রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

অভিবাসী সমস্যা :আন্দামান থেকে ভূমধ্যসাগর

আন্দামান সাগরে ভাসমান বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের করুণ কাহিনীর রেশ শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভূমধ্যসাগরে তথা হাঙ্গেরিতে মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে সিরীয় শরণার্থীদের কাহিনী এখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনার অন্যতম বিষয়। মূল বিষয়, অর্থাৎ শরণার্থী সমস্যা এক থাকলেও, উভয় ঘটনায় কিছু মিল, কিছু অমিল আছে। ছোট শিশু আয়লান কুর্দির মৃতদেহ তুরস্কের উপকূলে পাওয়া গিয়েছিল বিধায় তা মিডিয়ায় ঝড় তুলেছিল এবং শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দ নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু আন্দামান সাগরে আয়লানের মতো কত রোহিঙ্গা শিশু না খেয়ে পিপাসায় মারা গেছে, তার হিসাব আমরা কোনো দিনই পাব না। সিরীয় কিংবা ইরাকি শরণার্থীদের এখন বলা হচ্ছে জবমরসব পযধহমব ৎবভঁমব অর্থাৎ সরকার পরিবর্তনের কারণে হাজার হাজার মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা যখন ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে তাদের দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল, তখন কোথাও আমি 'ধর্মীয় শরণার্থী' এ ধরনের কথা শুনিনি। তবে বাস্তবতা হলো এটা_ পাচারকারীরা আন্দামান সাগরে যেমনি শরণার্থীদের নিয়ে নৌকা ভাসিয়েছিল, ঠিক তেমনি ভূমধ্যসাগরেও তারা নৌকায় মানুষ তুলেছিল। এ মানব পাচারকারীরা আছে সর্বত্র। তাদের সবার চরিত্র এক।
তাই প্রশ্ন অনেক। এ মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে একটি চক্র। এরা যেমন আছে বাংলাদেশ-মিয়ানমারে, ঠিক তেমনি আছে তুরস্কে, থাইল্যান্ডে আর মালয়েশিয়ায়। এখানে পাচারকারীরা মূলত প্রথমে টার্গেট করেছিল রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের, যারা মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশের বাসিন্দা। মিয়ানমারে কয়েক বছর ধরেই এক ধরনের 'এথনিক ক্লিনসিং' অর্থাৎ অত্যন্ত সুকৌশলে মুসলমানদের আরাকান থেকে উৎখাত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মিয়ানমারকে একটি বৌদ্ধরাষ্ট্রে পরিণত করতে চান বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। আর এদের মদদ জোগাচ্ছে মিয়ানমারের শাসকচক্র। বৌদ্ধধর্ম শান্তির ধর্ম। এরা অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু আরাকানে বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের কর্মকা- তা প্রমাণ করে না। যারা সংবাদপত্রের নিয়মিত পাঠক, তারা লক্ষ্য করেছেন বেশ কিছু দিন ধরেই আরাকানে জন্ম নেয়া ও সেখানে বসবাসরত মুসলমান নাগরিকদের (যারা রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিত) ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। এক বছর ধরে মিয়ানমারে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হচ্ছে না। মিয়ানমারের শাসকচক্র মনে করেন রোহিঙ্গারা মূলত চট্টগ্রামের অধিবাসী এবং তারা অবৈধভাবে আরাকানে বসবাস করছেন! অত্যন্ত কৌশলে এদের বাংলাদেশের সীমান্তের দিকে ঠেলে দেয়ার প্রয়াস চালানো হয়েছে একাধিকবার। এরপর একটি 'চক্র' এদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাচার করার উদ্যোগ নেয়। এর সঙ্গে যোগ হয় বাংলাদেশের মানব পাচারকারীরা। বাংলাদেশিরাও চাকরির আসায় যেতে চায় মালয়েশিয়ায়। কৌশলে পাচারকারীরা তাদের বড় সাম্পানে তুলে দিয়ে পরে থাইল্যান্ডের পাচারকারীদের হাতে তুলে দেয় এবং মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সমস্যাটা তৈরি হয়েছিল এভাবেই। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও নেয়া হয় এবং পরে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। রোহিঙ্গাদের বলা হয়েছিল মালয়েশিয়ায় আশ্রয় দেয়ার কথা। এখানে মিয়ানমার সরকারের প্রচ্ছন্ম ইঙ্গিতও ছিল। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যা হয়েছে, তা হচ্ছে সমুদ্রোপকূলবর্তী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যদের যোগসাজশে এ মানব পাচার চলে আসছিল। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা নিয়েও খবর বের হয়েছিল। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা অস্বীকার করেছেন। এ মানব পাচারের ঘটনা যে এই প্রথম ঘটল, তা নয়। এর আগেও ঘটেছে। কিন্তু তা প্রকাশ পেয়েছে কম। এবারই সম্ভবত ব্যাপক মানব পাচারের ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে স্থান পেয়েছিল। এখানে আরো একটা বিষয় দৃষ্টকটু_ এ মানব পাচারের ঘটনা বাংলাদেশের নৌবাহিনী কিংবা কোস্টগার্ডের চোখ এড়িয়ে গেল কিভাবে? কোস্টগার্ডের না হয় সমুদ্রে যাওয়ার বড় জাহাজ নেই। কিন্তু নৌবাহিনী? সমুদ্রসীমায় টহল দেয়া, বিদেশি মাছ ধরা ট্রলারগুলোর বাংলাদেশি সমুদ্রসীমায় প্রবেশে বাধাদান, সমুদ্রসীমান্ত রক্ষা এসবই তো নৌবাহিনীর কাজ। তাদের তো গভীর সমুদ্রে যাওয়ার জাহাজ রয়েছে। অতিসম্প্রতি নতুন নতুন জাহাজ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে। লেবাননে শান্তি মিশনে গিয়েছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তাহলে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে সাগরপথে যে মানব পাচার হচ্ছে তা তাদের দৃষ্টিতে এলো না কেন? স্থানীয় কমান্ডার কি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পেরেছিলেন? আরো দুর্ভাগ্য আমাদের যে, এ ঘটনায় বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক নষ্ট হয়েছে। ভাবমূর্তি উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী ভূমিকা নেয়, সেটাই দেখার বিষয় এখন। আন্দামানের শরণার্থী আর ভূমধ্যসাগরের শরণার্থীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আলোচিত শিশু আয়লান কুর্দির বাবা আবদুল্লাহ গণমাধ্যকে জানিয়েছেন, তিনি পাচারকারীদের ৫ হাজার ইউরো দিয়েছেন ইউরোপে যাওয়ার পর। পাচারকারীরা সহজ একটি পথ বেছে নিয়েছিল তুরস্ক থেকে সমুদ্রপথে ছোট নৌকায় করে ইতালি যাওয়ার। অন্যদিকে, অনেকে ব্যবহার করেছেন বলকান রুট। এ 'রুট' ধরে তারা ঢুকে পড়েছিলেন হাঙ্গেরিতে। হাজার হাজার সিরীয়, ইরাকি আর আফগানের ভিড়ে গোটা বুদাপেস্টে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, কোনো সভ্য দেশের মানুষ আগে তা কখনই দেখেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে কিংবা স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পরও পশ্চিম ইউরোপের মানুষের এ ধরনের অভিজ্ঞতা হয়নি। হাজার হাজার মানুষ, যাদের মাঝে আছে শিশু ও কিশোরী, তাদের সবার টার্গেট জার্মানি যাওয়া। এসব শরণার্থী এসে ইউরোপে মূলত দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। পশ্চিম ইউরোপ শরণার্থীদের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল। অন্যদিকে, পূর্ব ইউরোপ এদের বহন করতে নারাজ। অনেক দিন থেকেই পশ্চিম ইউরোপ আফগান শরণার্থীদের আশা দিয়ে আসছিল। জার্মানিতে এ সংখ্যা এখন কয়েক লাখ, যাদের অনেকেই জার্মানির নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। আর মানব পাচারকারীরা এটাকেই ব্যবহার করছে এবং তারা সুযোগটি গ্রহণ করে সিরিয়া, ইরাক থেকে মানব সন্তান পাচারের উদ্যোগ নিয়েছে। এটা সত্য, বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, লিবিয়া থেকে ব্যাপকসংখ্যক মানুষের ইউরোপে অভিবাসন ঘটেছে অবৈধ পথে। তবে আফ্রিকা থেকে যারা আসছেন, তারা মূলত অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য, উন্নত জীবন, ইউরোপের জীবনযাত্রা, সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদিতে আকৃষ্ট হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেছেন অবৈধ উপায়ে। এমন খবরও শরণার্থীদের মুখ থেকে বের হয়েছে যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা ২ থেকে ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করেছেন অবৈধ পথে ইউরোপে যাওয়ার জন্য। আবার এমনও দেখা গেছে, দালালচক্র এমন শরণার্থীদের জিম্মি করে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ইউরোপে যাওয়ার ব্যাপারে অভিবাসীদের আগ্রহ বেশি কেন? এর একটা কারণ আমরা খুঁজে পেয়েছি যে, ইউরোপের অনেক নেতা এসব অভিবাসীর ব্যাপারে কিছুটা আগ্রহী! এর কারণ হচ্ছে, সেখানে জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার শূন্যতে নেমে এসেছে। অর্থাৎ পরিবারপ্রতি জনসংখ্যা বাড়ছে না। তরুণ প্রজন্ম তাদের স্ব স্ব পেশার প্রতি এত বেশি মনোযোগী যে, পৃথিবীতে সন্তান জন্ম দেয়ার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ্য কম। ফলে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী হ্রাস পাওয়ায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কল কারখানা চালানোর জন্য লোকের প্রচ- অভাব অনুভূত হচ্ছে। জার্মানি একটি শিল্পোন্নত দেশ। তাদের ফ্যাক্টরিগুলো চালাতে লোক দরকার। ফলে তারা পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করছে শরণার্থীদের অনুপ্রবেশে। একসময় জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলেই তা মঞ্জুর করা হতো। আশির দশকে হাজার হাজার আফগান নাগরিক জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তারা সেখানকার অর্থনীতিতে গড় অবদান রেখেছেন। আজকে ঘুরেফিরে সে পরিস্থিতি থেকে জার্মানি বেরিয়ে আসতে পেরেছে এটা মনে হয় না। তাদের 'শ্রমিক' দরকার কারখানাগুলো চালানোর জন্য। যদিও এটা সত্য, ১৯৯০ সালের পর পূর্ব ইউরোপ থেকে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর অভিবাসন ঘটেছে জার্মানিতে। এরা শ্বেতাঙ্গ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কোনো কোনো দেশের নাগরিক (যেমন চেক, পোল্যান্ড)। এরা আইনগতভাবেই জার্মানিতে থাকার ও চাকরি করার অধিকার রাখেন। কিন্তু তার পরও জার্মানিতে শ্রমিক সংকট রয়েছে। ফলে আজকে যারাই অবৈধভাবে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছেন, তাদের সবার টার্গেট থাকে জার্মানিতে যাওয়ার। এটা সত্য, ইউরোপে এ অভিবাসী সমস্যা কোনো একটি দেশের নয়। বরং সমস্যাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশের। তাই এর সমাধান ইউরোপীয় ইউনিয়নকেই খুঁজে বের করতে হবে। ইতোমধ্যে জার্মানির উদ্যোগে বলকান রাষ্ট্রগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল অংশ নিয়েছিলেন।
উদ্দেশ্য ছিল একটাই_ কী করে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা যায়। কিন্তু ভিয়েনা সম্মেলনে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জার্মানি চাচ্ছে ঐক্যবদ্ধভাবে ইইউর এ সমস্যা মোকাবেলা করতে। কিন্তু স্পষ্টতই ইইউর নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিভক্তি আছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, 'শেঙ্গেন জোন' (২৬ দেশ)-এর সুযোগ গ্রহণ করে এ অঞ্চলে একটি পাচারকারী চক্র অত্যন্ত সক্রিয়। ইইউভুক্ত প্রায় সব দেশ তাই 'শেঙ্গেন জোন'-এর অন্তর্ভুক্ত। এ 'জোন' ও অন্তর্ভুক্ত যে কোনা একটি দেশে প্রবেশ করলে অন্য দেশে ভিসা ছাড়াই যাওয়া যায়। ফলে পাচারকারীরা হাঙ্গেরিকে ব্যবহার করছে। প্রতিদিন হাঙ্গেরিতে পা রাখছে প্রায় তিন হাজার মানুষ। হাঙ্গেরি সার্বিয়ার সঙ্গে ১৭৫ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে, যাতে সার্বিয়া থেকে অবৈধ অভিবাসীরা হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করতে না পারে। একবার হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করলে ইইউভুক্ত যে কোনো দেশে যাওয়ার সুযোগ তাদের জন্য তৈরি হয় এবং তারা হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করা মাত্র ইইউর সব সুযোগ-সুবিধা পাবে। জার্মানিতে ইতোমধ্যে প্রায় ১২ হাজার লোক অস্ট্রিয়া দিয়ে প্রবেশ করেছে। জার্মান নাগরিকরা এদের প্রতি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ৬ বিলিয়ন ইউরো এদের জন্য বরাদ্দ করার কথাও বলেছেন জার্মান চ্যান্সেলর।
জাতিসংঘের মহাসচিব এ সেপ্টেম্বরেই অভিবাসীদের সমস্যা নিয়ে নিউইয়র্কে একটি শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করেছেন। সিরিয়া ও ইরাক সংকটের গভীরতা অনেক বেশি, তাতে সন্দেহ নেই। আফগানিস্তানেও 'যুদ্ধ' শেষ হয়ে গেছে এটা বলা যাবে না। আর মিয়ানমারে সংকটের চরিত্রটা একটু ভিন্ন ধরনের। সেখানে জাতিগত নিপীড়ন চলছে। যুদ্ধ আছে আফ্রিকাসহ, একাধিক দেশে। সোমালিয়া থেকে শুরু করে নাইজেরিয়া, কঙ্গো এবং সিয়েরা লিওনেও। ফলে মানুষ একটু বেঁচে থাকার জন্য দেশান্তরিত হবেই। জার্মানি ব্যাপকসংখ্যক সিরীয় অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু জার্মানির একার পক্ষে সব শরণার্থী গ্রহণ করা সম্ভবও নয়।
ফলে জাতিসংঘ যদি পৃথিবীর সর্বত্র 'যুদ্ধ বন্ধ' ও জাতিগত নিপীড়ন বন্ধ করার উদ্যোগ না নেয়, তাহলে মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাবেই। তাই হয়তো আগামীতেও আবার আন্দামানের নৌকা ভাসবে। নৌকা ভাসবে ভূমধ্যসাগরেও। Daily Jai Jai Din 13.09.15

0 comments:

Post a Comment