রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রসঙ্গে



পরপর তিনটি অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকানদের প্রাথমিক বাছাইয়ে শেষপর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকই ধরে নিয়েছেন যে, শেষপর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পই মনোনয়ন পাবেন চলতি বছরের ৮ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন হিলারি ক্লিনটন। মোটামুটিভাবে এটা এখন বলতেই হয়, হিলারি ক্লিনটন বরাবরই ডেমোক্রেট দলের প্রাথমিক বাছাইয়ে ফেভারিট ছিলেন না।

একসময় ধারণা করা হয়েছিল, জেব বুশই মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন। কিন্তু সর্বশেষ প্রাথমিক বাছাইয়ে জেব বুশ ছিটকে পড়েন। এবং মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থেকে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প, টেড ক্রুজ ও মার্কো রুবিও। কিন্তু তুলনামূলক বিচারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান এখন অনেক ভাল। যদিও বিতর্কিত নানা বক্তব্যের জন্য তিনি বারবার সমালোচিত হয়ে আসছেন। মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না দেয়া, কিংবা যুক্তরাষ্ট্র-মেহিকো সীমান্তে উঁচু দেয়াল দিয়ে মেহিকোর অধিবাসীদের ঠেকান, একইসঙ্গে কর ফাঁকির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান শিবিরে তাঁর অবস্থান শক্তিশালী করেছেন। এখন জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দুটো দলের চূড়ান্ত প্রার্থী কে হন, তা দেখার জন্যে। 
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা ৫০টি, আর নির্বাচক মণ্ডলীর সংখ্যা ৫৩৮ জন। সাধারণত সিনেট ও হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভ-এর সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতেই এই নির্বাচকমণ্ডলী গঠিত হয়। যেমন ক্যালিফোর্নিয়ার নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটের সংখ্যা ৫৪টি, অথবা নিউইয়র্কের ৩৩টি। ছোট ছোট রাজ্য, যেমন মেইন (৪টি), সাউথ ডাকোটা (৪টি) কিংবা ওয়াওসিঙ (৩টি) এ নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা কম।
প্রার্থী কোন রাজ্যে বিজয়ী হলে, সে রাজ্যে যে কটি নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট রয়েছে তার পুরোটা তিনি পেয়েছেন বলে গণ্য করা হয়। এক্ষেত্রে যে প্রার্থী হেরে যান, তিনি নির্বাচকমণ্ডলীর কোনও ভোট পান না। অর্থাৎ জন সাধারণদের ভোটে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সরাসরি নির্বাচিত হন না, নির্বাচিত হন নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে। তবে জনসাধারণ ভোট দেন। এটাই হচ্ছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।
এখানে আরো একটি কথা বলা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তৃতীয় পার্টির তেমন কোনো অস্তিত্ব নেই। নাম কা ওয়াস্তে দু’একটি প্রার্থী (গ্রিন, কনসটিটিউশন পার্টি) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী দিলেও, তারা প্রচারণার দৌড়ে এগুতে পারেন না। প্রচারণায় প্রার্থীকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়, যা ছোট ছোট দলের পক্ষে সম্ভব নয় সংগ্রহ করা। নির্বাচন দুটি বড় দল, ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এই দুই দলের প্রার্থীরা জনসাধারণ তথা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন। এটা বৈধ। প্রার্থীদের বিজ্ঞাপন ও প্রচুর ভ্রমণ করতে হয়। প্রয়োজন হয় প্রচুর অর্থের। আগে প্রেসিডেন্টের বাছাই-পদ্ধতি ছিল জটিল। প্রতিনিধি পরিষদে স্থানীয় অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রার্থীদের মধ্যে থেকেই প্রেসিডেন্ট বাদে মনোনয়ন সংগ্রহ করার ব্যবস্থা ছিল। এরকম পার্টি ‘ককাসে’ প্রার্থী নির্বাচনের ব্যবস্থা রয়েছে। আর ‘ককাস’বা বাছাই ব্যবস্থায় চূড়ান্তপর্যায়ে প্রার্থী মনোনীত হয়ে প্রার্থীরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৮৯-১৭৯৭)। তার কোনো দল ছিল না। তিনি ফেডারেলিস্টদের ব্যানারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
স্মরণ করিয়ে দেই, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি কোনো বেতন গ্রহণ করেন নি। বলা হয়ে থাকে, যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন (১৮০১-১৮০৯) ডেমোক্রেটিক দলের প্রতিষ্ঠাতা। আর সেই দলটি থেকেই গেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ওবামা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম দিকে দলটির নাম ছিল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান। ১৮২৫ সাল পর্যন্ত এই দল থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। কুইন্সি এডামস (৬ষ্ঠ প্রেসিডেন্ট) ক্ষমতায় ছিলেন ১৮২৯ সাল পর্যন্ত। তারপর শুধু ডেমোক্রেটিক পার্টি নাম ধারণ করে এন্ড্রু জনসন ও মার্টিন ভ্যান বুরেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন (১৮৪১) এরপর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে উইগ পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৮৫৩ সাল পর্যন্ত উইগ পার্টির প্রার্থীরা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এরপর দলটির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। আব্রাহাম লিংকন (১৮৬১-১৮৬৫) ছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রথম প্রেসিডেন্ট। এরপর থেকেই এই দুই পার্টি রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
সাধারণত একজন প্রেসিডেন্ট চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন। তিনি মাত্র দু’টার্ম ক্ষমতায় থাকতে পারেন। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট ১২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন, ১৯৩৩ সাল থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত। ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের এই ৩২তম প্রেসিডেন্টের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আরো একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ক্ষমতাসীন থেকেও দ্বিতীয় টার্মের জন্য সেই প্রেসিডেন্ট বিজয়ী হতে পারেন নি। সমসাময়িককালে জেরাল্ড ফোর্ড (৩৮তম প্রেসিডেন্ট, রিপাবলিকান, ১৯৭৪-১৯৭৭), জিমি কার্টার (৩৯তম, ডেমোক্রেট, ১৯৭৭-১৯৮১), কিংবা সিনিয়র জর্জ বুশ (৪১তম, রিপাবলিকান, ১৯৮৯-১৯৯৩)-এর নাম উল্লেখ করা যায়। এখন দেখা যাক যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারি ক্লিনটন হোয়াইট হাউজে তার টার্ম শুরু করতে পারেন কিনা। তার প্রথম টার্ম শুরু হবে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে।
প্রতিটি একক নির্বাচনেই দেখা গেছে কতগুলো ইস্যু প্রাধান্য পায়। আর ওইসব ইস্যুগুলোর ব্যাপারে প্রার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাব দেখে পার্টি ‘ককাসে’ ডেলিগেটরা ভোট দেন ও কোন বিশেষ ব্যক্তিকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন। প্রার্থীদের একাধিক রাজ্যের ‘ককাসে’ দলীয় অন্য প্রার্থীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়। বিভিন্ন বক্তব্য এখানে প্রাধান্য পায় বেশি। যেমন এবার প্রাধান্য পেয়েছে সিরিয়া, ইরান ইস্যু। চীনের প্রসঙ্গটিও এসেছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট ওবামার সময়কার অর্থনৈতিক ইস্যুও রিপাবলিকান শিবিরে আলোচিত হচ্ছে। এমনকি রিপাবলিকান ‘ককাসে’ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের পররাষ্ট্র সচিব থাকার সময় ব্যবহার করা ব্যক্তিগত ই-মেইল নিয়েও নানা কথা উঠেছে। রিপাবলিকানরা ওবামার অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তিনজনের মাঝে একজন গরীব। পরিসংখ্যানে দেখা যায় সেখানে ৪৯.১ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে, সেই সাথে আরো ৫১ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্রসীমার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে ধনী-গরীবের একটা বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনগোষ্ঠীর মাত্র ১ শতাংশ মানুষ রাষ্ট্রের সম্পদের ২৫ ভাগ নিয়ে যায়। এরা আবার সম্পদের ৪০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। এই একভাগ মানুষের বার্ষিক আয় ২৭৩৪২২১২ ডলারের উপরে। কিন্তু বেকার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১টি কাজের জন্য নূন্যতম ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আরো খারাপ খবর হচ্ছে ৪৭.৮ ভাগ পরিবার সরকারি খাদ্য সাহায্য বা ফুড স্ট্যাম্প এর উপর নির্ভরশীল। এসব পরিবার কর্মজীবী। কিন্তু এদের আয় যথেষ্ট নয়।
প্রেসিডেন্ট ওবামা যেখানে প্রতিটি নাগরিকের চাকরি নিশ্চিত করতে পারেননি, সেখানে স্বাস্থ্যসেবায় কাটছাঁট করেছেন, স্কুলে মাধ্যমিক পর্যায়ে যথেষ্ট শিক্ষক দিতে পারেননি, সেখানে কোটি কোটি ডলার খরচ করেছেন ‘তথাকথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এর পেছনে। ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হয়েছিল সব মিলিয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে (যুদ্ধে খরচ ৮০৬ মিলিয়ন, সৈনিকদের চিকিৎসাবাবদ ও অন্যান্য খরচ ৪২২ থেকে ৭১৭ মিলিয়ন)। আর আফগান যুদ্ধের খরচ ৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলার অংককেও ছাড়িয়ে গেছে। শুধু সেনা প্রশিক্ষণের জন্য সেখানে ব্যয় হয়েছিল ৬ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে জনসংখ্যার ৯.১ভাগ মানুষ বেকার, সেখানে যুদ্ধের পেছনে এত বিপুল ব্যয় নিয়ে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে। পররাষ্ট্র নীতিতে ওবামা সফল, তাও বলা যাবে না। ২০০৯ সালে কায়রো ভাষণে তিনি মুসলিম বিশ্বের সাথে ‘নতুন সম্পর্ক’গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু দেখা গেল জঙ্গিবাদ উৎখাত করতে গিয়ে সেখানে জঙ্গিবাদেরই জন্ম হয়েছে। ইরাকে, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন আত্মঘাতী বোমাবাজি হ্রাস হয়েছে। সাদ্দামের উৎখাতের পর সেখানে ইসলামী কট্টরপন্থীরা শক্তিশালী হয়েছে।
সিরিয়াতে আসাদের উৎখাত করতে গিয়ে দেখা গেল অস্ত্র চলে গেছে জঙ্গিদের হাতে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ‘আরব বসন্ত’ তিউনেশিয়ায়, ইয়েমেনে মিসরে পরিবর্তন ডেকে আনলেও সেখানে কী ধরনের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। মিসরে আবার স্বৈরতন্ত্র এসেছে। সেনা কর্তৃত্বে আবার ফিরে গেছে দেশটি। লিবিয়া কার্যত এখন নিয়ন্ত্রণ করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। সেখানে তথাকথিত একটি ‘সরকার’ থাকলেও, সরকারের কোনো কর্তৃত্ব নেই। উপরন্তু বেনগাজির কাছাকাছি শহর দাবনা চলে গেছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে। তারা এই শহরকে ইসলামিক স্টেটের সম্প্রসারিত অংশ বলে ঘোষণা করেছে। ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনের পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এবং এসব অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে ওবামা প্রশাসনের ব্যর্থতার দায়ভার বহন করতে হবে হিলারিকে।
ডেমোক্রেটরা যে বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি, এই অভিযোগ হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে উঠবেই। একসময় হিলারি নিজে ওবামা প্রশাসনের পররাষ্ট্র সচিব (পররাষ্ট্র মন্ত্রী) ছিলেন। তিনি তার সময়ে লিবিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেননি। এটা তার একটা মাইনাস পয়েন্ট। উপরন্তু ক্লিনটন ফাউন্ডেশন নিয়েও নানাকথা আছে। হিলারি ক্লিনটন তার স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িত। এই প্রতিষ্ঠানটি বিদেশি অনেক রাষ্ট্র থেকে ফান্ড পেয়েছে, এবং তাদের স্বার্থে কাজ করেছে-এসব অভিযোগ ইতোমধ্যেই উচ্চারিত হয়েছে।এটা প্রাক-নির্বাচনী প্রচারণায় রিপাবলিকানেরা ব্যবহার করেছেন, এটাই স্বাভাবিক। যদিও বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গেল সপ্তাহে একটি জনমত সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। সেখানে হিলারি ক্লিনটনকে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আভাস দেয়া হয়েছে।
মার্কিন নির্বাচনের প্রচারণা এখন তুঙ্গে। যদিও প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। তারপরও সব ধরনের প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে দুই শিবিরেই—অর্থাৎ রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট শিবিরে। এইসব প্রচারণায় ব্যক্তিগত বিষয়াদিও আলোচিত হচ্ছে। জুলাই মাসে যখন চূড়ান্তভাবে প্রার্থী মনোনীত হবেন, তখন দু’দলের দু’জন প্রার্থী খুব কম সময় পাবেন। মাত্র ৪ মাস সময় পাবেন। এ কারণেই দুটি বড় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন রাজ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ককাসে’অংশ নিয়ে প্রচারণার কাজটি সেরে নিচ্ছেন। তবে বলতেই হবে একজন ব্যক্তি কখনো কখনো ফ্যাক্টর হয়ে যান। যেমন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নভেম্বরে নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে ‘বিজয়ী’হন, তাহলে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। আর হিলারি ‘বিজয়ী’হলে পরিবর্তন আসবে কম।
Poriborton
01.03.16

0 comments:

Post a Comment