রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

পৌর নির্বাচন প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পেরেছে

আলোচিত পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গত ৩০ ডিসেম্বর। এই নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু সেই প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হয়েছে? নির্বাচনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমরা লক্ষ করেছি। কিন্তু বেশ কিছু ঘটনা এই নির্বাচনকে ‘কলঙ্কিত’ করেছে। নির্বাচনের আগে সাতজন মেয়রপ্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচিত’ হলেন। ভোটের সময় ধামরাই মাঠের মধ্যে ব্যালট পেপার পাওয়া গেল। নলছিটিতে ভোট গণনার সময় আরেকটি ব্যালট বাক্স হাজির করা হলো। যশোরে ৪টার আগেই ভোট শেষ হয়ে যায়। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সহিংস ঘটনায় মারা গেলেন একজন। আর নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে।’ আর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বললেন, ‘এটাই হচ্ছে সেরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন’। প্রতিটি ঘটনা, প্রতিটি বক্তব্য পৌর নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দুটি বড় দল নিজেদের মধ্যকার বিভেদ, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা এবং একে অপরকে বিশ্বাস না করার যে প্রবণতা, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তা আবারও প্রতিফলিত হলো। ফেনী জেলার অন্তর্ভুক্ত ফেনী, পরশুরাম, দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে ৪৮টি আসনে ৪৪ জন প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন! ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ নির্বাচনের ‘বিজয়ী’ হওয়ার ইতিহাস কোনো ভালো কথা বলে না। এই প্রবণতা বন্ধ না হলে তা জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, ৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২২৯ জনের নামে বর্তমানে ও ৩২১ জনের নামে অতীতে মামলা ছিল। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ২২১ জন মেয়রপ্রার্থীর (২০৬ জন) মধ্যে ৯৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা ছিল। যুক্তি হিসেবে ধরে নিই বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের যেসব মামলা রয়েছে, তা হয়রানিমূলক। কিন্তু আওয়ামী লীগের ৩৩ জনের বিরুদ্ধে (মেয়রপ্রার্থী) যে মামলা রয়েছে, তা নিশ্চয়ই হয়রানিমূলক নয়! আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জেনেশুনে কেন এসব প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলেন? স্থানীয় পর্যায়ে ভালো ও সৎ প্রার্থী না দিলে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় না। সরকারি দলের মেয়র প্রার্থীদের ৩৩ জন যাদের অনেকে বিজয়ী হয়েছেন কোনো না কোনোভাবে মামলায় জড়িয়ে আছেন। দল তাদের প্রার্থী না করে সৎ প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে পারত। এটা হলে ভালো হতো। আওয়ামী লীগ একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারত। সৎ প্রার্থী না হলে স্থানীয় পর্যায়ে সৎ রাজনীতি উপহার দেওয়া যায় না। বড় দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের প্রত্যাশা থাকে বেশি। আওয়ামী লীগ এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। উপরন্তু যে ৭টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে কী ধরনের ‘পরিস্থিতি’ বিরাজ করছিল, তা আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের জানার কথা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার কাহিনি দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য যথেষ্ট নয়। বিজয়ী মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ী প্রার্থীদের প্রবণতা বেশি। ৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে  ৬৫২ জন ব্যবসায়ী অর্থাৎ শতকরা ৭২ দশমিক ১২ ভাগ ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলেই ব্যবসায়ীদের আধিক্য বেশি। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের ১৬৫ জন (শতকরা ৭৪ দশমিক ৬৬ ভাগ), আর বিএনিপর ১৬২ জন (শতকরা ৭৪ দশমিক ৬৪ জন) ব্যবসায়ী [সূত্র : সৃজন, ঢাকা]। এদের মাঝে অনেকেই বিজয়ী হয়েছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা যখন মেয়র হন, তখন তিনি ব্যবসায়িক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে, নিরপেক্ষভাবে কী স্থানীয় প্রশাসন পরিচালনা করতে পারবেন? পৌরসভায় কোটি কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়। একজন ব্যবসায়ীর এ ক্ষেত্রে স্বার্থ থাকে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কী এ ধরনের মেয়র পাওয়া সম্ভব, যিনি ব্যবসায়িক স্বার্থের ঊর্ধ্বে থাকবেন? বাস্তবতা বলে এটা সম্ভব নয়। আর সম্ভব নয় বলেই দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়। ...আরও একটা কারণে এই নির্বাচন গুরুত্ব বহন করে। দলীয়ভাবে নির্বাচন হওয়ায় জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রতীক ‘দাঁড়ি-পাল্লা’ নিয়ে নির্বাচন করতে পারেনি। তবে জামায়াতের প্রার্থীরা মাঠে ছিল। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেয়েছেন মাত্র ১টি আসন। বিএনপির হাইকমান্ড এটি জানে। লিখিতভাবে অথবা প্রকাশ্যে ঘোষণার মাধ্যমে বিএনপি ২টি আসনে দিয়েছিল জোটভুক্ত এলডিপি ও জাতীয় পার্টিকে (জাপার)। এর বাইরে ধারণা করছি প্রায় ২৬টি আসনে বিএনপি জামায়াতকে ছাড় দিয়েছিল। বলাই বাহুল্য জামায়াত প্রার্থীরা নির্বাচনে ভালো করেনি। ইসিতে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। দলটি নিষিদ্ধ ঘোষণার পর্যায়ে রয়েছে। সরকার সম্ভবত আইনি প্রক্রিয়াতেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে জামায়াতের কর্মকা- নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের কয়েকজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এমনি এক পরিস্থিতিতে জামায়াতের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্রার্থীরা স্থানীয়ভাবে পরিচিত। তাদের পরিচয় স্থানীয়ভাবে ভোটাররা জানে। ওইসব আসনে বিএনপি প্রার্থী দেয়নি। ফলে এই নির্বাচন প্রমাণ করেছে জামায়াতের প্রতি জনসমর্থন এতটুকু নেই। এই জনসমর্থন নিয়ে জামায়াত নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করবে (অনেকটা তুরস্কের মডেলে), যদি জামায়াতকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই পৌর নির্বাচন প্রমাণ করল বিএনপি জামায়াতকে যেমনি ছাড়বে না, ঠিক তেমনি জামায়াতও বিএনপিকে ছাড়বে না। এই দুটি রাজনৈতিক শক্তির মাঝে একটা ‘বিভক্তির’ উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কোনো ‘কাজ’ দেয়নি। পৌর নির্বাচন আমাদের বলে দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত সখ্য ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বহাল থাকবে। তবে নিঃসন্দেহে তা জামায়াত নামে নয়, বরং অন্য কোনো নামে। জামায়াতের তরুণ প্রজন্ম এমনটাই চাচ্ছে। তবে তরুণ প্রজন্ম কতটুকু জনপ্রিয়তা পাবে সেটা একটা প্রশ্ন বটে।
নির্বাচনী প্রচারণায় মন্ত্রী-এমপিরা যেতে পারেননি। কিন্তু তত্ত্বগতভাবে বিএনপির নেতাদের যাওয়ার কথা। কিন্তু ক’জন গিয়েছিলেন? কেউ কেউ জেলে। অনেকে আবার অসুস্থ। বিএনপি দুটি কাজ করতে পারত। এক. বেগম জিয়া প্রতিটি বিভাগীয় শহরে জনসভা করতে পারতেন। যদিও ধারণা করছি তিনি পুরোপুরিভাবে সুস্থ নন। এমন অবস্থায় তার পক্ষে ঢাকার বাইরে যাওয়াও কঠিন। তবে এখন তার যাওয়া দরকার। এক কঠিন সময় পার করছে বিএনপি। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার সাজা হয়ে যাওয়া, তারেক রহমানের দেশে আসতে না পারা, বিএনপির বিকল্প নেতৃত্ব না থাকা বিএনপিকে এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। অস্তিত্ব সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে বিএনপিকে এখন বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে দলে ফিরিয়ে নিয়ে তাকে কার্যকরী সভাপতি করা যেতে পারে। দুই. বিএনপির তরুণ নেতৃত্বকে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে পাঠানো দরকার। এই তরুণ নেতৃত্ব এখন ঢাকায়, টক শোকেন্দ্রিক এখন তাদের ব্যস্ততা। রিজভী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাঝে তার কর্মকা- সীমাবদ্ধ রেখেছেন। এতে করে জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দিকনির্দেশনাবিহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। বিএনপিকে নতুন রাজনীতি আর নতুন নেতৃত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপিকে তার গবেষণা সেলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। গবেষণা সেল ছাড়া বিএনপি আগামী দিনের রাজনীতি উপস্থাপন করতে পারবে না।
বিএনপির জন্য সুযোগ এসেছে মূল ধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার। বিএনপির টার্গেট থাকা উচিত ২০১৯ সালের সংসদ নির্বাচন। পৌর নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে তারপরও বিএনপিকে আগামী নির্বাচন নিয়ে ভাবতে হবে। দল গোছাতে হবে। কর্মীদের উজ্জীবিত করতে হবে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি কোনো সুবিধাই ঘরে তুলতে পারেনি। সরকার সর্বক্ষেত্রে তার একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে সংসদে বিএনপির অনুপস্থিতিতে। নির্বাচন বয়কটের পেছনে যুক্তি যতই শক্তিশালী হোক না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে তাদের অনুপস্থিতিতে যে সুযোগটি তৈরি হয়েছে, আওয়ামী লীগ তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছে। ‘খালি মাঠে কোনো দলকেই গোল’ করতে দেওয়া উচিত নয় বিএনপির।
বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, সেই সংস্কৃতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অন্যতম দুটি শক্তি। একটিকে বাদ দিয়ে যেমনি গণতন্ত্রকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে না, ঠিক তেমনি এই দুটি বড় দলের মাধ্যে আস্থার সম্পর্কই অসাংবিধানিক শক্তির ক্ষমতা গ্রহণের সম্ভাবনাকে রোধ করতে পারে। তাই পৌর নির্বাচনটিকে গুরুত্বহীন ভাবলে আমাদের চলবে না। এই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের মধ্য দিয়ে সরকারের অবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে যত প্রশ্নই থাকুক না কেন, সরকার যে মাঠ পর্যায়ে এখন তার ক্ষমতার বলয় সম্প্রসারিত করতে পারল, এতে কারও দ্বিমত থাকা আর উচিত নয়। দল যখন শত অভিযোগের পরও মাঠ পর্যায়ে তার ক্ষমতা সম্প্রসারিত করতে পারে, তখন সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
নির্বাচনটি অনেক দিক থেকে ভালো ছিল। ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। নারীদের অংশগ্রহণ ছিল। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আদৌ হয়নি। ব্যাপক হাঙ্গামার খবরও আমরা পাইনি। দলগতভাবে পৌর নির্বাচনের আয়োজন করে সরকারের সিদ্ধান্ত সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিল না। কিন্তু দেশি পর্যবেক্ষকরা পুরোপুরিভাবে নির্বাচনের ফলাফলকে বাতিল করে দেননি। অন্তত ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পরে তিনটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে সরকার যে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিল, এই পৌর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার সেই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে। এমনকি ‘সব দলের অংশগ্রহণ’-এ যে নির্বাচন, তা বিএনপির অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন হলো। সরকারের সাফল্য এখানেই। সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে পেরেছে। তবে পৌর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেলই। নির্বাচন শতভাগ শুদ্ধ হয়েছে, এটা বলা যাবে না। এ ধরনের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা থাকে না। তাই তাদের কোনো পর্যবেক্ষকও আমরা পাব না। নির্বাচন-পরবর্তী যে বিষয়টি আমাদের জন্য আতঙ্কের তা হচ্ছে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মূল্যায়ন। বিএনপি এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি দেয়নি। ইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। শতাধিক পৌরসভায় হামলা, সংঘাত, গুলি, ব্যালট ছিনতাই, বহিরাগত কর্তৃক জাল ভোট মারা ইত্যাদি রোধে ইসি কোনো কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেনি। ফলে বর্তমান কাঠামোয় ইসির ওপর অনাস্থা আরও বাড়বে। আইনে ইসিকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিলেও তা পালনে ইসির নির্লিপ্ততা একটি বড় প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এল যে, ভবিষ্যতে যেসব নির্বাচন হবে তা পরিচালনায় ইসি তার দক্ষতা দেখাতে পারবে কিনা? সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ইসি অনিয়ম রোধ করতে পারেনি। এবারও পারছে না। সুতরাং জাতীয় সংসদ নির্বাচন যখন মূল প্রশ্ন, তখন বর্তমান কাঠামোয় ইসির ভূমিকা প্রশ্নের মধ্যে থাকবেই। একটি নির্বাচন হলো বটে। তাতে বিএনপি অংশ নিয়েছে। কিন্তু একটি শুদ্ধ নির্বাচন ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হলো না। Daily Amader Somoy 03.01.2016

0 comments:

Post a Comment