পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের প্রশ্নটি এখন বহুল আলোচিত একটি বিষয়। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান সরকারের বেশ কিছু আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। পাকিস্তান সরকারের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে বাংলাদেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন মহল থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানানো হয়েছে। পাকিস্তান সরকার ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশের কাউন্সিলর মৌসুমি রহমানকে প্রত্যাহারের অনুরোধ করায় বাংলাদেশ তাঁকে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন দূতাবাসে ট্রান্সফার করে। ধারণা করা হয়, জঙ্গি কানেকশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ফারিনা আরশাদকে প্রত্যাহার করার বাংলাদেশের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই পাকিস্তান এই কাজটি করল। অথচ মৌসুমি রহমানের বিরুদ্ধে কোনো অকূটনৈতিক আচরণের প্রমাণ পাকিস্তান উপস্থাপন করতে পারেনি। অন্যদিকে জেএমবির এক শীর্ষ নেতার স্বীকারোক্তিতে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ফারিনা আরশাদের মাধ্যমে জেএমবিকে অর্থ সহায়তা করত। শুধু তা-ই নয়, এর আগে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা মাজহার খান ভারতীয় জাল টাকাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে পাকিস্তান তাঁকে প্রত্যাহার করে নেয়। পাঠক স্মরণ করতে পারেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ওই ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় তারা যে ‘উদ্বিগ্ন’ এবং ‘বেদনাগ্রস্ত’—এ কথাটাও তারা উল্লেখ করতে ভোলেনি। এর চেয়েও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছিল—যখন তারা বলেছিল, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ বা নৃশংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং এ ধরনের ঘটনার জন্য পাকিস্তানের কোনো দায় ছিল না।’ কী ধৃষ্টতাপূর্ণ কথা! যেখানে সারা বিশ্ব জানে নৃশংসতার কথা, সেখানে পাকিস্তান তাদের সেই ‘কালো ইতিহাস’ বদলে দিতে চায়। পাকিস্তানের এ ধরনের আচরণ জাতিসংঘ সনদের ৭ নম্বর ধারার পরিপন্থী। ওই ধারা অনুযায়ী পাকিস্তানের কোনো অধিকার নেই বাংলাদেশের কোনো অভ্যন্তরীণ ঘটনায় মন্তব্য বা সমালোচনা করার। ফলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বক্তব্যটি বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করে নেয়নি। বিভিন্ন মহল থেকে এর সমালোচনা করা হয়েছে। ঢাকাস্থ পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের পর বাংলাদেশের বিজয় দিবসে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল। বাংলাদেশ তখনো এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাল পাকিস্তান। আসলে ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে ৪১ বছরের ইতিহাস, এই ইতিহাস সব সময় ‘আস্থা ও বিশ্বাসের’ নিরিখে পরিচালিত হয়েছে—এটা বলা যাবে না। এ সম্পর্ক উজ্জ্বল ছিল—এটাও বলা যাবে না। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেসব জটিলতা ছিল তার সমাধান হয়নি এত দিন পরও। ফলে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। একটি মুক্তিযুদ্ধ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ বিজয়ী হয়েছিল এবং বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। ৩০ লাখ শহীদ, দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কখনোই সম্মান জানায়নি। পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তার জন্য ক্ষমাও চায়নি কোনো দিন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হলেও পাকিস্তানের নেতারা তা করেননি। এমনকি পাকিস্তানের অনেক বুদ্ধিজীবী ও সুধীসমাজের প্রতিনিধিরা পাকিস্তান সরকারের প্রতি ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানালেও পাকিস্তানে অতীতে কোনো সরকারই এ কাজটি করেনি। বরং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এসব পুরনো কথা’ এবং এসব ভুলে সামনের দিকে তাকাতে বলা হয়েছে। কিন্তু একাত্তরে গণহত্যার কথা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায় কিভাবে? পাকিস্তানের সরকার কিংবা শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো এই গণহত্যা স্বীকার করে না তাদের দলীয় স্বার্থে। কিন্তু শুভবুদ্ধির কিছু মানুষ আছে, যারা গণহত্যার কথা স্বীকার করে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন গণহত্যার কথা অস্বীকার করছে, ঠিক তখনই ঢাকায় পাকিস্তানের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের চেয়ারপারসন হিনা জিলানি স্বীকার করেছেন—মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশটির নাগরিকদের একটি অংশ। তিনি ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা স্বীকার করেন (যায়যায়দিন ৭ ডিসেম্বর ২০১৫)। ফলে পাকিস্তানের শাসকচক্র ১৯৭১ সালের গণহত্যার কথা স্বীকার না করলেও সুধীসমাজের একটা অংশ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম মনে করে সেনাবাহিনী গণহত্যা চালিয়েছিল। এখানে একটি কথা বলা প্রয়োজন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় যেসব সমস্যা ছিল তার সমাধান হয়নি একটিরও। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাধিবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পাকিস্তান কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় পাকিস্তান এসব প্রশ্ন এড়িয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এমন কথাও আমরা শুনেছি যে বিরাজমান সমস্যাগুলো ‘ডেড ইস্যু’ অর্থাৎ ওগুলো মূল্যহীন!
১৯৭৪ থেকে ২০১৬ সাল সময়টা অনেক লম্বা। এত দীর্ঘ সময়ে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান সমস্যাগুলোর পূর্ণ সমাধান হয়েছে, তা বলা যাবে না। পাকিস্তানের কাছে পাওনা সম্পদ ফেরত, বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন, বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রগতি তেমন হয়নি। পাকিস্তানের কাছে পাওনা সম্পদের বিষয়টি একাধিকবার বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হলেও তেমন অগ্রগতি হয়নি। ১৯৭৪ সালে প্ল্যানিং কমিশন ২৪৪৬ কোটি টাকা পাওনা দাবি করে একটি রিপোর্ট প্রণয়ন করেছিল। ১৯৭১ সালের যুক্ত পাকিস্তানের সম্পত্তি, জনসংখ্যা, সংখ্যাসাম্য নীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও সম্পদের পরিমাণ হিসাব করে ওই পাওনা টাকার দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল। গত ৪০ বছরে এ ব্যাপারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে এই দাবি উত্থাপন করলেও পাকিস্তান এ ব্যাপারে কোনো উত্সাহ দেখায়নি। তবে ‘বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ’ পাকিস্তান বাংলাদেশ বিমানকে একটি পুরনো টাইপের বোয়িং বিমান দিয়েছিল। কিন্তু যুক্ত পাকিস্তানের সম্পদের তুলনায় তা কিছুই নয়। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের সময় পাকিস্তান নীতিগতভাবে এ ব্যাপারে একটি ‘কাউন্সিল’ গঠন করতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারেও পরবর্তী সময়ে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারেও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। এই আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিকরা ‘বিহারি’ হিসেবে পরিচিত। এসব পাকিস্তানি নাগরিক এখনো পাকিস্তানে যেতে চায়। এটা সত্য, কিছু আটকে পড়া পাকিস্তানি ইতিমধ্যে পাকিস্তানে চলে গেছে। প্রায় দুই লাখ পাকিস্তানি এখনো ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে। ১৯৮৫ সালে পাকিস্তানের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক এদের নিতে রাজি থাকলেও পরবর্তী সময়ে বেনজির ভুট্টোর বিরোধিতার কারণে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থেমে যায়। ভুট্টো এদের পাকিস্তানি বলতেও রাজি ছিলেন না। সাম্প্রতিক সময়ে এ ব্যাপারে তেমন কিছু শোনা যায় না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেভাবে অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিল তা-ও হয়নি। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশে পাকিস্তানের রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ২৭.৬ শতাংশ হারে। অথচ বাংলাদেশ থেকে আমদানি বেড়েছে মাত্র ৯.২ শতাংশ হারে। দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণও কমতির দিকে। ২০১০-১১ সময় সীমান্ত বাণিজ্যের পরিমাণ যেখানে ছিল ৯৮৩ মিলিয়ন ডলার, বর্তমানে তা নেমে এসেছে মাত্র ৩৪০ মিলিয়ন ডলারে। আসলে পাকিস্তান আমাদের জন্য আদৌ কোনো মডেল নয়। পাকিস্তানে আমাদের পণ্যের বড় বাজারও নেই। সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে। যেখানে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ, সেখানে পাকিস্তানে এর পরিমাণ মাত্র ৩.৬ শতাংশ। যেখানে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৩০.১ বিলিয়ন ডলার, সেখানে পাকিস্তানে এর পরিমাণ মাত্র ২৪.৫ বিলিয়ন। শিশুমৃত্যুর হার (হাজারে) বাংলাদেশে ৩৭ আর পাকিস্তানে ৫৯। শান্তিসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮তম আর পাকিস্তানের ১৫৪তম। রিজার্ভের পরিমাণ আমাদের ২৭ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানে এর পরিমাণ মাত্র ১৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে ৫৬ শতাংশ মানুষের স্যানিটেশন সুবিধা আছে। পাকিস্তানের আছে মাত্র ৪৮ শতাংশ। বাংলাদেশের শিক্ষিতের হারও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। তাই পাকিস্তান আমাদের জন্য কখনোই কোনো মডেল নয়।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সার্ক, কমনওয়েলথ, ডি-৮ কিংবা ওআইসিসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থায় জড়িত। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় থাকার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় পাকিস্তান যখন ‘হস্তক্ষেপ’ করে তখন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো অবনতি হতে বাধ্য। বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পাকিস্তানিদের নেতিবাচক প্রচারণাকে সহ্য করবে না। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে পাকিস্তানবিরোধী মনোভাব আরো শক্তিশালী হবে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গর্ব করে। পাকিস্তান এখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমাদের আত্মসম্মানবোধে আঘাত করেছে। তাদের এই আচরণ বন্ধুসুলভ নয়। তাই বিভিন্ন মহল থেকে যে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, তা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সময় এখনো আসেনি। তবে বাংলাদেশ ইসলামাবাদে তার দূতাবাসের কর্মকাণ্ড সীমিত করতে পারে। দূতাবাসে কনস্যুলার পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব রাখা যেতে পারে। কূটনীতিকদের সংখ্যা কমিয়ে এনে পাকিস্তানকেও বলা যেতে পারে তাদের কূটনীতিকদের সংখ্যা কমাতে। এ বছরের শেষ দিকে ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার এই সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রে সরকারপ্রধান নন, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি মেসেজ দিতে পারে। পাকিস্তান সরকার মূলত পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর স্বার্থ রক্ষা করছে। আর এ জন্যই তারা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সেনাবাহিনীর অত্যাচারকে অস্বীকার করছে। তবে সুধীসমাজের একটা অংশ এমনটা মনে করে না। তাই সুধীসমাজের ওই অংশের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক রাখতে পারি। মোদ্দাকথা, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন রয়েছে।
daily Kalerkontho
17.1.16
0 comments:
Post a Comment