গত
১২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট বা আইএসের
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলার ৯৬ দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এতে আইএসের
জঙ্গি নেটওয়ার্ক যেমনি ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি, ঠিক তেমনি আইএসের অগ্রযাত্রা
রোধ করাও সম্ভব হয়নি। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র একটা কথা এখন আলোচিত
হচ্ছে যে এই 'যুদ্ধ' কতদিন স্থায়ী হবে। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আগ্রাসন
চালিয়েছিল। তা স্থায়ী হয়েছিল ১৩ বছর। ২০১৪ সালে এসে আফগানিস্তান থেকে সব
মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও কিছু সৈন্য সেখানে রয়েই যাবে। এবং
নতুন একটি নিরাপত্তা চুক্তিও করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর ইরাকে যে
আগ্রাসন চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, তা স্থায়ী হয়েছিল ৮ বছর। এখন নতুন করে
সেখানে ৩১০০ সৈন্য পাঠানো হয়েছে, যারা কোনে 'যুদ্ধে' অংশ নেবে না। তবে
ইরাকি সেনাদের প্রশিক্ষণের কাজে নিয়োজিত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের 'দি আটলান্টিক' ম্যাগাজিন ১২ নভেম্বর তাদের এক প্রতিবেদনে
আমাদের জানাচ্ছে যে প্রতি ঘণ্টায় ইরাক-সিরিয়ায় বোমা বর্ষণে খরচ হচ্ছে ৩ লাখ
ডলার। যদি সীমিত পাল্লার বিমান আক্রমণ চলে, তাহলে মাসিক খরচ গিয়ে দাঁড়াবে
২০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ৩২০ মিলিয়ন ডলার। আর যদি দীর্ঘস্থায়ী বিমান হামলা
চলে, তাহলে এই খরচ বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে ৩৫০ মিলিয়ন থেকে ৫৭০ মিলিয়ন ডলারে। আর
অন্যান্য খরচ মাসে ১ বিলিয়ন থেকে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বলা ভালো
আফগানিস্তান ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মোতায়েন, যুদ্ধের পেছনে খরচ
হয়েছিল ৬ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। সুতরাং নতুন করে সিরিয়ায় ও ইরাকে
যুক্তরাষ্ট্রে যে যুদ্ধের সূচনা করেছে তার খরচ কত ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে
উন্নীত হবে। এটা এই মুহূর্তে বলা না গেলেও, এটা বলা যায় এ অঙ্কের পরিমাণ
কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। কেননা এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
মার্কিন জেনারেলরাই এমন কথা বলছেন।
পরিস্থিতি এখন যেদিকেই গড়াক না কেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরেকটি
আফগানিস্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছে সিরিয়ায়। এই মুহূর্তে এটা স্পষ্ট নয়_
যুক্তরাষ্ট্র শুধু বিমান হামলা চালিয়েই তাদের কর্মতৎপরতা সীমাবদ্ধ রাখবে,
বাকি একই সঙ্গে স্থল বাহিনীও পাঠাবে, যা তারা পাঠিয়েছিল আফগানিস্তানে। একটা
মিত্রবাহিনী ইতোমধ্যে গঠন করে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত ২২টি
রাষ্ট্র এই বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। কোনো কোনো রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে
বিমান হামলায় যোগও দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সেখানে মেরিন সেনা
পাঠায়নি। স্থানীয় উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো চাচ্ছে শুধু বিমান হামলা নয়, বরং
মেরিন সেনাও সেখানে পাঠানো হোক। এখানে বলা ভালো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
চেয়েছিল ইসলামী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশও যোগ দিক। বাংলাদেশ এই
প্রস্তাবে তার সম্মতি জানায়নি। যদিও এ অঞ্চলে জঙ্গি রাজনীতি বিস্তারের
ঝুঁকি রয়েছে। আল-কায়েদা নেতা জাওয়াহিরি গেল মাসে একটি ভিডিও বার্তার
মাধ্যমে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে আল-কায়েদার শাখা প্রতিষ্ঠা করার কথা
ঘোষণা করেছেন। এমনি এক পরিস্থিতিতে যেখানে এই অঞ্চলে জঙ্গিবাদের উত্থান
নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে বাংলাদেশ আইএসের বিরুদ্ধে কোনো অ্যালায়েন্সে যোগ
দিতে অস্বীকৃতি জানালো। এখানে বাংলাদেশের এই নীতি অনেকটা ভারতীয় নীতিরও
অনুসরণ মাত্র। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াশিংটন সফর
করে গেছেন। ওবামা-মোদি আলোচনায় ওবামাও মোদিকে এই অ্যালায়েন্সে যোগ দিতে
আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। মোদির সমর্থন ওবামা পাননি। এখন বাংলাদেশও আপত্তি
করল। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত
হয়ে গেল। তাতেও বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।
আইএসের জঙ্গি উত্থানকে ঠেকাতে মার্কিন অবস্থানকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করা
যায়। ইসলামিক জঙ্গিবাদ যে শুধু আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে বিঘি্নত করছে, তা নয়।
বরং বৈশ্বিক নিরাপত্তাকেও ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে_ মার্কিন এই মূল্যায়নের
সঙ্গে ওবামা প্রশাসন মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে সম্পর্কিত করতে চায়। তবে
বাস্তবতা হচ্ছে অনেক মুসলিম রাষ্ট্রই ওবামার ডাকে সাড়া দেয়নি। ফলে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের এই 'চতুর্থ যুদ্ধ' কীভাবে শেষ হবে কিংবা আইএসকে
পরিপূর্ণভাবে উৎখাত করা সম্ভব হবে কিনা, এ নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। অনেকেই
স্মরণ করতে পারেন ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট ইরাক কুয়েত দখল করে নিলে কুয়েত মুক্ত
করার লক্ষ্যেই জাতিসংঘের উদ্যোগে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ১৯৯১
সালের জানুয়ারিতে একটি বহুজাতিক বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। 'অপারেশন ডেজার্ট
স্টর্ম' নামে পরিচালিত ওই অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়েছিল
এবং কুয়েত শত্রুমুক্ত হয়েছিল। তা ছিল উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের
'প্রথম যুদ্ধ'। 'দ্বিতীয় যুদ্ধ' শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালের ২০ মার্চ। লক্ষ্য
ছিল একটাই ইরাক আক্রমণ করে ইরাককে সাদ্দামমুক্ত করা। অভিযোগ ছিল ইরাকের
কাছে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র রয়েছে, যা ওই অঞ্চল ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। এই
অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের অনুমতি ছাড়াই ইরাক আক্রমণ করল। সাদ্দাম
হোসেন উৎখাতই নয়, বরং সাদ্দাম হোসেনকে হত্যা করা হলো। অথচ ইরাকের কাছে
কোনো অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। 'দ্বিতীয় যুদ্ধ'
দীর্ঘস্থায়ী হয় দীর্ঘ ৮ বছর। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ইরাক থেকে সব মার্কিন
সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ততদিনে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এই যুদ্ধ ঘোষণার
কোনো অনুমতি ছিল না কংগ্রেসের। ওই যুদ্ধে শুধু কোয়ালিশন বাহিনীর সৈনিকের
মৃত্যু সংখ্যা ছিল সরকারিভাবে ৪৮০৯ জন, আর মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সংখ্যা
ছিল ৪৪৮১ জন। আর আহত হয়েছিল ৩২২২৬ জন। এ ক্ষেত্রে ইরাকি বাহিনীর হতাহতের
সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে, আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে একা
যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় করেছে ৬ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। চিন্তা করা যায়? অথচ
মার্কিন সমাজে বেকারত্ব রয়েছে। বৈষম্য রয়েছে। উচ্চশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা
সীমিত। এই বিপুল ব্যয় এসব সামাজিক খাতে ব্যয় করা যেত। লিবিয়ায়ও কর্নেল
গাদ্দাফিকে উৎখাত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র 'তৃতীয় যুদ্ধ' শুরু করেছিল ১৯
মার্চ, ২০১১। ওই যুদ্ধ স্থায়ী হয়েছিল সাত মাস। ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর যুদ্ধ
শেষ হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত ওই যুদ্ধে ন্যাটো একটি বড়
ভূমিকা পালন করেছিল। আর তাতে অংশ নিয়েছিল ১৯টি রাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ওবামা,
যিনি শান্তির জন্য ২০০৮ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, তিনি যুদ্ধ শুরু
করেছিলেন। কর্নেল গাদ্দাফির মৃত্যু ও ন্যাটোর বিমান হামলা বন্ধ, কিংবা
সেখানে একটি তথাকথিত সরকার গঠন করার পরও স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। লিবিয়া
এখন অস্ত্রবাজদের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। অস্ত্রবাজরা এখন রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ
করছে। 'মানবতার নামে সামরিক হস্তক্ষেপ'-এর যুক্তি তুলে ধরে সেখানে সামরিক
হামলা চালিয়ে দেশটি ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু শান্তি আসেনি।
এখন ওবামা আরো একটি ভুল করতে যাচ্ছেন। তিনি লিবিয়ার মতোই সিরিয়ায় ইসলামিক
জঙ্গিদের ওপর বোমা হামলার নির্দেশ দিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে 'চতুর্থ যুদ্ধ'
শুরু করেছেন। ইরাক যুদ্ধের সময় বুশ ছিলেন ক্ষমতায়। বুশের মতো তিনিও সংবিধান
লঙ্ঘন করেছেন। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের আর্টিকল ১, সেকশন ৮-এ বলা
আছে যুদ্ধ ঘোষণা কিংবা শুরু করার অধিকার কংগ্রেসের, প্রেসিডেন্টের কোনো
অধিকার নেই। প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ শুরু করতে পারেন না। কিন্তু ওবামা লিবিয়ার
ব্যাপারেও সংবিধান লঙ্ঘন করেছিলেন। আর এখন সিরিয়ার ব্যাপারেও করলেন। তবে
সিরিয়া ইরাক বা লিবিয়ার মতো নয়। ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধাদের পরাজিত করা অত
সহজ হবে না। সিআইএর হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৩০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে ইসলামিক
স্টেট বাহিনীর। মূলত ইরাকের সুনি্নদের নিয়েই এই বাহিনী গঠিত হয়েছে। বলা
হচ্ছে বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে আরো প্রায় ১৫ হাজার সেনা এই বাহিনীতে যোগ
দিয়েছে। এরা ইতোমধ্যে একটি দক্ষ বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। সাদ্দামের
সেনাবাহিনীর অনেক জেনারেল এই বাহিনীর সঙ্গে জড়িত। আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে
বলা যায় আইএস যেসব এলাকা 'স্বাধীন' করেছে সেখানে নিজস্ব প্রশাসন প্রতিষ্ঠা
করেছে। একটি সরকারও আছে। আছে মন্ত্রিপরিষদ। ধর্মীয় পুলিশ বাহিনীও রয়েছে
সৌদি আরবের মতো। তাদের কাজ হচ্ছে আজানের সময় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
রাখা ও ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী জনসাধারণ পরিচালিত হচ্ছে কিনা, তা দেখা ও
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। যতদূর জানা যায়, আবু বকর বুগদাদির দুজন ডেপুটি
রয়েছেন_ একজন ইরাকের জন্য। অন্যজন সিরিয়ার জন্য। বেশকিছু তেল ক্ষেত্র
(ইরাকের) এখন এদের দখলে। এই তেল বিক্রির অর্থ এখন তাদের আয়ের অন্যতম উৎস।
প্রতিদিন তাদের নিয়মিত এলাকা থেকে ২৫ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলিত হয়।
কালোবাজারে এর মূল্য দেড় থেকে ২ মিলিয়ন ডলার। প্রতিদিন এই অর্থ জমা হচ্ছে
ইসলামিক স্টেটের ফান্ডে।
আফগানিস্তানের মতোই যুক্তরাষ্ট্রের এই 'চতুর্থ যুদ্ধ' দীর্ঘায়িত হবে। এই
যুদ্ধ অনেক সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। আগামীতে প্রতিটি রাষ্ট্রেই এ যুদ্ধের
প্রভাব পড়বে। ইতোমধ্যেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। একটি বিশাল এলাকা
ইসলামিক জঙ্গিদের দখলে থাকায় ইরাক ও সিরিয়ার বর্তমান সীমানা আর থাকছে না।
সিরিয়ার মধ্যভাগ আর ইরাকের মধ্যভাগ নিয়ে গঠিত হতে পারে সুনি্ন প্রভাবাধীন
'সুনি্নস্থান' নামে নতুন একটি রাষ্ট্র, যে রাষ্ট্রটি একটি 'জিহাদি' রাষ্ট্র
হিসেবে পরিচিতি পেতে পারে। আইএস জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই রাষ্ট্রটি।
এরা কট্টর ইসলামিক ভাবধারায় পরিচালিত হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্ব কী চোখে এই সম্ভাব্য রাষ্ট্রটিকে দেখবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতিতে একটি পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।
রিপাবলিকানরা মধ্যবর্তী নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। ফলে একটি কট্টর নীতি তারা
গ্রহণ করবেন এবং ওবামাকে বাধ্য করবেন তাদের অনুসৃত নীতি গ্রহণ করতে।
মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গি উৎখাত যে তাদের প্রক্টর প্রায়োরিটি, এ বিষয়টি তারা
নিশ্চিত করছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ'-এর যে
নীতি, তার সম্প্রসারণ ঘটবে ইরাক ও সিরিয়ায়। ইরানের সঙ্গে 'সমঝোতার' যে
উদ্যোগ ওবামা নিয়েছিলেন, রিপাবলিকানরা তা পছন্দ করছে না। মধ্যপ্রাচ্যে
তাদের যে স্ট্র্যাটেজি, তাতে ইরানকেও তারা অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। ফলে এই
অঞ্চলে যুদ্ধ প্রলম্বিত হবে। এতে সমগ্র আরব রাষ্ট্র জড়িয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে
বিভিন্ন আরব রাষ্ট্রে অলিখিতভাবে অনেক সামরিক ক্যাম্প স্থাপন করেছে
যুক্তরাষ্ট্র। এখন তা আরো বাড়বে। আফগানিস্তান 'যুদ্ধ' শেষ হয়েছে। এখন নতুন
করে আরেক যুদ্ধ শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র। এই যুদ্ধ সহসা শেষ হবে না। কেননা
যুদ্ধ মানেই অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব। তাই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির স্বার্থেই
যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
Daily Jai Jai Din
19.11.14
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment