রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

অথঃ জরিপ সমাচার

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জরিপ চালায়। এসব জরিপে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির একটি চিত্র ফুটে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউটের (আইআরআই) একটি জরিপ সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ওই জরিপে বেশকিছু তথ্য উঠে এসেছে, যা বেশ কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। জরিপে উঠে এসেছে যে, এ দেশের ৬৮ ভাগ মানুষ এখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। বলা ভালো, সংবিধানে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়েছে এবং ক্ষমতাসীন সরকারকে একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ হিসেবে বিবেচনায় নিয়েই এ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচন (৫ জানুয়ারি ২০১৪) যে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। একটি বড় দলের অংশগ্রহণহীন এবং ১৫৩ জন সংসদ সদস্যের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা শুধু ‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে’ প্রশ্নবিদ্ধ করেনি, বরং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য রেখে গেছে একটি অশনিসংকেত। সুতরাং আইআরআই যখন প্রকাশ করে যে, এ দেশের জনগোষ্ঠীর ৬৮ ভাগ চায় পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হোক, তখন নানা প্রশ্ন ওঠে বৈকি! তবে এটা বলতেই হয়, কোনো জরিপই চূড়ান্ত নয় এবং কোনো সরকারই তা মানতে বাধ্য নয়।

তবে এ জরিপটিতে সরকারের প্রশংসামূলক অনেক কিছু আছে। যেমন- জরিপ অনুযায়ী ৬৪ শতাংশ মানুষ মনে করে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তবে ৩২ ভাগ মানুষ মনে করে, দেশ ভুল পথে যাচ্ছে। ৭৯ শতাংশ মানুষ নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট। জরিপের একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে- ৫১ শতাংশ মানুষ মনে করে, উন্নয়নের চেয়ে গণতন্ত্র বেশি জরুরি। আবার ৫১ শতাংশ মানুষই মনে করে, বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে মাত্র ৩৬ শতাংশ মানুষ। মজার ব্যাপার, ৫৯ শতাংশ মানুষ অভিমত দিয়েছে যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। ৪৮ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখতে চায়, আর বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চায় মাত্র ২৪ শতাংশ মানুষ।

এখানে বলা ভালো, আইআরআই এই প্রথম যে এ ধরনের একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে, তা নয়। সচেতন পাঠক একটু স্মরণ করতে পারেন, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বরও আইআরআই এ ধরনের একটি জরিপ প্রকাশ করেছিল। প্রায় একই সময় ব্রিটেনের ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট অপর একটি জরিপ প্রকাশ করেছিল। জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত ১৫ সেপ্টেম্বর ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে ওই সময় ওই জরিপ দুটি প্রকাশ করা হয়েছিল। উভয় জরিপেই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিকাশ, সমস্যা, সম্ভাবনার একটি চিত্র ফুটে উঠেছিল। যে কেউ এ ধরনের জরিপ থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি ধারণা পেতে পারেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিকাশমান গণতন্ত্র, এর চরিত্র এবং সম্ভাবনা নিয়ে বহির্বিশ্বে একটি ধারণার জন্ম হতে পারে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, আন্তর্জাতিক গবেষণামূলক সংস্থা Global Strategic Partners-এর পক্ষ হয়ে আইআরআই বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় এ সার্ভে পরিচালনা করে। সার্ভেতে সেসময় যেসব ফলাফল পাওয়া গিয়েছিল তাতে দেখা যায় : ১. ৬৬ ভাগ মানুষ মনে করে সরকার জনপ্রিয় এবং প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা রয়েছে ৬৭ ভাগ মানুষের কাছে; ২. ৬২ ভাগ মানুষ মনে করে দেশ ঠিকমতো চলছে; ৩. ৭২ ভাগ মানুষ মনে করে অর্থনীতি ইতিবাচক; ৪. দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে, এটা মনে করে ৬৪ ভাগ মানুষ; ৫. ৪৩ ভাগ মানুষ মনে করে সংসদ নির্বাচন দরকার, ৬. ৬৭ ভাগ মানুষ মনে করে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা করা ভালো। সার্ভেতে দেখা যায়, ৬০ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে (অপছন্দ করে ২৯ ভাগ)। অন্যদিকে ৪২ ভাগ মানুষ বিএনপিকে পছন্দ করে (অপছন্দ করে ৪৬ ভাগ)। ৫৯ ভাগ মানুষ মনে করে, গণতন্ত্র দেশটির জন্য ভালো। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ- এটা মনে করে মাত্র ৩৩ ভাগ মানুষ। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এটা মনে করে ৬১ ভাগ মানুষ, আর ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে- এটা মনে করে ৬৩ ভাগ মানুষ। পাঠক লক্ষ্য করুন, সেপ্টেম্বর মাসে যেখানে ৬৭ ভাগ মানুষ চেয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, এখন তা বেড়েছে ৬৮ ভাগে। ৬০ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে পছন্দ করত, আর বর্তমান জরিপে দেখা গেল এ সংখ্যা ৪৮ শতাংশ। ৪২ ভাগ মানুষের পছন্দ ছিল বিএনপি, এ সংখ্যা এখন মাত্র ২৪ শতাংশ।

ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট বিশ্বের ১৬৭টি দেশের গণতন্ত্রের ধরন, বিকাশ নিয়ে রাষ্ট্রগুলোর র‌্যাংকিং করেছিল। তাতে দেখা যায়, যেখানে স্কোর ১০-এর মধ্যে নরওয়ে ৯ দশমিক ৯৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে ছিল, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৫তম (স্কোর ৫ দশমিক ৭৮)। তবে ২০০৬ সালের তুলনায় বাংলাদেশ তার অবস্থান উন্নতি করেছিল। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ দশমিক ১১। মোট ৫টি ক্ষেত্রকে সামনে রেখে এই র‌্যাংকিং করা হয়েছিল। যেমন- নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বহুমুখিতা (বাংলাদেশের স্কোর ৭ দশমিক ৪২), সরকারের পরিচালনা (বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ০৭), রাজনৈতিক অংশগ্রহণ (বাংলাদেশের স্কোর ৫), রাজনৈতিক সংস্কৃতি (বাংলাদেশের স্কোর ৪ দশমিক ৩৮) ও ব্যক্তি স্বাধীনতা (বাংলাদেশের স্কোর ৭ দশমিক ০৬)। ইকোনমিস্টের সার্ভেতে সরাসরি অর্থনৈতিক বিষয়টি স্থান না পেলেও আইআরআইর সার্ভেতে বিষয়টি উঠে এসেছে। গণতন্ত্রের বিকাশের সঙ্গে যে অর্থনীতির বিষয়টি জড়িত তা দেখা গেছে। গবেষকরা এখন এ বিষয়টিকে সামনে রেখে গণতন্ত্রের স্বার্থে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কতটুকু প্রয়োজন, সে ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বহুল আলোচিত একটি বিষয়- আগে উন্নয়ন নাকি আগে গণতন্ত্র? উল্লিখিত দুটি সার্ভেতে এ বিষয়টি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসেছে।

স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের ঢেউ বয়ে যায়। বিশেষ করে রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে কী ধরনের সমাজ-সংস্কৃতি বিকশিত হয়, এ ব্যাপারে আগ্রহ ছিল অনেকের। দীর্ঘ ৭৩ বছর ধরে রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো একদলীয় সমাজতান্ত্রিক সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু ১৯৮৯ সালে সাবেক চেক প্রেসিডেন্ট ভাসলাভ হাভেলের নেতৃত্বে যে ‘ভেলভেট রেভ্যুলেশনের’ জন্ম হয়েছিল, তা বদলে দিল পূর্ব ইউরোপকে, সেই সঙ্গে রাশিয়াকেও। অবসান ঘটেছিল স্নায়ুযুদ্ধের। আমেরিকার তাত্ত্বিকদের কেউ কেউ তখন বলার চেষ্টা করেছিলেন, ‘সমাজতন্ত্র একটি ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে’ এবং লিবারেলিজমেরই জয় হল (ফ্রান্সিস ফুকিয়ামা)। তখন থেকেই পূর্ব ইউরোপ তথা রাশিয়ার বিকাশমান গণতন্ত্র নিয়ে যেমন প্রশ্ন ছিল, ঠিক তেমনি প্রশ্ন ছিল উন্নয়নশীল বিশ্বের গণতন্ত্র নিয়েও। এখানে অধ্যাপক হানটিংটনের বিখ্যাত প্রবন্ধ (যা পরে বই আকারে প্রকাশিত হয়) The Clash of Civilizations- The Next Pattern or Conflict-এর কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন, যেখানে তিনি বলার চেষ্টা করেছেন কোন ‘সভ্যতা’ ভবিষ্যতে ঠিকে থাকবে এবং উন্নয়নশীল বিশ্ব কোন বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দেবে। অধ্যাপক হানটিংটন লিখেছিলেন, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নৈকট্যের কারণে বিভিন্ন জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রগুলো ৮টি ‘সভ্যতার’ ছত্রচ্ছায়ায় একত্র হবে এবং এদের মধ্যকার দ্বন্দ্বই বিশ্ব রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। তিনি অর্থনৈতিক শক্তিজোট ও আঞ্চলিক শক্তিকে একেবারে অস্বীকার করেননি। তিনি মন্তব্য করেছিলেন এভাবে : 'economic regionalism may succeed only when it is rooted in a common civilization', অর্থাৎ অর্থনৈতিক জোটগুলো সাফল্য লাভ করবে যদি সাংস্কৃতিক (তথা ধর্মীয়) বন্ধনটা অটুট থাকে। এখানেই রয়েছে মোদ্দা কথাটি। অর্থনৈতিক সাফল্যটাই আসল, রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রধান নয়। যদি আরও খোলাসা করে বলা যায় তাহলে বলা যেতে পারে, গণতন্ত্র হতে পারে, তবে কম গণতন্ত্র, বেশি উন্নয়নই মঙ্গল। গণতন্ত্রকে কাটছাঁট করে যদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো যায়, তাহলে মানুষ এই সংস্কৃতিকে গ্রহণ করবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিটাই আসল। উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এর বড় প্রমাণ। মালয়েশিয়ার কথাও আমরা উল্লেখ করতে পারি। এসব দেশে সীমিত গণতন্ত্র আছে। এসব সমাজে বিকাশমান প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের সঙ্গে পশ্চিমা সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না, এটা সত্য। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও সত্য, সিঙ্গাপুর বা দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্র নিয়ে সেখানকার মানুষ খুশি।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের বিকাশ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশ্নটি এসে যায়। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ছাড়া তা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সূচকগুলো একেবারে খারাপ নয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগ ধরে রাখা, রিজার্ভ প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত, দরিদ্রতা কমিয়ে আনা (২৪ ভাগ), তৈরি পোশাকে বিপুলসংখ্যক উদ্যোক্তা ও ২৫ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান, শক্তিসূচকে ৯৮তম স্থান, ডিজিটাল স্বাধীনতায় ৬৩তম স্থান (৮৬টি দেশের মধ্যে) ইত্যাদি সূচক আশার কথা বলে। কিন্তু বড় ব্যর্থতা হল প্রধান বিরোধী দলকে সরকার আস্থায় নিতে পারেনি। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে ‘কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তা প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি (২০১৪) একটি নির্বাচন হয়েছে, যেখানে ‘সব দলের অংশগ্রহণ’ ছিল না। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে পড়েছে। রাজনীতি এখন হয়ে পড়েছে অনেকটা একদলীয়। দুর্নীতি বাড়ছে। সরকারি দলের প্রভাব-প্রতিপত্তি সমাজের সর্বক্ষেত্রে এত প্রকট যে, গণতন্ত্র এখানে অনেকটা ‘নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রে’র পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এমনকি বিরোধী দলের টানা তিন মাসের ‘আন্দোলন’ বাংলাদেশে একটি ‘বোমাবাজির রাজনীতি’র জন্ম দিয়েছে। এই রাজনীতি সুস্থ গণতন্ত্র চর্চার জন্য কোনো ভালো খবর নয়।

যারা বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করেন, রাজনীতি নিয়ে সারা জীবন থাকতে চান, তাদের কাছে এসব সার্ভে বা তাদের পর্যবেক্ষণ অনেক চিন্তার খোরাক জোগাবে। আইআরআইর পর্যবেক্ষণ নিয়ে (সারা দেশের মাত্র ২ হাজার ৫৫০ জনের মতামত এতে প্রতিফলিত হয়েছে) প্রশ্ন থাকলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে জরিপে যা উঠে এসেছে, তা বেশ ইন্টারেস্টিং। এ জরিপ এলো এমন একটি সময়ে যখন প্রধান বিচারপতির একটি মন্তব্যকে (অবসরে যাওয়ার পর রায় লেখা যায় না) কেন্দ্র করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা সম্পর্কিত রায়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এ ধরনের জরিপ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না। আইআরআইর সর্বশেষ জরিপ নিয়ে আমারও প্রশ্ন আছে। নির্বাচন কমিশন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কিংবা বিএনপি সম্পর্কে মূল্যায়নে সঠিক তথ্য উঠে এসেছে কি-না সন্দেহ। তবুও এ ধরনের জরিপ আমাদের চিন্তার খোরাক জোগাবে। - See more at: http://www.jugantor.com/window/2016/01/31/7838/%E0%A6%85%E0%A6%A5%E0%A6%83-%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0#sthash.TJXuP0Tf.dpuf

0 comments:

Post a Comment