রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

বেগম জিয়ার লন্ডন সফর এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতি

বেগম জিয়া লন্ডন গেছেন ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে। কবে ফিরবেন, সে ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া না গেলেও, এটা ধারণা করা হয় কোরবানির ঈদের পরই তিনি দেশে আসবেন। প্রধানত দুটো কারণে তিনি লন্ডনে গেলেন। প্রথমত চিকিৎসা এবং দ্বিতীয়ত পরিবার। বিশেষ করে বড় সন্তান তারেক রহমান ও প্রয়াত ছোট সন্তান আরাফাত রহমানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে কোরবানির ঈদ উদ্যাপন করা। তিনি লন্ডনে গেলেন এমন একটি সময় যখন তার বিরুদ্ধে একটি মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। দল পুনর্গঠনের কথা বললেও সে প্রক্রিয়া বেগম জিয়া এখনো শুরু করেননি। তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দল পুনর্গঠন নিয়ে তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন। তারেক রহমান দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং দলের ভবিষ্যৎ নেতা। বেগম জিয়া ৭০ বছরে পা দিয়েছেন। শারীরিকভাবে তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। তার সুস্থতার ওপর দলের অনেক কিছু নির্ভর করছে। এ মুহূর্তে দলে তারেক রহমান ছাড়া দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি নেই যিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তারেক রহমানের লন্ডন অবস্থানের কারণে বেগম জিয়াকে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছিল দলের পুনর্গঠন ও সিদ্ধান্ত নিতে। এখন বেগম জিয়া সে কাজটি সারবেন। তবে বেগম জিয়াকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগামীতে। তার অবর্তমানে দলের নেতৃত্ব কার হাতে থাকবে, কিংবা দলের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে দলে 'কার্যকরী সভাপতি'র একটি পদ সৃষ্টি করা যায় কি না, এটাও ভাবতে হবে। কেননা এটা স্পষ্ট যে, তারেক রহমান দেশে আসতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে বেগম জিয়া যদি জেলে যান বা অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে দল কে দেখবে? ইতোমধ্যে কর্নেল অলির (অব.) বিএনপিতে ফিরে আসা, কিংবা অধ্যাপক বি চৌধুরীর বিএনপিতে ফেরার আগ্রহ, রাজনৈতিক প-িতদের মাঝে নানা প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে বিএনপি এখনো বড় দল। জাতীয় পার্টির ব্যর্থতা বিএনপিকে সামনে নিয়ে এসেছে।
১ সেপ্টেম্বর বিএনপি ৩৭ বছরে পা রেখেছে। একটি রাজনৈতিক দলের জন্য এ ৩৭ বছর একেবারে কম সময় নয়। দলটি একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয়া এ রাজনৈতিক দলটি বর্তমানে এক কঠিন সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বোধ করি অতীতে কখনই দলটি এ ধরনের সংকটের মাঝে পড়েনি। যারা রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে কাজ করেন, তারা জানেন বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতিতে দলটির একটি শক্ত অবস্থান আছে। তিনবার দলটি ক্ষমতায় ছিল (১৯৭৮-১৯৮২, ১৯৯১-৯৬, ২০০১-২০০৬)। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে দলটির একটি অবস্থান আছে। ১৯৮২ সালে এরশাদের সামরিক অভ্যুত্থান ও ক্ষমতা থেকে বিএনপির উৎখাতের পর ওই সময় যখন বিএনপির অস্তিত্ব হুমকির মুখে ছিল, ঠিক তখনই একজন গৃহবধূ থেকে (১৯৮৩) রাজনীতির পাদপ্রদীপে আসেন বেগম জিয়া। তখন তিনিই বিএনপির অবিসংবাদিত নেত্রী। তাকে কেন্দ্র করেই বিএনপির রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ মানুষ যে বেগম জিয়াকে দেখেছিল একজন অবিসংবাদিত নেত্রী হিসেবে, সেই বেগম জিয়াকে এখন খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ৫ জানুয়ারির (২০১৪) নির্বাচনে অংশ না নেয়া কিংবা পরবর্তীতে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে যে সহিংস রাজনীতির জন্ম হয়েছে এ দেশে তা ব্যক্তিগতভাবে বেগম জিয়া তথা বিএনপির রাজনীতিকে উজ্জ্বল করেনি। বেগম জিয়াকে আমার এমন মনে হয়েছে 'নিঃসঙ্গ একজন নাবিক' হিসেবে, যিনি আদৌ জানেন না কোন দিকে এবং কোন পথে বিএনপি নামক জাহাজটিকে তিনি পরিচালনা করবেন। এক সন্তানহারা অন্য সন্তান অনেক দূরে, নেতা-কর্মীরা জেলে। নিঃসঙ্গ বেগম জিয়া এখন একাই বিএনপি। বর্তমানে বিএনপি নানা সমস্যায় আক্রান্ত এটা তো অস্বীকার করা যাবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিএনপি দল গোছানোর কথা বলছে। তবে বিএনপির কয়েকজন নেতার ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে শীর্ষস্থানীয় বিএনপি নেতাদের মাঝে এক ধরনের হতাশা আছে। বিএনপি ভাঙার গুজব এ কারণেই। বেগম জিয়াকে দিয়ে হবে না। কিংবা জিয়ার আদর্শে ফিরে যেতে হবে_ এ ধরনের বক্তব্য যখন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুখ থেকে বের হয়, তখন গুজবের নানা ডালপালা গজায়। মির্জা ফখরুল জামিন পেলেও, অনেকেই জেলে আছেন এখনো। অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা আছে। আর যারা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন ওই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করেছে সরকার। এর অর্থ পরিষ্কার, মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের 'ব্যস্ত' রাখতে চায় সরকার যাতে তারা 'আন্দোলনে' নিজেদের জড়িত করতে না পারেন। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অতীতে এমনটি কখনই দেখা যায়নি, এত বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা। ফলে এসব নেতা-কর্মী আর রাজপথে সক্রিয় হতে পারবেন না। বেগম জিয়াকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ২৭ ধারা অনুযায়ী (বিশেষ ট্রাইন্যুনাল গঠনসংক্রান্ত ধারা) বিচার, কিংবা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় শাস্তি দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, একই সঙ্গে ডান্ডি ডায়িং মামলায় তারেক রহমানকে 'শাস্তি' দিয়ে তাকেও অযোগ্য ঘোষণার মধ্য দিয়ে সরকার 'মাইনাস ওয়ান' ফর্মুলার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে বলে অনেকের ধারণা। এ ক্ষেত্রে বেগম জিয়াকে নির্বাচনে 'অযোগ্য ঘোষণা' (?) করা হলে আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি নির্বাচনের জন্য যোগ্য হবেন কি না, জানি না। তবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রশ্ন হবে তখন অবাস্তব। বেগম জিয়াই বিএনপির মূল শক্তি। বেগম জিয়া যদি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, বিএনপির 'বিকল্প নেতৃত্ব' নির্বাচনে অংশ নেবেন, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। বেগম জিয়া কিংবা তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে বিএনপি সংগঠিত হবে_ এটাও আমার মনে হয় না। সরকারের নীতিনির্ধারকরা যদি 'মাইনাস ওয়ান' ফর্মুলা কার্যকর করতে চান, আমার ধারণা তা কোনো কার্যকর 'ফল' দেবে না। 'আসল বিএনপি' কিংবা নাজমুল হুদার 'ফালতু কথাবার্তা'য় মানুষ খুব আস্থাশীল এটা আমার মনে হয় না। জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের আসনে বসিয়েও সরকার খুব লাভবান হয়নি। জাতীয় পার্টি এখন অস্তিত্বহীনতার মুখে। ফলে সরকারের কাছে এখন বিকল্প পথ দুটি। বিএনপিকে যে কোনোভাবে আস্থায় নিতে ২০১৬ সালের শেষের দিকে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়া। অথবা সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষের দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা। যে কোনো সময়ের চেয়ে সরকারের অবস্থান এখন অনেক শক্তিশালী। উপরোলি্লখিত দুটি সিদ্ধান্তের মাঝে একটি অর্থাৎ প্রথমটির ব্যাপারে সরকারের আগ্রহ কম। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত অর্থাৎ সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচনটিই সরকার করতে চায়। কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিকে বাদ রেখে যদি ২০১৮ সালে নির্বাচন হয়, তাহলে সমস্যা যা ছিল, তা-ই থেকে যাবে। বিএনপির সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক তৈরি না হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আর শক্তিশালী করা যাবে না।
এটা স্বীকার করতেই হবে বাংলাদেশে একটি দ্বিদলীয় ব্যবস্থার জন্ম হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিকল্পই বিএনপি, জাতীয় পার্টি নয়। দশম সংসদে জাতীয় পার্টি পারেনি। তাই যে কোনো বিবেচনায় বিএনপির সঙ্গে একটা আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা সরকারের জন্য জরুরি। কেননা বাংলাদেশ নিম্নমধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগের উপরে, যেখানে ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি এসেছে। এখন নিম্নমধ্য আয়ের দেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেতে হলে এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হবে। আর এর পূর্বশর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। বিএনপিকে আস্থায় নিয়েই এ স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। সংসদীয় রাজনীতিতে শক্তিশালী একটি বিরোধী দল থাকা দরকার। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু গত দেড় বছরের সংসদীয় রাজনীতির কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে দেখা যায় জাতীয় পার্টি সে দায়িত্বটি পালন করতে পারছে না। ফলে সংসদকে আরো গ্রহণযোগ্য, আরো অর্থবহ এবং সর্বোপরি একটি সঠিক জাতীয় নীতি প্রণয়নে সংসদে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা বাঞ্ছনীয়। আর বিএনপিই সে দায়িত্বটি পালন করতে পারে। বলা বাহুল্য, বিএনপি সংসদে না থাকলেও বিএনপি যে বাংলাদেশের রাজনীতির একটি অপরিহার্য অংশ, দাতাগোষ্ঠী এটা স্বীকার করে এবং তারা সবাই বিএনপিকে মূলধারার রাজনীতিতেই দেখতে চায়। ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের অবস্থানও আমার ধারণা অনেকটা সে রকম। সরকারের ভূমিকা তাই এ ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য। এটা স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অন্যতম দুটি শক্তি। এ দুটি দল দুটি রাজনৈতিক ধারার প্রতিনিধিত্ব করছে। অতীত ইতিহাস প্রমাণ করে, এ দুটি দলের একটিকে বাদ দিয়ে যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, তা স্থায়ী হয়নি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে এসেছিল জনগণের ভোটে। এর আগে ১৯৮৬ সালে এরশাদীয় জমানায় যে সংসদ নির্বাচন হয়েছিল, তাতে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করলেও বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় ওই সংসদ টিকে থাকেনি। ১৯৮৮ সালের সংসদও টেকেনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশ না নেয়ার কারণে। এ দুই দলের অংশগ্রহণ থাকার কারণেই পঞ্চম সংসদ (১৯৯১), সপ্তম সংসদ (১৯৯৬), অষ্টম সংসদ (২০০১) ও নবম সংসদ (২০০৮) গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। কিন্তু বিএনপির অংশগ্রহণ না থাকায় ৫ জানুয়ারির (২০১৪) দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি অনেক নমনীয় হয়েছে এবং তাদের আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দেয়া অনেক বক্তব্য বিশ্লেষণ করে আমার মনে হয়েছে বিএনপি সরকারের সঙ্গে একটি 'শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে' যেতে চায় এবং যা গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। বিএনপি নেত্রী ও বিএনপির মুখপাত্রের চারটি বক্তব্য দুটি বড় দলের মাঝে একটি 'বরফ গলা'র সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে বলে আমার ধারণা। এক. বেগম জিয়া বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক নয়, বরং একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। এর অর্থ বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাকে এখন আর গুরুত্ব দিচ্ছে না। দুই. সৈয়দ আশরাফ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলেন তিনি দলনিরপেক্ষভাবেই এ মন্ত্রণালয় পরিচালনা করবেন। বিএনপির মুখপাত্র এ বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিন. ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগকে বিএনপি সমর্থন করেছে এবং বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ইস্যুতে তারা সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। চার. বিএনপির পক্ষ থেকে 'স্বাভাবিক রাজনীতি' করার দাবি জানানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন একটা ধরপাকড়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে না। বিএনপি মুখপাত্র নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং করছেন। এখন দেখার পালা বিএনপিকে বড় সমাবেশ করতে সরকার দেয় কি না।
বেগম জিয়ার লন্ডন সফর গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি ফিরে আসার পরই বোঝা যাবে বিএনপি কোন পথে যাবে? বিএনপিকে নিয়মতান্ত্রিক পথেই আন্দোলন করতে হবে। গত তিন মাসের আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে বিএনপি নিশ্চয়ই অনেক কিছু শিখেছে। সরকারের নিজের স্বার্থেই এখন শক্তিশালী বিএনপিকে রাখা দরকার। তাতে একটা 'চেক অ্যান্ড ব্যালান্স' হয়। জাতীয় পার্টির সুবিধাভোগী আচরণের কারণে তারা এ কাজটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিএনপি কী কর্মসূচি নেবে, তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে বেগম জিয়ার ফিরে আসা পর্যন্ত Daily Jai Jai Din 22.09.15

0 comments:

Post a Comment