গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালির নাগরিক তাভেল্লা সিজারের হত্যার পর
থেকে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা বাড়ছেই। যে প্রচারণাটা সবচেয়ে
বেশি, তা হচ্ছে তাভেল্লা কিংবা জাপানের নাগরিক কুনিও হোশি হত্যাকা-ের সঙ্গে
ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জড়িত থাকার অভিযোগটি। এটি
ব্যাপক প্রচারণা পায় সাইট (ঝওঞঊ) নামক একটি জিহাদি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার
কারণে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কর্মকা-ের ব্যাপারে ‘সাইট’ অন্তত তিনটি সংবাদ
প্রকাশ করে এবং সর্বশেষ প্রতিবেদনটিতে তারা আবারও তাদের আগের ‘অবস্থান’-এ
অটল থাকে। তাদের দাবি, বিদেশি হত্যাকা- ও শিয়াদের ঐতিহাসিক তাজিয়া মিছিল
শুরু করার আগে যে ‘গ্রেনেড’ হামলা, এর সঙ্গে আইএস জড়িত। অবশ্য কোনো
প্রতিবেদনেই তাদের নিজস্ব মূল্যায়ন নেই, বরং আইএস দাবিকারী একটি বক্তব্য
তারা এ ওয়েবসাইটে তুলে দেয়। সর্বশেষ সংবাদে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য
প্রকাশ করে তারা এই বক্তব্যকে আইএসের জড়িত থাকার বিষয়টি ‘আড়ালে রাখার
বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা’ হিসেবেও অভিহিত করে। এ থেকেই এটা স্পষ্ট, ‘সাইট’
বাংলাদেশে আইএস আছে- এটি প্রমাণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে! এ ধরনের
প্রতিবেদন তারা আরও প্রকাশ করবে- এটিও আশঙ্কা করছি। তাদের উদ্দেশ্য
পরিষ্কার, বাংলাদেশে আইএস আছে- এটি প্রমাণ করা এবং কোনো পক্ষের এই প্রচারণা
থেকে সুবিধা নেওয়া। আমরা প্রথম থেকেই ‘সাইট’-এর ভূমিকার ব্যাপারে
সন্দিহান। প্রথমত, ‘সাইট’ ও এর কর্ণধার রিটা কাটজ অতীতে ইসরায়েলি গোয়েন্দা
সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করেছে এবং বর্তমানে সাইটের সঙ্গে ইসরায়েলি গোয়েন্দা
সংস্থার একটি সম্পর্ক থাকতে পারে! এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আইএস আছে- এটি
প্রমাণ করে ইসরায়েল কোনো স্বার্থ আদায় করে নিতে চায়! যারা আন্তর্জাতিক
সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেন, তারা জানেন- ইসরায়েল অনেক দিন ধরেই চাচ্ছে
বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্বীকৃতি। বাংলাদেশে কোনো কোনো ব্যক্তি অতীতে
ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে বিতর্কিত
হয়েছিলেন। ইসরায়েলকে বাংলাদেশ এখনো স্বীকৃতি দেয়নি (ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের
কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে)। উপরন্তু ফিলিস্তিনিদের ‘হত্যা’ ও নির্যাতনের
ব্যাপারে বাংলাদেশ বরাবরই সোচ্চার। দ্বিতীয়ত, আরও একটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া
প্রয়োজন। সাইট মূলত একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের নিজস্ব কোনো গবেষণা না থাকলেও
তারা জিহাদি সংগঠনগুলোর ব্যাপারে আগ্রহী এবং এ ব্যাপারে ‘বিভিন্ন সূত্র’
থেকে তথ্য সংগ্রহ ও তা ‘বিক্রি’ করে। মোসাদ ও পেন্টাগন তাদের অন্যতম
ক্রেতা। মুসলমানপ্রধান বাংলাদেশ একটি ‘জঙ্গি হুমকির দেশ’ (?)- এটি দেখিয়ে
বাংলাদেশের কাছ থেকে কোনো পক্ষ কোনো সুবিধা আদায় করে নিতে চায়।
প্রসঙ্গক্রমেই মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির দিকে আমরা দৃষ্টি দিতে পারি।
সেখানে সিরিয়া-ইরাকে গৃহযুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার
বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণ পুরো দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। চিন-রাশিয়া-ইরান ঐক্য এ
ক্ষেত্রে মার্কিনি স্বার্থকে আঘাত করছে। চিন ‘ঘিরে ফেলা’র স্ট্র্যাটেজি
চিনকে কয়েকটি ‘চিনারাষ্ট্রে’ পরিণত করা, মিয়ানমারে অং সান সু চিকে ক্ষমতায়
বসিয়ে (?) সেখানে মার্কিনি স্বার্থ বাস্তবায়ন করা- এসবই পেন্টাগনের
স্ট্র্যাটেজিতে রয়েছে। সিরিয়াস পাঠক মাত্রই জানেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ঝঙঋঅ ও
অঈঝঅ চুক্তি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি আইএসের বিরুদ্ধে যে বিশ্ব
অ্যালায়েন্স গড়ে উঠছে (Global Coalition to Counter ISIL), ৬২ দেশ যার
সদস্য- যুক্তরাষ্ট্র চাইছে বাংলাদেশ ওই অ্যালায়েন্সে যোগ দিক। SOFA বা
Status of Force Agreement কিংবা ACSA বা Acquisition of Cross servicing
Agreement চুক্তিতে বাংলাদেশ যদি স্বাক্ষর করে, তাহলে বাংলাদেশে সাময়িকভাবে
মার্কিন সেনা মোতায়েন, জ্বালানি গ্রহণ, পোর্ট অব কল সুবিধা পাবে- যা
মার্কিন নীতিনির্ধারকরা চাইছেন। এখানে তত্ত্বগতভাবে যদি সন্ত্রাসী কর্মকা-
(?) বেড়ে যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বাংলাদেশকে চুক্তি স্বাক্ষরে
বাধ্য করা সহজ হবে। আরও একটি বিষয় লক্ষণীয়- যেখানে প্রায় তিন হাজার
পূজাম-পে দুর্গাপূজা নির্বিঘেœ সম্পন্ন হয়েছে বড় ধরনের কোনো অনাকাক্সিক্ষত
ঘটনা ছাড়াই, সেখানে ঢাকার হোসেনি দালানে ‘গ্রেনেড’ হামলা চালানো হয়। তাহলে
কোনো ‘পক্ষ’ কি বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে?
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব প্রায়ই আন্তর্জাতিক সংবাদের জন্ম দেয়।
পাকিস্তানে শিয়াদের মিছিলে হামলায় ২২ জন প্রাণ হারান- ঠিক একই সময়
বাংলাদেশে তাজিয়া মিছিলের প্রাক্কালে গ্রেনেড হামলা হয়। বাংলাদেশে অতীতে
কখনো শিয়াদের ওপর হামলা হয়নি। এমনকি শিয়া-সুন্নিদের দ্বন্দ্বের কোনো খবরও
আমাদের জানা নেই। এখন বাংলাদেশকে কি সেদিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? এখানে
প্রসঙ্গক্রমেই আরও একটি কথা বলা প্রয়োজন। তা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর
বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত সন্ত্রাসী কর্মকা-ের নাম করে সেখানে সামরিকভাবে
হস্তক্ষেপ বা সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার একটি উদ্যোগ নিয়ে আসছে। আফ্রিকায়
নতুন একটি কমান্ড (AFRICOM) প্রতিষ্ঠা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের পরবর্তী
টার্গেট মালি, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া। পাঠকদের জানিয়ে রাখি, অছওগ (আল কায়েদা
ইন ইসলামিক মাগরেব) মালি, মৌরিতানিয়া ও নাইজারে তৎপর। নাইজেরিয়ায় তৎপর বোকো
হারাম ও আনসারু নামের সংগঠন। সাহেলা জোনে তৎপর আনসার ডাইন বা মুজওয়া নামে
উগ্র জঙ্গি সংগঠন। এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ ও স্ট্র্যাটেজিক ভূমিকা
মার্কিনিদের কাছে গুরুত্ব থাকবেÑ এটিই স্বাভাবিক। এ জন্যই সেখানে অঋজওঈঙগ
প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর
দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে সীমিত মার্কিন সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে
কিনা, সেটিই বড় প্রশ্ন এখন। পাঠকদের একটু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, পৃথিবীর
বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৮০০ সেনাছাউনি
রয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রকে বছরে ১৫৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হয়। কোনো
মার্কিনিকে এ জন্য বছরে দিতে হয় ১০ থেকে ৪০ হাজার ডলার। সচেতন পাঠক মাত্রই
জানেন, মার্কিন অর্থনীতিই হচ্ছে যুদ্ধ অর্থনীতি। যদি বিশ্বে যুদ্ধ
প্রলম্বিত হয়, তাহলে মার্কিন অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। এ কারণেই যুদ্ধটি (?) খুব
প্রয়োজন ওবামা প্রশাসনের জন্য। মধ্যপ্রাচ্যে যে যুদ্ধের শুরু হয়েছিল
সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে ২০০৩ সালে, ওই যুদ্ধের অবসান হওয়ার
সম্ভাবনা ক্ষীণ। এই যুদ্ধ এখন সম্প্রসারিত হবে আফ্রিকায়। যেখানেই যুদ্ধ
সম্প্রসারিত হয়েছে, সেখানেই বেড়েছে সন্ত্রাস। পাঠক, বাংলাদেশে সন্ত্রাস
নেইÑ এ কথাটি আমরা বলছি না। অতীতে জঙ্গিদের তৎপরতা ও তাদের সন্ত্রাসী
কর্মকা- আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। ত্রিশালে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ওই জঙ্গিরা জননিরাপত্তাকে কতটুকু হুমকির মুখে ঠেলে
দিয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে এবং তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক
জঙ্গিগোষ্ঠীর আদৌ যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিনাÑ এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত
নই। দুটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিতে চাই এ প্রসঙ্গে। লন্ডনের Institute for
Economics and Peace প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসবাদী কর্মকা-
পর্যালোচনা করে এবং দেশগুলোকে একটি র্যাংকিং করে। চলতি বছর ২০১৪ সালের যে
Global Terrorism Index (১৬২ দেশ নিয়ে) প্রকাশ করেছে, এতে বাংলাদেশের
অবস্থান ২৩ নম্বরে (স্কোর ৫ দশমিক ২৫)। সন্ত্রাসী কর্মকা-ের শীর্ষে রয়েছে
ইরাক, এরপর আফগানিস্তান ও তৃতীয় অবস্থানে পাকিস্তান। সাধারণত কত ধরনের
সন্ত্রাসী কর্মকা- হয়েছে, কত মানুষ মারা গেছে, কত মানুষ আহত হয়েছে কিংবা
জানমালের কত ক্ষতি হয়েছেÑ এটি বিবেচনায় নিয়েই সন্ত্রাসবাদের র্যাংকিং করা
হয়। শীর্ষ ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম না থাকায় এটি প্রমাণ করে,
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ কোনো ঝুঁকির মুখে নেই। এমনকি বাংলাদেশকে একটি
‘ব্যর্থরাষ্ট্র’ (?) হিসেবে প্রচারণা চালানোরও কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এটি স্বীকার করে না। ওয়াশিংটনের Fund
for Peace প্রতি বছর যে Failed state (অকার্যকর রাষ্ট্র)-এর তালিকা
প্রকাশ করে, সেখানেও বাংলাদেশের অবস্থান অনেক নিচে। Very High Alert কিংবা
High Alert ভুক্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ নেই। যদিও বাংলাদেশ, মিয়ানমার,
শ্রীলংকা ও নেপালকে এক কাতারে রাখা হয়েছে (অষবৎঃ), তা যে আদৌ ঝুঁকিপূর্ণ
নয়, এটি স্পষ্ট স্বীকার করবেন। দক্ষিণ সুদানকে ‘অকার্যকর রাষ্ট্র’-এর
শীর্ষে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে কারও দ্বিমত নেই। মোট ১২টি ক্ষেত্র বিবেচনায়
নিয়ে অকার্যকর তালিকা প্রকাশ করা এবং একটি স্কোর দেওয়া হয় (যেখানে দক্ষিণ
সুদানের স্কোর ১১৪.৫, সেখানে বাংলাদেশের স্কোর ৯১.৪)। এই গবেষণায় বাংলাদেশ
প্রসঙ্গে একটি বিষয় উঠে এসেছে। তা হচ্ছে, সুশীল সমাজের মধ্যে বিভক্তি এখন
অনেক গভীরে (১০-এর মধ্যে ৯ দশমিক ৬)। তবে বহির্শক্তির হস্তক্ষেপের আশঙ্কা
এখানে কম (১০-এর মধ্যে ৫ দশমিক ৭)। ফলে সামগ্রিকভাবে অনেক দেশের চেয়ে
বাংলাদেশের অবস্থান বেশ ভালো। এরপরও এখানে মাঝে মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকা- বড়
ধরনের সংবাদের জন্ম দেয়। বাংলাদেশ এখন একটি জটিল সময় পার করছে। ইতালির
নাগরিক হত্যাকা-ের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক
‘বড়ভাই’-এর সংবাদও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে দিয়েছেন। হত্যায় ব্যবহৃত
মোটরসাইকেলটি পুলিশ উদ্ধার করতে পারলেও যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের
ব্যাপারে একটি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে
দাবি করা হয়েছে, তাদের ‘অনেক আগেই’ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর পেছনে সত্যতা
যতটুকুই থাকুক না কেন, পুলিশের ভূমিকাকে আমরা ছোট করে দেখতে চাই না।
আস্থাটা রাখতে চাই। তবে কথিত ‘বড়ভাই’-এর একটি রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় (যিনি
টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী দু’বছর ধরে দেশের বাইরে) নানা বিভ্রান্তি এতে তৈরি
হতে পারে!
আমরা আশা করছি, একটি সুষ্ঠু তদন্ত আমরা পাব। তাজিয়া মিছিলের প্রাক্কালে হামলারও সুষ্ঠু তদন্ত আমরা চাই। এতে বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এখন তাভেল্লা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করায় অন্তত এটি প্রমাণিত হলো, ওই হত্যাকা-ের সঙ্গে আইএস জড়িত ছিল না। আমরা বারবার এ কথাটিই বলতে চেয়েছি, বাংলাদেশে আইএসের ‘অপারেটিভ’ নেই। তাদের সম্পর্ক থাকতে পারে। এখন প্রত্যাশা করছি, হোসেনি দালানে হামলার ঘটনায় যারা জড়িত ছিল, তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে এবং আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হবÑ এই হামলার সঙ্গেও আইএসের সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাদের স্বার্থে এটি প্রয়োজন। এসব তদন্ত রিপোর্ট বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকা- আরও বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের কাছে বাংলাদেশের সঠিক পরিস্থিতি ও অবস্থা তুলে ধরা দরকার। দূতাবাসের মিডিয়া উইং খুব শক্তিশালী নয়। তারা সঠিক দায়িত্বটি পালন করতে পারছেন বলে মনে হয় না।
আমরা আশা করছি, একটি সুষ্ঠু তদন্ত আমরা পাব। তাজিয়া মিছিলের প্রাক্কালে হামলারও সুষ্ঠু তদন্ত আমরা চাই। এতে বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এখন তাভেল্লা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করায় অন্তত এটি প্রমাণিত হলো, ওই হত্যাকা-ের সঙ্গে আইএস জড়িত ছিল না। আমরা বারবার এ কথাটিই বলতে চেয়েছি, বাংলাদেশে আইএসের ‘অপারেটিভ’ নেই। তাদের সম্পর্ক থাকতে পারে। এখন প্রত্যাশা করছি, হোসেনি দালানে হামলার ঘটনায় যারা জড়িত ছিল, তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে এবং আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হবÑ এই হামলার সঙ্গেও আইএসের সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাদের স্বার্থে এটি প্রয়োজন। এসব তদন্ত রিপোর্ট বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকা- আরও বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের কাছে বাংলাদেশের সঠিক পরিস্থিতি ও অবস্থা তুলে ধরা দরকার। দূতাবাসের মিডিয়া উইং খুব শক্তিশালী নয়। তারা সঠিক দায়িত্বটি পালন করতে পারছেন বলে মনে হয় না।
Daily Amader Somoy
01.11.15