রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

অথঃ ভিসি কাহিনী


ভিসিদের কাহিনী নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে একটি জাতীয় দৈনিক সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাতে অনেক ভিসি যে অনেক অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন, তা উল্লেখ করা হয়েছিল। ভিসি হচ্ছেন একটা প্রতিষ্ঠান। তিনি যদি বিতর্কিত হন, দুর্নীতি করেন, তাহলে আস্থার জায়গাটা আর থাকে না
জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চলে, সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ভিসি বা উপাচার্যের ‘কাহিনী’ এখন নিয়মিত কাগজে ছাপা হচ্ছে। একজন ভিসি বললেন, তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ছাড়া অন্য কাউকে চাকরি দেবেন না! একজন অস্ত্রবাজ শিক্ষক তার ‘চাকরি’ পেলেন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভিসি বললেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তার তা না জানারই কথা; কেননা প্রভাষক নিয়োগ বোর্ডে তিনি সভাপতিত্ব করেন না। আর একজন ভিসি, যিনি দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল জমি দখলের! বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সংবাদ আরও মারাত্মকÑ তিনি তার সরকারি বাসভবনে একটি বিউটি পারলার বসিয়েছেন! কী সাংঘাতিক কথা! ভিসির বাংলোয় বিউটি পারলার। স্ত্রী অধ্যাপনা করেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই ভিসির বাংলোয় সিরিয়াল রক্ষার কাজটি তিনি নিজেই করেন। সংবাদদাতা একটি ছবিও পাঠিয়েছেন সংবাদের সঙ্গে, যাতে দেখা যায় তিনি দাঁড়িয়ে (ভিসি-বাংলোয়) সিরিয়াল দিচ্ছেন সেবা গ্রহণকারীদের। আর পাশে বসা বেশ কয়েকজন সেবা গ্রহণকারী। এর বাইরে আরও অনেক ভিসি কাহিনী ছাপা হয়েছে, যা হয়তো আমার চোখে ধরা পড়েনি। খুঁজলে হয়তো তা পাওয়াও যাবে। কেননা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪২। ৪২ জন ভিসি তো আছেনই, তাদের নিয়ে সংবাদ ছাপা হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে গেছে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এ কে এম নূর উন নবীর কাহিনী। তিনি এখন সাবেক। কেননা ৫ মে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। মাত্র সাড়ে ৫ মাসে তিনি খাবার খেয়েছেন (অফিস তথা আপ্যায়ন) ১০ লাখ টাকার (পরিবর্তন.কম, ৪ মে)। এর সঙ্গে ট্রেজারার হিসেবে অতিরিক্ত খেয়েছেন আরও ২ লাখ ১৯ হাজার। সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকা! তাকে নিয়ে ‘কাহিনী’ আরও আছে। ভিসির পদটি সার্বক্ষণিক। কিন্তু তিনি ঢাকায় থাকতেন বেশিরভাগ সময়। আর টিএ/ডিএ’র নামে উত্তোলন করেছেন ৪ লাখ টাকা। ভর্তি পরীক্ষায় ‘তদারকিতে’ তিনি নিয়েছেন ১৬ লাখ টাকা! প্রায় ১২ লাখ টাকার যে আপ্যায়ন ‘বিল’ তিনি তুলেছেন, তা মাত্র ১৬৫ দিনেরÑ যতদিন তিনি ক্যাম্পাসে ছিলেন! সামাজিক মিডিয়ায় কে যেন একটা হিসাব দিয়েছে। তিনি যা খেয়েছেন এবং যার জন্য প্রায় ১২ লাখ টাকা বিল তুলেছেন, তা যদি দিন হিসাবে গণনা করা হয়, তাহলে প্রতিদিন তিনি ‘খেয়েছেন’ (নাশতা) প্রায় ৭ হাজার টাকা! পাঠক, বিভ্রান্ত হবেন না। এ হিসাবটা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের। তারা সেখানে তদন্তে গিয়েছিলেন। তাদের তদন্তে এসব অসংগতি ধরা পড়েছে। সচেতন পাঠকমাত্রই জানেন, এর আগে যিনি ভিসি ছিলেন, ড. জলিল, তিনিও ব্যাপক অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। দুদক সেসব অনিয়মের তদন্ত করছে। গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’কেও দুদক চিঠি দিয়েছিল। যদিও সে চিঠি তিনি আদৌ গুরুত্বের সঙ্গে নেননি। একজন ভিসি, যিনি শিক্ষাবিদও বটে, তিনি যখন আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন, তখন এর চেয়ে আর দুঃখজনক কিছু থাকতে পারে না। রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজকে জাতির কাছে ‘ছোট’ করছেন। দুদকের উচিত এসব অনুসন্ধান করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া। না হলে এ প্রবণতা বাড়তেই থাকবে। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন ৪২। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে যাদের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের অনেকে শুধু অযোগ্যই নন, বরং অনেকেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন; বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন; শিক্ষক সমাজকে জাতির কাছে ‘ছোট’ করেছেন। দলীয় পরিচয়ে কিংবা আঞ্চলিকতা বিবেচনায় নিয়ে যাদের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়, তারা যে ব্যর্থ এবং ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান যে তারা আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন না, গোপালগঞ্জ কিংবা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কর্মকা-ে আবারও তা প্রমাণিত হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েই অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তিনি পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। নিজের আত্মীয়স্বজন, ভাই, স্ত্রী এদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন তাদের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও। রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এর বড় প্রমাণ। এ ধরনের ঘটনা আরও অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শোনা যায়। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন একটি আইন করতে পারে, যেখানে বলা থাকবেÑ বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিদের সন্তান বা আত্মীয়স্বজন প্রথমে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি নিয়োগ পাবেন না। তাদের অন্য যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে, পরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকরা প্রথমে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে পরে যদি চান নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কর্মজীবন শুরু করেন। এটা করা না হলে অচিরেই প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেকটি ‘পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়ে’ পরিণত হবে। আমার নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রবণতা আমি লক্ষ করছি। এটা ভালো নয়। উচ্চশিক্ষার জন্য তা মঙ্গলও নয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর মঞ্জুরি কমিশনের নজরদারি অনেক কম। চেয়ারম্যান ও সদস্যরা আছেন; কিন্তু তাদের কোনো শক্ত কর্মকা- আমার চোখে ধরা পড়ছে না। এখন ইউজিসির নামের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। তাতে উচ্চশিক্ষায় কতটুকু পরিবর্তন আসবে, আমি নিশ্চিত নই। অতিসম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এসডিজি-বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আমাদের শিক্ষার মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। আজাদ সাবেক আমলা। সিনিয়র সচিব ছিলেন। অবসরে গেছেন। তিনি কথাটা মিথ্যা বলেননি। সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খানও একাধিকবার এ ধরনের কথা বলেছেন। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মানের যে অবনতি ঘটেছে, এটা তো হাজারটা দৃষ্টান্ত দিয়ে দেখানো যায়। টিআইবির ১৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর (যেগুলো সব বড় বিশ্ববিদ্যালয়) যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, তাতে তথ্য-উপাত্তসহ উল্লেখ করা হয়েছিল ব্যক্তির ইচ্ছায়, দলীয় বিবেচনায়, টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদের অনেকেই যোগ্য নন। ফলে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে তারা অবদান রাখতে পারছেন না। আমার ধারণা ছিল, ইউজিসি ওই প্রতিবেদনের পর একটি বড়সড় অনুসন্ধান চালাবে। কিন্তু তারা তা করেনি। শুধু এর প্রতিবাদ করে তারা তাদের দায়িত্ব শেষ করেছেন। দুদকও বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করতে পারে। টাকার বিনিময়ে যদি শিক্ষক নিয়োগ হয়, তাহলে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন হবে কীভাবে? একটা হতাশাজনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। এর প্রয়োজনীয়তা নিশ্চয়ই অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু শিক্ষার মানোন্নয়নে যে কাজটি করা দরকার, তা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে যাদের ওপর এ দায়িত্বটি বর্তেছে, তারা এটা না করে ব্যস্ত থাকছেন অন্য কাজে। তাই যোগ্য ও দক্ষ লোকদের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার একটি কমিশন গঠন করতে পারে। ইউজিসি এ কাজটি করতে পারছে না। রাজনৈতিক বিবেচনায় চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। উচ্চশিক্ষায় যাদের উচ্চতর ডিগ্রি নেই, গবেষণা নেই, তাদের এখানে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
ভিসিদের কাহিনী নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে একটি জাতীয় দৈনিক সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাতে অনেক ভিসি যে অনেক অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন, তা উল্লেখ করা হয়েছিল। ভিসি হচ্ছেন একটা প্রতিষ্ঠান। তিনি যদি বিতর্কিত হন, দুর্নীতি করেন, তাহলে আস্থার জায়গাটা আর থাকে না। শুধু আর্থিক কেলেঙ্কারি নয়, কোনো কোনো ভিসি আবার নিজের অনুপযুক্ত ছেলেকে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক বানিয়ে ‘সুবিধা’ নেয়ার চেষ্টা করেছেন। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ সম্প্রতি ছাপা হয়েছে। যে ‘ছাত্র’ কোনোদিন যোগ্যতাবলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি, তিনি এখন কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক! যে ছাত্রটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, তার তো ‘ভালো ছাত্র হলে’ ওইসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকতা করার কথা! বাবা ভিসি। তাই বলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে তাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হবে! তার নিয়োগ প্রক্রিয়া যে সিন্ডিকেটে অনুমোদিত হয়েছিল, ওই সিন্ডিকেট সভায় ভিসি কি উপস্থিত ছিলেন? নিজে উপস্থিত থেকে ছেলের নিয়োগ প্রক্রিয়া তিনি কি অনুমোদন করতে পারেন? আইনগতভাবে এবং নৈতিকভাবে তিনি তা পারেন না। ইউজিসি কি বিষয়টি তলিয়ে দেখেছে? শিক্ষামন্ত্রী ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বলেছেন, ‘শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’ কথাটা শুনতে ভালোই শোনায়। জানতে খুব ইচ্ছে করে, মান বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী কী উদ্যোগ নিয়েছে? অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ কি শিক্ষার মানোন্নয়নের কোনো নির্দেশনা দেয়? ব্যক্তির ইচ্ছায় এবং ব্যক্তিকে সামনে রেখে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নতুন নতুন বিভাগ খোলা হচ্ছে, যার আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ার ক্ষেত্রেও তা কোনো অবদান রাখবে না। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্র্যাকটিক্যাল কেমিস্ট্রি নামে নতুন একটি বিভাগ খোলা ও সেখানে জনবল নিয়োগে যে অনিয়ম হয়েছে, তার রেশ ধরে ইউজিসির এক কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এজন্য ইউজিসির চেয়ারম্যান ধন্যবাদ পেতেই পারেন। কিন্তু অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সন্তানদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ তথা বৃত্তি প্রদান ইত্যাদি বন্ধে ইউজিসি যদি উদ্যোগ নেয়, তাহলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তা বড় অবদান রাখবে।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি মাথায় নিয়ে তার ৪ বছরের টার্ম শেষ করেছেন। পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী, দ্বিতীয় টার্মে থাকার ‘খায়েস’ প্রকাশ করলেও শেষ অবধি তিনি হাল ছেড়ে দিয়েছেন। এ ধরনের দুর্নীতিবাজরা যদি আবার এখানে নিয়োগ পেতেন, তাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট বাড়ত বৈ কমত না! আরও একজন অধ্যাপক (যিনি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি এখন) লবিং করছেনÑ যার কাজ হচ্ছে টিভি টকশোতে বক্তৃতা দেয়া, নির্বাচন মনিটরিংয়ের নামে বিদেশ থেকে টাকা আনা। এসব ‘শিক্ষক’ ভিসি হলে(?) পরিস্থিতির অবনতি ছাড়া উন্নতি হবে না। এসব জুনিয়র শিক্ষকের বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা থেকে যত দূরে রাখা যায়, ততই সবার মঙ্গল। রাজনৈতিক বিবেচনায় ভিসি নিয়োগ বন্ধ হোক। অভিজ্ঞ ও সিনিয়র শিক্ষকদের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হোক, যাদের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। যশোর, গোপালগঞ্জ, জগন্নাথ কিংবা রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, তা থেকে আমরা কী শিক্ষা নেব প্রশ্ন আমাদের সেখানেই।
Daily Alokito Bangladesh
14.05.2017

1 comments:

  1. মাননীয় ভিসি এ কে এম নূর উন নবী সাহেব ভোজন রসিকও বটে😀😀😀

    ReplyDelete