রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কাপাসিয়ার নির্বাচন যে প্রশ্নের কোনো সমাধান দেয় না


ঢাকার সনি্নকটে গাজীপুর-৪ আসনে একটি উপনির্বাচন হয়ে গেল গত ৩০ সেপ্টেম্বর। সংবাদপত্রের ভাষায় 'ভোটারবিহীন নির্বাচনে রিমির জয়, চাচার প্রত্যাখ্যান' (কালের কণ্ঠ, ১ অক্টোবর)। সংবাদপত্রগুলো আমাদের বলে দিচ্ছে নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল না। তবুও নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। 'একজন' বিজয়ী হয়েছেন। আর যিনি বিজয়ী হলেন, তিনি আর কেউ নন, রাজনীতিতে অপরিচিত, কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি। যিনি এখন সংসদে যাবেন তার আপন ভাই তানজিম আহমেদ সোহেলের ছেড়ে দেয়া আসনে বিজয়ী হয়ে। এই 'বিজয়'-এর মধ্যদিয়ে সিমিন হোসেন রিমি কী পাবেন, জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে অনাস্থা ও ঐক্যের বড় অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে তিনি আদৌ কোনো গুণগত পরিবর্তন আনতে পারবেন না। প্রথাগত ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ফলে নির্বাচন যে 'প্রতিদ্বন্দ্বিতা'র কথা বলা হয় তা ওই নির্বাচনে ছিল না। দ্বিতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তার আপন চাচা আফসার উদ্দিন আহমদ (এবং সেই সঙ্গে সিপিবি প্রার্থী আসাদুল্লাহ বাদল) প্রকাশ্যেই অভিযোগ এনেছেন 'ভোট জালিয়াতির'। ভোটকেন্দ্র দখল করে 'নৌকা মার্কায়' সিল দেয়ার অভিযোগও ছিল তার। তৃতীয়ত যে 'অভিযোগে' সোহেল তাজ পদত্যাগ করেছিলেন, তার প্রতি সম্মান দেখালেন না বড় বোন সিমিন হোসেন রিমি। তাজউদ্দীনের পরিবার এই নির্বাচন থেকে কী পেল, তা শুধু আগামী দিনগুলোই বলতে পারে। রিমি তো অনেক আগেই এমপি হতে পারতেন। নিদেনপক্ষে 'মহিলা কোটায়' কি তিনি এর আগে এমপি হতে পারতেন না? তাঁকে কি আসন বাড়ানোর পর এমপি করা উচিত ছিল না? তাতে করে কি শহীদ তাজউদ্দীনের প্রতি সম্মান দেখানো যেত না? এখন শেষ বেলায় এসে এমপি হয়ে কী করবেন সিমিন হোসেন রিমি? রাজনীতি তো উত্তপ্ত হচ্ছে। সরকার আর বিরোধী দলের মাঝে ব্যবধান বাড়ছেই। এই অসময়ে এসে তাজউদ্দীন কন্যা কী করবেন? বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম জিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরের এক বিশাল সভায় স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ছাড়া অন্য কোনো প্রথা তার জোট মেনে নেবে না। বেগম জিয়ার এই মন্তব্য আসলো আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ ও প্রধানমন্ত্রীর একটি উক্তির পর। ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে অভিযোগ উঠেছে এক বছর আগে দেয়া রায়ের সঙ্গে প্রকাশিত রায়ের কিছু অসঙ্গতির। পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নির্বাচনের ৪২ দিন আগে সংসদ ভেঙে দেয়া হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন এবং একটি ক্ষুদ্র মন্ত্রিসভা থাকবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে কথাটি বলেননি, তা হচ্ছে ওই সময় কার নেতৃত্বে সরকার পরিচালিত হবে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কে থাকবেন? প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা প্রমাণ করে তিনি ওই সময়ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বটি পালন করতে চান। সমস্যাটা তো এখানেই। প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় রেখে যে নির্বাচন হবে, তার নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। উপরন্তু বিদেশি দাতাগোষ্ঠী যখন বারবার বলছে সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, এখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে তিনি যখন 'প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব' পালন করবেন, সেই নির্বাচনের নিরপেক্ষতা থাকবে না। ফলে একদলীয় বা মহাজোটের শরিকদের নিয়ে নির্বাচন, সেই নির্বাচন দেশে ও বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল সংক্রান্ত রায়টি দেশে একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক সঙ্কটের সৃষ্টি করেছে। তবে সূক্ষ্মভাবে বিচার করলে দেখা যাবে ওই রায়ের মধ্যেই একটি নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলা হয়েছে। সরকার ওই রায়টি প্রকাশের আগেই সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে। অথচ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা দেখলাম ৭ জন বিচারপতির মধ্যে তিনজন বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের পক্ষে মত দেননি। তাদের ক্ষমতাকে বিবেচনায় নিয়েই নির্বাচনের আগে একটি নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায়। তাতে করে একটা সমঝোতা সম্ভব। নতুবা দেশ এক মহাসঙ্কটে পতিত হবে। প্রকাশিত রায়ে দেখা যায় আপিল বিভাগের দু'জন বিচারপতি অভিমত দিয়েছেন 'ত্রয়োদশ সংশোধনী সাংবিধানিক ও বৈধ'। গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এর প্রয়োজন আছে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে একজন বিচারপতি ত্রয়োদশ সংশোধনীকে 'সাংবিধানিক ও বৈধ' বলে স্বীকার করলেও, এটি রাখা বা না রাখার ভার ছেড়ে দিয়েছেন জাতীয় সংসদের হাতে। পুরো তিনটি মতামত নিয়েই একটি রায় এবং রায়টি হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে নয়, বরং সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে। প্রকাশিত রায়ের অনেক দিক আছে, যা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি। যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) বাতিল হয়েছে। সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আইনগতভাবে বিবেচনায় নেয়া যাবে না, এটা সত্য তবে বাকি তিনজন বিচারপতি যেহেতু এই সংশোধনীকে 'বৈধ ও সাংবিধানিকসম্মত' বলেছেন এবং যেহেতু তাদের মতামতও রায়ের একটি অংশ, সে ক্ষেত্রে তাদের মতামতকে আমরা 'যে কোনো ফর্মে' বিবেচনায় নিতে পারি। যেহেতু পরবর্তী দুটো সংসদ নির্বাচন 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের' মাধ্যমে সম্পন্ন করা, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচিত ব্যক্তিদের দিয়ে এই সরকার পরিচালনা করার কথা বলা হয়েছে_ এটা আমরা বিবেচনায় নিতে পারি। যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নিযুক্তিকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এটাকে ভিত্তি হিসেবে বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। একজন বিচারপতি যেহেতু 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের' ভার সংসদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে দশম জাতীয় সংসদ কিভাবে আয়োজন করা যায়, সে ব্যাপারে সংসদ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রয়োজনে স্পিকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে পারেন এবং দুটি বড় দল বা জোটের পাঁচজন সদস্য নিয়ে এই সরকার গঠিত হতে পারে, যারা শুধু নির্বাচন পরিচালনা করবেন। তবে নিরপেক্ষতার স্বার্থে স্পিকারসহ কেউই নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। ইসিকে শক্তিশালী করার কথাও বলা আছে রায়ে। বিষয়টি নতুন নয়। অনেকেই ইসিকে শক্তিশালী করার কথা বলেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইসি সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করে। সেখানেও এ প্রসঙ্গটি উঠেছে। ইসিকে স্বাধীনভাবে পরিচালনার কথা বলা হলেও আইন সংশোধন ছাড়া ইসিকে স্বাধীন করা যাবে না। তত্ত্বগতভাবে ইসি স্বাধীন হলো। কিন্তু নির্বাচন চলাকালীন সময়ের আগে ও পরের মাসগুলো কয়েকটি মন্ত্রণালয় যদি ইসির নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্বাচনের এক মাস আগে ও নির্বাচনের এক মাস পর ইসির নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ওই সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের (মাঠ পর্যায়ে) বদলি করার ক্ষমতা পাবেন। এমনকি মাঠ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা যদি আইনবহির্ভূত কোনো কর্মকা-ে লিপ্ত হন, তাকে শাস্তি দিতে পারবেন। শুধু দুএকটি ধারা পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করা যাবে না। সত্যিকার অর্থেই সংসদে আইন পাস করিয়ে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। আর্থিকভাবে ইসি স্বাধীন হবে। এ জন্য বাজেটে বরাদ্দ থাকবে। অথবা অর্থের জন্যই সরকার ইসির কর্মকা-ে প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ পাবে। সংসদ ভেঙে দেয়ার কথা রায়ে বলা আছে। এটা একটা ভালো দিক। যদি সংসদ সদস্যদের ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন হয় (যা সংশোধিত সংবিধানে আছে), তাহলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কেননা সংসদ সদস্যরা স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটাবেন, তখন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের করার কিছুই থাকবে না। তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর প্রথম বড় ধরনের সংশোধন করা হয় ২০০১ সালে। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাহিনীকে যুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আরপিওতে আরো সংস্কার আনা হয়। এক্ষেত্রে ইসিকে আরো সংস্কার আনতে হবে আরপিওতে। শুধু এই বিষয়টি নিয়ে ইসি যদি আবার মত বিনিময় করে, তাহলে ইসি ভালো করবে। আমি আগেই উল্লেখ করেছি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল সংক্রান্ত রায়ের মাঝেই সঙ্কট সমাধানের পথ বলে দেয়া আছে। যে কোনো ফর্মে তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন নতুবা দেশ এক গভীর সংঘাতে নিপতিত হবে। উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের আগে বেশ কয়েকজন 'এমিকাস কিউরি' (আদালতের বহু) নিয়োগ করেছিলেন। এমিকাস কিউরিদের একজন বাদে সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। এরা দেশের শীর্ষর্স্থানীয় আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ। এদের মতামতকেও আমরা ফেলে দিতে পারি না। বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি এটা উপলব্ধি করেই উচ্চ আদালত 'আরো দুটো সংসদ' তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার পক্ষে অভিমত দিয়েছিলেন। তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সংসদ। আমি এ বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিতে চাই। সংসদ প্রকাশিত রায়ের আলোকে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকার গঠনের ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নিক। সেই সিদ্ধান্তে বিএনপি সম্পৃক্ত হোক। সংসদে আলোচনায় তাদের সুযোগ দেয়া হোক। পরস্পরের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস যদি থাকে, আমার বিশ্বাস একটা পথ আমরা খুঁজে পাবই। ইসিকে স্বাধীন করতে হবে পর্যায়ক্রমে যাতে করে ইসি সরকারের প্রভাবমুক্ত হয়ে একাদশ কিংবা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্পন্সর করতে পারে। উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। কিন্তু বিচারপতিদের একটা বড় অংশ যেখানে চেয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকুক, এটাই হোক আলোচনার ভিত্তি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজে নিজেকে ক্ষমতায় রেখে যদি কোনো সমাধানের পথ খোঁজেন, সঙ্গতকারণেই তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। বেগম জিয়া হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তার অনেক সুযোগ ছিল হরতাল, অবরোধের মত কর্মসূচি দেয়ার। তা তিনি দেননি। তিনি ধীরে ধীরে নির্দলীয় সরকারের পক্ষে জনমত গড়ে তুলছেন। এটা একটা ভালো দিক। আমরা চাইবো সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোট একটি বড় জোট। এদের জনসমর্থন প্রচুর। এদের মতামতকে হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এদের মতামতকে বিবেচনায় নিয়ে একটি নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় রেখে নয়, বরং রায়ের আলোকেই সরকার যদি নির্বাচনের আগে একটি নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে, সেটা হবে সবার জন্য মঙ্গল। সরকারের নীতি নির্ধারকরা কাপাসিয়ার উপনির্বাচন থেকে শিখতে পারেন। যে নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ থাকে না, সেই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনো আগ্রহও থাকে না। তারপরও কি একটি সমঝোতায় আমরা যেতে পারি না? ব্যারিস্টার রফিক-উল হক স্বপ্রণোদিত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন তাতে নেই। ফলে জটিলতা থেকে গেলই। এমনি এক পরিস্থিতিতে সিমিন হোসেন রিমি এমপি নির্বাচিত হয়ে এই বিভক্ত রাজনীতিতে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবেন না। বরং তিনি শহীদ তাজউদ্দীনের নামের প্রতি তেমন কোনো সুবিচারও করলেন না।Daily JAI JAI DIN08.10.12

0 comments:

Post a Comment