুজাতিক তেল কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের আয় কমে যাচ্ছে। একটি ‘যুদ্ধ’ শুরু না হলে তেলের দাম বাড়ানো যাবে না। তাই ধারণা করছি, একটি যুদ্ধ সেখানে আসন্ন।
পাঠকদের উপসাগরীয় অঞ্চলের তেলের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ধারণা দিতে চাই। ইরান ও সৌদি আরবের মাঝখানে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ যা ‘স্ট্রেইট অব হরমুজ’ (হরমুজ প্রণালী) নামে পরিচিত। এই সমুদ্রপথটি তেল সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বে সমুদ্রপথে যে পরিমাণ তেল পরিবহন করা হয় (প্রতিদিন ৫৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল), তার ২০ ভাগ (১৭ মিলিয়ন ব্যারেল) এই পথে পরিবাহিত হয়। ২০০৯ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন ব্যারেল (প্রতিদিন)। এখন তা বেড়েছে ১৭ মিলিয়ন ব্যারেলে (২০১৩)। ২০১৬ সালের পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে, তা প্রায় ২০ মিলিয়ন ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে। প্রায় ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ হরমুজ প্রণালীর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে ইরানি নৌবাহিনী। যে কোনো সংকটে ইরান যদি এই জ্বালানি তেল সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তাহলে তা বিশ্ব অর্থনীতিকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেবে। সৌদি আরবে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রের বাজার। উত্তেজনা বাড়লে এ অঞ্চলে মার্কিন অস্ত্র ব্যবসা বাড়বে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। যারা আন্তর্জাতিক রাজনীতির কিছুটা খোঁজখবর রাখেন তারা জানেন, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আরও বেশ কটি সামরিকঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে।
পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ছে। একদিকে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের উৎখাতে ব্যর্থতা, অন্যদিকে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব এবং ইরানের নতুন করে ‘পারস্য অঞ্চলের পুলিশের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া এ অঞ্চলের রাজনীতির চিত্রকে বদলে দিয়েছে। একুশ শতকে এ অঞ্চল প্রত্যক্ষ করবে এক ‘নয়া স্নায়ুযুদ্ধ’। ‘আরব বসন্ত’ যে প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছিল, তা এখন ‘মৃত’। সিরিয়া সংকটের দ্রুত সমাধান হবে, এটা মনে করারও কোনো কারণ নেই। তাই ২০১৬ সাল এ অঞ্চলের রাজনীতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন রাজনীতিতে একটি কট্টরপন্থী মনোভাব শক্তিশালী হচ্ছে। এই মনোভাব যদি রিপাবলিকানদের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে সাহায্য করে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে চতুর্থ যুদ্ধের (আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া) সম্ভাবনা বাড়বেই।
Daily Jugantor
17.1.16
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment