আজ ৭ মে ফ্রান্সের দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রথম দফা
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৩ এপ্রিল। ওই নির্বাচনে কোনো
প্রার্থীই শতকরা ৫০ ভাগ ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।
চূড়ান্ত পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন দুইজন কট্টর ডানপন্থী ম্যারিন লি পেন
আর মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রোন। এদের একজন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের জন্য
নির্ধারিত এলিসি প্রাসাদে উঠবেন দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের ১০ দিনের মধ্যে।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, অন্যান্য দেশের মতো নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে কোনো
শপথ পাঠ করতে হবে না। তবে নানা ধরনের অনুষ্ঠান, মিলিটারি প্যারেড ইত্যাদির
মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্টের ‘দায়িত্ব গ্রহণ’ সম্পন্ন হবে। ফ্রান্সের এই
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, এই নির্বাচনের মধ্য
দিয়ে ফ্রান্সের রাজনীতিতে দুইটি বড় দলের অর্থাৎ সমাজতান্ত্রিক পার্টি এবং
রিপাবলিকান পার্টির কর্তৃত্ব ভাঙতে যাচ্ছে। এই দুইটি দল দীর্ঘদিন ফ্রান্সের
রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। এখন ম্যারিন লি পেন কিংবা ইমানুয়েল
ম্যাক্রোন কেউই এই দুই ধারার প্রতিনিধিত্ব করেন না। ম্যারিন লি পেন উগ্র
ডানপন্থী আর ম্যাক্রোন সাবেক সমাজতান্ত্রিক। নির্বাচনের আগে তিনি নতুন একটি
দল (‘এ মার্চা’Ñ চলো এগিয়ে যাই) গঠন করেন। প্রশাসনে ম্যাক্রোনের অভিজ্ঞতা
আছে। তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী। নির্বাচনের জন্যই তিনি আগস্ট (২০১৬) সালে
মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। অন্যদিকে ম্যারিন লি পেনের কোনো প্রশাসনিক
অভিজ্ঞতা নেই। পারিবারিকভাবেই তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। তার প্রয়াত বাবা
জ্যাঁ পেরি লি পেন অতীতে উগ্রপন্থী নানা বক্তব্যের জন্য বারবার সমালোচিত
হয়েছিলেন। তিনি কট্টরপন্থী উগ্র ন্যাশনাল ফ্রন্ট দলটি গঠন করেছিলেন অনেক
আগেই। ২০০২ সালে জ্যাঁ পেরি লি পেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। ফ্রান্সের রাজনীতিতে ন্যাশনাল ফ্রন্টের
অবস্থান কখনোই শক্ত ছিল না। তবে এবারই প্রথম ব্যতিক্রম। মূলত ব্যাপক
অভিবাসন ইস্যুকে মুখ্য করে ম্যারিন লি পেন এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার
অবস্থান শক্ত করেছিলেন। এমনকি কোনো এক পর্যায়ে তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে
বিজয়ী হবেন বলেও ধারণা করা হয়েছিল। যদিও প্রথম দফায় তিনি তেমন সুবিধা করতে
পারেননি। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি থেকে গেলেন। এটাই তার বড় সাফল্য।
দ্বিতীয়ত, এদের দুইজনেরই রাজনৈতিক অবস্থান পরস্পরবিরোধী। ম্যারিন লি পেন
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-বিরোধী। তিনি ব্রিটেনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ফ্রান্সকে ইইউ
থেকে বের করে আনতে চান। তবে কাজটি তার জন্য খুব সহজ নয়। এর সঙ্গে সংবিধানের
প্রশ্নটি জড়িত। এ জন্য তিনি ‘বিজয়ী’ হলে গণভোটের আয়োজন করবেন। এমনকি তিনি
ইউরোর পরিবর্তে ফ্রান্সের আদি মুদ্রা ফ্রাঙ্ক প্রবর্তনেরও পক্ষপাতী।
অন্যদিকে ম্যাক্রোনের ‘অবস্থান’ পরিপূর্ণভাবে ভিন্ন। তিনি ইউরোপিয়ান
ইউনিয়নে ফ্রান্সের থাকার পক্ষে। তবে সংস্কারের পক্ষপাতী। তৃতীয়ত,
ম্যাক্রোনের মুখ থেকে কখনও মুসলমানবিরোধী কোনো মন্তব্য শোনা যায়নি। কিন্তু
ম্যারিনের বক্তব্য ঠিক উল্টো। তিনি প্রথম থেকেই মুসলমানবিরোধী বক্তব্য দিয়ে
আসছিলেন। তিনি প্রচ-ভাবে অভিবাসনবিরোধী। ২০১৫ সালের পর থেকে ফ্রান্সের
বিভিন্ন শহরে যে সন্ত্রাসী কর্মকা- সংঘটিত হয়েছে, তাতে মারা গেছেন ২৩০ জন। এ
প্রসঙ্গ টেনে ম্যারিন বলেছিলেন, সীমান্তে কড়াকড়ি করার ইচ্ছা আছে তার।
ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভিসাহীন ও অবাধ যাতায়াতের (শেঙেন চুক্তি) যে
ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে তার আপত্তি রয়েছে। চতুর্থত, ফ্রান্সে বেকারত্বের হার
শতকরা ১০ ভাগ। ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বেকারত্বের দিক থেকে তাদের অবস্থান
অষ্টম। মাগরেবভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের মধ্যে এই বেকারত্বের হার
বেশি, যা কিনা তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আইএসের সঙ্গে
সংশ্লিষ্ট অনেক তরুণ এখন সিরিয়ার রাকা থেকে ফ্রান্সে ফিরে আসছে। এরা অনেকেই
আবার ফ্রান্সের ভেতরেই সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে। দুঃখজনকভাবে হলেও
সত্য, তরুণদের কীভাবে এ পথ থেকে ফেরানো যায়, সে ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট
নীতি এদের দুইজনের কারোরই নেই। ম্যাক্রোনের নীতিতে বছরে ১০ হাজার অভিবাসী
গ্রহণের কথা বলা হয়েছে, যারা ফ্রান্স ভাষা জানেন ও বলতে পারেন। অন্যদিকে
ম্যারিন লি পেন সীমান্ত ‘সিল’ করে দিয়ে মুসলমান অভিবাসীদের ক্ষেত্রে
নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষপাতী। কিন্তু তাতে করে কী সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করা যাবে?
এটা সত্য, আগামীতে ফ্রান্সের জন্য নিরাপত্তা ইস্যুটা প্রধান সমস্যা।
ট্র্যাডিশনালি একসময় যে দেশগুলো ফ্রান্সের কলোনি ছিল এবং যারা মুসলমান
প্রধান দেশ হিসেবেই পরিচিত (যেমন আলজেরিয়া, মরক্কো, তিউনেশিয়া), সেইসব দেশ
থেকেই মানুষ আইনগতভাবেই ফ্রান্সে বসবাস করতে যান। এরা সবাই ফ্রান্স ভাষা
জানেন। ফলে এদের আসা বন্ধ করা যাবে না। তাহলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তবে
ম্যারিন লি পেন অনেকটাই সফল, অনেকটা ট্রাম্পের মতো, যেখানে জনমানসে তিনি
একটা অভিবাসনবিরোধী ‘সেন্টিমেন্ট’ ঢুকিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে ট্রাম্পের
মতোই ‘হোয়াইট সুপ্রিমেসি’ বা ‘শ্বেতাঙ্গ প্রাধান্য’ মানসিকতার জন্ম দিয়েছেন
ম্যারিন। এটা ফ্রান্সের রাজনীতিতে স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। অতীতে কখনও
ফ্রান্সের রাজনীতিতে এই ‘শ্বেতাঙ্গ-অশ্বেতাঙ্গ’ দ্বন্দ্ব বড় ভূমিকা পালন
করেনি। কিন্তু ট্রাম্পের আদলে লি পেন এই রাজনীতি শুরু করেছেন। কিছুটা সফল
যে তিনি হয়েছেন, তা তো অস্বীকার করা যাবে না। এই ‘রাজনীতি’ আগামী দিনে
ফ্রান্সকে কোথায় নিয়ে যাবে, বলা মুশকিল। ম্যাক্রোন যদি প্রেডিডেন্ট হিসেবে
নির্বাচিত হন, তাহলে এক্ষেত্রে হয়তো অশ্বেতাঙ্গ অভিবাসীদের মধ্যে কিছুটা
হলেও স্বস্তি ফিরে আসবে। কিন্তু রাজনীতিতে এই ‘শ্বেতাঙ্গ-অশ্বেতাঙ্গ’
দ্বন্দ্ব থেকে যেতে পারে। ভয়টা এখানেই। সুতরাং ফ্রান্সের এই প্রেসিডেন্ট
নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থাকলোই।
তবে এটা ঠিক, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়
এবং রাজনীতিতে উগ্র দক্ষিণপন্থী যে প্রবণতা, তা আটলান্টিকের ওপারে ইউরোপের
প্রায় প্রতিটি দেশই স্পর্শ করেছে। ইউরোপের মানুষ এই সস্তা ‘পপুলিজম’-এ
আকৃষ্ট হয়েছেন। যে কারণে দেখা যায় ব্রিটেনে দক্ষিণপন্থী তেরেসা মে’র উত্থান
ও ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন। অর্থাৎ ব্রিটেনের নিজস্ব স্বকীয়তা, ‘শ্বেতাঙ্গ
সুপ্রিমেসি’, অভিবাসন বিরোধিতাÑ ইত্যাদি সস্তা সেøাগান তুলে ব্রিটেন এখন
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেল। এই ব্রেক্সিটের প্রভাব যে ফ্রান্সে
লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। ব্রেক্সিটের প্রভাবে ম্যারিন লি পেনের পালে হাওয়া
লেগেছে। এ যাত্রায় হয়তো তিনি পার পাবেন না। এলিসি প্রাসাদে যাওয়ার রাস্তাটা
তার সহজ হবে না। কিন্তু এর প্রভাব থাকলোই। ১১ জুন সেখানে অনুষ্ঠিত হবে
সংসদ নির্বাচন। সেখানে দক্ষিণপন্থীরা যে ভালো করবে, তা বলাই বাহুল্য।
দক্ষিণপন্থী এই প্রবণতা শুধু ফ্রান্সে কেন? ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশ এই
দক্ষিণপন্থী প্রবণতায় আক্রান্ত। অস্ট্রিয়ায় নব্য নাজি নেতা নর্বাট হফার
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রায় জিতে গিয়েছিলেন। তিনি ফ্রিডম পার্টির নেতা।
জার্মানিতে জুন মাসে সংসদ নির্বাচন। ধারণা করা হচ্ছে, উগ্র দক্ষিণপন্থী
‘অলটারনেটিভ ফর জার্মান পার্টি’, যাদের নব্য নাজি হিসেবে চিহ্নিত করা
হচ্ছে, তারা সংসদে প্রথমবারের মতো যেতে পারে। হল্যান্ডে উগ্র দক্ষিণপন্থী
‘পার্টি ফর ফ্রিডম’ এর উত্থান লক্ষ্য করার মতো। মার্চে সেখানে সংসদ
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। এই দলটি নির্বাচনে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন
পেয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে (মার্চ ২০, ২০১৭) পরিসংখ্যান দিয়ে
দেখানো হয়েছে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, ইতালি, সুইডেন কিংবা
সুইজারল্যান্ডের মতো দেশে উগ্র দক্ষিণপন্থীরা নির্বাচনী রাজনীতিতে তাদের
অবস্থান শক্তিশালী করতে পেরেছে। তবে স্পেনে, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
পূর্বেকার সময় ফ্যাসিস্ট পার্টির জন্ম হয়েছিল, সেখানে বর্তমান উগ্র
দক্ষিণপন্থী রাজনীতির প্রভাব কম। একই কথা প্রযোজ্য রুমানিয়া, সেøাভাকিয়া,
চেক রিপাবলিকের ক্ষেত্রে। ফলে ফ্রান্সে ম্যারিন লি পেনের উত্থান ঘটবে, উগ্র
দক্ষিণপন্থীরা সেখানে শক্ত অবস্থানে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। ট্রাম্পের
রাজনীতিই মূলত এর জন্য দায়ী।
বলা ভালো, প্রথম দফা নির্বাচনে (২৩ এপ্রিল) ম্যাক্রোন পেয়েছিলেন শতকরা ২৩
দশমিক ৭ ভাগ ভোট, আর ম্যারিন লি পেন পেয়েছিলেন ২১ দশমিক ৭ ভাগ ভোট।
ব্যবধানটা খুব বেশি নয়। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে ছিলেন ফ্রাঁসোয়া জিয়োঁ
(১৯ দশমিক ৯ ভাগ ভোট) ও জ্যাঁ লুক মেলাশ (১৯ দশমিক ৬ ভাগ)। এর পরের অবস্থান
ছিল বেনায়েত হ্যামোর (৬ দশমিক ৩ ভাগ)। প্রথম দফা নির্বাচনের পরপরই
ফ্রাঁসোয়া জিয়োঁ ও বেনায়েত হ্যামোর ঘোষণা করেছিলেন, তারা দ্বিতীয় দফা
ভোটাভুটিতে ম্যাক্রোনকে সমর্থন দেবেন। সমস্যাটা তৈরি হয়েছে এখানেই।
ম্যাক্রোন আশঙ্কা করছেন, দ্বিতীয় দফা ভোটাভুটিতে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে
উপস্থিত হবেন না। মূলধারার প্রার্থীদের (ম্যাক্রোন ও ম্যারিন লি পেন মূল
ধারার প্রার্থী নন) সমর্থক ভোটাররা দ্বিতীয় দফায় ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হতে
উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। এখন যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে,
ম্যারিন লি পেনকে ঠেকাতে ‘বাম ও মধ্যপন্থীদের’ ঐক্য কাজ করবে কিনা?
বামপন্থী প্রার্থী জ্যালুক মেলাঁশ (চতুর্থ স্থান অধিকারী) এর সমর্থকদের ৬৫
শতাংশ জানিয়েছেন, তারা নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে অনুপস্থিত থাকবেন। অথবা
খালি ব্যালট পেপার জমা দেবেন। মাত্র ৩৫ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা লি পেনকে
ঠেকাতে ম্যাক্রোনকে ভোট দেবেন। সুতরাং প্রথম দফায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান
অধিকারীর সমর্থকরা কী করেন, তার ওপর নির্ভর করছে ভোটের ফল।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন, কতগুলো বিষয়
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উঠে এসেছে। ইউরোপিয়ান ঐক্য, অভিবাসন, অর্থনীতি,
ফরাসি নাগরিকদের মর্যাদা এবং সন্ত্রাসবাদÑ এ বিষয়গুলো আগামীতে ফ্রান্সের
রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। ১১ জুন সংসদ নির্বাচন। যদিও ফ্রান্সে সংসদীয়
রাজনীতি নেই। এখানে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান। সংসদের
ভূমিকা এ কারণে মুখ্য নয়, গৌন। তারপরও সংসদে যে দলের আসন বেশি থাকবে, তার
একটা ভূমিকা থেকে যাবেই। এরই মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মূল
ধারার রাজনীতিবিদদের বিদায় নতুন এক ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতির’ জন্ম হয়েছে
সেখানে। এখন দেখার পালা, এই রাজনীতি ফ্রান্সকে কোথায় নিয়ে যায় আগামীতে।
Daily Alokito Bangladesh
07.05.2017
0 comments:
Post a Comment