মিশরের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল সেখানকার গণতন্ত্র নস্যাতের একটি প্রক্রিয়া বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান। মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, প্রথম বিষয়টি হল, গণতান্ত্রিক সংকট মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকী। তারপরও মিশরে এই ঘটনাটি কেন ঘটল সেটি আলোচনার বিষয়। মোহাম্মদ মুরসির ব্যর্থ হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। তিনি মিশরের ক্ষমতায় আসার পর বেশি মাত্রায় ইসলামীকরণ করেছেন। তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা। মুসলিম ব্রাদারহুডের স্পষ্ট রাজনীতির গন্ডি থেকে তিনি বের হতে পারেন নি। কিন্তু আরব বসন্তের পর সেখানে একটি জাতীয় ঐক্যমতের প্রয়োজন ছিল। সে প্রয়োজন উপলব্ধি করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাহরীর স্কয়ারের বিপ্লবের পর তরুন প্রজন্মের অনেক প্রত্যাশা ছিল মুরসির কাছে। কিন্তু এই সময়ে মিশরে বেকারত্ব বেড়েছে ব্যপক হারে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত এক সপ্তাহে জ্বালাণি সংকট বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে। একারণে ধারণা করা হয়েছে, মুরসি মিশরের জন্য সমাধান নয়।
সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসলে আন্দোলনরত সেক্যুলার নাগরিকদের কি লাভ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক শামসুর রেহমান বলেন, মিশরের সেনাবাহিনী ১৯৫২ সাল থেকে ক্ষমতায় আছে। গত দুই বছর তারা সাময়িকভাবে মুরসিকে মেনে নিলেও বাস্তবে তারা অত্যন্ত সুবিধাভোগী একটি বাহিনী। এখন আন্দোলনকারীদের নেতা আল বারাদী সেনাবাহিনীকে সামনে রেখে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চেষ্টা করতে পারেন। আমার ধারণা, সেনাবাহিনী সেখানে একটা সেক্যুলার সরকারকে ক্ষমতায় আনতে পারে।
দৈনিক মানবজমিনে গৃহীত মন্তব্য.
৪ জুলাই ২০১৩
সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসলে আন্দোলনরত সেক্যুলার নাগরিকদের কি লাভ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক শামসুর রেহমান বলেন, মিশরের সেনাবাহিনী ১৯৫২ সাল থেকে ক্ষমতায় আছে। গত দুই বছর তারা সাময়িকভাবে মুরসিকে মেনে নিলেও বাস্তবে তারা অত্যন্ত সুবিধাভোগী একটি বাহিনী। এখন আন্দোলনকারীদের নেতা আল বারাদী সেনাবাহিনীকে সামনে রেখে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চেষ্টা করতে পারেন। আমার ধারণা, সেনাবাহিনী সেখানে একটা সেক্যুলার সরকারকে ক্ষমতায় আনতে পারে।
দৈনিক মানবজমিনে গৃহীত মন্তব্য.
৪ জুলাই ২০১৩
0 comments:
Post a Comment