মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং জানুয়ারিতে রিপাবলিকান ডে অনুষ্ঠানে নয়াদিল্লিতে উপস্থিত থাকবেন। হোয়াইট হাউস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বলা ভালো, সেপ্টেম্বরে (২০১৪) মোদি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর তিনি বারাক ওবামার আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন যান এবং ওবামার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হন। তখন মোদি তাকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানান। ওবামা এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। ওবামা এর আগেও নয়াদিল্লি সফর করেছেন। ২০১৫ সালের প্রথমদিকে তিনি আবারও যাবেন। ২০১৬ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। পরিস্থিতি যা তাতে রিপাবলিকানদের পাল্লা ভারি। মধ্যবর্তী নির্বাচনে (নভেম্বর ২০১৪) রিপাবলিকানদের ভরাডুবি ঘটেছে। এমনি এক পরিস্থিতিতে ওবামা যখন ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান, তখন অনেক প্রশ্নের জন্ম হয়। এক. যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে নিম্নের অন্য অঞ্চলগুলোর তুলনায়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ল্যাটিন আমেরিকাও তেমন গুরুত্ব পায়নি। দুই. এর আগে ওবামা চীন সফরে গিয়েছিলেন। কার্বন ডাই-অক্সাইড হ্রাসের ব্যাপারে চীন-যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তি হয়েছে সত্য; কিন্তু অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। তিন. ভারত ও চীন বিশ্বের উঠতি অর্থনৈতিক শক্তি। এ দুই শক্তির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এখন বিশ্ব রাজনীতির গতি-প্রকৃতি বুঝতে সাহায্য করবে।
চীন ও ভারত উভয়েই এশিয়ার উঠতি শক্তি। মোদি নিজে একদিকে চীন, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে তার পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করছেন। সেপ্টেম্বরে তার যুক্তরাষ্ট্র সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ তিন সরকারের (চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) মধ্যকার সম্পর্ক বেশ কিছু দিন ধরে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্রদের মাঝে আলোচিত হতে থাকবে। একদিকে চীন, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র উভয় শক্তির পাশে ভারসাম্য রক্ষা করে ভারতের স্বার্থ মোদি কতটুকু রক্ষা করতে পারবেন, সেটাই দেখার বিষয়। ভুলে গেলে চলবে না, ভারত ও চীন উভয়ই 'ব্রিকস' এর সদস্য। 'ব্রিকস' সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়েছে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বিকল্প হিসেবে একটি ব্রিকস ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার, যা ২০১৬ সাল থেকে কাজ শুরু করার কথা। উপরন্তু চীন নতুন করে দক্ষিণ এশিয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছে। চীনা প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের সময় (২০১৪) একই সময়ে তিনি মালদ্বীপ ও শ্র্রীলঙ্কাও সফর করেছেন। এ দুটি দেশে বিপুল চীনা বিনিয়োগ রয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্টের পাকিস্তানেও আসার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তিনি পাকিস্তানে যাননি বটে। কিন্তু চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও চীন সফর করে এসেছেন। এ অবস্থায় এটা বোঝা যায়, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনা স্বার্থ বাড়ছে। ওয়াশিংটন এটা যে বোঝে না, তা নয়। এ অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়াতে হলে ভারতের সঙ্গে ওয়াশিংটনের 'দূরত্ব' কমাতে হবে। ওবামা প্রশাসনের কাছে মোদির গুরুত্ব তাই অনেক বেশি। এরই মধ্যে আফগানিস্তানে একজন নয়া প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নিয়েছেন। ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও নয়া আফগান প্রেসিডেন্ট নতুন একটি নিরাপত্তা চুক্তির আওতায় আরও বেশ কিছু দিনের জন্য মার্কিনি সৈন্য রাখতে চান। এ ধরনের একটি চুক্তি করতে বিগত আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তখন একটি নয়া নিরাপত্তা চুক্তি ও ভারতীয় ভূমিকা নিয়ে নানা আলোচনা হয়। এটা অনেকেই জানেন, ওবামা প্রশাসন চাচ্ছে ভারত আফগানিস্তানে একটি বড় ভূমিকা পালন করুন। আফগানিস্তানের অবকাঠামো উন্নয়নে কিংবা শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে ভারতের বড় ভূমিকা রয়েছে। যতদূর জানা যায়, আফগানিস্তানে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি অগ্রবর্তী ঘাঁটিও রয়েছে। এখন মোদি মার্কিনি স্বার্থ রক্ষা করে আফগানিস্তানের ব্যাপারে আরও বড় কোনো কর্মসূচি নেন কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। ফলে ওয়াশিংটনে মোদি-ওবামা শীর্ষ বৈঠক যে অনেকের কাছেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল, এটাই স্বাভাবিক। তবে এ বৈঠক কতটুকু ফলপ্রসূ হয়েছে, এটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। প্রতিরক্ষা খাতে ১০ বছর মেয়াদি যে সহযোগিতা চুক্তি তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। দুই দেশের স্বার্থ এর সঙ্গে জড়িত। সমুদ্র নিরাপত্তার ব্যাপারে দুই দেশের মনোভাব এক ও অভিন্ন। এ ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে, সে ব্যাপারেও চুক্তি হয়েছে। আজমীর, আহমেদাবাদ শহর আর বিশাখাপত্তম সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ করবে। সেইসঙ্গে ভারতের ছোট ছোট ৫০০ শহরে 'সোলার এনার্জি' চালু করবে যুক্তরাষ্ট্র। বেসরকারি খাতে এখানে বিনিয়োগ বাড়বে। সন্ত্রাস দমনেও দুই দেশের মনোভাব এক। লস্কর-ই-তৈয়্যেবা, জয়স-ই-মোহাম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনে অর্থায়নের ব্যাপারটি গুরুত্ব পেয়েছে বেশি। এ জঙ্গি সংগঠনে অর্থায়ন বন্ধে দুই দেশই কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে। বেসরকারি খাতে পারমাণবিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ব্যাপারে দুই দেশ নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। তবে কোনো কোনো ইস্যুতে ভারতের সমর্থন নিশ্চিত করতে পারেনি ওবামা প্রশাসন। বিশেষ করে ইরাক-সিরিয়ায় ইসলামিক জঙ্গী গোষ্ঠী। ইসলামিক স্টেটের আগ্রাসন রোধে ১৫ দেশীয় যে আন্তর্জাতিক একটি অ্যালায়েন্স গঠিত হয়েছে ওবামা প্রশাসন চেয়েছিল ভারত সেই অ্যালায়েন্সে যোগ দিক। কিন্তু ভারত তাতে রাজি হয়নি। যদিও খোদ ভারতের নিরাপত্তাও আজ হুমকির মুখে। আল কায়দার উপমহাদেশীয় শাখা গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারকে এ শাখার আওতায় আনা হয়েছে। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে যে আরও ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। তবে সুনি্ন জঙ্গি গোষ্ঠী 'ইসলামিক স্টেট'র উত্থান ও আরব দেশগুলোর সমন্বয়ে একটি কোয়ালিশন গঠিত হলেও ভারত এতে যোগ না দেয়ায় নিশ্চয়ই নানা প্রশ্নের জন্ম দেবে। ভারত আরব রাষ্ট্র নয়। তবে ভারতে মুসলমান ধর্মাবলম্বী এক বিশাল জনগোষ্ঠী রয়েছে। মুসলমানদের সঙ্গে মোদি সরকারের সম্পর্ক ভালো, তা বলা যাবে না। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদি নিজে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। ওই দাঙ্গায় প্রায় ১ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল, যাদের অধিকাংশই ছিল মুসলমান। সম্ভবত মার্কিনি চাপ উপেক্ষা করে যে কোনো আন্তর্জাতিক কোয়ালিশনে যোগ না দিয়ে মোদি সম্ভবত একটি মেসেজ দিতে চেয়েছেন। আর তা হচ্ছে, আইএস'র (ইসলামিক স্টেট) বিষয়টি আরব বিশ্বের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত কোনো অংশ হতে পারে না। উপরন্তু এতে করে ভারতের মুসলমানদের মধ্যে একটি ভিন্ন বার্তা পেঁৗছে যেতে পারে। ভারত এক্ষেত্রে একটি 'নিরপেক্ষ' অবস্থানই গ্রহণ করেছে। ভারতের এ ভূমিকাকে অনেকেই সমর্থন করবেন। ভারত যে মার্কিনি স্বার্থে সব সময় কাজ করে না, এটা আবারও প্রমাণিত হলো। ভারতের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে। আর সেই দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারাই ভারতের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হয়। শুধু জঙ্গি দমনে আন্তর্জাতিক কোয়ালিশনে যোগ না দেয়ার পাশাপাশি একটি যুক্তরাষ্ট্র-ভারত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও টিপিপি (ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ) চুক্তির ব্যাপারে মোদি কোনো 'কমিটমেন্ট' করেননি। মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন- এমন অভিমত ভারতের নীতিনির্ধারকদের। অন্যদিকে টিপিপি চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাপী একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অনেক দেশের সঙ্গেই এ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। তবে কোনো চূড়ান্ত চুক্তিতে এখনও উপনীত হয়নি। টিপিপিতে ভারতের অংশগ্রহণ বা না থাকা যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত। কেননা এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে এতে ভারতের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে তা নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।
তবে একটা জিনিস স্পষ্ট। মার্কিন নীতিনির্ধারকরা ভারতকে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চাইবে। এ জন্যই ওবামার ভারত সফর। ওবামা মিয়ানমারও সফর করেছেন। এখন মোদি সরকারে যদি অতি মাত্রায় মার্কিনি-ভীতি কাজ করে তবেই চীনের সঙ্গে সামরিক সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। এতে করে নতুন স্নায়ুযুদ্ধেই এরা জয়ী হতে পারে। মার্কিন নীতি এমনই আগ্রাসী হয়ে উঠছে। ইউক্রেন কিংবা রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব রয়েছে। রাশিয়াকে ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলার অংশ হিসেবেই ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে ন্যাটোর ৫নং ধারাবলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য সামরিক হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা বলে গণ্য করা হয়। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে 'অবিশ্বাসের' জন্ম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ফলে যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্নে নতুন কিছু খুঁজতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক।
সুতরাং চীন-যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ব্যাপারে আগ্রহ থাকবে অনেকের। মোদির ওয়াশিংটন সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করেছিল। আর এখন ওবামা আসছেন ভারতে। এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতির কারণে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগর এলাকায় তার নজরদারি বাড়িয়েছে। প্যাসিফিক এলাকা থেকে ছয়টি যুদ্ধ জাহাজ সরিয়ে এনে যুক্তরাষ্ট্র তা ভারত মহাসাগরে মোতায়েন করবে। ২০১৭ সালের মধ্যে এ মোতায়েন সম্পন্ন হবে। ফলে আগামী দিনগুলোতে ভারত মহাসাগর যে 'উত্তপ্ত' হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের আওতায় বাংলাদেশও পড়ে। বাংলাদেশ ওই সম্পর্কের বাইরে থাকতে পারে না। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে কেন্দ্র করে বাংলাদেশকে তার পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। বাংলাদেশ ওই সম্পর্কের বাইরে থাকতে পারে না। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যে ভালো, তা বলা যাবে না। নানা ইস্যুতে সম্পর্ক আগের মতো নেই। বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মাঝে আস্থার ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি কমিয়ে আনা প্রয়োজন। শীর্ষ পর্যায়ে কোনো মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ ভ্রমণ করেননি। ওবামা বাংলাদেশ সফর করবেন-এমন প্রত্যাশা ছিল অনেকের। দুই দুইবার পাশের দেশ মিয়ানমারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসছেন। ভারতেও আসছেন। কিন্তু বাংলাদেশ এ তালিকায় বাদ পড়ল। এমনকি ভাইস প্রেসিডেন্ট কিংবা সেক্রেটারি অব স্টেটের বাংলাদেশ সফরও তাদের কার্যতালিকায় নেই। যুক্তরাষ্ট্র নীতিতে এ ব্যর্থতা চোখে লাগার মতো।
দুই দেশের মাঝে বড় ধরনের কোনো মতপার্থক্য নেই, তা সত্য। তবে জিএসপি সুবিধা না পাওয়ায় বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর খুশি নন। অন্যদিকে মার্কিন অনুরোধ উপেক্ষা করে বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে আইএসবিরোধী কোনো জোটে যোগ দেয়নি। সব মিলিয়ে আমাদের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা প্রয়োজন। আগামীতে ভারত সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নেয়া যায়। নীতিনির্ধারকরা এ বিষয়টির দিকে নজর দিতে পারেন। মোদ্দাকথা, ওবামার আগামী ভারত সফর থেকে বাংলাদেশও ফায়দা ওঠাতে পারে। তবে ভারতের 'কৌশল'ও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে এক ধরনের ভারসাম্যমূলক নীতি গ্রহণ করছে। এটাই আমাদের জন্য একটি 'শিক্ষা'।
Daily Alokito Bangladesh
01.12.14
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment