রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

বিনা ভোটে নির্বাচন কোনো নির্বাচন নয়


অভিযোগটি গুরুতর। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে ১১৪টি ইউপিতে তাদের কোনো প্রার্থী থাকছে না। কারণ বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাঁধা অথবা তুচ্ছ অভিযোগে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর অর্থ পরিষ্কার। আগামী ২২ মার্চ প্রথম দফায় যে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেখানে চেয়ারম্যান পদে ১১৪টি ইউপিতে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। মোট ৪ হাজার ২৭৫টি ইউপি নির্বাচনে প্রথম দফায় ৭৫২টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে। এখন বিএনপির অভিযোগের যদি সত্যতা থাকে তাহলে ৭৫২টির মধ্যে ১১৪টিতেই আদৌ নির্বাচন হচ্ছে না। তাহলে এই নির্বাচনকে কি আমরা নির্বাচন বলব? দ্বিতীয় দফায় (৩১ মার্চ) নির্বাচন হওয়ার কথা ৭১০টিতে। তাহলে সেখানেও কি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে? পাঠক, নিশ্চয়ই স্মরণ করতে পারবেন গত ৩০ ডিসেম্বর যে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেখানে ফেনী, পরশুরাম, দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে কী হয়েছিল। সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে ৪৮টির আসনের ৪৪ জন প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। শুধু একটি জেলার কথাই উল্লেখ করলাম। অন্য অনেক জেলাতেও একই ধরনের সংবাদ আমরা পাই। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের সংখ্যা ১১৪ কিনা এ ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। কেননা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এ সংখ্যা উল্লেখ করেছেন ৫১ বলে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়াকে হানিফ বলেছেন 'সরকারের উন্নয়নের প্রতি আস্থা' বলে। তার বক্তব্য 'কেউ যদি স্থানীয় উন্নয়নের স্বার্থে সরকারের প্রতি আস্থা ব্যক্ত করে প্রার্থী না হন সে ক্ষেত্রে আমাদের কী অপরাধ? (সমকাল, ২৯ ফেব্রুয়ারি)। এ প্রশ্ন আসতেই পারে_ কী অপরাধ? কিন্তু বাস্তবতা কী বলে? প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেয়া হচ্ছে_ এমন খবর সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। সরকারি দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও নানা কথা আছে। আসলে নির্বাচন মানেই তো এক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে ওই এলাকার জনগণের অর্থাৎ ভোটারদের আর সুযোগ থাকল না তাদের প্রার্থী পছন্দ করার। আমাদের সংবিধানের ৫৯(১) ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, 'আইন অনুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক একাংশের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা হইবে'। এখানে বলা আছে, 'নির্বাচিত ব্যক্তিদের' কথা। এখন নির্বাচনের আগেই ১১৪ জন কিংবা ৫১ জনই যদি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তাহলে কি সংবিধা লঙ্ঘন হয় না? আরো একটা কথা_ আওয়ামী লীগ যাদের মনোনয়ন দিয়েছে, তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনেও আমরা এমনটি দেখেছিলাম। ৩৩ জন মেয়র প্রার্থীর (আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে মামলা ছিল। সৎ প্রার্থী না দিলে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় না। দল তাদের প্রার্থী না করে সৎ প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে পারত। এটা হলে ভালো হতো। আওয়ামী লীগ একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারত। সৎ প্রার্থী না হলে স্থানীয় পর্যায়ে সৎ রাজনীতি উপহার দেয়া যায় না। বড় দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের প্রত্যাশা থাকে বেশি। আওয়ামী লীগ এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। উপরন্তু যে ৭টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা 'বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়' নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেখানে কী ধরনের 'পরিস্থিতি' বিরাজ করছিল তা আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের জানার কথা। 'বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়' বিজয়ী হওয়ার কাহিনী দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য যথেষ্ট নয়। বিজয়ী মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে 'ব্যবসায়ী প্রার্থীদের' প্রবণতা বেশি ছিল। ৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৬৫২ জন ব্যবসায়ী, অর্থাৎ শতকরা ৭২ দশমিক ১২ ভাগ ব্যবসায়ী ছিলেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলেই ব্যবসায়ীদের আধিক্য বেশি ছিল। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের ১৬৫ জন (শতকরা ৭৪ দশমিক ৬৬ ভাগ), আর বিএনপির ১৬২ জন (শতকরা ৭৮ দশমিক ৬৪ জন) ছিলেন ব্যবসায়ী (সূত্র সুজন, ঢাকা)। এদের মধ্যে অনেকেই বিজয়ী হয়েছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে_ ব্যবসায়ীরা যখন মেয়র হন কিংবা ইউপি চেয়ারম্যান হন তখন তিনি ব্যবসায়িক স্বার্থের ঊধর্ে্ব উঠে, নিরপেক্ষভাবে কি স্থানীয় প্রশাসন পরিচালনা করতে পারবেন? পৌরসভায় কোটি কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়। একজন ব্যবসায়ীর এ ক্ষেত্রে স্বার্থ থাকে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কি এ ধরনের মেয়র পাওয়া সম্ভব, যিনি ব্যবসায়িক স্বার্থের ঊধর্ে্ব থাকবেন? বাস্তবতা বলে এটা সম্ভব নয়। আর সম্ভব নয় বলেই দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়। আরো একটা কারণে ওই নির্বাচন গুরুত্ব বেশি ছিল। দলীয়ভাবে নির্বাচন হওয়ায় জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রতীক 'দাড়িপাল্লা' নিয়ে নির্বাচন করতে পারেনি। তবে জামায়াতের প্রার্থীরা মাঠে ছিল। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। পেয়েছেন মাত্র একটি আসন। বিএনপির হাইকমান্ড এটি জানে। লিখিতভাবে অথবা প্রকাশ্যে ঘোষণার মাধ্যমে বিএনপি ২টি আসন দিয়েছিল জোটভুক্ত এলডিপি ও জাতীয় পার্টিকে (জাফর)। এর বাইরে ধারণা করছি প্রায় ২৬টি আসনে বিএনপি জামায়াতকে ছাড় দিয়েছিল। বলাই বাহুল্য জামায়াত প্রার্থীরা নির্বাচনে ভালো করেনি। ইসিতে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। দলটি নিষিদ্ধ ঘোষণার পর্যায়ে রয়েছে। সরকার সম্ভবত আইনি প্রক্রিয়াতেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে জামায়াতের কর্মকা- নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের কয়েকজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এমনি এক পরিস্থিতিতে জামায়াত সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্রার্থীরা স্থানীয়ভাবে পরিচিত। তাদের পরিচয় স্থানীয়ভাবে ভোটাররা জানে। ওইসব আসনে বিএনপি প্রার্থী দেয়নি। ফলে ওই নির্বাচন প্রমাণ করেছে জামায়াতের প্রতি জনসমর্থন এতটুকুও নেই। এই জনসমর্থন নিয়ে জামায়াত নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করবে (অনেকটা তুরস্কের মডেলে) যদি জামায়াতকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই পৌর নির্বাচন প্রমাণ করেছিল বিএনপি জামায়াতকে যেমনি ছাড়বে না, ঠিক তেমনি জামায়াতও বিএনপিকে ছাড়বে না। এই দুটি রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে একটা 'বিভক্তির' উদ্যোগ নেয়া হলেও তা কোনো 'কাজ' দেয়নি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের একটা যোগাযোগ আছে। পৌর নির্বাচনের মতো ইউপি নির্বাচনেও এটা প্রতিফলিত হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইউপি নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের বিএনপি সমর্থন করবে বলে আমার ধারণা।
এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজন। উপজেলা, সিটি করপোরেশন (৩টি), পৌর নির্বাচনের পর এখন ইউপি নির্বাচন, প্রতিটি নির্বাচন শুদ্ধ না হলেও বিএনপির অংশগ্রহণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচনী সংস্কৃতিতে ফিরে এসেছে। ৫ জানুয়ারি (২০১৪) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। কিন্তু তাতে নির্বাচন বন্ধ থাকেনি এবং কোনো অসাংবিধানিক শক্তিও ক্ষমতায় আসেনি। ওই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় সরকার বহির্বিশ্বে কিছুটা নিন্দা কুড়িয়েছে, এটা সত্য। কিন্তু কোনো সরকারই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়নি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরও প্রধানমন্ত্রী জাপান ও চীন সফর করেছেন। এরপর উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু কোনো নির্বাচনই ভালো হয়নি। বরং নতুন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্ম হয়েছে_ জালভোট প্রদান, ভোটকেন্দ্র দখল, বিরোধী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দান। এই যে 'সংস্কৃতি' এটা গণতন্ত্রের জন্য কোনো ভালো খবর নয়। আর সে জন্যই প্রশ্ন উঠেছে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে, সে ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার। অতি সম্প্রতি ঢাকা সফর করে যাওয়া ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশিয়াসংক্রান্ত কমিটির প্রধান জিন ল্যাম্বার্ট ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিমতটি দিয়েছিলেন। তার মতে সিদ্ধান্তটি নিতে হবে বাংলাদেশকেই। আর সে ব্যাপারে দ্রুতই আলোচনা শুরু করা দরকার। ল্যাম্বার্টের এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কেননা সংবিধানে বলা আছে কিভাবে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে আলোচনা কিংবা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার কী প্রয়োজন? কিন্তু বাস্তবতা বলে একটা কথা আছে। বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচনের রাজনীতির ধারায় আনতে হলে আলোচনাটা জরুরি। একটা 'পথ' যদি বের করা না যায় তাহলে বিএনপি ওই নির্বাচনে (সম্ভাব্য তারিখ ২০১৯, জানুয়ারি) অংশ নেবে কিনা তা নিশ্চিত করে কেউই এখন বলতে পারবে না। তবে বিএনপি নেতাদেরও বুঝতে হবে নির্বাচন 'প্রতিহত' করার ঘোষণা গণতন্ত্র সম্মত নয়। বিএনপির জন্য সুযোগ এসেছে মূল ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার। কিন্তু কিভাবে? দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই দলীয় সরকারের (ওই সময় সরকার থাকে নির্বাচনকালীন সরকার। তাদের কোনো প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকে না) অধীনে নির্বাচন হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সংস্কৃতি একটু ভিন্ন। বুদ্ধিজীবীরা একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারতেন। আমি দুঃখজনকভাবে অনেক তথাকথিত সুশীলকে দেখছি টকশোতে, যারা কিছুদিন আগেও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলতেন, পত্রিকায় কলাম লিখতেন, আজ দেখি তারা টকশোতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাচ্ছেন। আমি অবাক হয়ে দেখি যারা সাংবিধানিক পদে আছেন, শপথ নিয়েছেন, তারা টকশোতে দলীয় রাজনৈতিক বক্তব্য রাখছেন। অতীতে কখনই এমনটি হয়নি। অতীতেও রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় ছিল। ভিসিরা ছিলেন। মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানরা ছিলেন। তারা সাধারণত 'রাজনৈতিক বক্তব্য' এড়িয়ে চলতেন। আজ পাল্টে গেছে সব। আর এভাবেই আমরা রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে পাল্টে দিয়েছি। পাল্টে দিয়েছি নির্বাচনের সংস্কৃতি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা ঢাকা ও চট্টগ্রামের মেয়র হয়েছিলেন তারা এখন দাবি করেন নিজেদের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলছে ইউপি নির্বাচনে।
অতীতে যখন সংবাদপত্রগুলো আমাদের বলেছিল প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন, শতাধিক পৌরসভায় হামলা, সংঘাত, গুলি, ব্যালট ছিনতাই, বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, কিংবা যখন বহিরাগতদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকে জাল ভোট প্রদানের দৃশ্য প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছিল অথবা ভাঙা ব্যালট বাক্স জঙ্গলে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়ার ছবি ছাপা হয়েছিল তখন আস্থার জায়গাটা নষ্ট হয়ে যায়। এই যে সংস্কৃতি, এই সংস্কৃতি সুস্থ গণতন্ত্রচর্চার জন্য সহায়ক নয়। এই সংস্কৃতি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ ও দূরত্ব আরো বৃদ্ধি করে। রাষ্ট্র ধীরে ধীরে হয়ে পড়ে একদলীয়। লঙ্ঘিত হয় মানবাধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সুস্থ চিন্তার চর্চা। ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে এই কথাগুলো আবারো বলা যায়।
মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাঁধা দিয়ে ক্ষমতা অাঁকড়ে থাকা যায় বটে, কিন্তু দলীয় সরকারের ভাবমূর্তি তাতে উজ্জ্বল হয় না। এই মানসিকতায় যদি পরিবর্তন আনা না যায়, তাহলে নির্বাচন প্রক্রিয়াটিই অর্থহীন হয়ে পড়বে। আজ তাই সময় এসেছে এসব নিয়ে ভাববার। এ ক্ষেত্রে শুধু নির্বাচন কমিশনকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি 'স্টেক হোল্ডার'কে আজ এগিয়ে আসতে হবে।
Daily Jai Jai Din03.03.16

0 comments:

Post a Comment