রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত


স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের ঢেউ বয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে কী ধরনের সমাজ, সংস্কৃতি বিকশিত হয়, এ ব্যাপারে আগ্রহ ছিল অনেকের। দীর্ঘ ৭৩ বছর রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো একদলীয় সমাজতান্ত্রিক সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু ১৯৮৯ সালে সাবেক চেক প্রেসিডেন্ট ভাসলাভ হাভেলের নেতৃত্বে যে ‘ভেলভেট রেভ্যুলুশনের’ জন্ম হয়েছিল, তা বদলে দিল পূর্ব ইউরোপকে, সেই সঙ্গে রাশিয়াকেও। অবসান ঘটেছিল স্নায়যুদ্ধের। আমেরিকার তাত্মিকদের কেউ কেউ তখন বলার চেষ্টা করেছিলেন, ‘সমাজতন্ত্র একটি ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে’ এবং লিবারেলিজমেরই জয় হলো (ফ্রান্সিস ফুকিয়ামা)। তখন থেকেই পূর্ব ইউরোপ তথা রাশিয়ার বিকাশমান গণতন্ত্র নিয়ে যেমন প্রশ্ন ছিল, ঠিক তেমনি প্রশ্ন ছিল উন্নয়নশীল বিশ্বের গণতন্ত্র নিয়েও। এখানে অধ্যাপক হানটিংটনের বিখ্যাত প্রবন্ধ (যা পরে বই আকারে প্রকাশিত হয়) ঞযব পষধংয ড়ভ পরারষরুধঃরড়হ ঃযব হবীঃ ঢ়ধঃঃবৎহ ড়ভ পড়হভষরপঃ-এর কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন, যেখানে তিনি বলার চেষ্টা করেছেন কোন ‘সভ্যতা’ ভবিষ্যতে টিকে থাকবে এবং উন্নয়নশীল বিশ্ব কোন বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দেবে। অধ্যাপক হানটিংটন লিখেছিলেন, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নৈকট্যের কারণে বিভিন্ন জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রগুলোকে ৮টি ‘সভ্যতার’ ছত্রচ্ছায়ায় একত্রিত করবে এবং এদের মধ্যকার দ্বন্দ্বই বিশ্ব রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। তিনি অর্থনৈতিক শক্তিজোট ও আঞ্চলিক শক্তিকে একেবারে অস্বীকার করেননি। তিনি মন্তব্য করেছিলেন এভাবে, বপড়হড়সরপ ৎবমরড়হধষরংস সধু ংঁপপববফ ড়হষু যিবহ রঃ রং ৎড়ড়ঃবফ রং ধ পড়সসড়হ পরারষরুধঃরড়হ। অর্থাৎ অর্থনৈতিক জোটগুলো সাফল্য লাভ করবে যদি সাংস্কৃতিক (তথা ধর্মীয়) বন্ধনটা অটুট থাকে। এখানেই রয়েছে মোদ্দা কথাটি। অর্থনৈতিক সাফল্যটাই আসল, রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রধান নয়। যদি আরও খোলাসা করে বলা যায় তাহলে বলা যেতে পারে গণতন্ত্র হতে পারে, তবে ‘কম গণতন্ত্র, বেশি উন্নয়নই মঙ্গল।’ গণতন্ত্রকে কাটছাঁট করে যদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো যায়, তাহলে মানুষ এই সংস্কৃতিকে গ্রহণ করবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিটাই আসল। উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোর মাঝে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এর বড় প্রমাণ। মালয়েশিয়ার কথাও আমরা উল্লেখ করতে পারি। এসব দেশে সীমিত গণতন্ত্র আছে। এসব সমাজে বিকাশমান প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের সঙ্গে পশ্চিমা সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না, এটা সত্য। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও সত্য, সিঙ্গাপুর বা দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্র নিয়ে সেখানকার মানুষ খুশি।
একটি ছোট্ট দেশ সিঙ্গাপুর। দ্বীপরাষ্ট্র। মাত্র ২৫০ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে যে রাষ্ট্রটি আজ বিশ্বের উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি তা এক সময় ‘জেলেদের পল্লি’ হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রয়াত লি কুয়ান ইউ এই রাষ্ট্রটিকে কোথায় নিয়ে গেছেন, তা আজ সবাই জানে। সিঙ্গাপুরকে একটি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে কাজ করেছিল লি কুয়ান ইউর দর্শন, যেখানে তিনি সফলভাবে প্রয়োগ করেছিলেন এই তত্ত্বটি হচ্ছে ‘কম গণতন্ত্র, বেশি উন্নয়ন।’ সেখানে গণতন্ত্র আছে। সংসদ আছে। বিরোধী দলও আছে। তবে পিপলস অ্যাকশন পার্টির রয়েছে একক কর্তৃত্ব। একটি শিক্ষিত, দক্ষ, ব্যবসাবন্ধব এলিট শ্রেণি রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সক্রিয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিনির্মাণে (ইকোনমিক ইনটেলিজেন্স ইউনিটের মতে ঐুনৎরফ গণতন্ত্র) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে তারা বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। অনেকের মতে, কনফুসিয়াস মতবাদ সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিকে অন্যতম একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। প্রাচীন চিনা প-িত কনফুসিয়াস ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক সমৃদ্ধি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশ্বাস করতেন (চিনে এক সময় কনফুসিয়াস নিষিদ্ধ ছিল। আজ চিন কনফুসিয়াসের মতবাদ ধারণ করে)। সিঙ্গাপুর এই মতবাদটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ব্যবহার করছে। সেই সঙ্গে যোগ্য নেতৃত্ব, রাজনীতিতে শিক্ষিত ও মেধাসম্পন্ন ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ, দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ, সুশাসন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সেই সঙ্গে সুষ্ঠু অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সিঙ্গাপুরকে একটি বিশ্ব অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করেছে। তথাকথিত পশ্চিমা সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র এখানে বিকশিত হয়নি। সিঙ্গাপুরের নেতৃত্ব এর প্রয়োজনীয়তাও বোধ করেননি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেকটি দেশ মালয়েশিয়া। শতকরা ৬১.৩ ভাগ অধিবাসী মুসলমান, আর ১১ ভাগ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর দেশ মালয়েশিয়া। এখানে বিকশিত হয়েছে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র। তবে নিঃসন্দেহে তার সঙ্গে ব্রিটেনের গণতন্ত্রের কোনো মিল নেই। লিকুয়ান ইউর মতো মালয়েশিয়াতেও মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়াকে উঠতি অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করেন। এখানে রাষ্ট্রীয় দর্শনের ভিত্তি হচ্ছে ‘ঐক্যই শক্তি’। অর্থাৎ বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত মালয়েশিয়ার জনগোষ্ঠীকে এক পতাকাতলে আনতে ও শক্তিশালী একটি রাজনৈতিক শক্তির (বারিসোতা ন্যাসিওনাল বা ন্যাশনাল ফ্রন্ট, ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন বা উমনো যার মূল শক্তি) জন্ম দিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্ব। ১৩টি রাজনৈতিক দলের এই ফ্রন্ট, যা মালয়েশিয়ার ঐক্যের প্রতীক, দীর্ঘদিন মালয়েশিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। মাহাথির ১৯৮১ সালে ক্ষমতাসীন হয়ে ২০০৩ সালে অবসর নেন। এই ২২ বছরে তিনি মালয়েশিয়াকে অন্যতম একটি অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করেন। এখানেও কাজ করেছে সেই স্পিরিটÑ ‘কম গণতন্ত্র, বেশি উন্নয়ন।’ সেখানে রয়েছে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র। মিডিয়া স্বাধীন নয়। রাজনৈতিক কর্মকা- নিয়ন্ত্রিত। সংসদ আছে। বিরোধী দলের অস্তিত্বও রয়েছে। কিন্তু বিরোধী দলের বড় ভূমিকা লক্ষ করা যায় না। যদিও সংসদের নিম্নকক্ষে (উবধিহ জধশুধঃ) যেখানে ক্ষমতাসীন বারিসোতা ন্যাসিওনালের আসন সংখ্যা ১৩৩, সেখানে বিরোধী দলের ফ্রন্ট (চধশধঃধরহ চধশুধঃ, ৩ দল) পেয়েছে ৮৯টি আসন। বিরোধী দলের আসন বাড়লেও তা রাজনীতিতে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি।
উঠতি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে রাশিয়ার কথাও এখানে উল্লেখ করা যায়। সমাজতন্ত্র-পরবর্তী রাশিয়ায় যে ‘গণতন্ত্র’ বিকশিত হচ্ছে, তা ঐুনৎরফ গণতন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও এখানে দেখা গেছে একটি শ্রেণি ঘুরেফিরে ক্ষমতা পরিচালনা করছেন। অথবা বলা যেতে পারে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। পাঠক, স্মরণ করার চেষ্টা করুন ১৯৯৯ সালে ভøাদিমির পুতিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন। কিন্তু মাত্র ৪ মাসের মাথায় ৩১ ডিসেম্বর (১৯৯৯) ইয়েলৎসিন প্রেসিডেন্ট থেকে পদত্যাগ করলে পুতিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। সেই থেকে তিনি আছেন। প্রেসিডেন্ট থেকে (দুই টার্ম) পরে প্রধানমন্ত্রী আবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে তিনি প্রথমে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দুই টার্ম পালন করার পর (২০০৮) ছেড়ে দেন। এখন আবারও প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এবং যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন (মেদভেদেভ) তিনি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৬ সালে পুতিন আবারও প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং সন্দেহাতীতভাবে ২০২০ সাল পর্যন্ত থাকবেন। এক সময় মনে করা হতো রাশিয়াতে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র বিকশিত হবে! কিন্তু দেখা গেল সেখানে গণতন্ত্রের নামে এক ধরনের গোষ্ঠীতন্ত্র বিকশিত হয়েছে, যারা ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। এখানে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। তবে রাশিয়া চেষ্টা করছে অর্থনৈতিকভাবে একটি শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে। রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হলেও অর্থনীতিতে পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটেছে। এক ধরনের ‘অর্থনৈতিক মাফিয়াতন্ত্র’ এখন রাশিয়ার অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। রাশিয়া অর্থনীতিতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অবস্থানে না থাকলেও বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি শক্তি। বিশ্ব সম্প্রদায় রাশিয়াকে সেই মর্যাদাও দেয়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের বিকাশ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশ্নটি এসে যায়। বাংলাদেশকে মাধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ছাড়া তা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সূচকগুলো একেবারে খারাপ নয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগ ধরে রাখা, রিজার্ভ প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত, দরিদ্রতা কমিয়ে আনা (২৪ ভাগ), তৈরি পোশাকে ৭৭ লাখ উদ্যোক্তা ও ২৫ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান, শান্তিসূচকে ৯৮তম স্থান, ডিজিটাল স্বাধীনতায় ৬৩তম স্থান (৮৬টি দেশের মধ্যে) ইত্যাদি প্রতিটি সূচক আশার কথা বলে। কিন্তু বড় ব্যর্থতা প্রধান বিরোধী দলকে সরকার আস্থায় নিতে পারেনি। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে যেখানে ‘কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা তা প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি (২০১৪) একটি নির্বাচন হয়েছে বটে সেখানে ‘সকল দলের অংশগ্রহণ’ ছিল না। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে পড়েছে। রাজনীতি এখন হয়ে পড়েছে অনেকটা একদলীয়। দুর্নীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি দলের প্রভাব-প্রতিপত্তি সমাজের সর্বক্ষেত্রে এত প্রকট যে, গণতন্ত্র এখানে অনেকটা ‘নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র’-এর পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এমনকি বিরোধী দলের টানা তিন মাসের ‘আন্দোলন’ বাংলাদেশে একটি ‘বোমাবাজির রাজনীতি’র জন্ম দিয়েছিল, এই রাজনীতি সুস্থ গণতন্ত্র চর্চার জন্য কোনো ভালো খবর নয়। তবে এরই মাঝে একটি ভালো খবর হচ্ছে, বিএনপি তার ষষ্ঠ কাউন্সিল করতে পেরেছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। বিএনপি একটি কর্মসূচি (ভিশন ২০৩০) দেওয়ার কথাও বলেছে। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি অতীতের ‘তিক্ত অভিজ্ঞতা’ থেকে বেরিয়ে এসে সনাতন রাজনীতির সূচনা করেছে। এটা ভালো দিক। বাংলাদেশে আমরা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চাই বটে। কিন্তু উন্নয়নকে বাদ দিয়ে নয়। বাংলাদেশে একটি তরুণ প্রজন্ম রয়েছে। এদের যদি দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে এই শক্তি অর্থনীতিতে একটি বড় অবদান রাখতে পারবে। তাই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে গণতান্ত্রিক চর্চাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একুশ শতকে এটাই হোক আমাদের অগ্রাধিকার।
Daily Amader Somoy
30.03.16

0 comments:

Post a Comment