এ সৌদি জোট অনেক প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এলো এখন। সৌদি আরব নিজে এ অঞ্চলের রাজনীতিতে অন্যতম একটি ‘অ্যাক্টর’ অর্থাৎ অন্যতম নির্ধারক হিসেবে নিজেকে দেখাতে চায়। অতীতের কোনো সৌদি বাদশা এভাবে সৌদি পররাষ্ট্রনীতি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো বড় ভূমিকা পালন করেননি। কিন্তু বর্তমান বাদশা সালমান বিন আবদুল আাজিজের ‘অ্যাপ্রোচ’ একটু ভিন্ন। তিনি সৌদি আরবকে দেখতে চান এ অঞ্চলের রাজনীতির অন্যতম নির্ধারক হিসেবে। তাই তার নেতৃত্বে একটি সামরিক জোটের প্রয়োজন ছিল। সৌদি আরব পারসীয় অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়াতে চায়। এর প্রকাশ হিসেবে আমরা দেখেছি ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি আরবের হস্তক্ষেপ তথা সৌদি বিমান বাহিনীর ইয়েমেনে অব্যাহত বোমাবর্ষণ। এর আগে লেবাননের গৃহযুদ্ধে সৌদি ট্যাঙ্কবহরকে আমরা লেবাননে প্রবেশ করতে দেখেছিলাম। অতীতে কুয়েতের আমির যখন ইরাকি সেনাদের দ্বারা উৎখাত হন (১৯৯০), তখন সৌদি আরব আমিরকে আশ্রয় দিয়েছিল বটে, কিন্তু আমিরের সমর্থনে কোনো সেনা বা বিমান পাঠায়নি। ২০১১ সালে তিউনিশিয়ায় ‘জেসমিন বিপ্লব’ জাইন আল আবেদিন বেন আলিকে ক্ষমতাচ্যুত ও বেন আলি সৌদি আরবে আশ্রয় নিলেও সৌদি আরব তিউনিশিয়ায় হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতাসীন হয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনেন। আর তারই ফলশ্রুতিতে নতুন এক ‘সৌদি আরব’কে আমরা দেখছি। সৌদি আরবের নীতিনির্ধাকরদের বরাবরই একটা বড় ভয় ইরানকে নিয়ে। পারসীয় অঞ্চলের রাজনীতিতে ইরানের ভূমিকা বাড়ছে এবং ইরানের এ ভূমিকাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন স্বীকারও করে। ইরানের সঙ্গে ছয় জাতি পারমাণবিক চুক্তি, ইরানের ধর্মীয় নেতা খামেনিকে ওবামার গোপন চিঠি লেখা ইত্যাদি প্রমাণ করে, যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে ইরানের ভূমিকাকে স্বীকার করে নিয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প এখন ইরান সমঝোতাকে অস্বীকার করেছেন।
ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় জাতি আলোচনায় যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে বিগত জানুয়ারি মাসে (২০১৬) ইরানের ওপর থেকে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছিল। ফলে ইরান আবার একটি ‘শক্তি’ হিসেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে! অতীতে ইরানি বিপ্লবের আগে (১৯৭৯) রেজা শাহ পাহলেভির সময় ইরানের ভূমিকাকে ‘পারসীয় অঞ্চলের পুলিশ’ এর ভূমিকার সঙ্গে তুলনা করা হতো। ইরান ওই ভূমিকায় আবার ফিরে যাচ্ছে। সৌদি আরবের ভয়টা এখানেই। ইরানের উত্থান সৌদি আরবসহ এ অঞ্চলের শিয়া সম্প্রদায়কে আরও বেশি উৎসাহিত করবে। বলা ভালো, এ জোটে সিরিয়াকে রাখা হয়নি। এটা সবাই জানেন, সৌদি আরব চাচ্ছে সিরিয়ায় আসাদের উৎখাত। কিন্তু সৌদি পছন্দের তালিকায় আইএসও নেই। ২০১৫ সালে ডিসেম্বরে আসাদবিরোধী দলগুলোর একটি সম্মেলন হয়েছিল রিয়াদে। সেখানে এমন অনেক দল অংশ নিয়েছিল, যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ ছিল। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের ভূমিকা কী হবে এসব দল ও জোটের বিরুদ্ধে? অনেকেই জানেন, ইসলামিক স্টেটের নেতৃত্বে সিরিয়া ও ইরাকের একটা অংশ নিয়ে তথাকথিত একটা জিহাদি রাষ্ট্র ‘সুন্নিস্তানে’র জন্ম হয়েছে, যারা ওয়াহাবি মতাদর্শ ও আদি ইসলামিক রাষ্ট্রের ধ্যানধারণায় পরিচালিত হচ্ছে। সৌদি রাষ্ট্রের ভিত্তিই হচ্ছে এই ওয়াহাবি মতাদর্শ। এক্ষেত্রে আপতদৃষ্টিতে আইএসএ’র সঙ্গে সৌদি নীতিনির্ধারকদের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও আদর্শগতভাবে মিল তো আছেই! সুতরাং সৌদি-আইএস সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। আরও একটা কথা বলা দরকার, ইরান ও সিরিয়ার তেলের কূপগুলোর একটা বড় অংশ ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসএ’র নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। কালোবাজারে আইএস এই তেল বিক্রি করে। দৈনিক তাদের গড় আয় ২ মিলিয়ন ডলার। আর এ কারণেই আইএস পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী জঙ্গিগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। এ তেল তুরস্কের মধ্য দিয়ে অন্যত্র যায়। ইসরাইল এ তেলের অন্যতম ক্রেতা। এ তেল নিয়েই সেখানে একটি ‘স্থলযুদ্ধে’র সম্ভাবনা বাড়ছে। কেননা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য কমে যাওয়ায় (ব্যারেলপ্রতি বর্তমান মূল্য ৫০ ডলারের নিচে) আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের আয় কমে যাচ্ছে। ফলে একটি ‘যুদ্ধ’ শুরু না হলে এ তেলের মূল্য বাড়ানো যাবে না। তাই ধারণা করছি একটি যুদ্ধ সেখানে আসন্ন। পাঠকদের উপসাগরীয় অঞ্চলের তেলের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ধারণা দিতে চাই। ইরান ও সৌদি আরবের মাঝখানে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ, যা ‘স্ট্রেট অব হরমুজ’ নামে পরিচিত। এ সমুদ্রপথটি তেল সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বে সমুদ্রপথে যে পরিমাণ তেল পরিবহন করা হয় (প্রতিদিন ৫৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল), তার ২০ ভাগ (১৭ মিলিয়ন ব্যারেল) এ পথে পরিবাহিত হয়। ২০০৯ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন ব্যারেল (প্রতিদিন); এখন তা বেড়েছে ১৭ মিলিয়ন ব্যারেলে (২০১৩)। ২০১৬ সালের পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে, তা প্রায় ২০ মিলিয়ন ব্যারেলে উন্নীত হয়েছিল। প্রায় ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘স্ট্রেট অব হরমুজ’ প্রণালি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে ইরানি নৌবাহিনী। যে কোনো ‘সংকটে’ ইরান যদি এ জ্বালানি তেল সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তা বিশ্ব অর্থনীতিকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেবে। সৌদি আরবে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্রের বাজার। এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়লে এ অঞ্চলে মার্কিনি আন্তঃব্যবসা বৃদ্ধি পাবে, যা মার্কিনি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। যারা আন্তর্জাতিক রাজনীতির কিছুটা খোঁজখবর রাখেন, তারা জানেন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আরও বেশ ক’টি সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে ছাপা হয়েছে।
সুতরাং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন এসেছে। একদিকে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের অবনতি আর অন্যদিকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক জোট গঠন, যাতে সুন্নি প্রাধান্য থাকছে, এ অঞ্চলের রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়াবে মাত্র। ইরান এখন ভিন্ন সূত্র থেকে (রাশিয়া ও চীন) অস্ত্র সংগ্রহ করবে। এ অঞ্চলে উত্তেজনা জিইয়ে রাখলে লাভ যুক্তরাষ্ট্রেরই। তাই আগামীতে এ অঞ্চলের রাজনীতি নতুন একটি মাত্রা পেল মাত্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে সৌদি আরবকে বেছে নিয়েছিলেন। রিয়াদে ২১ মে তিনি আরব ইসলামিক-আমেরিকান (এআইএ) সম্মেলনে ভাষণও দেন। ওই সম্মেলনে মুসলিমপ্রধান ৫৬ দেশের রাষ্ট্র্র তথা সরকারপ্রধানরা অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ওই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সম্মেলনে শেখ হাসিনা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমনে চার দফা প্রস্তাবও পেশ করেছিলেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়াদ সফর ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ওই সম্মেলনে তিনি ইরানবিরোধী যে বক্তব্য দেন, তা নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে যে ১১ হাজার কোটি ডলারের একটি অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, তা এখন এ অঞ্চলের উত্তেজনার মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। প্রশ্ন হচ্ছেÑ এ অস্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ কী? যুক্তরাষ্ট্র যে অস্ত্র বিক্রি করবে, তা নিঃসন্দেহে সৌদি আরবের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করবে। কিন্তু সে সঙ্গে সুন্নি-শিয়া দ্বন্দ্ব আবারও বেড়ে যেতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়া সংকটের যখন সমাধান হয়নি কিংবা ইসলামিক স্টেটকে যখন পরিপূর্ণভাবে উৎখাত করা সম্ভব হয়নি, ঠিক তখনই ১১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র এ অঞ্চলে নতুন একটি ‘ফ্রন্ট’ ওপেন করবে এবং এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়াবে। পাঠক স্মরণ করতে পারেন, ২০১৫ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদবিরোধী একটি জোট গঠিত হয়েছিল, যার নাম ছিল ‘ইসলামিক মিলিটারি অ্যালায়েন্স টু ফাইট টেরোরিজম’। বাংলাদেশ ওই জোটে আছে। প্রায় ৩৩ মুসলিমপ্রধান দেশের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এ জোটে। এ জোটকে অভিহিত করা হয়েছে ‘আরব ন্যাটো’ হিসেবে। সম্প্রতি সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। সুন্নি-শিয়া দ্বন্দ্বের রেশ ধরে সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এখন সৌদি আরব একটি সামরিক জোট গঠন করল এবং অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হলো। যদিও প্রথম থেকেই বলা হচ্ছে, ‘জোটটি’ শুধু সন্ত্রাসবিরোধী একটি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে এবং জোট কার্যত একটি তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু বাস্তবে এটি শুধু একটি তথ্যবিনিময় কেন্দ্র হিসেবেই থাকবে, নাকি সত্যিকার অর্থে একটি সামরিক জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেÑ এ প্রশ্ন থাকলই। কেননা আরব ইসলামিক-আমেরিকান সম্মেলনের পর যে রিয়াদ ঘোষণা স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে বেশ কয়েকটি দেশের অংশগ্রহণে ৩৪ হাজার সেনার অতিরিক্ত বাহিনী গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। ওই ঘোষণায় আরও বলা হয়েছেÑ ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে সহযোগিতার জন্যই এ সেনাবাহিনী ব্যবহৃত হবে। কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়। বিশেষ করে সৌদি শিয়া নেতা নিমর আল নিমরের মৃত্যুদ- কার্যকরের পর (জানুয়ারি ২০১৬) এখন একটি সুন্নিপ্রধান সামরিক জোট গঠন এ অঞ্চলে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব ও বিভেদকে উপসাগরের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে দেবে। এখানে একটা কথা বলা দরকার, পারসীয় উপসাগরভুক্ত অঞ্চলে সুন্নিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এ অঞ্চলের জনসংখ্যার শতকরা ৫৬ ভাগ সুন্নি সম্প্রদায়ভুক্ত, আর ৩৬ ভাগ মানুষ হচ্ছেন শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। এ অঞ্চলের মাঝে ইরাক, লেবানন, ইয়েমেন আর বাহরাইনে শিয়া সম্প্রদায়ের লোক বেশি বাস করে। যেমনÑ বলা যেতে পারে, ইরানে যেখানে ৮৫ শতাংশ লোক শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত, সেখানে সুন্নিদের সংখ্যা শতকরা মাত্র ১৫ ভাগ। ইরাকের ৬৩ ভাগ যেখানে শিয়া, ৩২ ভাগ সেখানে সুন্নি; সিরিয়ায় ১৫ ভাগ শিয়া, আর ৭৩ ভাগ সুন্নি; বাহরাইনে ৭৫ ভাগ শিয়া, ২৫ ভাগ সুন্নি; ইয়েমেনে ৪৪ ভাগ শিয়া, ৫৬ ভাগ সুন্নি। মজার ব্যাপার হলো, বাহরাইনে শিয়ারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের কোনো ভূমিকা নেই। সুন্নি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে খলিফা হামাদ ও তার পরিবার সেখানে দীর্ঘদিন ক্ষমতায়। সিরিয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ আলাউট সম্প্রদায়ের লোক। আলাউট সম্প্রদায় শিয়াদের একটি উপশাখা। একটি গোত্র। এ গোত্র সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বাশার আল আসাদের বাবা হাফিজ আল আসাদও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সিরিয়া ও ইরাকে একসময় বাম-মনা বার্থ পার্টি গঠিত হয়েছিল। হাফিজ আল আসাদ সেনাবাহিনীর লোক হয়েও বার্থ পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পার্টি তার স্বাভাবিক মৃত্যুর পর ২০০০ সালে তার ছেলে বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। ইরাকে সাদ্দাম-পরবর্তী জমানায় শিয়ারা ক্ষমতা পরিচলনা করলেও সাদ্দামের (সুন্নি) সময় শিয়ারা ছিলেন উপেক্ষিত। এখন ইরাকে শিয়ারা ক্ষমতায়। এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজনÑ সৌদি শিয়া নেতা নিমর আল নিমরের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছিল এমন একটি সময়, যখন এ অঞ্চলে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ২০১৫ সালেই একটি সামরিক জোট গঠিত হয়েছিল। এ জোট গঠনকে ইরান ভালো চোখে দেখেনি। খুব সংগত কারণেই এ সামরিক জোটটি গঠনের প্রেক্ষাপট আলোচনার দাবি রাখে।
Daily Alokito Bangladesh
28.05.2017
0 comments:
Post a Comment