রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র

গত ২০ অক্টোবর কানাডার সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জাস্টিন ট্রুডো এখন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। জাস্টিনের বাবা পিয়েরে ট্রুডো ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মিয়ানমারের নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে শতকরা ৭৭ ভাগ ভোট পেয়ে অং সান সু চির নেতৃত্বে এনএলডি বিজয়ী হয়েছে। অং সান সু চি আগামী মার্চে হয়তো প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। তবে ধারণা করছি তিনিই হবেন সরকারের ‘মূল ব্যক্তি’। এ ক্ষেত্রে সংবিধানে পরিবর্তন এনে তার সরকার ‘পরিচালনার’ পথ প্রশস্ত হতে পারে! সু চির বাবা অং সান ছিলেন মিয়ানমারের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা। সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত না হলে তিনি হতেন স্বাধীনতাপরবর্তী মিয়ানমারের অন্যতম নেতা। আমাদের পাশের দেশ ভারতের বিহারের বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেল। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সংযুক্ত জনতা দল নেতা নিতিশ কুমার পঞ্চমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী প্রসাদ হয়েছেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। ২৬ বছরের তেজস্বীর আরেক ভাই প্রতাপও সংসদ সদস্য। বিহারের ‘সুপ্রিমো’ লালু প্রসাদ তার ছেলেদের রাজনীতিতে নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে ভারতের সর্বত্র যে পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির ধারা, সেই ধারাই অনুসরণ করলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতেও এই পারিবারিক রাজনীতি বহমান। তারেক রহমান বিদেশে অবস্থান করলেও তিনিই বিএনপির মূল নেতা। আর বঙ্গবন্ধুর নাতি সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে অনেক আগেই নাম লিখিয়েছেন। জয় রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। নির্বাচন পরিচালনা প্রক্রিয়ার সাথে তিনি জড়িত। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচন পরিচালনা কর্মকা-ের সাথে জড়িত ছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে তিনি বিদেশি স্ত্রীসহ দেশে এসেছিলেন। ধারণা করছি, তিনি পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত বিদেশে ও একই সাথে দেশে থাকবেন। স্পষ্টতই বাংলাদেশের রাজনীতি দুটো পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একদিকে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পরিবার। অন্যদিকে রয়েছে জিয়া পরিবার। রাজনীতিতে পারিবারিক ধারা শুধু এই দুই পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের ছেলে কিংবা বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছেলেও বাবার পারিবারিক রাজনীতির ধারা অনুসরণ করে রাজনীতিতে এসেছেন। তবে এটা বলতেই হবে, তাদের বাবারা যে দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশের শীর্ষপদটিতে আসীন হয়েছিলেন, তাদের সন্তানদের সেই রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। একজন জিল্লুর রহমান কিংবা একজন অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ একদিনে তৈরি হননি। তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের। ‘সোনার চামচ’ মুখে দিয়ে তারা মন্ত্রী হননি। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তাদের ক্ষমতার শীর্ষে উঠতে সাহায্য করেছিল। শুধু বাংলাদেশ বলি কেন, দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল বিশ্বে এই পারিবারিক রাজনীতির ধারা সর্বত্র প্রত্যক্ষ করা যায়। আমরা প্রায়ই ভারতে নেহরু পরিবারের দৃষ্টান্ত দেই। কিন্তু ভারতের প্রতিটি রাজ্যে এই পারিবারিক রাজনীতির শক্ত ভিত্তি রয়েছে। কোথায় কোথাও (উড়িষ্যা, তামিলনাড়–) ব্যক্তির নামে দলের পরিচয়। পারিবারিক রাজনীতির এই ধারা যে শুধু কংগ্রেসের মাঝে আছে তা নয়। বরং বিজেপি থেকে শুরু করে প্রতিটি আঞ্চলিক দলের মাঝেই আছে। কমিউনিস্ট পার্টিগুলোর মাঝে এই প্রবণতা ব্যাপকভাবে না থাকলেও আছে। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেছি, আফ্রিকার অনেক দেশে এই প্রবণতা ব্যাপক। কোথাও কোথাও স্ত্রী, সন্তান, ভাই সবাই মিলে মন্ত্রিসভা গঠন করে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করছেন। আফ্রিকার অনেক দেশে আমি দেখেছি, রাজনৈতিক পরিবারের সন্তানরা উচ্চশিক্ষিত। তাদের সন্তানদের অনেকেই ব্রিটেন অথবা ফ্রান্স থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। আমাদের উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। উপমহাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের বীজ যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি রয়েছে পারিবারিক ঐতিহ্য। নেহরু পরিবার ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী পরিবার। নেহরুর বাবা মতিলাল নেহরু এক সময় (১৯২১) কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শ্রীলংকায় গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। স্বাধীনতাপরবর্তী শ্রীলংকার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে বন্দরনায়েকে পরিবার। প্রথমে বাবা, পরে মা, তারপর নিজে কুমারা রানাতুঙ্গা শ্রীলংকার রাজনীতি পরিচালনা করে গেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে ও তার পরিবার এখনো শ্রীলংকার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। শ্রীলংকার রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র একটি ঐতিহ্য। এটা নিয়ে কেউ সেখানে হৈচৈ করে না। নেপালে যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত হচ্ছে, সেখানেও রয়েছে পরিবারতন্ত্র। কৈরালা পরিবার শুধু নেপালের সরকার পরিচালনায়ই সম্পৃক্ত ছিল না, বরং নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্ব রয়েছে কৈরালা পরিবারের হাতে। এমনকি মাওবাদী নেতা প্রচন্ড এ ধারা থেকে নিজেকে বাইরে রাখতে পারেননি। তার মেয়ে এখন দলের তথা রাষ্ট্রের নেতৃত্বের জন্য তৈরি হচ্ছেন। ছোট দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপেও গাইয়ুমের (সাবেক প্রেসিডেন্ট) মেয়ে পরবর্তী নেতৃত্বের জন্য তৈরি হচ্ছেন। সিঙ্গাপুরেও পরিবারতন্ত্র আছে। পাকিস্তানের কথা না হয় নাই-বা বললাম। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলেরা রাজনীতিতে আসছেন না, আসছেন তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ শরিফ। যিনি যুব মুসলিম লীগের সভাপতি। ফিলিপাইনের দিকে তাকান। কোরাজন আকিনোর (সাবেক প্রেসিডেন্ট) ছেলে এখন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। বেনিগনো আকিনো সিনেট সদস্য থেকেই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে এই পরিবারতন্ত্র ভালো না খারাপ? সিঙ্গাপুরে লি কুয়ান ইউর ছেলে লি শিয়েন লং যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন সেখানে প্রশ্ন ওঠে না। কারণ তিনি যোগ্য। সিঙ্গাপুরকে বিশ্বসভায় নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তিনি অতীতেই রেখেছেন। এ প্রশ্ন ওঠেনি ফিলিপাইনে কোরাজন আকিনোর ছেলের বেলায়Ñ একজন সিনেটর হিসেবে তিনি অবদান রেখেছিলেন। প্রশ্নটা সেখানেই। প্রাচীন ভারতে একটি শ্লোক আছেÑ ঠধংঁফঁধ শঁঃঁসনরশধস. সংস্কৃতি থেকে ইংরেজি করলে দাঁড়ায় 'ধষষ ঃযব টহরাবৎংব রং ধ ভধসরষু'. অর্থাৎ বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে গণ্য করা হয়। বর্তমান যুগের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সেই বিবেচনায় নিয়ে বংশানুক্রমিকভাবে তারা শাসন করে। ভারতে রাজনীতিতে এই পারিবারিক ধারা অত্যন্ত শক্তিশালী। নেহরু পরিবারের বাইরে বেশ কিছু পরিবারের জন্ম হয়েছে, যারা রাজনীতিতে প্রভাব খাটাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায় চরণ সিং, দেবগৌড়া, সারদ পাওয়ার, আবদুল্লাহ, মুলায়ম সিং যাদব, করুণানিধি, রেড্ডি, সিন্ধিয়া পরিবার। এসব পরিবারের পেশা হচ্ছে রাজনীতি। বাংলাদেশ এ থেকে পার্থক্য নয়। পারিবারিক এ রাজনীতির ধারা বাংলাদেশে আছে ও থাকবে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে আলোচিত হচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তরুণ প্রজন্ম তার বক্তব্যে, তার আদর্শে আকৃষ্ট হচ্ছে। তিনি একুশ শতক উপযোগী নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিতে চাচ্ছেন। রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এর মাঝে দোষের কিছু নেই। ভারতে এটা নিয়ে কেউ কখনো অভিযোগ করেনি। তবে ভারতে পরবর্তী প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষিত। অনেকেই যুক্তরাষ্ট্র তথা যুক্তরাজ্য থেকে উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রি নিয়েছেন। এবং অন্য কোনো পেশায় না গিয়ে রাজনীতিটাকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে পারিবারিক পরিচিতি তাদের নিজ নিজ অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। উত্তরপ্রদেশে ‘সুপ্রিমো’ মুলায়ম সিং যাদবের ছেলে অখিলেশ সিং যাদব এখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অখিলেশ বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষিত একজন তরুণ রাজনীতিবিদ। এই তরুণ রাজনীতিবিদরা ভারতকে বদলে দেবেন। চিনের একটি দৃষ্টান্ত দেই। চিনকে এখন আর ধ্রুপদী সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যাবে না। সেখানে সমাজতান্ত্রিক নীতিরীতি এখনো বহাল আছে। কমিউনিস্ট পার্টির একক কর্তৃত্ব এখনো আছে। তবে সুষ্ঠুভাবে দেখলে দেখা যাবে, সেখানে পরিবর্তন আসছে। পরিবারতন্ত্রের খবর আগে তেমন একটা ছিল না। কিন্তু এখন পরিবারতন্ত্রের খবর আমরা জানছি। বর্তমান কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধান শি জিন পিংয়ের বাবা এক সময় কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষনেতা ছিলেন। বাবার পথ ধরেই শি জিন পিংয়ের রাজনীতিতে আগমন। একই সাথে চিনে এখন ‘মেরিয়েট্রোক্রেসির’ বিকাশ ঘটেছে। যাদের মেধা আছে, আধুনিক মনস্ক তারা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য না হয়েও এখন সরকারের শীর্ষপদে অধিষ্ঠিত হচ্ছেন। পার্টির নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গিয়ে তরুণদের রিক্রুট করছেন, যা দশ বছর আগেও চিন্তা করা যেত না। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন শিক্ষকতার পেশায় থাকলেও এটাকে পেশা হিসেবে নেননি। রাজনীতিকে পেশা হিসেবেই নিয়েছিলেন। অং সন সু চি নিজে উচ্চশিক্ষিত। বিদেশে পড়াশোনা করেছেন। সত্তর বছরে দাঁড়িয়েও তিনি তারুণ্যের প্রতীক। এই তারুণ্যই মিয়ানমারে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। এই তারুণ্যকে অস্বীকার করা যাবে না। এই তারুণ্যকে যারাই অবজ্ঞা করেছে তারাই হেরেছে। বিশ্বব্যাপী ট্রাডিশনাল নেতৃত্বে সর্বত্রই একটা পরিবর্তন আসছে। কেনেডি যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন (১৯৬১-১৯৬৩) তখন মানুষ অবাক হয়েছে। একজন তরুণ প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশকে সামলাতে পারবেন তো? তিনি পেরেছিলেন। যে কারণে আজও তাকে স্মরণ করা হয়। ওবামাও তরুণ বয়সে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে একজন প্রেসিডেন্টের বয়স ৫০ বছরের কম হবে, এটা এক সময় অকল্পনীয় ছিল। কিন্তু বাস্তবতা বলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সফল প্রেসিডেন্টের একজন হচ্ছেন ওবামা। প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনও অনেক কম বয়সে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তারুণের এই বিজয় রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনছে। এ কারণেই পারিবারিক রাজনীতির ধারায় তরুণ নেতৃত্ব যখন দেশে দেশে ক্ষমতাসীন হয়েছে, তখনই মানুষ তা গ্রহণ করেছে। কানাডার ক্ষেত্রে এটা যেমন সত্য ছিল, ঠিক তেমনি সত্য বলে প্রমাণিত হলো ভারতের সদ্য শেষ হওয়া বিহারের বিধানসভার নির্বাচনও। রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র নতুন কোনো ধারণা নয়। অতীতে রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের এই ধারা উন্নয়নশীল বিশ্বে সক্রিয় থাকলেও উন্নত বিশ্বে তেমনটা লক্ষ করা যায়নি। এখন সেখানেও পরিবর্তন আসছে। জাস্টিন ট্রুডোর পাশাপাশি আমরা খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে জেব বুশকেও দেখতে পারি। জেব বুশ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র বুশের (১৯৮৯-১৯৯৩) ছোট ছেলে ও দু-দুবারের প্রেসিডেন্ট বুশের (২০০০-২০০৮) ছোট ভাই। এ ধরনের দৃষ্টান্ত আরও দেখা যায়। আর্জেন্টিনাসহ লাতিন আমেরিকার দেশে পারিবারিক রাজনীতির ধারাও আমরা দেখি ভিন্ন আঙ্গিকে। রাজনীতিতে এই ধারা একটি বাস্তবতাÑ পৃথিবীর অনেক দেশের ক্ষেত্রেই এ কথাটা প্রযোজ্য। Daily Amader Somoy 29.11.15

0 comments:

Post a Comment