কেমন হবে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন? ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম দফা ভোটগ্রহণ হবে ২২ মার্চ। দ্বিতীয় দফায় ৩১ মার্চ। পর্যায়ক্রমে আরো কয়েক দফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ৪ জুন শেষ হবে ইউপি নির্বাচন। তবে এই নির্বাচন নিয়েও নানা প্রশ্ন আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন হবে কিনা, এ নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী ‘চাপে আছে বিএনপির প্রার্থীরা।’ একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য ক্ষমতাসীনদের চাপের মুখে আছেন বিএনপির কিছু প্রার্থী।’ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও চাপ মোকাবিলা করছেন। নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এ অভিনব কৌশল অবলম্বন করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় এক দফা বাধার পর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বিএনপি প্রার্থীদের অনেকেই এখন নতুন ধরনের চাপ মোকাবিলা করছেন। ওই জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনের সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর একটি বক্তব্যেরও মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলেন, বিএনপির ১১৪টি ইউপিতে প্রার্থী থাকছে না। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই ১১৪ জন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। শাসক দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেও তার অভিযোগ। যদিও সরকারের মন্ত্রীরা কিংবা সিনিয়র নেতারা এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভিন্নভাবে। তাদের বক্তব্য, বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন কিংবা বিএনপির বক্তব্যের পেছনে সত্যতা যাই থাকুক না কেন বাস্তবতা হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ে একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে, কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেখানে ‘সব দলের অংশগ্রহণ’ হচ্ছে না। ‘সব দলের অংশগ্রহণ’ না থাকায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হচ্ছে না। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে কোনো নির্বাচনকে নির্বাচন বলা আদৌ যুক্তিসঙ্গত কিনা, এই প্রশ্ন থাকল। ৫ জানুয়ারি (২০১৪) নির্বাচনের (জাতীয় সংসদ) পর পর্যায়ক্রমে উপজেলা নির্বাচন, ৩টি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ও পৌরসভায় নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনই শুদ্ধ হয়েছে এমনটি বলা যাবে না।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এটা স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন হলেও এর ওপর ভবিষ্যৎ ও রাজনীতির অনেক কিছু নির্ভর করছে। এই নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, যদি স্থানীয়ভাবে সরকারি দলের নেতা ও কর্মীদের দৌরাত্ম, ভোটকেন্দ্র দখল, সিল মারার প্রবণতা রোধ করা না যায়, তাহলে প্রমাণিত হবে সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক নয়। ইতোমধ্যেই অনেকগুলো কারণ সৃষ্টি হয়েছে যা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট যে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। প্রথমত, একাধিক ক্ষেত্রে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এটা নতুন একটি উপসর্গ। প্রভাব খাটিয়ে হুমকি দিয়ে, আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বিরোধী পক্ষের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়া হয়নি। এখানে স্থানীয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি। দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকায়, স্থানীয় পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীরা এর সুযোগ নিচ্ছেন। স্থানীয় নেতারা মনে করছেন তিনি বা তারা মনোনয়ন পেলে তারা বিজয়ী হবেন। ফলে সম্ভাব্য ‘বিজয়ের’ জন্য তারা স্থানীয় পর্যায়ে যা যা করা দরকার, তাই তারা করছেন। তৃতীয়ত, মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে ব্যাপক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে ‘মনোনয়ন’ ক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে যিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন, তিনি চাইবেন যে কোনো মূল্যে তার বিজয় নিশ্চিত করতে। আমাদের পর্যবেক্ষণ বলে স্থানীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিযে প্রশাসন রয়েছে, তারা নানাবিধ কারণে সরকারি দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেতে সাহস পান না। মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দান ও অভিযুুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় অভিযোগগুলো শেষ পর্যন্ত সত্যতায় পরিণত হয়েছে। প্রথম দফায় ২২ মার্চ ৭৫২টি, দ্বিতীয় দফায় ৩১ মার্চ ৭১০টি, তৃতীয় দফায় ২৩ এপ্রিল ৭১১টি, চতুর্থ দফায় ৭ মে ৭২৮টি, পঞ্চম দফায় ২৮ মে ৭১৪টি এবং ষষ্ঠ দফায় ৪ জুন সর্বশেষ ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ প্রায় ৩ মাস স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনের উত্তাপ থাকবে। এখন প্রথম দফা নির্বাচনের আগেই মাঠ পর্যায়ে যে ‘চিত্র’ আমরা দেখছি তা আমাদের হতাশায়ই ফেলে দেবে। তাই একটি শুদ্ধ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে দলের পরিচয় ও প্রতীকে অনুষ্ঠিত হলেও সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে আগের মতোই নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও নির্ধারিত সময়েই ইউপি নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটা একটা ভালো দিক। সব পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শাসনকাজ পরিচালনা করার ব্যাপারে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা (৫৯ ধারা) রয়েছে। সুতরাং ইউপি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার প্রশংসা পেতেই পারে। তবে সরকারের উচিত উত্থাপিত অভিযোগগুলো দ্রুত খতিয়ে দেখা। অভিযোগগুলো যদি খতিয়ে দেখা না হয় তাহলে নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেইং ফ্লিড’ তৈরি হবে না। অর্থাৎ সবার জন্য সমসুযোগ সৃষ্টি না হলে প্রশ্ন থাকবেই। প্রার্থীরা যখন মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারেন, বিষয়টাকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ কম। নির্বাচন কমিশন বিষয়গুলো তথা অভিযোগগুলো বিবেচনায় নিয়ে দেখতে পারে অভিযোগগুলোর পেছনে আদৌ কোনো সত্যতা আছে কিনা।
নির্বাচন কমিশনের জন্য সুযোগ এসেছিল তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর। নির্বাচনে অনিয়মরোধ, স্থানীয় মস্তানদের নিয়ন্ত্রণ করা, বিরোধী দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠে সমঅবস্থানের সুযোগ করে দেয়া, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে কঠোর হওয়াÑনির্বাচন কমিশন এই কাজগুলো যদি নিশ্চিত করতে পারত তাহলে এ দেশে নির্বাচনী সংস্কৃতি নতুন একটি রূপ পেত। এটা না পারার কিংবা ব্যর্থতার দায়টা এখন সরকারের চেয়ে নির্বাচন কমিশনের ওপর বেশি বর্তাবে। আমরা এক অদৃশ্য অরাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আটকে আছি। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে যে পন্থায় বিকশিত হয়, ব্যক্তি তার অধিকার নির্বিঘেœ প্রয়োগ করতে পারে, প্রশাসন যেখানে থাকে নিরপেক্ষ, এই সংস্কৃতি ধীরে ধীরে এখানে বিলুপ্ত হচ্ছে! গণতান্ত্রিক রীতি এখানে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে, রাজনীতিতে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাব বাড়ছে। যেনতেন প্রকারেই হোক ক্ষমতা ধরে রাখাই হচ্ছে যেন মূল লক্ষ্য। আমরা যদি এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে না পারি তাহলে আমাদের জন্য আরো খারাপ দিন অপেক্ষা করছে। ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়নি। এ নিয়ে আমরা বিতর্ক করতে পারি। পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করতে পারি। কিন্তু তাতে করে মূল সমস্যার সমাধান হবে না। মূল ধারার রাজনীতিতে যদি বড় দলগুলো বাইরে থাকে, তাহলে রাজনৈতিক জটিলতা বৃদ্ধি পায়। সংকটের মাত্রা বাড়ে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন ও পরে তিনটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন একটা সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু সেই সম্ভাবনাকেও আমরা কাজে লাগাতে পারিনি অতি উৎসাহীদের অগণতান্ত্রিক আচরণের জন্য। বুথ কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপারে প্রকাশ্যে সিল মারা, বিরোধীদলীয় প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া এসব ঘটনার যে দৃশ্য জাতি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে দেখেছে তা কোনো সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য ভালো খবর নয়। এখন শুধু বিএনপিই বলছে না, বরং সরকারের ‘মিত্র’ এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ সাহেবও অনেকটা হতাশার সুরে বলেছেন দেশে গণতন্ত্র চর্চার কোনো সুযোগ নেই! সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কিংবা সর্বশেষ পৌর নির্বাচনে যে দৃশ্য আমরা দেখেছি, সেই দৃশ্য আমরা আর দেখতে চাই না। পৌর নির্বাচনেও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হয়েছিল। এটা আমরা কেউই চাইনি। কিন্তু ইসি আমাদের সেই নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।
পৌরসভা নির্বাচনের মতো ইউপি নির্বাচন সরকারের জন্যও একটা প্লাস পয়েন্ট। এই নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ নিয়েছে এবং এতে সব দলের অংশগ্রহণের যে সংস্কৃতি তা নিশ্চিত করে সরকার তার অবস্থান আরো শক্তিশালী করতে পারে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে কিংবা সরকারি প্রভাব থাকলে সরকারের ভূমিকা দুর্বল হবে। বহির্বিশ্বে সরকারের ভূমিকা নিয়ে আরো প্রশ্ন উঠবে। বিদেশি বন্ধুদের কাছে সরকার তার গ্রহণযোগ্যতা আরো হারাবে। এক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে কি পরিবর্তন আসে সেটাই দেখার বিষয়।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ সাহেব জাতীয় পার্টির একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন কমিশনকে এর আগে তিনি ‘মেরুদণ্ডহীন’ বলেও আখ্যায়িত করেছিলেন। জনাব এরশাদের এই বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে। কেননা তিনি এখনো মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। সরকার থেকে তিনি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও পান। ফলে তার বক্তব্য সরকারের একটা অংশের বক্তব্য বলে মানুষ ভুল করতে পারে। জনাব এরশাদ নিজে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে পদত্যাগ করেননি। জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা এখনো মন্ত্রিপরিষদে আছেন। এ ধরনের বক্তব্যের কারণে ২০১৭-এর প্রথম দিকে মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিতে পারি না! সরকার এখন আগামী এক বছর ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করে এবং স্থিতিশীলতা বজায় রেখে, দুর্নীতি রোধ করে সরকারি দলের জন্য একটা ‘ক্ষেত্র’ সৃষ্টি করতে পারে। এটাকে পুঁজি করেই সরকারি দল নির্বাচনে যেতে পারে। এ কারণেই আমার বিবেচনায় ইউপি নির্বাচনটি হতে যাচ্ছে একটি টেস্ট কেস যাতে সরকারি মনোভাব বোঝা যাবে। কিন্তু যদি নির্বাচনটি ভালো না হয়, যদি শেষ মুহূর্তে বিএনপি আবারো নির্বাচন বয়কটের ডাক দেয়, তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি বাংলাদেশে নির্বাচনী সংস্কৃতিতে নতুন যে মাত্রা যোগ হবে তা আমাদের গণতন্ত্রকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে না। আমাদের জন্য সেটা হবে দুঃখের। নির্বাচনে বিএনপিকে রাখাই হবে সরকারের এক নম্বর অগ্রাধিকার। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে গেলেও সরকার পতনের কোনো সম্ভাবনা নেই। পৌর নির্বাচনের পর আবারো ‘নৌকা’ আর ‘ধানের শীষ’-এর মাঝে ‘ভোটযুদ্ধ’ শুরু হতে যাচ্ছে। এবারো ইউপি নির্বাচনে ভোটাররা দলীয়ভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন চেয়ারম্যান পদের জন্য। ব্যক্তি এখানে মুখ্য হবে না। ফলে ভোটের এই রায় প্রমাণ করবে আওয়ামী লীগ তার জনপ্রিয়তা কতটুকু বাড়াতে পেরেছে কিংবা বিএনপির প্রতি মানুষের সমর্থন কতটুকু আছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই দুটি বড় দলই হচ্ছে এখন পর্যন্ত রাজনীতির নিয়ন্ত্রক এই বাস্তবতাকে বোধ করি আমরা কেউই অস্বীকার করত পারি না। তবে এই বাস্তবতাকে সরকারি দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা কতটুকু সম্মান দেখাবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। একটা ভালো নির্বাচনী সংস্কৃতি গড়ে উঠুক, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের স্থানীয় নেতৃত্বকে নির্বাচিত করুক ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে এ প্রত্যাশা আমাদের সবার।
Daily Manobkontho
08.03.16
0 comments:
Post a Comment