রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কোন পথে মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে গেল সপ্তাহে তুমুল গণবিক্ষোভের পর যে প্রশ্নটি এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে, কোন পথে এখন মালয়েশিয়া? সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক হিসেবে পরিচিত মাহাথির মোহাম্মদ নাজিব রাজাকের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, পদত্যাগ নয়, এই মুহূর্তে প্রয়োজন ঐক্য। নাজিবের আর একটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে ক্ষমতাসীন ফ্রন্ট তার প্রতি সমর্থন ছুড়ে দিয়েছে। অর্থাৎ তার নিজ দল ও ফ্রন্ট তার পেছনে আছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী সংকটকে আপাতত কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন বলে মনে হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে কেন এই অসন্তোষ? কেনই বা তার পদত্যাগের আহ্বান। নাজিবের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ওয়ান এমডিবি নামক রাষ্ট্রীয় তহবিলের ৭০ কোটি ডলার জমা হওয়া নিয়ে। এই অর্থ কী কাজে ব্যয় হবে, কিংবা কারা দিয়েছে, কেন দিয়েছে, এর জবাব প্রধানমন্ত্রী দিতে পারেননি। প্রশ্ন উঠেছে, মালয়েশিয়াতে ঘুষ, দুর্নীতি যেখানে কঠোর হাতে দমন করা হয়, সেখানে কী করে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিলে এত টাকা জমা হল? প্রশ্নটি তুলেছেন খোদ মাহাথির মোহাম্মদ। নানাভাবে এই টাকার কথা বলা হচ্ছে। ইহুদি হুমকি মোকাবিলায় এই অর্থের দরকার ছিল, কিংবা মালয়েশিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ওই অর্থ একটি উপহার- এ সব কথা নাজিব সমর্থকদের মুখ থেকে শোনা গেলেও সাধারণ মানুষের মাঝে এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ সংবাদটি পরিবেশন করলেও, উৎস সম্পর্কে কোনো কথা বলেনি। যে কারণেই বিদেশী উৎস থেকে এ টাকা পাওয়া যাক না কেন, নিশ্চয়ই তা সরকারি ফান্ডে অথবা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু যখনই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা হয়, তখন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ইমেজকে তা ক্ষতিগ্রস্ত করে। এরকমটি অতীতে কখনও দেখা যায়নি। অতীতে কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আমরা শুনিনি। এর মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ার নেতৃত্বে পরিবর্তন যদি নাও আসে, বলার অপেক্ষা রাখে না এতে করে বহির্বিশ্বে রাষ্ট্রটির ভাবমূর্তি অনেক নষ্ট হল। তুলনামূলকভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনীতি বেশ স্থিতিশীল। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মাঝে থাইল্যান্ডে কালার রেভ্যুলুশন সরকার পতন ও সামরিক অভ্যুত্থানের পথ প্রশস্ত করলেও বাকি দেশগুলোতে স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যায়। মালয়েশিয়ার রাজনীতিও অস্থিতিশীল ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হওয়ায় দেশটি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সেখানেও এক ধরনের কালার রেভ্যুলুশন-এর জন্ম হয়েছে, যারা হলুদ শার্ট পরিধান করে রাজধানী কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রস্থল দখল করে নিয়েছিল। এই আন্দোলন আরও গুরুত্ব পেয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের অংশগ্রহণের কারণে। যদিও এই কালার রেভ্যুলুশন থাইল্যান্ডের মতো কিংবা অতীতে ফিলিপাইনে কোরাজান আকিনোর ইয়োলো শার্ট মুভমেন্টের মতো স্থায়ী হয়নি। এখানে স্পষ্টতই একটা পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফিলিপাইনে কোরাজান আকিনো ১৯৮৬ সালে নিজে তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান মার্কোসের বিরুদ্ধে ইয়োলো শার্ট ম্যুভমেন্টের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। থাইল্যান্ডেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও তার বোন ইনলাক সিনাওয়াত্রার সমর্থকরা লাল শার্টপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আর তার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছিল (২০০৬) হলুদ শার্টপন্থীরা পিপলস অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির ব্যানার। এই লাল ও হলুদ শার্ট আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের পথ প্রশস্ত হয়েছিল। এ মালয়েশিয়ার আন্দোলনের সঙ্গে এর পার্থক্য এখানেই যে, মালয়েশিয়ার হলুদ শার্ট আন্দোলন স্থায়ী হয়নি। আন্দোলন শুরু হওয়ার পর আন্দোলনের খবর আমরা তেমন একটা পাইনি। পৃথিবীর অন্যত্র যেভাবে কালার রেভ্যুলুশন সংগঠিত হয়েছে, মালয়েশিয়াতে তেমনটি হয়নি। কায়রোর তাহরির স্কোয়ার-এ আন্দোলনকারীরা দুসপ্তাহ অবস্থান করে আরব বসন্তের জন্ম দিয়েছিল মিসরে। হোসনি মোবারকের পতন ঘটেছিল। থাইল্যান্ডেও আমরা এমনটি লক্ষ্য করেছিলাম। কিন্তু মালয়েশিয়ায় তেমনটি হয়নি। এর পেছনে আরেক কারণ থাকতে পারে। তবে সাধারণ মানুষের মাঝে যে হতাশা আছে, তা দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হল। প্রথমত, ১৯৫৭ সালের ৩১ আগস্ট ব্রিটিশদের কাছ থেকে রক্তপাতহীন প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতা অর্জন করার পর থেকেই একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা বারিসোয়া নেসিওনাল (Barisna Nasional) ক্ষমতা ধরে রেখেছে। এখানে কোনো শক্ত বিরোধী দলের জন্ম হয়নি। ক্ষমতাসীন ফ্রন্টে ১৩টি রানৈতিক দল রয়েছে। মূল শক্তি হচ্ছে উমনো বা United Malaya National Organization। এই ফ্রন্টে Malaysian Chinese Association ও Malaysian Indian Congress-এর মতো দলও আছে। এই দুটি সংগঠন চীনা ও ভারতীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে। মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪৬ ভাগ মালয়, আর ৩৫ ভাগ চীনা ও ১১ ভাগ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ২০১৩ সালে সর্বশেষ জাতীয় সংসদ (Dewan Rakyat)-এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে দেখা যায়, মোট আসন ২২২টির মধ্যে ন্যাশনাল ফ্রন্ট পেয়েছে ১৩৩ আসন (উমনো একা ৮৮ আসন), শতকরা হিসাবে ৫৯ দশমিক ৯১ ভাগ। অন্যদিকে এই প্রথমবারের মতো একটি শক্তিশালী বিরোধী জোট রয়েছে সংসদে (Pakatan Rokyat)। এই বিরোধী ফ্রন্টের মূল শক্তি হচ্ছে ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন পার্টি, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। বিরোধী ফ্রন্টের আসন সংখ্যা হচ্ছে ৮৯, শতকরা হিসাবে ৪০ দশমিক ০৯ ভাগ। তিনটি দল নিয়ে এই বিরোধী ফ্রন্ট, যেখানে মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টির (আসন ২১) মতো ইসলামিক দলও রয়েছে। শক্তিশালী বিরোধী দল গড়ে না ওঠায় ক্ষমতাসীন বারিসোয়া ন্যাশনাল বারবার ক্ষমতায় আসছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, নাজিব রাজাক, যিনি ক্ষমতায় আছেন ২০০৯ সাল থেকে), তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল একটি মানবাধিকার সংগঠন বেরসিহ। পরে অবশ্য পাঁচটি বিরোধী দল এই আন্দোলনে শরিক হয় (ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন পার্টি, পার্টি ইসলাম মালয়েশিয়া, পার্টি কোয়ালিশন রাকায়েত, পার্টি সোসাইলিস মালয়েশিয়া, সারাওয়াক ন্যাশনাল পার্টি)। দ্বিতীয়ত, নাজিব রাজাক নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যের ওয়ান মালয়েশিয়া গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তিনি কথা দিয়েছিলেন মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ও স্বচ্ছ প্রশাসনিক অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন। কিন্তু সংখ্যালঘুরা অভিযোগ করছেন যে, তারা বৈষম্যের শিকার। তৃতীয়ত, নাজিব প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন, তিনি সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন। তিনি নিজে ফেসবুক ও টুইটারের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কিছু কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হতেই তিনি সোসাল মিডিয়ায় কড়াকড়ি ব্যবস্থা আরোপ করেন। এখন শোনা যাচ্ছে, তিনি নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছেন, যাতে সোসাল মিডিয়ার ব্যাপারে কিছু বিধি-নিষেধ থাকবে। চতুর্থত, তিনি প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন, দেশকে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করবেন। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা গেল, তিনি খাদ্য ও জ্বালানিতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে করে বিত্তবানরা খুশি হবে, সাধারণ মানুষ খুশি হয়নি। তাই একটা অসন্তোষ ছিল। পঞ্চমত তিনি দুর্নীতি কমানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও, তার নিজের আর্থিক কেলেংকারির কারণে তিনি বিতর্কিত হয়েছেন। ষষ্ঠত, বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য তার স্ত্রী রোজমাহ মনসুর বারবার বিতর্কিত হয়েছেন (শুধু চুলের স্টাইল করার জন্য প্রতিবার খরচ করেন ৪০০ ডলার, বাংলাদেশী টাকায় ৩২ হাজার টাকা)। এটা পরোক্ষভাবে নাজিবের ইমেজ বৃদ্ধিতে কোনো ভূমিকা রাখেনি।প্রশ্ন হচ্ছে, নাজিববিরোধী এই আন্দোলন সরকারের ভিতকে কি আদৌ কাঁপিয়ে দিতে পেরেছে? মনে হয় না। নিঃসন্দেহে নাজিবের ব্যক্তি-ইমেজ এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সরকারের অবস্থান বেশ শক্তিশালী। মনে রাখতে হবে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যত্র যে আন্দোলন হয়েছিল, তা ছিল সরকারবিরোধী একটি আন্দোলন। এখানে অর্থাৎ মালয়েশিয়াতে আন্দোলনের চরিত্র কিন্তু সরকারবিরোধী নয়, তা ব্যক্তি নাজিবের বিরুদ্ধে। এক সময় মনে করা হতো মালয়েশিয়া এমন একটি সমাজ বিনির্মাণ করেছে, যেখানে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হয় না, বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে রয়েছে কঠোর আইন। এমনকি সুশাসনের জন্যও মালয়েশিয়া বারবার আলোচিত। যদিও এটা সত্য, এখানে যে গণতন্ত্র বিকশিত হয়েছে, তা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত। বিরোধীদলীয় কর্মকাণ্ডও সীমিত। এখানে রাজনীতির চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে উন্নয়নকে। অনেকেই বলার চেষ্টা করেন, মালয়েশিয়া উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি মডেল। এটা সম্ভব হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের কারণে, যিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আর ২০০৩ সালের ৩১ অক্টোবর অবসরে গিয়েছেন। উমনো থেকেও বিদায় নেন ২০০৮ সালে। তবে ২০০৯ সালে আবার উমনোতে ফিরেও এসেছিলেন। তার ভূমিকা নিয়েও এখন প্রশ্ন আছে। অতীতে তিনি আনোয়ার ইব্রাহিমকে দল থেকে, ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বহিষ্কার পর্যন্ত করেছিলেন। আনোয়ারের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ ছিল। অনেকের ধারণা তিনি দলে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী রাখতেন না (আনোয়ার ইব্রাহিম তার নিকট আত্মীয় এবং তাকে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গণ্য করা হতো)। এখন নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে তার অবস্থানও সেখানে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। দলকে মাহাথির মোহাম্মদ সঙ্গে পাননি। শুধু তাই নয়, সরকার উৎখাতের অভিযোগে পুলিশ এখন মাহাথিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।আগামী ১০ অক্টোবর সরকার সমর্থকরা রাজনীতিতে প্রায় ১০ লাখ লোকের একটি সমাবেশের আয়োজন করছে। এর মধ্যে দিয়ে নাজিব প্রমাণ করতে চান দল ও সাধারণ মানুষের সমর্থন তার প্রতি আছে। পুরো সরকারের সমর্থন নাজিব নিশ্চিত করেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ফলে আন্দোলনকারীরা খুব বেশি একটা সুবিধা করতে পারছেন না। নাজিব তার পদত্যাগের দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছেন। সরকার ও সরকারপ্রধান নাজিব রাজাক টিকে গেলেন বটে, কিন্তু মালয়েশিয়ার বুকে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তা সারবে কীভাবে? মালয়েশিয়ার শীর্ষ রাজনীতিবিদরা যে দুর্নীতির ঊর্ধ্বে নন, সেটা কি প্রমাণিত হল না এখন? নিঃসন্দেহে এতে করে মালয়েশিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট হল। বিরোধী জোটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। গত নির্বাচন এর বড় প্রমাণ। এখন আনোয়ার ইব্রাহিম যদি এই দুর্নীতির ইস্যুকে প্রাধান্য দেন, আমার ধারণা এতে করে তার ও জোটের জনপ্রিয়তা বাড়বেই। Daily Jugantor 10.09.15

0 comments:

Post a Comment