রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

আচরণবিধি কি শুধু অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের জন্যই প্রযোজ্য

সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চ আদালতে একাধিক ঘটনায় একটি বিষয় সামনে চলে এসেছে। আর তা হচ্ছে বিচারপতিরা অবসরে গেলেও কিংবা কর্মে নিয়োজিত থাকলেও তাদের জন্য একটি নীতিমালা থাকা প্রয়োজন কিনা? সরকারের কোনো কোনো মহল থেকেও এ ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। আচরণবিধির প্রশ্নটি সামনে চলে এসেছে যখন হাইকোর্ট ডিভিশনের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এলপিআর (অবসরকালীন ছুটি) এ থাকাবস্থায় সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে একজন যুদ্ধাপরাধীর মামলায় অভিযুক্তের পক্ষে এবং সরকারের বিপক্ষে আইনি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। পরবর্তীকালে ওই মামলা থেকে তিনি নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বটে, কিন্তু মূল বিষয়ের কোনো সমাধান হয়নি অর্থাৎ বিচারপতিদের ক্ষেত্রে একটি আচরণবিধি থাকা উচিত কিনা এর সুরাহা হয়নি। এর আগে আবার একজন আপিল বিভাগের অবসরে যাওয়া বিচারপতি প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে যেসব কথা প্রকাশ্যে বলেছেন, তা নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। আসলে সাংবিধানিক পদে যারা থাকেন (শুধুমাত্র উচ্চ আদালতই নয়) কিংবা যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন অথবা বলা যেতে পারে একজন লেখকের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন করা কি আদৌ প্রয়োজন আছে? পাঠক স্মরণ করতে পারেন একুশের বইমেলা থেকে ‘ইসলাম বিতর্ক’ শীর্ষক একটি বই সম্পাদনা করা, প্রকাশ করার অভিযোগে প্রকাশকসহ ৩ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ব-দ্বীপ নামে প্রকাশনাটি বন্ধ করেও দেয়া হয়েছে। অভিযোগ আছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার। খোদ লেখক জাফর ইকবালও বইটি না পড়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে ওই সম্পাদক কি এ ধরনের একটি বই প্রকাশ করতে পারেন? মত প্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ এই নয় মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা।
দুই সিনিয়র বিচারপতির মধ্যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল প্রধান বিচারপতির একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। গত ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে প্রধান বিচারপতি পদে দায়িত্ব নেয়ার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছিলেন, ‘কোনো কোনো বিচারপতি অবসর গ্রহণ করার দীর্ঘদিন পর রায় লেখা অব্যাহত রাখেন, যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থি।’ এর বিরোধিতা করেন আপিল বিভাগ থেকে সদ্য অবসরে যাওয়া বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ঘটনাটা ওখানেই শেষ হতে পারত অথবা তিনি প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য না রেখে তার কাছে যে রায়গুলো লেখা বাকি ছিল, তা দ্রুত জমা দিতে পারতেন। এতে করে সাধারণ মানুষ এত কিছু জানত না। কিন্তু বিষয়টিকে তিনি প্রকাশ্যে নিয়ে আসলেন। শুধু তাই নয়, তিনি প্রকাশ্যে এমন সব মন্তব্য করলেন যা বিচারপতি হিসেবে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। একজন রাজনীতিবিদ, একজন শিক্ষক প্রকাশ্যে অনেক মন্তব্য করতে পারেন। কিন্তু একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পারেন না। সেটা শোভনও নয়। একজন বিচারপতি অবসরে থাকার পরও সমাজে তিনি একজন বিচারপতি হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকেন। সমাজ তাকে বিশেষ মর্যাদার চোখে দেখে। তিনি সমাজ তথা রাষ্ট্রের বিবেক। সাধারণত এটা কোথায়ও লেখা থাকে না অবসরে যাওয়ার পর একজন বিচারপতি কি করবেন, কি করবেন না। সমাজ বা রাষ্ট্র তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের কাউকে কাউকে কখনো কখনো এমন সব কর্মকাণ্ড করতে দেখি, যা অনাকাক্সিক্ষত। আমরা অতীতে একজন বিচারপতিকে দেখেছিলাম, যিনি অবসরের পর রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছিলেন এবং সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিতও হয়েছিলেন। এখন আমরা দেখলাম একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে যুদ্ধাপরাধী অভিযোগে অভিযুক্ত একজনের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে দাঁড়াতে। এক্ষেত্রে আইন কোনো বাধা নয়। প্রশ্ন হচ্ছে নৈতিকতার। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির আইনি পেশায় ফিরে যাওয়া যেমন শোভন নয়, ঠিক তেমনি তাদের রাজনীতিতে অংশ নেয়াও কাম্য নয়। তবে নিঃসন্দেহে একজন বিচারপতি অবসরের পর তার মেধা, যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সমাজকে সেবা করতে পারেন। একাধিক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিও অবসরের পর আইন কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং সরকারের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়েছিলেন। অথচ সংবিধানের ৯৯(১) এ বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি বিচারকরূপে দায়িত্ব পালন করিয়া থাকিলে উক্ত পদ হইতে অবসর গ্রহণের বা অপসারিত হইবার পর তিনি কোনো আদালত বা কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট ওকালতি বা কার্য করিবেন না এবং বিচার বিভাগীয় বা আধা-বিভাগীয় পদ ব্যতীত প্রজাতন্ত্র কর্মে কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না।’ যদিও ৯৯ (২)(১) এ বলা হয়েছে, তিনি আপিল বিভাগে ওকালতি করতে পারবেন। এখানে প্রশ্নটা নৈতিকতার। আইন তাকে সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু নৈতিকতা বলে একটা কথা আছে।
আচরণবিধির প্রশ্নটা আসে তখনই যখন একজন বিচারপতি, অবসরে যাওয়ার পর পরই এমন কোনো বক্তব্য দিতে পারেন না, যা রাজনৈতিক বিতর্কের জš§ দিতে পারে কিংবা সংকট সৃষ্টি করতে পারে। আমরা দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করলাম অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিক প্রকাশ্যে এমন সব মন্তব্য করলেন, যা তার পদ ও মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সুপ্রিম কোর্ট মাজার গেটের পাশে রাস্তার ওপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তার (প্রধান বিচারপতি) কোনো আদেশ মানি না। মানব না।’ তিনি প্রধান বিচারপতির পদত্যাগও দাবি করেছিলেন। অতীতে কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এভাবে প্রকাশ্যে সুপ্রিম কোর্ট এলাকার ভেতরে সংবাদ সম্মেলন করেননি। বিচারপতি চৌধুরী করলেন। অতীতে কোনো বিচারপতি প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেননি। বিচারপতি চৌধুরী এ ধরনের দাবি করে নতুন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তির জন্য এটা কোনো ভালো খবর নয়। কিন্তু তার একটি বক্তব্যে আমি অবাক হয়েছি, যখন তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি সিনহা বেগম জিয়ার রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন এমন বক্তব্য শুনে! কি ভয়ঙ্কর কথা। এ ধরনের কথাবার্তা তো আমরা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মুখে শুনি। একজন বিচারপতির মুখে কি এ ধরনের বক্তব্য শোভা পায়! প্রধান বিচারপতি তো কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তিনি কেন একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবেন? এটি স্পস্টতই একটি রাজনৈতিক বক্তব্য এবং প্রধান বিচারপতিকে বিতর্কিত করার শামিল। এটি কোনো ভালো কাজ নয়। বিচার বিভাগের জন্য একটি খারাপ নজিরও বটে।
বিচারপতি মানিকের বক্তব্য ও আচরণ সমর্থন করেননি আরেকজন সাবেক প্রধান বিচারপতি। মূলত এটা সত্য, বর্তমান প্রধান বিচারপতি উচ্চ আদালতে একটি সংস্কার আনতে চাচ্ছেন। আমি মনে করি এটা যৌক্তিক ও সমর্থনযোগ্য। এর প্রয়োজন রয়েছে। এই নিবন্ধটি যখন লিখছি, তখন চোখ আটকে গেল আরো একটি সংবাদে। ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ওই সংবাদে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এক বিচারপতির স্ত্রী বিচারপতির গানম্যান নিয়ে আরেক আইনজীবীর চেম্বার দখলের চেষ্টা চালিয়েছেন (আমাদের সময়)। প্রশ্ন হচ্ছে, একজন বিচারপতি গানম্যান পাবেন কিন্তু তার স্ত্রী কি ওই গানম্যানকে কোথাও নিয়ে যেতে পারবেন? আসলে প্রশ্নটি এখানে নীতিমালার, আচরণবিধির। আচরণবিধিতে যদি সুস্পষ্ট করে কিছু লেখা না থাকে, তাহলে তা সুস্পষ্ট করা প্রয়োজন। আচরণবিধি সমাজের উচ্চ শ্রেণীর সবার জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিত। কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেই, তাহলে আমাদের বুঝতে সহজ হবে। তিনি একজন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য। শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নিয়মিত টিভি টক-শোতে যান এবং রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। প্রশ্ন হচ্ছে, শপথ নিয়ে তিনি কি এ ধরনের কাজ করতে পারেন? তার তো জানার কথা কোন কাজটা তিনি করবেন, কোন কাজটা করবেন না। তিনি যখন প্রকাশ্যে টক-শোতে রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন, তখন একটি সুস্পষ্ট ‘রাজনৈতিক লাইন’ তিনি অনুসরণ করেন। এটা কি তাহলে পিএসসির মৌখিক পরীক্ষাতেও প্রতিফলিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না? এ ক্ষেত্রেও আচরণবিধিতে সুস্পষ্ট করে থাকা উচিত কোন কাজটা পিএসসির সদস্যদের করা উচিত, কোন কাজটা করা উচিত নয়। পিএসসির চেয়ারম্যান বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন। আরেকজন পিএসসির সদস্য। পত্রিকাতে রাজনৈতিক কলাম লেখেন। এটা করা কি তার উচিত? বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান একজন শিক্ষাবিদ। তিনি পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। টিভি টক-শোতে রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। অতীতে কোনো চেয়ারম্যান কিংবা কোনো পিএসসির সদস্য এভাবে প্রকাশ্যে ‘সরকারি চাকরি’ করে রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি। এ জমানায় আমরা দেখছি। পিএসসির সদস্যরা নিরপেক্ষতার শপথ নিয়েও প্রকাশ্যে রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। যদি এমনই হতে থাকে তাহলে তা আচরণবিধিতে থাকুক। সুস্পষ্ট করেই থাকুক। প্রয়োজনে সংসদে আইন পাস করে তাদের অনুমতি দেয়া হোক। একই কথা প্রযোজ্য ইউজিসি চেয়ারম্যান কিংবা উপাচার্যদের ক্ষেত্রেও। একজন উপাচার্যকে দেখি টিভিতে অংশ নেয়াই বুঝি তার প্রধান কাজ! আইনে কখনো সব কিছু লেখা থাকে না। সেটা সম্ভবও নয়। প্রশ্ন হচ্ছে নৈতিকতার। শুধু বিচারপতিদের প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনা করলে চলবে না।
বিচারপতি চৌধুরীকে নিয়ে যে ‘বিতর্ক’ সৃষ্টি হয়েছে এর অবসান হওয়া বাঞ্ছনীয়। তিনি এরপর আর অনাকাক্সিক্ষত কোনো বক্তব্য দেবেন না, এটাই প্রত্যাশা করি। সেই সঙ্গে এটাও প্রত্যাশা করি যে রায়গুলো এখনো লেখা শেষ হয়নি, তা তিনি দ্রুত শেষ করবেন এবং নথিসহ সব কাগজপত্র জমা দেবেন। তিনি যত দ্রুত এ কাজটি করবেন, ততই তার জন্য মঙ্গল। তিনি যত দেরি করবেন, ততই জটিলতা বাড়বে। সংবিধান লঙ্ঘন কিংবা মানহানির ঘটনায় তিনি অভিযুক্ত হতে পারেন। তিনি ‘প্রধান বিচারপতির আদেশ মানবেন না’ এ কথা তিনি বলতে পারেন না। প্রধান বিচারপতি একজন ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে ‘বিতর্কিত’ করা অন্যায়। ন্যূনতম সৌজন্যবোধটুকু থাকলে একজন সিনিয়র বিচারপতি এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। তবে অবসরে গিয়ে রায় লেখা কতটুকু সাংবিধানিক কিংবা কতটুকু যৌক্তিক এ প্রশ্নটাকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। অনেক বিচারপতিই এই কাজটি করেন। কিন্তু কখনো এ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি। প্রধান বিচারপতি এই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসলেন। স্পষ্টতই প্রধান বিচারপতি উচ্চ আদালতে সংস্কার চান। এটা মঙ্গল এবং ন্যায়পরায়ণতার স্বার্থে যুক্তিসঙ্গত। একটি সংক্ষিপ্ত রায় হয়ে গেল। পূর্ণ রায় একজন নাগরিক পেলেন ১৫ মাস পর এটা তো হতে পারে না। এটা তো একজন নাগরিকের অধিকার খর্বের শামিল। পূর্ণ রায় লিখতে একজন বিচারপতি কিছুটা সময় নিতেই পারেন। কিন্তু তার অর্থ এই নয় তিনি মাসের পর মাস রায়টি ‘ধরে’ রাখবেন এবং ১৫ মাস পর পূর্ণাঙ্গ রায়টি দেবেন! ততদিনে তো মানুষ সব কিছু ভুলে যায়।
তাই উচ্চ আদালতে সংস্কার প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতি একটি মন্তব্য করেছেন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। বিচার বিভাগ নিয়ে কটাক্ষ না করতে রাজনীতিকসহ সব মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আমি মনে করি বিচার বিভাগের প্রধানের এ ধরনের আহ্বানের প্রতি সবার শ্রদ্ধা জানানো উচিত। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে রাষ্ট্র বিচারপতি, আইনজীবীসহ সবার ব্যাপারে একটি আচরণবিধি তৈরি করতে পারে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রেরও উচিত বিভিন্ন পেশাজীবীদের ব্যাপারেও একটি সামগ্রিক আচরণবিধি তৈরি করা। না হলে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা বারবার ঘটতে থাকবে। এটা সত্য, একজন সাবেক বিচারপতির কর্মকাণ্ড কিংবা একজন পিএসসির সদস্যের কর্মকাণ্ড দিয়ে সবার মানসিকতা বোঝা যাবে না কিংবা পিএসসিকেও চিত্রিত করা যাবে না। বিচারপতিরা সাধারণত ‘পর্দার আড়ালেই’ থাকেন। তারা খুব একটা প্রকাশ্যে আসতে চান না। আইন তাদের আপিল বিভাগে ওকালতি করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু তাদের সেটা করাও শোভন নয়। বরং সামাজিক ক্ষেত্রে তারা অবদান রাখতে পারেন। তারা আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। শ্রদ্ধার পাত্র হয়েই তারা থাকবেন এটাই কাম্য।
Daily Manobkontho
25.02.16

0 comments:

Post a Comment