রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি

আজ বৃহস্পতিবার জানা যাবে মিয়ানমারের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হতে যাচ্ছেন। এটা একরকম নিশ্চিত যে অং সান সু চি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারছেন না। তবে তাঁর দল এনএলডির নেতৃত্বে সেখানে একটি সরকার গঠিত হবে। মিয়ানমারের নয়া সরকারের ওপর এখন অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে ‘কালাদান প্রজেক্ট’ এবং বাংলাদেশের পূর্বমুখী পররাষ্ট্রনীতির প্রেক্ষাপটে নয়া সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে বহুল আলোচিত কানেক্টিভিটির নামে একটি ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় ভারতের এক অঞ্চল থেকে (কলকাতা) অন্য অঞ্চলে (ত্রিপুরা ও আসাম) যাত্রীসেবা চালু হয়েছে। এবং সেই সঙ্গে পণ্য পরিবহনও হবে ভবিষ্যতে; যদিও চুক্তিতে, যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় স্বাক্ষরিত হয়, কোথাও ‘ট্রানজিট’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার করা হয়েছে ‘কানেক্টিভিটি’ শব্দটি। কালাদান প্রজেক্টটির সঙ্গে এই ট্রানজিটের বিষয়টি জড়িত। অর্থাৎ কলকাতা থেকে মিজোরামে পণ্য পরিবহনের (মিয়ানমারের ওপর দিয়ে) লক্ষ্যেই এই কালাদান প্রজেক্টটি ভারত হাতে নিয়েছিল এবং ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছিল। এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ভারত ৪৫০ কোটি রুপিও বরাদ্দ করেছে (দ্য হিন্দু, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। কিন্তু মিয়ানমারে এখন একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হওয়ার পর ভারত এই কালাদান প্রজেক্ট নিয়ে কত দূর এগিয়ে যাবে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন এখন। কেননা বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় কলকাতা থেকে পণ্য এখন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ত্রিপুরায় পরিবহন করা হবে। এ ক্ষেত্রে ত্রিপুরা দিয়েও সেই পণ্য মিজোরামে পরিবহন সম্ভব। মিজোরামের সঙ্গে সীমান্ত (পূর্বে) রয়েছে মিয়ানমারের এবং উত্তরে বাংলাদেশের। মিজোরামের পশ্চিমে ত্রিপুরা আর সীমান্ত রয়েছে আসামের সঙ্গেও। ফলে কানেক্টিভিটির দুটি পথ (কলকাতা-ঢাকা-ত্রিপুরা এবং কলকাতা-ঢাকা-আসাম) ব্যবহার করেই একই সঙ্গে ত্রিপুরা থেকে মিজোরামে কিংবা আসাম থেকেও মিজোরামে পণ্য পরিবহন সম্ভব। এতে অর্থ ও সময়ও সাশ্রয় হবে। একসময় ভারত এই কালাদান (মিয়ানমারের কালাদান নদীর নামানুসারে এই প্রজেক্টটির নামকরণ হয়েছে) প্রজেক্টটি হাতে নিয়েছিল। এতে তিন পথে (সমুদ্র, নদী ও সড়ক) ভারতের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপিত হবে। প্রথম পর্যায়ে কলকাতা থেকে জাহাজে বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করে পণ্য নেওয়া হবে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের সিটওয়ে (আকিয়াব) সমুদ্রবন্দরে। এই পথে ৫৩৯ কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করতে হবে। অতঃপর ভারতীয় পণ্য সিটওয়ে থেকে কালাদান নদীপথ ব্যবহার করে নিয়ে যাওয়া হবে নদীবন্দর পালেটওয়ায় (মিয়ানমারের চিন স্টেট), যার দূরত্ব ১৫৮ কিলোমিটার। এরপর সেই পণ্য সড়কপথে ১২৯ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে নিয়ে যাওয়া হবে মিজোরাম সীমান্তে। বোঝাই যায় কলকাতা থেকে পথটি দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ। মজার কথা, সিটওয়ে সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন ও সড়কপথ উন্নয়নে যে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে, তার পুরোটাই বহন করবে ভারত। বাংলাদেশের সঙ্গে পার্থক্য এখানেই। বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য পরিবহনে আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হবে। সড়ক উন্নয়নের সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটের আওতায় ভারত আমাদের ঋণ দেবে এবং সেই ঋণ আমাদের সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। বলা ভালো, কালাদান প্রজেক্টে প্রথম পর্যায়ে (সিটওয়ে সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন, নতুন টার্মিনাল তৈরি) ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার। সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় হবে ৪৯ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলার। আরাকান রিভার্স নেটওয়ার্কের তথ্য মতে ২০১৪-১৫ সালে এই প্রজেক্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা শেষ হয়নি। ভারত এই প্রজেক্ট পরিত্যাগ করেছে এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। কিন্তু মোদির ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা এই প্রজেক্ট নিয়ে আদৌ এগিয়ে যাবেন কি না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন এখন। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুযায়ী এই প্রজেক্টের ব্যয় এরই মধ্যে প্রায় ২৯ শতাংশ বেড়ে গেছে। ভারতের সঙ্গে মিয়ানমারের যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, মিয়ানমার এই প্রজেক্টের কোনো ব্যয়ভার বহন না করলেও ভারতীয় পণ্য ও যানবাহনের নিরাপত্তা দেবে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। কেননা মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দীর্ঘদিনের। এবং কালাদান প্রজেক্টে যেসব রুট ব্যবহূত হবে, সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিরাপত্তার বিষয়টি এর সঙ্গে জড়িত। তবে চুক্তি অনুযায়ী এসব রুটে (নদী ও সড়ক) মিয়ানমারের পণ্য এবং জনসাধারণ পরিবহন করা যাবে না। কালাদান প্রজেক্টের পাশাপাশি বিসিআইএম (BCIM) জোটটির কথাও উল্লেখ করা প্রয়োজন, যেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ রয়েছে। ভারত এ ব্যাপারে আগ্রহী হওয়ার পরই এই বিসিআইএম জোটের ধারণা শক্তিশালী হয়। এই জোট কার্যকর হলে কুনমিং (চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী) থেকে সড়কপথে বাংলাদেশ ও ভারতেও আসা যাবে এবং পণ্য আনা-নেওয়া করা যাবে। এর ফলে চীনা পণ্যের দামও কমে যাবে। উপরন্তু ২০২০ সালের মধ্যে আসিয়ানে মুক্তবাজার সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে বাংলাদেশ ও ভারতের পণ্য প্রবেশাধিকারের পথ সহজ হবে। বিসিআইএমের আওতায় কুনমিং থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়ক হবে। তিনটি রুটে ইউনান প্রদেশের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারত সংযুক্ত হবে। নর্থ রুটে কুনমিং থেকে মিয়ানমারের Myitkyha হয়ে ভারতের Ledo পর্যন্ত সংযুক্ত হবে। এই রুটে বাংলাদেশ সংযুক্ত হবে না। রুটটি অনেক কঠিন। সাউথ রুটে ইউনান থেকে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দর সোনাদিয়া পর্যন্ত সংযুক্ত ছিল। কুনমিং মান্দালয় (মিয়ানমার) হয়ে এই রুট চট্টগ্রামে প্রবেশ করবে। পরে ঢাকা হয়ে কলকাতা যাবে। এখন সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত না হওয়ায় (ভারতের আপত্তির কারণে) এই প্রস্তাবিত রুটের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। তৃতীয় প্রস্তাবিত রুটটি হচ্ছে মিডল রুট। এই রুট ভালো এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহূত হচ্ছে। এটিই প্রাচীন সিল্ক রুট। কুনমিং Bhamo-Lashio-Tamu (মিয়ানমার), ইম্ফল (ভারত), সিলেট-ঢাকা ও কলকাতা হচ্ছে এই রুট, যা কিনা ক২ক নামেও পরিচিত। অর্থাৎ কুনমিং থেকে কলকাতা। অনেকের স্মরণ থাকার কথা, এই রুটে (২৮০০ কিলোমিটার) একটি মোটর শোভাযাত্রা (২০১৩) চালু হয়েছিল। এই জোটের সম্ভাবনা ছিল বিশাল। কেননা এই চারটি দেশের (বিসিআইএম) রয়েছে বিপুল তেল ও গ্যাস সম্পদ (মিয়ানমার), রয়েছে শক্তিশালী অর্থনীতি (চীন ও ভারত), রয়েছে শিল্প (চীন), শক্তিশালী সার্ভিস সেক্টর, রয়েছে বিশাল অব্যবহূত জমি (মিয়ানমার) এবং সমুদ্রবন্দর (বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার)। ফলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট বদলে যেতে পারে ভবিষ্যতে, যদি বিসিআইএম জোটকে কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আঞ্চলিক অর্থনীতি তো বটেই, বিশ্ব অর্থনীতিকে অনেকাংশে প্রভাব বিস্তার করতে পারে এই জোট। এই চারটি দেশের সম্মিলিত জিডিপির পরিমাণ ৫ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যা কিনা বিশ্ব জিডিপির ১০ শতাংশ। ভারত বড় অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। জাপানকে টপকে এশিয়ায় দ্বিতীয় বড় অর্থনীতির দেশ ভারত। এ অঞ্চলের উন্নয়নে ভারত বড় অবদান রাখতে পারে। ফলে বিসিআইএম জোটে ভারতের সংযুক্তি এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে পরিপূর্ণভাবে বদলে দিতে পারে। আমাদের পূর্বমুখী পররাষ্ট্রনীতি অর্থাৎ পূর্বের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আসিয়ানে আগামী দিনে একটি মুক্তবাজার প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখানে রয়েছে একটি বিশাল বাজার। এই বাজার আমাদের জন্য একটি বড় সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত আমেড-৮-এর মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে, অন্যদিকে তেমনি বিশ্বে বাংলাদেশ যে একটি সহনীয় ইসলাম (মডারেট ইসলাম) ধারণ করে, এই ধারণা আরো শক্তিশালী হবে। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর। উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে ‘এশিয়া মিডলইস্ট ডায়ালগ-৮’ (আমেড-৮)-এর প্রস্তাব করেছিল। আমেড-৮-এর অন্য দেশগুলো হচ্ছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মিসর, জর্দান, কুয়েত ও বাহরাইন। আমেড-৮-এর কথা প্রথম শোনা গিয়েছিল ২০০৪ সালে সিঙ্গাপুরের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময়। এরপর আমেড-৮ নিয়ে তেমন কথাবার্তা শোনা যায়নি। ফলে আজ যখন মিয়ানমারে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতা নিতে যাচ্ছে, একদিকে তা এ অঞ্চলের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে যেমন উৎসাহ জোগাবে, অন্যদিকে তেমনি একটি অর্থনৈতিক জোট এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। মনে রাখতে হবে, নয়া বিশ্বব্যবস্থার অন্যতম উপাদান হচ্ছে আঞ্চলিক সহযোগিতা। এত দিন মিয়ানমারে একটি ‘সামরিক সরকার’ ক্ষমতায় থাকায় এই আঞ্চলিক সহযোগিতা বিস্তার লাভ করতে পারেনি। মিয়ানমার আমাদের জন্য অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে। মিয়ানমারে রয়েছে প্রচুর জ্বালানি সম্পদ। ভারত গভীর সমুদ্র থেকে গ্যাস উত্তোলনে যথেষ্ট বিনিয়োগ করেছে। এই গ্যাস এখন পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত তার নিজ দেশে নিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশ এই পাইপলাইন থেকে সুবিধা নিতে পারে। উপরন্তু মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ উত্পাদনও সম্ভব। বাংলাদেশ কৃষিক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশে গো-মাংসের যে বিপুল চাহিদা তা মেটাতে পারে মিয়ানমার। এ জন্যই মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বৃদ্ধি করার বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এটা সত্য, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে দুই দেশের মাঝে আস্থার সম্পর্কে ঘাটতি রয়েছে। মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে ‘ইয়াবা’ প্রবেশের বিষয়টি কিংবা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক বিজিবি সদস্যদের হত্যা করার একাধিক ঘটনা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিক্ততার সৃষ্টি করেছে। এ ক্ষেত্রে একটি গণতান্ত্রিক সরকার যত বেশি উদার, একটি সামরিক সরকার ততটা উদার নয়। এখন অং সান সু চি প্রেসিডেন্ট না হলেও সরকারের ওপর তাঁর যথেষ্ট প্রভাব থাকবে। এবং তিনিই হবেন ‘ডি ফ্যাক্টো প্রেসিডেন্ট’! তাঁর সম্মতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্তই কার্যকর করা যাবে না। সু চি বাংলাদেশ ও ভারতে যথেষ্ট জনপ্রিয়। এ দুটি দেশের রাজনীতির গতিধারা সম্পর্কে তিনি পূর্ণ ধারণা রাখেন। সুতরাং মিয়ানমারে এনএলডির নেতৃত্বাধীন একটি সরকার এ অঞ্চলের জন্য নতুন একটি সম্ভাবনার দ্বার সৃষ্টি করল। Daily Kalerkontho 10/03.16

0 comments:

Post a Comment