রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ভি২০ জোট এবং জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা প্রসঙ্গ


বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে যে কটি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতার অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশ সম্প্রতি যোগ দিয়েছে নতুন একটি জোট ভি২০, অর্থাৎ ‘ভালনারেবল টুয়েন্টি’তে। এই জোটে ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, আফগানিস্তানের পাশাপাশি বার্বাডোজ, কোস্টারিকা, ইথিওপিয়া, ঘানা, কেনিয়া, কিরিবাতি, টুভালু কিংবা ভাথুয়ানুর মতো দেশও রয়েছে। দেশগুলো গরিব। কোনো কোনো দেশ সাগরবেষ্টিত, কোনোটা আবার পাহাড়বেষ্টিত। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যে প্রযুক্তি ও অর্থের দরকার, এসব দেশের তা নেই। সম্প্রতি পেরুর রাজধানী লিমায় বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর যে বার্ষিক সভা শেষ হয়, সেখানে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের উপস্থিতিতে এই জোট গঠন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের অনুন্নত এবং উন্নত সব দেশই আজ ঝুঁকির মুখে। এ ক্ষেত্রে মালদ্বীপ কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশের ঝুঁকির পরিমাণ বেশি। তবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বের দেশগুলো নানা গ্রুপে বিভক্ত এবং তাদের স্ট্র্যাটেজিও ভিন্ন ভিন্ন। গ্রুপ-৭৭-এ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১৩০টি দেশ। বিশ্বের জনসংখ্যার ৭৬ ভাগ এখানে বসবাস করে এবং বিশ্ব জিডিপির ১৯ ভাগ এরা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এই দেশগুলো বায়ুম-লে কার্বন নিঃসরণ করে বায়ুম-লে নিঃসরণকৃত মোট কার্বনের ৪২ ভাগ। চিন অন্যতম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ (২১ ভাগ), অথচ বিশ্ব জিডিপির ৬ ভাগ তাদের এবং বিশ্ব জনসংখ্যার ২০ ভাগ চিনের। ধনী দেশগুলো এনেক্স-১ অন্তর্ভুক্ত দেশ, কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ৫১ ভাগ, অথচ বিশ্ব জনসংখ্যার ১৯ ভাগ তাদের, আর জিডিপির ৭৫ ভাগ তাদের নিয়ন্ত্রণে। যুক্তরাষ্ট্র এককভাগে শতকরা ২০ ভাগ কার্বন নিঃসরণ করে, ৩০ ভাগ জিডিপি তাদের আর বিশ্ব লোকসংখ্যার মাত্র ৫ ভাগ তাদের। এর বাইরে আফ্রিকান ইউনিয়নভুক্ত ৩৯ দেশ, তেল ও গ্যাসসম্পদসমৃদ্ধ ওপেকভুক্ত দেশ এবং বনসম্পদসমৃদ্ধ ‘রেইনবো কোয়ালিশন’ভুক্ত দেশগুলোর অবস্থান আলাদা আলাদা। মোটামুটিভাবে সবাই এটা স্বীকার করে  যে, তারা বায়ুম-লে কার্বন নিঃসরণের হার কমাবে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও ভারত কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্র যেখানে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ করেছিল (চিন করেছিল ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন টন), সেখানে ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিঃসরণের পরিমাণ ছিল ৬ মিলিয়ন টন (চিনের ৬ বিলিয়ন টনের ওপরে)। এখন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ২০২০ সালের মধ্যে তারা কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমাবে ১৭ থেকে ২০ ভাগ। চিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ ভাগ কমানোর। আর ভারতের প্রতিশ্রুতি ২০ ভাগ কমানোর। দেশগুলো এই প্রতিশ্রুতি কতটুকু রাখতে পারবে, এটাই বড় প্রশ্ন এখন।
বাংলাদেশের ঝুঁকির প্রসঙ্গটি বিশ্ব মিডিয়ায় অনেকবারই এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতরে বিষয়টি তেমন গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়নি। অনেকে স্মরণ করতে পারেন চলতি বছরের প্রথম দিকে অনেকটা অজান্তেই খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল তিনদিনব্যাপী জলবায়ু উদ্বাস্তু সংক্রান্ত একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্মেলন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের একটি সম্মেলনের যথেষ্ট গুরুত্ব থাকলেও মিডিয়ায় সম্মেলন সংক্রান্ত খবরাদি আমার চোখে পড়েনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংগঠন ‘ব্যানসেন ইনিশিয়েটিভ’-এর সহযোগিতায় ওই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। আর এতে অংশ নেয় দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরভুক্ত ১৪টি দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। খুলনায় এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য নিঃসন্দেহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কেননা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে। আর বাংলাদেশের যেসব এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তার মাঝে রয়েছে বৃহত্তর খুলনা এলাকা। ‘সিডর’ ও ‘আইলায়’ ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো এ এলাকাতেই অবস্থিত। এই অঞ্চলের মানুষ আজও ঘূর্ণিঝড় ‘সিডির’ ও ‘আইলা’র বিপর্যয় থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি।
পাঠক এখানে গত ডিসেম্বরে পেরুর রাজধানী লিমায় অনুুষ্ঠিত হওয়া কপ-২০ (কমিটি অন দ্য পার্টিস) সম্মেলনের কথা স্মরণ করতে পারেন।
নিঃসন্দেহে লিমা ঘোষণা ছিল একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। তবে প্রশ্ন থাকলই। উন্নত বিশ্ব শেষ পর্যন্ত প্যারিস চুক্তিতে (২০১৫)  স্বাক্ষর করে কিনা এর জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে কংগ্রেসের সাথে প্রেসিডেন্টের দ্বন্দ্বের আলোকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত লিমা ঘোষণার ব্যাপারে কোনো আপত্তি তোলে কিনা, সেটাই দেখার বিষয় এখন। তবে আগামী এক মাস এ নিয়ে বেশ দেনদরবার হবে। উন্নত বিশ্বের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলো আন্তর্জাতিক আসরে দেনদরবার করবে। জাতিসংঘ উদ্যোগী হবে। তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের করার কিছুই নেই। কেননা উন্নত বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাজি না হয়, তাহলে প্যারিস সম্মেলনে শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে না। এ জন্যই খুলনা সম্মেলনের গুরুত্ব রয়েছে। সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ আগামী নভেম্বর মাসের শেষে অনুষ্ঠিত ‘কপ’ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। খুলনা ঘোষণায় বলা হয়েছেÑ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষের বাস্তুÍচ্যুতি একটি নির্মম সত্য। এই সমস্যা মোকাবিলায় স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে হবে। বাস্তুচ্যুতি ঠেকাতে এবং অগত্যা বাস্তুÍচ্যুতদের সহযোগিতার লক্ষ্যে দেশীয় পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদি সক্ষমতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তথা ধনী ও উন্নত দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নীতিমালা তৈরি করা একান্ত জরুরি। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত অভিবাসীদের সুরক্ষার জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যারা উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছেন, তাদের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক পরিসরে তেমন কোনো কর্মকা- পরিলক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশ এ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট কোনো নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বলেও আমার জানা নেই। অথচ দ্বীপাঞ্চল থেকে মানুষ প্রতিদিনই উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে এবং বড় বড় শহরে আশ্রয় নিয়ে এবং বস্তিজীবন বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ তার পারিবারিক পেশা ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ এদের পুনর্বাসনের কোনো  সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। বাংলাদেশ বারবার আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় স্থান পেলেও, বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যারা চালান, তারা কতটুকু সচেতন, সে ব্যাপারে  আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অতিসম্প্রতি একটি শঙ্কার কথা আমাদের জানিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা এডিবি। বাংলাদেশ এই জলবায়ু পরিবর্তনে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এডিবির রিপোর্টে সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এডিবি জানিয়েছে, ২০৫০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি গড়ে ১ দশমিক ৮ শতাংশ করে কম হতে পারে। আর চলতি শতাব্দী শেষে এই ক্ষতি হতে পারে প্রায় ৯ শতাংশ। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়তে পারে ৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এডিবির উক্ত রিপোর্টে দক্ষিণ এশিয়ার অপর দুটো দেশ নেপাল ও মালদ্বীপের ক্ষতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯ আগস্ট (২০১৪) ঢাকায় এডিবির এই রিপোর্টটি উপস্থাপন করা হয়েছিল।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশের যে ক্ষতি হবে, তা এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। শুধু এডিবির রিপোর্টেই নয়, বরং জাতিসংঘের রিপোর্টেও এই ক্ষতির দিকটি উল্লেখ করা হয়েছে একাধিকবার। প্রতিবছরই জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত যে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যা কপ বা ‘কমিটি অব দ্য পার্টিস’ নামে পরিচিত, সেখানেও বাংলাদেশের পরিবেশগত সমস্যার কথা উঠে আসে। বাংলাদেশের যারাই পরিবেশমন্ত্রী থাকেন, তারা ঘটা করে ‘কপ’  সম্মেলনে যান। কিন্তু ওই পর্যন্তই। ইতোমধ্যে নাসা আরও একটি আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। নাসা আশঙ্কা করছে গ্রিনল্যান্ডে যে বরফ জমা রয়েছে, তা যদি উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে গলে যায়, তাহলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৭ মিটার বৃদ্ধি পাবে। তাই কার্বন ডাইঅক্সাইড হ্রাসের কথা বলছে নাসা। আল গোর তার একটি প্রবন্ধে উল্লেখ  করেছিলেন বিশ্বের বৃহত্তম বন্দরগুলোয় ইতোমধ্যে ৪ কোটি মানুষ মারাত্মক প্লাবনের হুমকির মুখে আছে। আল গোর বিশ্বের ১০৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে (বাংলাদেশের সাবেক বনমন্ত্রী হাসান মাহমুদও ছিলেন ওই দলে) গিয়েছিলেন এন্টার্কটিকায়Ñ শুধু জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য। কিন্তু বিশ্ব সম্প্রদায় এখনো নীরব। প্রতিবছরই ‘কপ’ সম্মেলনে ভালো ভালো কথা বলা হয়।  কোপেনহেগেন থেকে লিমা সম্মেলনÑ বলা হয়েছিল ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্ব কার্বন নিঃসরণ কমাতে একটি চুক্তি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। এ সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা শুরু হলেও বাংলাদেশ কী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত লিমা সম্মেলনে বলা হয়েছিল আগামী ৬ মাসের মধ্যে পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ কমাতে প্রতিটি দেশ নিজস্ব কর্মপদ্ধতি ও কাঠামো উপস্থাপন করবে। প্রতিটি দেশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নিজস্ব কর্মপদ্ধতি উদ্ভাবন করার। অর্থাৎ তারা নিজেরাই কার্বন নিঃসরণ কমানোর পন্থা বের করবে। প্রশ্নটা এখানেই। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে একটি কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করেছে, কিন্তু এ নিয়ে স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা হয়নি। আমাদের আমলারা বিদেশে ‘ভ্রমণে’ যেতে পছন্দ করেন। সম্মেলনে যোগ দিয়ে যে ‘হাতখরচ’ পাওয়া যায়, তা নিয়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকেন তারা। দেশে ফিরে এসে ‘ভুলে’ যান সব কিছু!
খুলনা সম্মেলনে আমাদের পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহীদুল হক বলেছিলেন, শুধু ২০০৮-২০১৩ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৪ কোটি ৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে (কালের কণ্ঠ, ৬ এপ্রিল)। তখন তার এই বক্তব্যে আমি তাকে সাধুবাদ দিতে পারিনি। কেননা জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশের ভূমিকা তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে সফল, তা তারা দাবি করতে পারে না। পত্রপত্রিকা থেকে দেখেছি, বাংলাদেশ লিমা সম্মেলনের আলোকে অতিসম্প্রতি একটি ‘কর্মপরিকল্পনা’  জমা দিয়েছে। এতে শতকরা ১৫ ভাগ কার্বন নিঃসরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু যদি বিনিয়োগ না আসে, যদি প্রযুক্তি সহায়তা না পাওয়া যায়, তাহলে ওই প্রতিশ্রুতি কাগজ-কলমেই থেকে যাবে। তাই ভি২০ জোটে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ তার স্বার্থ কতটুকু আদায় করতে পারবে, এ প্রশ্ন থাকলই। 
Daily Amader Somoy
17.10.15

0 comments:

Post a Comment