রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

পারস্য উপমহাসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতি কোন পথে



পারস্য উপমহাসাগরের রাজনীতি এখন কোন পথে? সেখানে আরেকটি যুদ্ধ কি আসন্ন? সৌদি আরবসহ উপমহাসাগরীয় অঞ্চলভুক্ত আরব আমিরাত, লেবানন এবং সেই সঙ্গে মিসর, ইয়েমেন ও মালদ্বীপ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং এই রমজান মাসেও কাতারে সব ধরনের খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। পরিস্থিতি সেখানে দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে এবং সম্ভাব্য একটি যুদ্ধের আশঙ্কাও দেখছেন কেউ কেউ। অতীতেও পারস্য অঞ্চলে যুদ্ধ হয়েছে। পাঠকমাত্রই স্মরণ করতে পারেন, ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম গালফ যুদ্ধ হয়েছিল। ইরাক ১৯৯০ সালের আগস্টে কুয়েত দখল করে নিলে কুয়েতের সমর্থনে এবং জাতিসংঘের অনুমোদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ৩৯টি দেশের সেনাবাহিনী দখলদার ইরাকি বাহিনীকে কুয়েত থেকে উৎখাত করেছিল। ওই যুদ্ধে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছিল। দ্বিতীয় গালফ যুদ্ধের সূচনা করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ ২০০৩ সালের মার্চে। এবার ইরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলÑ ইরাকের কাছে মারণাস্ত্র রয়েছে, যা এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইরাক দখল করে নিয়েছিল। এর পরের কাহিনি আমরা সবাই জানি। সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ইরাক আজ বাহ্যত তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সেখানে জন্ম হয়েছিল ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনের। যারা সিরিয়ার একটি অংশ দখল করে সেখানে জঙ্গি রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে এবং আইএসকে সেখান থেকে উৎখাত করা যায়নি। এখন যে প্রশ্নটি খুব সহজেই করা যায় তা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে আইএসের উত্থানকে কেন্দ্র করে সেখানে যে ‘যুদ্ধ’ চলছে, তা কি এখন গালফ অঞ্চলের সর্বত্র ছড়িয়ে যাবে? একটি সৌদি-কাতার যুদ্ধ কি আসন্ন? আর যদি যুদ্ধ আদৌ শুরু হয় তাহলে বিশ্ব রাজনীতি কোনদিকে যাবে? সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থানই বা কী হবে? এ বিষয়ে আলোচনার আগে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন, তা হচ্ছে সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে হঠাৎ এই দ্বন্দ্ব কেন? এই দ্বন্দ্বের পেছনে সৌদি আরবের যুক্তি হচ্ছে, কাতার ইসলামিক ব্রাদারহুড ও হামাসের মতো কট্টরপন্থি ইসলামিক সংগঠনগুলোকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে আসছে, যা সৌদি নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এর পেছনে কিছুটা সত্যতা রয়েছে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে যা সত্য, তা হচ্ছে ইসলামিক বিশ্বের নেতৃত্ব কে দেবে, এ নিয়ে সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে এক ধরনের ‘সূক্ষ্ম প্রতিযোগিতা’ চলছে। সৌদি আরবে দুটি পবিত্র মসজিদ রয়েছেÑ আল মসজিদ আল হারাম (মক্কা শরিফ) ও আল মসজিদ আল নববী (মদিনা শরিফ)। বিশ্বের সব মুসলমানের জন্য এ মসজিদ দুটি পবিত্রতম স্থান। আর সৌদি বাদশাহ হচ্ছেন এই মসজিদ দুটির জিম্মাদার। এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরব মুসলিম বিশ্বের নেতা হিসেবে দাবিদার। কিন্তু মুসলিম বিশ্বের উন্নয়ন, দরিদ্রতা দূর করার জন্য যে দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব সৌদি আরব পালন করেনি। এমনকি যখন ইসরায়েলি বোমায় ফিলিস্তিনের গাজা শহর (২০১৪) ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, তখন সৌদি আরবের যে ‘ভূমিকা’ পালন করার কথা ছিল তা তারা করেনি। এখানে এগিয়ে এসেছিল কাতার। কাতারের বর্তমান যে শাসক তার একটি আলাদা ‘অ্যাপ্রোচ’ রয়েছে। যদিও সৌদি অর্থনীতি আর কাতারের অর্থনীতি একসঙ্গে মেলানো যাবে না। সৌদি অর্থনীতি অনেক বড় ও অনেক শক্তিশালী। কিন্তু এই বিশাল অর্থনীতি বিশ্বের দরিদ্রতম মুসলমান বিশ্বের জন্য ব্যয় হয় না। সৌদি যুবরাজরা এই অর্থের অপব্যবহার করেন। তাদের বিলাসবহুল জীবন প্রায় সময়ই নানা সংবাদের জন্ম দেয়। কিছুদিন আগে সৌদি রাজা ইন্দোনেশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি শুধু বিশাল একটি বহরই নিয়ে যাননি, নিজের ব্যবহারের জন্য একটি ‘লিফট’ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। অথচ মুসলমান প্রজন্ম অনেক আফ্রিকান দেশে, যেমন সুদান, সাদ কিংবা ক্যামেরুনে মানুষ না খেয়ে থাকে। এখানে সৌদি আরবের কোনো ভূমিকা নেই। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১২ সালে কাতার বিশ্বের ১০০টি দেশে, যার মধ্যে মুসলমান দেশও রয়েছে, ৫২৪ মিলিয়ন পাউন্ড সাহায্য দিয়েছে, যাতে করে ওই দেশগুলো এমডিজি অর্জন করতে পারে। সৌদি আরব মুসলিম বিশ্বের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। সৌদি-কাতার দ্বন্দ্বে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলো ইতোমধ্যে বিভক্ত হয়ে গেছে। অতি সম্প্রতি সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ফারমাজো ৮০ মিলিয়ন ডলারের একটি সৌদি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। সৌদি আরব ওই অর্থের বিনিময়ে সোমালিয়ার সমর্থন নিশ্চিত করতে চেয়েছিল। সোমালিয়া সৌদি-কাতার দ্বন্দ্বে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছে। এখানে বলা ভালো, ২০১৫ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বে যে সামরিক জোটটি গঠিত হয়েছিল (ইসলামিক মিলিটারি অ্যালায়েন্স টু ফাইট টেররিজম), তাতে কাতার এবং সোমালিয়াও সদস্য। এ জোটে মোট ৩৩টি দেশ রয়েছে। তবে এ জোটে সিয়েরা লিওন কিংবা আইভরিকোস্টের মতো দেশ থাকায় কিছু প্রশ্নের জন্ম হয়েছিল। কেননা এই দুটি দেশের স্থিতিশীলতা ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বজায় রাখতে অন্য দেশের সাহায্য নিতে হয়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী জাতিসংঘের আওতায় এ দুটো দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। একই সঙ্গে সৌদি আরব ও কাতার ‘গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের’ (জিসিসি) সদস্য। জ্বালানিসম্পদসমৃদ্ধ (তেল ও গ্যাস) জিসিসির জন্ম ১৯৮১ সালে। বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, আরব আমিরাতও জিসিসির সদস্য। সৌদি আরব-কাতার দ্বন্দ্বে বাহরাইন ও আরব আমিরাত সৌদি আরবের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে কুয়েত ও ওমানের অবস্থান অনেকটা নিরপেক্ষ। সৌদি-কাতার দ্বন্দ্ব যতটুকু না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি অর্থনৈতিক। তবে রাজনৈতক প্রশ্নেও এদের মধ্যে দ্বিমত আছে। অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বই বেশি। পারস্য অঞ্চলের জ্বালানিসম্পদ কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, এটা নিয়েই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। কাতারের রয়েছে বিশাল গ্যাসসম্পদ। বিশ্বের গ্যাসসম্পদের ১৪ শতাংশ রিজার্ভ রয়েছে কাতারে। এর পরিমাণ ৮৯৬ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট। সবচেয়ে বেশি গ্যাস রিজার্ভ রয়েছে রাশিয়ায়। তারপর রয়েছে ইরানে। বিশাল এক গ্যাসক্ষেত্র আবার ইরান ও কাতার ভাগাভাগি করে নিয়েছে। অন্যদিকে সৌদিতে তেল রয়েছে বেশি (২৬০ বিলিয়ন ব্যারেল, বিশ্বের শতকরা ১৮ শতাংশ), কিন্তু গ্যাস রয়েছে কম (৮৪৮৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন কিউবিক ফিট)। তাই এই গ্যাসসম্পদের ওপর সৌদি আরবের আগ্রহ থাকবে, এটা স্বাভাবিক। দ্বন্দ্বটা সেখানেই। একই সঙ্গে আরব আমিরাত কাতারের গ্যাসের ওপর পূর্ণ নির্ভরশীল। এই গ্যাস দিয়ে আমিরাত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। আরও একটা কথা, কাতার-তুরস্ক পাইপলাইনের মাধ্যমে কাতারের গ্যাস যাচ্ছে ইউরোপে। গ্যাস উত্তোলনে ইরান ও কাতারের মধ্যে এক ধরনের সমঝোতা রয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই বিষয়টি সৌদি আরবের না-পছন্দ। এর বাইরে বেশ কিছু রাজনৈতিক ইস্যুতে দেশ দুটোর মধ্যে পার্থক্য লক্ষ করা যায়। কাতার মিসরের ইসলামিক ব্রাদারহুড ও ফিলিস্তিনের হামাসকে সমর্থন করে আসছে এটা সত্য। ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ায় ব্রাদারহুড সমর্থক ড. মুরসি মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। কাতার তাকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু সৌদি আরব সমর্থন করেছিল ফিল্ড মার্শাল সিসিকে, যিনি এখন মিসরের প্রেসিডেন্ট। ঠিক তেমনি হামাসকে সমর্থন এবং হামাস নেতৃবৃন্দকে দোহায় আশ্রয় দিয়েছিলেন কাতারের আমির। কাতার ২০১৪ সালের আগস্টে গাজায় ইসরায়েলি বোমায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বাড়িঘরও নির্মাণ করে দিতে চেয়েছিল, যাতে ইসরায়েল রাজি হয়নি। সৌদি আরব কখনই হামাসকে সমর্থন করেনি। সুদান ও সাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সমঝোতা করা, দারফুর সংকটের সমাধান, জিবুতি ও ইরিত্রিয়ার মধ্যকার বিবাদের সমাধান, সিরিয়ায় আসাদবিরোধী ইসলামি গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন কিংবা লিবিয়ায় গাদ্দাফিকে উৎখাতে বিরোধী দলগুলোকে কাতারের সমর্থন সৌদি আরবে ভুল মেসেজ পৌঁছে গিয়েছিল। সৌদির রাজপরিবারের তরুণ নেতৃত্ব মনে করলেন এর মধ্য দিয়ে কাতার মুসলিম বিশ্বের ‘নেতা’ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, যা সৌদি আরবের গ্রহণযোগ্যতা মুসলিম বিশ্বে একটা প্রশ্নের মাঝে ফেলে দেবে। সৌদি আরবের ভয়টা ছিল সেখানেই। যদিও সৌদি অর্থনীতি অনেক বড়। লোকসংখ্যা ও আয়তনের দিক থেকেও সৌদি আরব কাতারের চেয়ে অনেক বড়। যেখানে সৌদি আরবের জিডিপির পরিমাণ (ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে) ১ দশমিক ৮০৩ ট্রিলিয়ন ডলার, সেখানে কাতারের জিডিপির পরিমাণ ৩৫৩ দশমিক ১৪৩ বিলিয়ন ডলার। কাতারের লোকসংখ্যা মাত্র ২৬ লাখ, যার মাঝে একটা বড় অংশ বিদেশি। আর সৌদি আরবের লোকসংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ। আরও একটি বিষয়Ñ অতি সাম্প্রতিককালে পারস্য অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোয় ইরানের ভূমিকা বাড়ছে। এই ভূমিকা সৌদি আরবের নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। এমনি এক পরিস্থিতিতে কাতার যখন ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার উদ্যোগ নেয়, সঙ্গত কারণেই তা সৌদি নেতৃত্বকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। বলা ভালো, সাম্প্রতিক সময় সিরিয়া, ইরাক, লেবানন ও ইয়েমেনে ইরানি প্রভাব বাড়ছিল। এটা সৌদি নেতৃত্ব ভালো চোখে নেয়নি। সৌদি আরবে শিয়া সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে সৌদি আরবের। সৌদি রাজবংশের বিরুদ্ধে শিয়া নেতৃবৃন্দ মানুষকে উসকে দিচ্ছেÑ এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি শিয়া নেতা নিমর আল নিমরে মৃত্যুদ- কার্যকর করেছিল সৌদি আরব। এই যখন পরিস্থিতি তখন কাতার সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় ‘নাক’ গলাচ্ছেÑ এমন অভযোগও শোনা গিয়েছিল। তাই খুব সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠবে, আইএসের নামে কারা সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়েছিল ইরানি পার্লামেন্ট ভবনে ও খোমেনির মাজারে? অভিযোগ সৌদি আরবের দিকে থাকলেও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ভূমিকাকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ যত বড়বে, ততই লাভ ইসরায়েলের। সৌদি আরব-কাতার দ্বন্দ্ব কোন দিকে মোড় নিচ্ছে, এই মুহূর্তে বলা যাবে না। মনে রাখতে হবে, কাতারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় ঘাঁটি রয়েছে। সেখানে প্রায় ১১ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। অন্যদিকে তুরস্ক সেখানে ৫০০ সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনো কোনো মার্কিন সাময়িকীতে কাতারে রেজিম চেঞ্জের আভাস দেওয়া হয়েছে। সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা (?) নিয়ে কাতারের শাসনকর্তা আমির তামিম বিন হামাদ আল খানিকে উৎখাত করতে পারে! তবে বিষয়টি অত সহজ নয়। তুরস্কের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি আমিরকে নিরাপত্তা দিতে পারে। তবে আল খানি পরিবার যারা ১৯৭২ সাল থেকে কাতার শাসন করে আসছে, এই পরিবারে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। ১৯৯৫ সালের জুন মাসে বর্তমান শাসক তামিম বিন হামাদ তার বাবা আমির খালিফকে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উৎখাত করে ক্ষমতা নিজের হাতে করায়ত্ত করেছিলেন। এখন পরিস্থিতি সেদিকে যাচ্ছে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দুটি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বিবাদ ও সংঘাত সারা মুসলিম বিশ্বকে প্রভাবিত করতে পারে। পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার বিষয় এখন।
Daily Amader Somoy
14.06.2017

0 comments:

Post a Comment