আগামী ২৮ মার্চ আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিল অধিবেশনকে ঘিরে যে প্রশ্নটি এখন আলোচিত তা হচ্ছে- কোন পথে যাবে আওয়ামী লীগ? এই কাউন্সিল অধিবেশনকে সাধারণ একটি কাউন্সিল অধিবেশন হিসেবে গণ্য করা হলে ভুল করা হবে। আমার বিবেচনায় এই কাউন্সিল অধিবেশনের গুরুত্ব অনেক বেশি। আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে কোনো সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি আওয়ামী লীগের অনুকূলে। দেশে স্থিতিশীলতা রয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতিও আশাব্যঞ্জক। তবে প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস বা আস্থার সম্পর্কে ঘাটতি রয়েছে, এটা স্পষ্ট। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো (১৯৯৬ সালের পর) সরকার গঠন করেছিল। এরপর ৫ জানুয়ারির (২০১৪) বিতর্কিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ‘বিজয়ী’ হয়েছিল। ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি বড় দল বিএনপির সঙ্গে আস্থার সম্পর্কে যে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছিল, তা আজও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। বিএনপির সহিংস আন্দোলন এই ‘আস্থার সম্পর্ক’ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হিসেবে থাকলেও, ‘নির্বাচন পরিচালনাকারী সরকার’ নিয়ে বিএনপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি গত দু’বছরেও। যদিও এটা সত্য সংবিধানে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে, তারপরও ‘উন্নয়ন ও জাতীয় ঐক্য’-এর প্রশ্নে এ ব্যাপারে একটি ‘পথ’ খুঁজে বের করা যেতে পারে। জাতীয় কাউন্সিলে প্রসঙ্গটি আলোচিত হবে বলেও মনে হয় না। তবে ঢাকায় সর্বশেষ সফর করে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক কমিটির প্রধান জিন ল্যাম্বার্ট যখন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পদ্ধতি বের করার তাগিদ দিয়ে যান, তখন প্রসঙ্গটি হালকাভাবে নেয়ার আর সুযোগ থাকে না। ৫ জানুয়ারির (২০১৪) নির্বাচন সাংবিধানিকভাবে বৈধ হলেও, বাস্তবতা বলে ভিন্ন। বিপুলসংখ্যক ‘সংসদ প্রতিনিধি’ সংসদে এসেছেন জনগণের কোনো ম্যান্ডেট ছাড়াই। অর্থাৎ জনগণ তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেননি। পরে উপজেলা নির্বাচন, তিনটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন কিংবা সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে বিএনপি ফিরে এলেও, জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে কোনো ঐকমত্য হয়েছে, এটা বলা যাবে না। এ কারণেই আমার কাছে এই কাউন্সিল অধিবেশনের গুরুত্ব অনেক। দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা যদি এ ব্যাপারে ‘মুখ খোলেন’, তাহলে এ প্রশ্নের জট খুলতে পারে। নিঃসন্দেহে সংবিধানকে সামনে রেখেই নির্বাচনটি হতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে’ করণীয় কী, কাউন্সিল এ ব্যাপারে একটি দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
আওয়ামী লীগ বড় দল। ১৯৪৯ সালের জুনে যে সংগঠনটির জন্ম, সেই সংগঠনটি অনেক ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে একাধিকবার ভাঙনের মুখে থেকেও, আজ এ দেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘এক-এগারো’ সময়কালে দলে ভাঙনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতাকে ‘সংস্কারবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের দিয়ে ‘আলাদা অবস্থান’ নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সফল হয়নি শুধু শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মনোভাবের কারণে। পাঠক স্মরণ করতে পারেন ‘এক-এগারো’ সরকার একবার তার ঢাকায় ফেরা আটকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটাকে চ্যালেঞ্জ করেই শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন। ১৯৮১ সালের পর থেকেই তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এই হিসেবে দীর্ঘ ৩৫ বছর তিনি দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। দলের জন্য তিনি কতটুকু অপরিহার্য, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল একবার যখন ‘নির্বাচনে দল খারাপ করায়’ তার সব দায়দায়িত্ব নিয়ে দলীয় প্রধান হিসেবে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু কর্মীরা তাতে রাজি হয়নি। তিনি ফিরে এসেছিলেন। সেই থেকে তিনি এখনও আছেন। একমাত্র তিনিই দলের জন্য অপরিহার্য। অন্য কেউই অপরিহার্য নন। আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলের নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধু পরিবারের হাতেই থাকতে হবে। নতুবা দল অস্তিত্বের সংকটের মুখে পড়বে। তাই খুব স্পষ্ট করেই বলা যায়, আগামী কাউন্সিলে তার নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রশ্নটি উঠবে না। তবে কাউন্সিল পরবর্তী নেতৃত্ব তৈরির প্রশ্নে একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বিশেষ করে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাপারে কর্মীদের আগ্রহ থাকবে ব্যাপক। আমার ধারণা সজীব ওয়াজেদ নিজেকে তৈরি করছেন ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। দলের প্রাথমিক সদস্য পদ নিয়েছেন অনেক আগেই। প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা হিসেবে সরকারের কিছু কিছু দায়িত্ব পালনও করছেন। একটি সুনির্দিষ্ট সেক্টর তার। ‘নতুন এক বাংলাদেশ’কে তিনি গড়তে চান। তিনি যদি এখন মূলধারার রাজনীতিতে আসেন ও দলের কোনো সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন, আমি তাতে অবাক হব না। জয়ের রক্তে রাজনীতি আছে। তিনি তা অস্বীকার করেন কীভাবে? যদিও প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন- সিদ্ধান্ত নেবেন জয় স্বয়ং তিনি রাজনীতিতে আসবেন কিনা! বাস্তবতা হচ্ছে তিনি আসবেন। আওয়ামী লীগ যে তারুণ্যের নেতৃত্বের জন্য তৈরি হচ্ছে, তিনি তার নেতৃত্ব দেবেন।
শুধু বাংলাদেশ বলি কেন, দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল বিশ্বে এই পারিবারিক রাজনীতির ধারা সর্বত্র প্রত্যক্ষ করা যায়। আমরা প্রায়ই ভারতের নেহেরু পরিবারের দৃষ্টান্ত দেই। কিন্তু ভারতে প্রতিটি রাজ্যে এই পারিবারিক রাজনীতির শক্ত ভিত্তি রয়েছে। কোথাও কোথাও (উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু) ব্যক্তির নামেই দলের পরিচয়। পারিবারিক রাজনীতির এই ধারা যে শুধু কংগ্রেসের মাঝেই আছে, তা নয়। বরং বিজেপি থেকে শুরু করে প্রতিটি আঞ্চলিক দলের মাঝেই আছে। কমিউনিস্ট পার্টিগুলোর মাঝে এই প্রবণতা ব্যাপকভাবে না থাকলেও আছে। আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি আফ্রিকার অনেক দেশে এই প্রবণতা ব্যাপক। কোথাও কোথাও স্বামী, সন্তান, ভাই সবাই মিলে মন্ত্রিসভা গঠন করে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করছেন। আফ্রিকার অনেক দেশে আমি দেখেছি যে, রাজনৈতিক পরিবারের সন্তানরা উচ্চশিক্ষিত। এদের সন্তানদের অনেকেই ব্রিটেন অথবা ফ্রান্স থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন।
আমাদের উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। উপমহাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের বীজ যেমনি রয়েছে, ঠিক তেমনি রয়েছে পারিবারিক ঐতিহ্য। নেহেরু পরিবার ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী পরিবার। নেহেরুর বাবা মতিলাল নেহেরু এক সময় (১৯২১) কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শ্রীলংকায় গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। স্বাধীনতা-পরবর্তী শ্রীলংকার রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বন্দেরনায়েকে পরিবারের। প্রথমে বাবা, পরে মা, তারপর নিজে কুমারা রানাতুঙ্গা শ্রীলংকার রাজনীতি পরিচালনা করে গেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে এবং তার পরিবার এখনও শ্রীলংকার রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। শ্রীলংকার রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র একটি ঐতিহ্য। এটা নিয়ে কেউ সেখানে হইচই করে না। নেপালে যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত হচ্ছে, সেখানেও রয়েছে পরিবারতন্ত্র। কৈরালা পরিবার অতীতে শুধু নেপালের সরকার পরিচালনাই সম্পৃক্ত ছিলেন না, বরং নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বও রয়েছে কৈরালা পরিবারের হাতে। এমনকি মাওবাদী নেতা প্রচন্দও এ ধারা থেকে নিজেকে বাইরে রাখতে পারেননি। তার মেয়ে এখন দলের তথা রাষ্ট্রের নেতৃত্বের জন্য তৈরি হচ্ছেন। ছোট দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপেও গাইয়ুমের (সাবেক প্রেসিডেন্ট) মেয়ে পরবর্তী নেতৃত্বের জন্য তৈরি হচ্ছেন। সিঙ্গাপুরেও পরিবারতন্ত্র আছে। পাকিস্তানের কথা না হয় নাইবা বললাম। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলেরা রাজনীতিতে আসছেন না। আসছেন তার মেয়ে কুলসুম।
ফিলিপিন্সের দিকে তাকান। কোরাজান আকিনোর (সাবেক প্রেসিডেন্ট) ছেলে এখন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। বেনিগনো আকিনো সিনেট সদস্য থেকেই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। এখন তিনি প্রেসিডেন্ট।
প্রশ্ন হচ্ছে এই পরিবারতন্ত্র ভালো, না খারাপ। সিঙ্গাপুরে ২০০৪ সালে লি কুয়ান ইউর ছেলে লি শিয়েন লং যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন সেখানে প্রশ্ন ওঠে না। কারণ তিনি যোগ্য। সিঙ্গাপুরকে বিশ্বসভায় নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা তিনি অতীতে রেখেছেন। এ প্রশ্ন ওঠেনি ফিলিপিন্সে কোরাজন আকিনোর ছেলের বেলায়- একজন সিনেটর হিসেবে তিনি অবদান রেখেছিলেন। প্রশ্নটা সেখানেই। প্রাচীন ভারতে একটি শ্লোক আছে- Vasudua Kutumbikam। সংস্কৃতি থেকে ইংরেজি করলে দাঁড়ায় all the Univese is a family। অর্থাৎ বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে গণ্য করা হয়। বর্তমান যুগের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সেই বিবেচনায় নিয়ে বংশানুক্রমভাবে তারা শাসন করে। ভারতের রাজনীতিতে এই পারিবারিক ধারা অত্যন্ত শক্তিশালী। নেহেরু পরিবারের বাইরে বেশকিছু পরিবারের জন্ম হয়েছে, যারা রাজনীতিতে প্রভাব খাটাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায় চরণসিং, দেবগৌড়া, শারদ পাওয়ার, আবদুল্লাহ, মুলায়াম সিং যাদব, করুণানিধি, রেড্ডি, সিঙ্গিয়া পরিবার। এসব পরিবারের পেশা হচ্ছে রাজনীতি। বাংলাদেশ এ থেকে পার্থক্য নয়। পারিবারিক এ রাজনীতির ধারা বাংলাদেশে আছে ও থাকবে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে তাই আলোচিত হচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তরুণ প্রজন্ম তার বক্তব্যে, তার আদর্শে আকৃষ্ট হচ্ছেন। তিনি একুশ শতক উপযোগী নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিতে চাচ্ছেন।
তাই সঙ্গত কারণেই ২৮ মার্চের আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনের দিকে দৃষ্টি থাকবে অনেকের। সজীব ওয়াজেদ জয় এই কাউন্সিলে কোনো সাংগঠনিক দায়িত্ব পান কিনা, সে দিকে লক্ষ্য থাকবে অনেকের। দলের সংবিধানে কিছু কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। এটা খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য পদেও পরিবর্তন আনা যেতে পারে। আমার বিবেচনায় আওয়ামী লীগের জন্য যা এই মুহূর্তে জরুরি, তা হচ্ছে একটি শক্তিশালী উপদেষ্টা পরিষদ গঠন, যারা দলের জন্য একুশ শতক উপযোগী নীতি প্রণয়ন করবেন। তাদের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী গবেষণা সেল থাকবে, যারা বিশ্ব রাজনীতি, বিশ্ব অর্থনীতি, সন্ত্রাসবাদ, বাণিজ্য, আঞ্চলিক সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়কে সামনে রেখে দলের জন্য একুশ শতক উপযোগী একটি নীতি প্রণয়ন করবেন এবং দলীয় সভাপতিকে সহযোগিতা করবেন। এক্ষেত্রে যারা বিশেষজ্ঞ তাদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। আমলা দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হলে, তা কোনো ভালো ফল বয়ে আনতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ বলি কেন, উপমহাদেশের একটি বড় সংগঠন। দলটি স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বের সারিতে ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪৬ বছরে পা দিতে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে আমরা আগামী দিনে কীভাবে দেখতে চাই, এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা মানুষ প্রত্যাশা করে। বিশ্বকে দেখার অনেক কিছু আছে বাংলাদেশের। একটি মধ্যম আয়ের দেশ, বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা, একটি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা, ‘সফট পাওয়ার’ হিসেবে নিজেকে বিশ্ব আসরে প্রতিষ্ঠা করা- এসবই বাংলাদেশ করতে পারে। এ জন্য দরকার যুগোপযোগী নেতৃত্ব, সঠিক নীতি, দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ, সেইসঙ্গে দরকার পারস্পরিক একটি আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা। আওয়ামী লীগের ২৮ মার্চের কাউন্সিল অধিবেশনে এর কতটুকু প্রতিফলিত হয়, সেদিকে তাই লক্ষ্য থাকবে অনেকের
Daily Jugantor
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
Daily Jugantor
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
0 comments:
Post a Comment