রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সৌদি আরব কাতার দ্বন্দ্ব ও উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতি


জুন মাসে প্রথম সপ্তাহে উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। সৌদি আরবসহ পারস্য উপসাগরকেন্দ্রিক জেসিসিভুক্ত কয়েকটি দেশ (আরব আমিরাত, বাহরাইন) কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এসব দেশের পাশাপাশি মিসর, ইয়েমেন, লিবিয়া ও মালদ্বীপও যোগ দেয়। এই পরিস্থিতি যখন এই অঞ্চলের রাজনীতিতে বড় ধরনের উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে, ঠিক তখনই গত ৭ জুন তেহরানে দুটি এলাকায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। প্রথম হামলাটি হয় ইরানের পার্লামেন্ট মজলিশে। ওই সময় মজলিশের অধিবেশন চলছিল। পার্লামেন্টে হামলার ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। পার্লামেন্টে হামলার আধ ঘণ্টা পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারেও হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এই হামলায় দায়-দায়িত্ব স্বীকার করলেও ইরানের সেনাবাহিনী এই হামলার পেছনে সৌদি আরব রয়েছে বলে দাবি করেছে। যদিও সৌদি আরবের জড়িত থাকার অভিযোগের কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সৌদি কাতার দ্বন্দ্বের সঙ্গে এই হামলার কতটুকু যোগসৃত রয়েছে তাও জানা যায়নি। তবে তেহরানের ঘটনা একই সঙ্গে সৌদি আরব ইরান দ্বন্দ্বকেও এখন উসকে দিল। এই সৌদি ইরান দ্বন্দ্বে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জড়িয়ে গেছেন।
পাঠকদের স্মরণ থাকার কথা, গত মে মাসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরব আমেরিকান শীর্ষ সম্মেলনে ইরানের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ এনেছিলেন। সব মিলিয়ে ইরানে সন্ত্রাসী হামলা এ অঞ্চলের রাজনীতিতে যেমনি নতুন একটি মাত্রা এনে দিয়েছে, ঠিক তেমনি ইরানের সঙ্গে ৬ জাতি যে পারমাণবিক সমঝোতা হয়েছিল তাতে এনে দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
বলা ভালো উপসাগরীয় অঞ্চলের জ্বালানি তেলের ওপর ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র নির্ভরশীল। সেই জ্বালানি তেলের মূল্য এখন ব্যারেলপ্রতি ৫০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। নিঃসন্দেহে শিয়া সুনি্ন দ্বন্দ্ব জ্বালানির তেলের মৃল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলবে। শিয়া সুনি্নর দ্বন্দ্বের রেশ ধরে সৌদি আরব অনেক আগেই ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। সেখানে সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি 'সামরিক জোট' গঠিত হয়েছে (বাংলাদেশ যার সদস্য), যদিও বলা হচ্ছে এই 'জোট'টি শুধু সন্ত্রাসবিরোধী একটি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে এবং জোট কার্যত একটি তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবে, যার মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকা- সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদান করবে। কিন্তু বাস্তবে এটি শুধু একটি তথ্য বিনিময় কেন্দ্র হিসেবেই থাকবে, নাকি সত্যিকার অর্থে একটি সামরিক জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, এ প্রশ্ন আছে।
এই সৌদি জোটের কর্মকা- অনেক প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে এখন । সৌদি আরব নিজে এ অঞ্চলের রাজনীতিতে অন্যতম একটি ফ্যাক্টর অর্থাৎ অন্যতম নির্ধারক হিসেবে নিজেকে দেখতে চায়। অতীতের কোনো সৌদি বাদশাহ এভাবে সৌদি পররাষ্ট্র নীতি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো বড় ভূমিকা পালন করেননি। কিন্তু বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের 'এপ্রোচ' একটু ভিন্ন। তিনি সৌদি আরবকে দেখতে চান এ অঞ্চলের রাজনীতির অন্যতম নির্ধারক হিসেবে। তাই তার নেতৃত্বে একটি সামরিক জোটের প্রয়োজন ছিল। সৌদি আরব পারস্য অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়াতে চায়। এর প্রকাশ হিসেবে আমরা দেখেছি ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি আরবের হস্তক্ষেপ তথা সৌদি বিমান বাহিনীর ইয়েমেনে অব্যাহত বোমাবর্ষণ। এর আগে লেবাননের গৃহযুদ্ধে সৌদি ট্যাঙ্ক বহরকে আমরা লেবাননে প্রবেশ করতে দেখেছিলাম। অতীতে কুয়েতের আমির যখন ইরাকি সেনাদের দ্বারা উৎখাত হন (১৯৯০), তখন সৌদি আরব আমিরকে আশ্রয় দিয়েছিল বটে। কিন্তু আমিরের সমর্থনে যেখানে কোনো সেনা বা বিমান পাঠায়নি।
২০১১ সালে তিউনেশিয়ায় 'জেসমিন বিপ্লব' জাইন আল আবেদিন বেন আলিকে ক্ষমতাচ্যুত ও বেন আলি সৌদি আরবে আশ্রয় নিলেও, সৌদি আরব তিউনেশিয়ায় হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু বাদশাহ সালসান বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতাসীন হয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র নীতিতে পরিবর্তন আনেন। আর তারই ফলে নতুন এক 'সৌদি আরব'কে আমরা দেখছি। সৌদি আরবের নীতি নির্ধারকদের বরাবরই একটা বড় ভয় ইরানকে নিয়ে। পারস্য অঞ্চলে রাজনীতিতে ইরানের ভূমিকা বাড়ছে। এবং ইরানের এই ভূমিকাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন স্বীকারও করে। ইরানের সঙ্গে ৬ জাতি পারমাণবিক চুক্তি ইরানে ধর্মীয় নেতা খোমেনিকে ওবামার গোপন চিঠি লেখা ইত্যাদি প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে ইরানের ভূমিকাকে স্বীকার করে নিয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প এখন ইরান সমঝোতাকে অস্বীকার করেছেন।
ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬ জাতি আলোচনায় যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে বিগত জানুয়ারি মাসে (২০১৬) ইরানের ওপর থেকে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছিল। ফলে ইরান আবারও একটি 'শক্তি' হিসেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। অতীতে ইরানি বিপ্লবের আগে (১৯৭৯) রেজা শাহ পাহলেভীর সময়ে ইরানের ভূমিকাকে 'পারস্যীয়' অঞ্চলের পুলিশের ভূমিকার সঙ্গে তুলনা করা হতো। ইরান সেই ভূমিকায় আবার ফিরে যাচ্ছে। সৌদি আরবের ভয়টা এখানেই। ইরানের উত্থান সৌদি আরবসহ এ অঞ্চলের শিয়া সম্প্রদায়কে আরও বেশি উৎসাহিত করবে।
বলা ভালো সৌদি জোটে সিরিয়াকে রাখা হয়নি। এটা সবাই জানেন সৌদি আরব চাচ্ছে সিরিয়ায় আসাদের উৎখাত। কিন্তু সৌদি পছন্দের তালিকায় আইএসও নেই। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আসাদবিরোধী দলগুলোর একটি সম্মেলন হয়েছিল রিয়াদে। সেখানে এমন অনেক দল অংশ নিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ ছিল। এ ক্ষেত্রে সৌদি আরবের ভূমিকা কী হবে এইসব দলও জোটের বিরুদ্ধে? অনেকেই জানেন ইসলামিক স্টেটের নেতৃত্বে সিরিয়ায় ও ইরানের একটা অংশ নিয়ে তথাকথিত একটি জিহাদি রাষ্ট 'সুনি্নস্তান,' এর জন্ম হয়েছে, যারা ওয়াহাবি মতাদর্শে ও আদি ইসলামিক রাষ্ট্রের ধ্যান-ধারণায় পরিচালিত হচ্ছে। সৌদি রাষ্ট্রের ভিত্তিই হচ্ছে এই ওয়াহাবী মতাদর্শ। এ ক্ষেত্রে আপাতদৃষ্টিতে আইএসের সঙ্গে সৌদি নীতি নির্ধারকদের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, আদর্শগতভাবে মিল তো আছেই। সুতরাং সৌদি-আইএস সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই।
আরও একটা কথা বলা দরকার। ইরাক ও সিরিয়ার তেলের কূপগুলোর একটা বড় অংশ ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। কালোবাজারে আইএস এই তেল বিক্রি করে। দৈনিক তাদের গড় আয় ২ মিলিয়ন ডলার। আর এ কারণেই আইএস পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী জঙ্গি গোষ্ঠিতে পরিণত হয়েছে। এই তেল তুরস্কের মাধ্যে দিয়ে অন্যত্র যায়। ইসরাইল এই তেলের অন্যতম ক্রেতা। এই তেল নিয়েই সেখানে একটি স্থল যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ছে। কেন না আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য কমে যাওয়ায় (ব্যারেল প্রতি বর্তমান মূল্য ৫০ ডলারের নিচে) এতে বহুজাজাতিক তেল কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের আয় কমে যাচ্ছে। ফলে একটি 'যুদ্ধ' শুরু না হলে এই তেলের মূল্য বাড়ানো যাবে না। তাই ধারণা করছি একটি যুদ্ধ সেখানে আসন্ন। পাঠকদের উপসাগরীয় অঞ্চলের তেলের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ধারণা দিতে চাই। ইরান ও সৌদি আরবের মাঝখানে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ যা 'স্ট্রেইট অব হরমুজ' নামে পরিচিত। এই সমুদ্রপথটি তেল সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বে সমুদ্রপথে যে পরিমাণ তেল পরিবহন করা হয় (প্রতিদিন ৫৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল), তার ২০ ভাগ (১৭ মিলিয়ন ব্যারেল) এই পথে পরিবাহিত হয়। ২০০৯ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন ব্যারেল (প্রতিদিন)। এখন তা বেড়েছে ১৭ মিলিয়ন ব্যারেলে (২০১৩)। ২০১৬ সালের পরিসংখ্যান মিলে দেখা যাবে, তা প্রায় ২০ মিলিয়ন ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে। প্রায় ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ 'স্ট্রেইট অব হরমুজ' প্রণালি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে ইরানি নৌবাহিনী। যে কোনো 'সংকটে' ইরান যদি এই জ্বালনি তেল সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তা বিশ্ব অর্থনীতিকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেবে। সৌদি আরবে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্রের বাজার। এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়লে এ অঞ্চলে মার্কিনি অস্ত্র ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে, যা মার্কিনি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। যারা আন্তর্জাতিক রাজনীতির কিছুটা খোঁজ-খবর রাখেন, তারা জানেন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আরও বেশ কটি সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে ছাপা হয়েছে।
এমনি এক পরিস্থিতিতে ইরানে সন্ত্রাসী হামলাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়া যায় না। বলা হচ্ছে এটা ইরানি-আইএসের কাজ। অতীতে আমরা কখনো আইএসের ইরানি সংস্করণের কথা শুনিনি। প্রধানত সুনি্ন মুসলমানদের মাঝেই আইএস কাজ করে এবং তারা সুনি্ন প্রধান মুসলমান দেশগুলোকে নিয়েই একটি খিলাফত প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এ ক্ষেত্রে ইরান একটি শিয়াপ্রধান দেশ। ইরানের জনগোষ্ঠীর শতকরা ৮০% শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। এ ক্ষেত্রে আইএস ইরানে তাদের কর্মকা- সাম্প্রসারিত করেছে, এটা আইএসের আদর্শের সঙ্গে মেলে না। সুতরাং একটা প্রশ্ন থাকলোই তেহরানে হামলায় কারা প্রকৃতপক্ষে জড়িত ছিল এবং তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল? নিশ্চয়ই আগামী দিনগুলোতে আমরা এর হিসাব মেলাতে পারব। তবে মোটা দাগে কতগুলো কথা বলা যায়।
প্রথমত, সৌদি আরবের নেতৃত্বে যে সামরিক জোট গঠিত হয়েছিল, তাতে ইরান আতঙ্কিত ছিল। এখন সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ইরান যে অভিযোগ এনেছে, তা হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
দ্বিতীয়ত, ট্রাম্প তার সৌদি আরব সফরের সময় ইরানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের অভিযোগ এনেছিলেন। এখন ইরানে সন্ত্রাসী হামলা হলো। তৃতীয়ত, কাতারের ব্যাপারে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত সুষ্পষ্ট অভিযোগ এনেছিল। এই দেশ দুটির অভিযোগ ছিল কাতার আইএসকে অর্থ জোগাচ্ছে। কাতার কর্তৃক এক মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। ট্রাম্পও অনেকটা কাতারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। কাতারের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক সাম্প্রতিককালে বেশ ভালো। এই কাতার-ইরান ঐক্যে ফাটল ধরাতে ইরানে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে এবং ইরানকে নিবৃত্ত করার 'কোন পক্ষের' কোন উদ্যোগ হতে পারে। চতুর্থত, উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতিতে ইসরাইলের ভূমিকাকে অস্বীকার করা যাবে না। এসব সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে একজন কট্টরপন্থি ওদেদ ইনন (ঙফবফ ণরহড়হ) ১৯৮২ সালে যে বৃহত্তর একটি ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন, তার সাথে কোন যোগসূত্র আছে কি-না, তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
সিরিয়া সংকটকে কেন্দ্র করে মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতি যখন এমনিতেই উত্তপ্ত, ঠিক তখনই সৌদি-কাতার দ্বন্দ্ব ও তেহরানে সন্ত্রাসী হামলা নতুন একটি মাত্রা এনে দিয়েছে। ইরানের সুনি্ন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপ-প্রধান রেজা সেইফুল্লাহ প্রতিশোধ নেয়ার কথা বলেছেন। এখন দেখতে হবে ইরান এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় কী সিদ্ধান্ত নেয়। তবে স্পষ্টতই মধ্যপ্রাচ্য তথা পারস্য অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ল।
Daily Jai Jai Din12.06.2017

1 comments: