জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যা ও শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর মালিক আহমেদুর রশিদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজনকে হত্যা প্রচেষ্টার পর যে প্রশ্নটি এখন অনেকে করার চেষ্টা করেন, তা হচ্ছে এরপর কী? আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার বরাতে নিউইয়র্ক টাইমস আমাদের জানাচ্ছে, বাংলাদেশে পরবর্তী টার্গেট হচ্ছে কবি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, অভিনেতা! এটাও তো এক ধরনের আতঙ্কের খবর। এই সংবাদটিকে আমরা কতটুকু গুরুত্ব দেব? হঠাৎ করেই যেন রাজনীতির দৃশ্যপট বদলে গেল। দুজন বিদেশি নাগরিক হত্যা, সর্বশেষ আশুলিয়ায় কনস্টেবলসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা, শিয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক তাজিয়া মিছিল শুরুর প্রাক্কালে গ্রেনেড হামলা, অতঃপর দীপনকে হত্যাÑ প্রতিটি বিষয়ের একটির সঙ্গে অন্যটির কোথায় যেন যোগসূত্র আছে! এতদিন বাংলাদেশে ব্লগার হত্যাকা-ের সঙ্গে ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর নাম আমরা জেনে এসেছি। পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই নামটির কথাই বলা হচ্ছিল। যদিও ‘সাইট’ পর্যবেক্ষণ সংস্থার ওয়েবসাইটে এবার ‘আনসার আল ইসলাম’ নামে একটি সংগঠনের কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট নয় যে, এ দুটি আলাদা সংগঠন, নাকি একই সংগঠন। একই সঙ্গে আরও একটি বিষয় আমাদের জন্য উদ্বেগের, আর তা হচ্ছে বাংলাদেশে প্রকাশক হত্যাকা-ের সঙ্গে আল কায়দার উপমহাদেশ শাখার জড়িত হওয়ার সংবাদটা। এতদিন আমরা জেনে এসেছি ‘ইসলামিক স্টেট’-এর খবর। এখন জানলাম আল কায়দার উপমহাদেশ শাখার কথা। এই যখন পরিস্থিতি তখন ২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বললেন, ‘বিদেশে বসে গুপ্তহত্যা চালাচ্ছেন খালেদা।’ আর তথ্যমন্ত্রী ৩ নভেম্বর আমাদের জানালেন, ‘লন্ডনে বসে খালেদা জিয়া-তারেক বিদেশি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেনÑ এ তথ্য সরকারের কাছে আছে।’ সংবাদ দুটি আমাদের জন্যও উদ্বেগের। বাংলাদেশের কোনো শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ বিদেশি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন- এটা চিন্তাও করা যায় না! ফলে সামগ্রিকভাবেই জঙ্গিবাদের বিষয়টি এখন সামনে চলে আসছে। সর্বশেষ খবরে আশুলিয়ায় যে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হলো সেই হত্যাকা-ের সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা জড়িত বলে সাইটের ওয়েবসাইটে আবারও উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে বারবার বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপতার সঙ্গে আইএসের জড়িত হওয়ার প্রসঙ্গটি সামনে চলে আসে। যদিও পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা আইএসের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন। আর তাতে চাপা পড়ে যাচ্ছে চলমান রাজনীতির চালচিত্র। চাপা পড়ে যাচ্ছে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিটিও। এই জঙ্গি কানেকশন, গুপ্তহত্যা, আইএস, আল কায়দা ইত্যাদি বিষয় এখন সামনে চলে এসেছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যখন প্রশ্নের মুখে তখন আমাদের দূতাবাস কর্মকর্তাদের এক ধরনের উদাসী ভূমিকা লক্ষণীয়। সরকারপ্রধান যেখানে বলছেন বাংলাদেশে আইএস নেই, সেখানে দূতাবাসগুলো এটা প্রচারে নিষ্ক্রিয়। সাইট তাদের পর্যবেক্ষণে বারবার বলছে এসব জঙ্গি সংগঠন অপতৎপরতার কথা। তাদের কর্মকা-ে আমাদের দেশের ‘সহনশীল ইসলাম’-এর ভাবমূর্তি যতটুকু নষ্ট হয়েছে, তা উদ্ধারে দূতাবাসের কর্মকর্তারা নির্লিপ্ত বলেই মনে হয়। তাই দূতাবাসগুলো পরিচালনায় নয়া নীতি প্রণয়ন করাও জরুরি।
পরপর দুই বিদেশি হত্যাকা-কে আমি যতটা না গুরুত্ব দিই (এমন একটা ঘটনা অতি সম্প্রতি ফিলিপাইনেও ঘটেছে), তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই মুক্তমনা এক প্রকাশককে হত্যা ও অপর একজনকে আহত করার ঘটনাকে। এই ঘটনা প্রমাণ করল ধর্মান্ধ গোষ্ঠী কত তৎপর আমাদের দেশে। আইএস আছে কী নেই, এ নিয়ে আমরা তর্ক করতেই পারি; কিন্তু তাতে করে এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর অপতৎপরতা আমরা বন্ধ করতে পারব না। আজ দরকার শুভবুদ্ধির মানুষের মধ্যে ঐক্য। আমাদের মধ্যে যদি বিভক্তি থাকে, রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে আমরা যদি সব সময় কোণঠাসা অবস্থায় রাখি, তাহলে এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠী এ থেকে সুবিধা নেবে। সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া প্রতিটি হত্যাকা-ের বিচার হোক। দীপনের হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে আমরা যেন তাভেল্লা হত্যাকা-কে ভুলে না যাই। আমাদের স্বার্থেই প্রতিটি হত্যাকা-ের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। বিশেষ করে দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের হৃদয়ছোঁয়া সেই বক্তব্য- ‘আমি বিচার চাই না’ কিংবা একই সুরে অভিজিতের স্ত্রী বন্যা যখন জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে কথা বলেন, তখন নিরপেক্ষ তদন্তের বিষয়টি জরুরি হয়ে পড়ে বৈকি! ইতোমধ্যে গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে যে, ব্লগার হত্যায় বিদেশ থেকে অর্থ দিচ্ছেন ১০ বাংলাদেশি! এই সংবাদটাও আমাদের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের। আমরা বারবার বলে আসছি, জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে অর্থের একটা সম্পর্ক রয়েছে এবং এই অর্থ বিভিন্ন চ্যানেলে বিদেশ থেকে আসছে। এখন গোয়েন্দারা যদি এই নেটওয়ার্কটি চিহ্নিত করতে পারেন- এটা আমাদের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। যে ১০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের স্থানীয় এজেন্টদেরও চিহ্নিত করা হোক। এদের চিহ্নিত করে এই নেটওয়ার্কটি যদি ভেঙে ফেলা যায়, তাহলে জঙ্গি তৎপরতা অনকাংশে কমে যেতে পারে। পাঠকদের এখানে একটু স্মরণ করিয়ে দিতে চাইÑ ২০১৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দুটি এনজিওকে চিহ্নিত করেছিল, যারা বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতায় অর্থায়ন করে। এই দুটি সংগঠন হচ্ছে এষড়নধষ জবষরবভ ঋড়ঁহফধঃরড়হ ও অষ-ঐধৎসধরহ। এ দুটি সংগঠনের সঙ্গে আল কায়দার সম্পর্ক রয়েছেÑ এই অভিযোগ তুলে এদের কর্মকা-ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। ধারণা করছি বাংলাদেশে বর্তমানে এই দুটি সংগঠনের তেমন কোনো তৎপরতা নেই। তবে এরা ভিন্ন নামে আবির্ভূত হতে পারেÑ এটা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম একটি বিতর্কিত সংগঠন। ব্লগারদের হত্যাকা-ের সঙ্গে এই সংগঠনের জড়িত থাকার কথা গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। সংগঠনটি নিষিদ্ধ। তারপরও তাদের অপতৎপরতা বাড়ছে। লালমাটিয়া একটি সম্ভ্রান্ত এলাকা। সমাজের শিক্ষিত শ্রেণির এখানে বসবাস। সেখানে যদি জঙ্গিরা এক প্রকাশককে কুপিয়ে আহত করে, তাহলে আমাদের নিরাপত্তার জায়গাটা আর থাকল কই? ঠিক একই কথা প্রযোজ্য আজিজ সুপার মার্কেটের ক্ষেত্রে। প্রচুর লোকজন এখানে থাকেন সব সময়। উপরন্তু ওই এলাকায় সিসি ক্যামেরা ছিল বলে মিডিয়া আমাদের জানাচ্ছে। তাহলে ওখানে জঙ্গিরা পার পেয়ে যায় কীভাবে? তাহলে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার যা বলেছেন সেটিই কি সত্য? তার অভিযোগÑ ‘সরকারের ভেতরের একটা অংশের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে এই জঙ্গি হামলায়!’ এর পেছনে সত্যতা হয়তো নেই। কিন্তু ইমরান এইচ সরকার যখন এ ধরনের অভিযোগ করেন তখন তা গুরুত্ব পায় বৈকি! তবে এটা স্বীকার করতেই হবে, গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রমে কিছুটা শৈথিল্য এসেছে। তারা মূল কাজ বাদ দিয়ে অন্য কাজে নিজেরা বেশি জড়িয়ে পড়েছেন। আজ নিরাপত্তাহীন সবাই। খোদ আমাদের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমিও বিপদমুক্ত নই!’ এ কথা বলে তিনি কী মেসেজ দিয়েছেন, তা আমি বুঝতে অক্ষম। তবে যে কজন মন্ত্রী জঙ্গিবাদ নিয়ে সব সময় কথা বলেন, তার মধ্যে আমাদের তথ্যমন্ত্রী অন্যতম। জঙ্গিবাদের সঙ্গে তিনি প্রধান বিরোধী দলের ‘সম্পর্ক’ সব সময় খুঁজে পান! তার প্রায় প্রতিটি বক্তব্যে জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা থাকে। তিনি খুব স্পষ্ট ভাষায় জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা বলেন, একই সঙ্গে আমাদের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ, এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা জঙ্গিবাদ নিয়ে এমন সব কথা বলেন, যা শুধু বিভ্রান্তিই বাড়ায়। এখন যে দিকে বেশি দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন, তা হচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সম্পন্ন করা এবং দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা। না হলে এক ধরনের আস্থার সংকট সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশে ‘কাউন্টার ইনটেলিজেন্স ফোর্স’কে আরও শক্তিশালী করা, দক্ষ তরুণ অফিসারদের এখানে নিয়োগ দেওয়া, তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, বৈদেশিক বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিয়ে দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। প্রয়োজনে প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ বাজেট বরাদ্দ দেওয়া। গোয়েন্দা কার্যক্রমে শৈথিল্য রয়েছে- বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ঢাকা শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বেড়েছে। রাতে তল্লাশি বেড়েছে। এটা ভালো লক্ষণ। এটা যেন স্থায়ী হয়। মনিটরিং যেন বাড়ানো হয়। একটা ঘটনা ঘটল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা কিছুদিন থাকল। তারপর তৎপরতা থেমে গেল- এমনটি যেন না হয়। যদি আইএস বা আল কায়দা থেকে থাকে, তা স্পষ্ট করা হোক। জঙ্গি প্রশ্নে রাষ্ট্রের একজন মুখপাত্র কথা বলবেন। সবাই কথা বললে নানারকম বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
হয়তো তারা প্রস্তুত হচ্ছে; পরবর্তী টার্গেট ঠিক করছে! আর নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন যদি সত্য হয়, তাহলে পরবর্তী টার্গেট হবেন মুক্তচিন্তার যে কোনো বুদ্ধিজীবী। জঙ্গি কার্যক্রম পুলিশি তৎপরতার কারণে থেমে থাকবে- এটা আমার মনে হয় না। এই দানবের হাত থেকে আমরা কেউই মুক্ত নই। তাই প্রয়োজন জনসচেতনতার। প্রয়োজন সন্ত্রাস প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য। এ ক্ষেত্রে ‘ব্লেমগেম’-এর রাজনীতি জঙ্গিদের হাতকে আরও শক্তিশালী করবে মাত্র। কোনো বড় দল যদি সত্যি সত্যিই জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে, আমরা চাইব ওই দলগুলো নিষিদ্ধ করা হোক। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্মে কোনো জঙ্গিবাদের সুযোগ নেই। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান কোরআন শরিফের বাংলা অনুবাদ করেছিলেন। সেখানে তিনি সুরা আন আমের ১৫১নং আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়েছেন এভাবে- ‘আল্লাহ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করো না।’ ফলে উগ্রপন্থীরা ইসলামের নামে ‘গলা কেটে’ যাদের হত্যা করছে, এ ধরনের হত্যাকা-কে ইসলাম সমর্থন করে না। যারা এ ধরনের কাজ করছে তারা বিভ্রান্ত। তারা দেশে একটি অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। এই বিষয়গুলো আজ ব্যাপকভাবে প্রচার করা প্রয়োজন। দীপন হত্যার পর এক সপ্তাহ ধরে টিভি চ্যালেনগুলো এটা নিয়ে অনেক টক শো করেছে। শুধু একটি চ্যানেলে (সময় টিভি) আমি দেখলাম ইসলামিক চিন্তাবিদদের এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এ ধরনের অনুষ্ঠান আরও হওয়া উচিত, যাতে করে যারা বিভ্রান্ত তারা মূল ধারায় ফিরে আসতে পারে। জঙ্গি তৎপরতায় অর্থ একটা ফ্যাক্টর। আমার ধারণা জঙ্গিদের কাছে বিভিন্ন সূত্র থেকে বিদেশ থেকে অর্থ আসছে। এটা বন্ধ করার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
আমরা নিশ্চিত হতে চাই যারা শিক্ষকতা করি, সংবাদপত্রের কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী বা কেউ অভিনয় করি; আমরা কেউই জঙ্গিদের পরবর্তী টার্গেটে পরিণত হব না। ইসলাম মানবতার ধর্ম, শান্তির ধর্ম। এ ধর্ম পালনে, বিশ্বাসে আততায়ীর গুলি আমাকে যেন নিবৃত্ত না রাখে। বেঁচে থাকার স্বাভাবিক গ্যারান্টি আমরা সবাই চাই। রাষ্ট্র আমাদের এটুকু নিশ্চয়তা দেবে- এ প্রত্যাশা আমাদের সবার।
Daily Amader Somoy
08.11.15
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment