রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

রক্তাক্ত লন্ডন ও নির্বাচনের রাজনীতি



লন্ডন আবারও রক্তাক্ত হয়েছে। লন্ডনের ব্রিজ ও বরো মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলায় মারা গেলেন সাতজন, আর আহতদের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি।
এই হামলা হলো এমন একটা সময় যখন মানুষ প্রস্তুত হচ্ছে সাধারণ নির্বাচনের জন্য। ৮ জুন অর্থাৎ আগামীকাল সেখানে নির্বাচন। অনেক প্রশ্ন এখন। কেন এই সময়টা বেছে নিল সন্ত্রাসীরা? তাহলে কী আইএস নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে চাইছে? তাদের স্বার্থ কী? আইএস এর দায়দায়িত্ব স্বীকার করে নিলেও এই হামলা ব্রিটেনসহ সারা বিশ্বেই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এটা স্পষ্ট, এর একটি প্রতিক্রিয়া থাকবে এবং নির্বাচনে যে দলই বিজয়ী হোক, সেই দলকে ‘মুসলমান’ তথা অভিবাসনবিরোধী ব্যাপক কর্মসূচি নিতে হবে। আইএসের লাভটা এখানেই! বলা ভালো, ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেছে। এখন ‘নয়া সরকারকে’ ইইউর সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় যেতে হবে। ২০১৬ সালের ২৩ জুন গণভোটে হেরে ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন টেরেসা মে। তিনি ২০১৬ সালের ১১ জুলাই থেকে পার্টি এবং সেই সঙ্গে ব্রিটেনেরও নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। গণভোটের ওই রায়কে অনুসরণ করে ইইউর আর্টিক্যাল ৫০ অনুযায়ী ব্রিটেন গত মার্চ মাসে (২০১৭) ইইউ ত্যাগ করার আবেদন করে। এর অর্থ হচ্ছে, এ মুহূর্তে ব্রিটেন আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়। তবে চূড়ান্তভাবে বেরিয়ে যেতে আরো কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এবং ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ এই বেরিয়ে যাওয়ার কাজটি সম্পন্ন হবে। টেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপরই নিজের হাতকে আরো শক্তিশালী করা এবং ব্রেক্সিট আলোচনায় (ইইউর সঙ্গে) ব্রিটেনের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করতে আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রে হাউস অব কমন্সে তাঁর দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। বিরোধী দল লেবার পার্টি যদি আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবকে সমর্থন না করত, তাহলে ২০২০ সালেই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে’ ভোটাভুটিতে টেরেসা মের আগাম নির্বাচনের পক্ষে পড়ে ৫২২ ভোট, আর ১৩ ভোট বিপক্ষে। অর্থাৎ নিম্নকক্ষ আগাম নির্বাচনের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। এর ফলে ৮ জুন সেখানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। টেরেসা মের ভয় ছিল লেবার পার্টি ও সংসদের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডস তাঁর পরিকল্পনায় বাধা দিতে পারে। এতে ইইউর সঙ্গে তাঁর আলোচনায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে। যদিও সেই আশঙ্কা তিনি অনেক আগেই কাটিয়ে উঠেছেন। এখন নির্বাচনে বিজয়ী হলেও তাঁকে এক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেনা পরিশোধ করতে হবে। ইইউর সঙ্গে আলোচনায় ব্রিটেনের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ব্রিটেনে বসবাসকারী ইইউর নাগরিকদের বসবাস ও চাকরি করার অধিকারের ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
এখানে বলা ভালো, হাউস অব কমন্সের সদস্য সংখ্যা ৬৫০। সরকার গঠন করতে হলে দরকার হয় ৩২৬ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন। ব্রিটেনে মূলত একটি দ্বিদলীয় সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান। অর্থাৎ কনজারভেটিভ অথবা লেবার পার্টি মূলত ক্ষমতা পরিচালনা করে আসছে। অনেক দিন ধরেই তৃতীয় একটি পার্টির কথা বলা হলেও তৃতীয় পার্টির উত্থান সেভাবে ঘটেনি। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির অস্তিত্ব আছে বটে, কিন্তু সংসদে তাদের অবস্থান দুর্বল। বরং তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে স্কটিশ পার্টি স্কটল্যান্ড ন্যাশনালিস্ট পার্টি। ২০১৫ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আসন সংখ্যা ছিল ৩৩০। অন্যদিকে  লেবার পার্টি পেয়েছিল ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। আসন ছিল ২৩২। আর লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছিল মাত্র ৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। আসন মাত্র ৮। তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে স্কটল্যান্ড ন্যাশনালিস্ট পার্টি। তারা পেয়েছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। কিন্তু আসন ৫৬। অর্থাৎ স্কটল্যান্ডের যে ৫৯টি আসন রয়েছে তার মধ্যে ৫৬টি আসনই পেয়েছিল স্কটল্যান্ডের এই জাতীয়তাবাদী পার্টি। এখন যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে, কনজারভেটিভরা কী তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারবে? নাকি লেবার পার্টির নেতৃত্বে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠিত হবে? একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্টের সম্ভাবনাও দেখছেন কেউ কেউ।
একসময় মনে করা হতো টেরেসা মে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন, যাতে ইইউর সঙ্গে আলোচনায় তিনি একটি শক্ত অবস্থানে যেতে পারেন। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততই টেরেসা মের জনপ্রিয়তা কমছে। একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইউগভের চালানো এক জরিপে বলা হয়েছে, সরকার গঠনে টেরেসা মের কনজারভেটিভ পার্টি প্রয়োজনীয় আসন থেকে ১৬টি আসন কম পেতে পারে। তাহলে সরকার গঠনের জন্য টেরেসা মেকে স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া বিকল্প থাকবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, এটি সম্ভব হবে কি না? কেননা স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেত্রী স্টারজিওন কনজারভেটিভ পার্টির অনেক কর্মসূচির সমালোচনা করে আসছেন। এমনকি দলটি ছিল ব্রেক্সিটের বিপক্ষে। স্টারজিওন এখন চাচ্ছেন স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা। এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে যে জায়গাটি ব্রিটেন ছেড়ে দিল, ওই স্থানটিতে যেতে চান স্টারজিওন। অর্থাৎ স্কটল্যান্ড ইইউতে যোগ দিতে চায়। ফলে ব্রিটেনে একটি কোয়ালিশন সরকারে স্টারজিওনের যোগদানের সম্ভাবনা ক্ষীণ। গেল নির্বাচনের মতোই স্টারজিওন এবার ৫০টির ওপর আসন পাবেন বলে ইউগভের জরিপে জানা গেছে। জরিপে লেবার পার্টির অবস্থান তুলনামূলকভাবে ভালো দেখানো হয়েছে। গত নির্বাচনের চেয়ে লেবার পার্টি আরো ২৯টি আসন বেশি পাবে বলে বলা হয়েছে। এখানেও রয়েছে সমস্যা। সরকার গঠনের জন্য যে ৩২৬ আসন প্রয়োজন, তা যদি লেবার পার্টি না পায়, তাহলে লেবারকে সরকার গঠনের জন্য কোয়ালিশনে যেতে হবে। কিন্তু লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন সেটা চাচ্ছেন না। তিনি এরই মধ্যে এটা স্পষ্ট করেছেন, তাঁর দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে মিলে কোনো কোয়ালিশন সরকার গঠন করবে না। জনমত জরিপকে যদি আমরা ‘সত্য’ বলে ধরে নিই, তাহলে একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্টের জন্ম হতে যাচ্ছে ব্রিটেনে।
গেল নির্বাচনে ব্রিটেনে ব্যাপক অভিবাসী আগমন, ব্রেক্সিট ইস্যু একটা বড় প্রভাব ফেলেছিল। ব্যাপক অভিবাসী আগমন, বসবাস ও চাকরিবাকরি করার কারণে ব্রিটেনে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল। সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ধারণার জন্ম হয়েছিল যে অভিবাসীদের কারণে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকবে। তারা চাকরিবাকরি পাবে না। এ কারণেই ভোটাররা কনজারভেটিভ পার্টির দিকে ঝুঁকেছিল। এবারে নির্বাচনে কোনো একটি ইস্যু প্রাধান্য পাচ্ছে না। ব্রেক্সিটের প্রশ্ন এখন আর নেই। তবে ব্রেক্সিট-পরবর্তী আলোচনায় ব্রিটেনের শক্ত অবস্থানে থাকার বিষয়টি এবার গুরুত্ব পাচ্ছে। নির্বাচনের আগে দুটি বড় দলই তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে। কনজারভেটিভদের ইশতেহারে অভিবাসীদের সংখ্যা বছরে মাত্র কয়েক হাজারে সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্রেক্সিট আলোচনায় ব্রিটেনের অবস্থান ও স্বার্থ শক্তিশালী করা, পেনশনব্যবস্থার সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে ন্যাটো, জি-২০, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় ব্রিটেনের ‘কমিটমেন্ট’ অব্যাহত রাখা ও প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির ২ শতাংশ, উন্নয়নশীল বিশ্বে সাহায্যের পরিমাণ জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে লেবার পার্টির প্রতিশ্রুতিও তাই। তবে লেবার পার্টি বেশ কয়েকটি বড় বড় সেক্টর (পানি, পোস্ট, রেল) জাতীয়করণের প্রস্তাব করেছে। তবে ৩ জুন খোদ লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নির্বাচনে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলতে পারে। এর আগে ম্যানচেস্টারে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভোটাররা প্রভাবান্বিত হতে পারে। আর তাতে করে লাভবান হবে কনজারভেটিভরাই। আর তারা মুসলিম তথা অভিবাসনবিরোধী কঠোর আইন পাস করুক—এটাই চাচ্ছে!
এই নির্বাচন আমাদের জন্য, বিশেষ করে লন্ডনে বসবাসকারী বাঙালিদের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এবার নির্বাচনে ১৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে আটজন রয়েছেন লেবার পার্টি থেকে। কনজারভেটিভ পার্টি থেকে গেলবার একজন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও এবার পার্টি কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতকে মনোনয়ন দেয়নি। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে একজন মনোনয়ন পেয়েছেন। সাধারণত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা যেখানে বসবাস করেন, সেখানেই তাঁরা প্রার্থী হন। গেলবার তিনজন বাঙালি লেবার প্রার্থী—রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক ও রূপা হক নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। কনজারভেটিভ পার্টি বিজয়ী হলে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ব্যাপারে আরো কড়াকড়ি ব্যবস্থা আরোপ করা হবে। লন্ডন ও আশপাশের শহরের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের একটা বড় অভিযোগ, তাঁরা দক্ষ শেফ ও রেস্টুরেন্টকর্মী পাচ্ছেন না। স্থানীয় শ্বেতাঙ্গ কমিউনিটি এ পেশায় আসতে আগ্রহী নয়। ফলে বাংলাদেশের ওপর তাঁদের নির্ভর করতে হয়। কিন্তু ভিসা সমস্যার কারণে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে কর্মী আনতে পারছেন না। কর্মী সমস্যার কারণে ঝুঁকির মুখে আছে এই রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। নির্বাচনের আগেই টেরেসা মে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসীদের সংখ্যা বছরে মাত্র কয়েক হাজারে নামিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। তাঁর ওপর চাপ বাড়ছে। তিনি যদি এটি কার্যকর করেন, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশি অভিবাসীরা। এ ক্ষেত্রে রুশনারা, টিউলিপ ও রূপা হকদের ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশি পণ্যের আরো বাজার সম্প্রসারণের একটা সম্ভাবনা রয়েছে যুক্তরাজ্যে। এই বাজার সম্প্রসারণে তাঁরা কাজ করতে পারেন। দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় তথা নেতাদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। এই যোগাযোগকে আরো শক্তিশালী করতে পারেন তাঁরা।
মোটা দাগে যা বলা যায় তা হচ্ছে, নির্বাচনের পর যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো উন্নত হবে। বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের আগ্রহ আরো বাড়বে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরো শক্তিশালী করা, মানবাধিকার পরিস্থিতির আরো উন্নত করা, বিনিয়োগ বাড়ানো, নারী উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই দুই দেশের সম্পর্ক আরো উন্নতি হবে। অন্যদিকে ট্রেডিশনাল যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সম্পর্কে তেমন পরিবর্তন আসবে না। ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করার পর ব্রিটেনের রাজনীতিতে এখন পরিবর্তন আসবে ব্যাপক। অভিবাসনের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আসবে আরো। দক্ষিণ এশীয় ও পূর্ব ইউরোপের শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর অভিবাসন প্রক্রিয়ায়ও আরো কড়াকড়ি ব্যবস্থা আসবে। এতে যেকোনো ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নাগরিক হুট করে ব্রিটেনে বসবাস বা সামাজিক সুবিধা পাবেন না। ইউরোপ এখন ধীরে ধীরে নতুন এক রাজনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনকে এখন একা চলতে হবে। নতুন করে ইইউ তথা ইইউভুক্ত ২৭টি দেশের সঙ্গে ব্রিটেনকে আলাদা আলাদাভাবে চুক্তি করতে হবে। প্রায় সাত শর মতো চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। কাজটি সহজ নয়। এই জুন মাসেই এ আলোচনা শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো দলই যদি হাউস অব কমন্সে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, যদি একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্টের জন্ম হয়, তাহলে ইইউর সঙ্গে আলোচনায় জট বাঁধবে। ব্রিটেনের স্বার্থের প্রশ্নে যদি ন্যূনতম ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে ইইউর সঙ্গে আলোচনা এগোবে না। এই নির্বাচন তাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
Daily Kalerkontho
07.06.2017

0 comments:

Post a Comment