রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মার্কিন নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি

মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি এখন অন্যতম একটি আলোচিত বিষয়। এই কালো টাকাকে এরা বলছে ‘ডাক মানি’। প্রার্থীরা কীভাবে বিজয়ী হবেন, সেজন্য। নির্বাচনী প্রচারণায়, বিশেষ করে দলীয়ভাবে অপর পক্ষকে (এক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটদের) হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই এই অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠা সেন্টার ফর রেসপনসিভ পলিটিক্স তাদের গবেষণায় এই কালো টাকার একটি হিসাব দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, মধ্যবর্তী এই নির্বাচনে মোট ব্যয় হবে ৪ মিলিয়ন ডলার। শুধু নেতিবাচক প্রচারণার কাজে বেশি অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। চিন্তা করা যায়! তাও আবার পুরো নির্বাচনের জন্য নয়। মাত্র তিন শতাংশের এক শতাংশ সিনেট আসন ও পুরো প্রতিনিধি পরিষদের আসনের জন্য। তবে ২০০৮ সালে কালো টাকা খরচের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৫১ বিলিয়ন আর ২০১০ সালে ছিল ৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন। ২০১২ সালেও ৪ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল। কীভাবে খরচ হয় এ টাকা? মূলত টিভি বিজ্ঞাপন বাবদ, বিলবোর্ড নির্মাণ বাবদ অর্থাৎ প্রচারণার কাজেই এ টাকা ব্যয় হয়। এক্ষেত্রে দল অপর দলের বিভিন্ন সমালোচনা করে টিভিতে বিজ্ঞাপন দেয়। এটা বৈধ। প্রার্থীর ব্যক্তিগত চরিত্র, কিংবা কর্মকা- স্থান পায় কম। সেন্টার ফর রেসপনসিভ পলিটিক্স তাদের গবেষণায় দেখিয়েছে কীভাবে নেতিবাচক প্রচারণা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১০ সালের সিনেট নির্বাচনে ইতিবাচক প্রচারণা ছিল ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ, আর নেতিবাচক প্রচারণা ছিল ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৪ সালে তা বেড়েছে যথাক্রমে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ নেতিবাচক প্রচারণা বৃদ্ধি পেয়েছে। তেমনি প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে ২৭.৬ শতাংশ (২০১০) থেকে বেড়েছে ৪১.৪ শতাংশ (২০১৪)। ইতিবাচক প্রচারণা ছিল ৫২ (২০১০) ও ৪৭.৬ শতাংশ (২০১৪)। গভর্নর পদে নির্বাচনে এই নেতিবাচক প্রচারণা বেড়েছে ৩৩ শতাংশ (২০১০) থেকে ৪৭.৮ শতাংশ (২০১৪)। সুতরাং বোঝাই যায় এ নেতিবাচক প্রচারণা এবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে। এখানে বলা ভালো বিভিন্ন বেসরকারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এ নেতিবাচক প্রচারণায় টাকা দিয়ে থাকে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের চোবার্স অব কমার্স ৩১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার, ক্রসরোড সিপিএস ২৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন, লিগ অব কনজারভেটিভ ভোটারস ৯ দশমিক ৪ মিলিয়ন, ন্যাশনাল রাইফেলস অ্যাসোসিয়েশন ৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার ইত্যাদি। দেখা গেছে, এসব সংগঠনের মূল টার্গেট হচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা এবং তাদের প্রচারণার অর্থ হচ্ছে রিপাবলিকান প্রার্থীদের কংগ্রেসের উভয় কক্ষে বিজয়ী করানো।আজ যুক্তরাষ্ট্রে এ মধ্যমর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনের ফলাফলের ওপর মার্কিন রাজনীতির অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিশেষ করে ২০১৬ সালে এখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের ফলের ওপর মার্কিন রাজনীতির অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিশেষ করে ২০১৬ সালে এখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের ফল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের (২০১২) দুই বছর পর কংগ্রেসের উভয় কক্ষের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সিনেটের তিন শতাংশের এক শতাংশ আসন এবং হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের পুরো আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিনেট সদস্যরা ৬ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি রাজ্যের গভর্নর, কিছু রাজ্যের কংগ্রেসের, কোনো কোনো শহরের মেয়রের নির্বাচনও আজ একই সময় অনুষ্ঠিত হবে। ৪ নভেম্বর ৪৭১টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মাঝে রয়েছে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের ৪৩৫টি আসন ও সিনেটের ৩৬টি আসন। একই সঙ্গে প্রায় ৩৪টি গভর্নর পদেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট ওবামার ডেমোক্র্যাটিক দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সিনেট। ১০০ সিটের ৩৫টি আসন রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের। রিপাবলিকানদের হাতে রয়েছে ৪৫টি আসন। দুজন রয়েছে নিরপেক্ষ। অন্যদিকে ৪৩৫ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে রিপালিকানদের দখলে রয়েছে ২৩৩টি আসন। আর ডেমোক্র্যাটদের রয়েছে ১৯৯ আসন। এখন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এ আসন বিন্যাসে কী ধরনের পরিবর্তন আসে, তাই দেখার বিষয়। অতীতে কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে নানা জটিলতায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। গত বছর ‘শাট ডাউন’-এর মতো ঘটনাও ঘটেছিল। বর্তমানে দুটি ইস্যুতে (ইবোলা ও আইএসের উত্থান) ওবামা বিপদে আছেন। এখন কংগ্রেসে তার সমর্থন না থাকলে আগামীতে সরকার পরিচালনায় সমস্যা হবে। বুশের সময় সিনেট ছিল ডেমোক্র্যাট পার্টির দখলে। বুশ নিজে ছিলেন রিপাবলিকান পার্টির সদস্য। মজার ব্যাপার ওই সময় অর্থাৎ ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদও ছিল ডেমোক্র্যাটদের দখলে। পরিস্থিতি বদলে গেল প্রেসিডেন্ট কিনটনের সময়। কিনটনের সময় ১৯৯৫ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট নিয়ন্ত্রণ করেছে রিপাবলিকানরা। অথচ প্রেসিডেন্ট কিনটন ছিলেন ডেমোক্র্যাট। আবার প্রেসিডেন্ট বুশের (জুনিয়র) সময়সীমায়ও প্রথমদিকে ২০০১ থেকে ২০০৭ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট নিয়ন্ত্রণ করেছে রিপাবলিকানরা। প্রেসিডেন্ট ওবামার দুই টার্মে (২০০৮ সালে তিনি প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন) দুরকম দৃশ্য দেখা যায়। ২০১২ সালে পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদে তার দল ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আর প্রথম থেকে (২০০৮) এখন পর্যন্ত সিনেট ডেমোক্র্যাটদের দখলে। কিন্তু ২০১২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদ চলে গেছে রিপাবলিকানদের দখলে। ফলে চলতি ২০১৪ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিনটনের সময়কার পরিস্থিতির মতোÑ যখন কংগ্রেস নিয়ন্ত্রণ করেছে বিরোর্ধী রিপাবলিকান পার্টি, একটি পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটদের দখলে থাকছে প্রেসিডেনসি। কিন্তু কংগ্রেস নিয়ন্ত্রণ করবে বিরোধী রিপাবলিকান পার্টি।আমাদের দেশের মতো নির্বাচনে ওবামার দল যদি হেরেও যায়, তাহলে প্রেসিডেন্ট ওবামার পদত্যাগের কোনো সুযোগ নেই। অথবা তাকে পদত্যাগ করানো যাবে না। তবে প্রশাসন পরিচালনায় তিনি সমস্যায় পড়বেন এবং তাকে রিপাবলিকানদের সমর্থন নিয়েই প্রশাসন পরিচালনা করতে হবে। রিপাবলিকানরা তাদের পছন্দমতো বিল কংগ্রেসে পাস করতে পারবেন বটে কিন্তু প্রেসিডেন্ট তাতে ‘ভেটো’ দিতে পারবেন। অন্যদিকে ওবামার অনেক ইচ্ছার বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে বা। কেননা এতে রিপাবলিকানদের সমর্থন নাও থাকতে পারে। তবে এখানে আমাদের দেশের সঙ্গে একটি পার্থক্য উল্লেখ করা যায়। দলীয়ভাবে সংসদে আমাদের দেশে ভোট হয়। অর্থাৎ দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই সংসদ সদস্যরা ভোটাভুটিতে অংশ নেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে তারা যেতে পারেন না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সবসময় দলীয়ভাবে ভোট হয়, এটা বলা যাবে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোনো সদস্য দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে সরকারকে অথবা বিরোধী দলকে সমর্থন করতে পারেন। এতে তার সদস্যপদ চলে যায় না আমাদের দেশের মতো। আরও একটা কথা বলিÑ কোনো একটা দলের কোনো রাজ্য শাখা (যেমন টেক্সাস রিপাবলিকান শাখা) দলের মূল শাখার কোনো সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আলাদাভাবেও সিদ্ধান্ত নিতে পারে।এখন সংবাদপত্রের ভাষ্য যদি সত্যি হয়, তাহলে রিপাবলিকানরা সিনেটে আরও ৬টি আসন নিশ্চিত করে সিনেটে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখবে। ফলে কংগ্রেসের উভয় কক্ষে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে একের পর এক সমস্যা তৈরি করবে ওবামার জন্য। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র তথা অভ্যন্তরীণ নীতিতেও পরিবর্তন আসবে এবং ২০১৬ সালে যদি আমরা একজন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসে দেখি, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সংবাদপত্রে বলা হচ্ছে রিপাবলিকানরা খুব সহজেই মনটানা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও ডাকোটা রাজ্যের সিনেট আসনে বিজয়ী হবেন। একই সঙ্গে আলাস্কা, আরকানসাস, কলোরাডো, আইওয়া, লুসিয়ানা, নর্থ ক্যারোলিনা সিনেট আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও রিপাবলিকানরা এখানে বিজয়ী হতে পারেন। কানসাসে একজন দলনিরপেক্ষ ব্যক্তির বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে লুসিয়ানা ও জর্জিয়ায় প্রার্থীরা একটি ‘রানঅফ’-এর সম্মুখীন হতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত হবে আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে আরেকটি নির্বাচনের মাধ্যমে।এখন সত্যি সত্যিই যদি রিপাবলিকানরা বিজয়ী হন, তাহলে অনেক সমস্যায় পড়তে পারে আমেরিকাবাসী।এক. আন্তর্জাতিক আসরে কঠোর অবস্থানে যাবেন রিপাবলিকানরা। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পরিধি বাড়বে। ওবামা ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে শুধু বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। স্থলবাহিনী তিনি সেখানে পাঠাননি। রিপাবলিকানরা এখন সেখানে সরাসরি সৈন্য পাঠাবেন। কেননা তাদের মূল টার্গেট হবে আইএসের উৎখাত। বলা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ৫টি রাষ্ট্র (ইরাক, সিরিয়া, সৌদি আরব, ইয়েমেন ও লিবিয়া) ১৫টি রাষ্ট্রে পরিণত করতে ওয়াশিংটন উদ্যোগ নেবে। কারণ এতে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। রিপাবলিকানরা এ জন্য কাজ করবেন। যুদ্ধ শুরু হলে অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়বে। সামাজিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দুই. স্বাস্থ্য খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রবীণরা স্বাস্থ্য খাতে যে সুযোগ-সুবিধা পান, তা বন্ধ হয়ে যাবে। তিন. করপোরেট হাউসগুলোর সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাদের ট্যাক্স আরও কমানো হবে। ধনীরা আরও ধনী হবে। গরিবরা আরও গরিব হবে। চার. নতুন চাকরির বাজার সৃষ্টি হবে না। যে ৮০ লাখ বেকার হয়েছিল অতীতে, এ সংখ্যা আরও বাড়বে। নয়া গ্র্যাজুয়েটরা চাকরি পাবেন না। পাঁচ. ছাত্ররা সরকারের কাছ থেকে যে আর্থিক সহযোগিতা পায় (গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার জন্য এবং যা পরে তাদের চাকরি পেয়ে পরিশোধ করতে হয়) তাতে স্থবিরতা আসবে। নতুন করে কোনো ঋণ দেওয়া হবে না। এ ঋণের পরিমাণ এখন ১ ট্রিলিয়ন ডলার। ছয়. একটি রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস ‘অফশোর ড্রিলিং’-এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য এ অফশোর ড্রিলিং পরিবেশবাদীদের হতাশ করবে। বিশ্বব্যাপী কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন হ্রাসের যে দাবি (যুক্তরাষ্ট্র বড় কার্বন নিঃসরণকারী দেশ) তা থেকে পিছিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র। সাত. বৈদেশিক সাহায্য ও সুযোগ-সুবিধা হ্রাস পাবে। আট. ইমিগ্র্যান্টদের জন্যও কোনো ভালো খবর থাকবে না আগামী দিনগুলোয়।সব মিলিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনেক শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও কেউ কেউ হতাশা প্রকাশ করেছেন আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায়। দেখার পালা সত্যি সত্যিই সংবাদপত্রে যা বলা হয়েছে, তা সত্য হয় কি না। Daily Amader Somoy 04.11.14

0 comments:

Post a Comment