রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

‘মিনিস্টার আই হ্যাভ এ কোয়েশ্চেন’


একটি ছোট ঘটনা। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে ঘটনাটি আলোড়ন তুলেছিল। একটি কিশোরী মেয়ে শতাব্দী প্রশ্ন করেছিল যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকেÑ ‘মিনিস্টার আই হ্যাভ এ কোয়েশ্চেন’Ñ মন্ত্রী বাহাদুর আমার একটি প্রশ্ন আছে। মন্ত্রী সেদিন ব্যস্ত ছিলেন সড়কে চলাচলকারী অবৈধ বাসচালক আর সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন টিভি ক্যামেরা, মিডিয়ার ক্যামেরা, বিআরটির লোকজন। আর সেই সঙ্গে পুলিশ। কিশোরী শতাব্দী দাঁড়িয়ে দেখছিল মন্ত্রীর কর্মকা-। পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গেলে একজন মন্ত্রীকে রাস্তায় নামতে হয় অবৈধ বাসচালকদের আটক করার জন্য। পৃথিবীর কোথাও এমনকি ভারতের মতো দেশেও এভাবে একজন ‘বড় মন্ত্রী’ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক কনট্রোল করেন কিনা, ড্রাইভারদের কাগজপত্র পরীক্ষা করেন কিনা, বিষয়টি আমার জানা নেই। কিন্তু আমাদের যোগাযোগমন্ত্রী অবশ্য প্রায়ই এ কাজটি করেন। এটা তার করা উচিত, কী উচিত নয়Ñ এ নিয়ে বিতর্ক উঠতেই পারে। অনিয়মটাই এখানে নিয়ম। শত শত ড্রাইভারের কোনো লাইসেন্স নেই। গাড়ির মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে এক যুগ আগে। তারপরও চলছে। খোদ ঢাকা শহরকে বাদ দিলাম। ঢাকার পাশে আমিনবাজার ব্রিজ অতিক্রম করে পাশের বাজারে আসেন। দেখবেন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে ডজন ডজন গাড়ি। এই গাড়িগুলো ঢাকায় ঢুকতে পারে না বটে, কিন্তু আমিনবাজারের ওপাশে মহাসড়কে নিত্য চলাচল করে। এটা কীভাবে সম্ভব?
ড্রাইভারদের দৌরাত্ম্য কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, কিশোরী শতাব্দী তার বড় প্রমাণ। শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। শেওড়াপাড়া থেকে তাকে বাসে চড়ে স্কুলে যেতে হয়। মেয়ে বলে বাস ড্রাইভাররা ওকে নেয় না। নেয় না সরকারি বিআরটিসির বাসও। তাই অনেকটা সাহস করে মন্ত্রীকে দেখে দাঁড়িয়ে গেল শতাব্দী। স্পষ্ট করে ইংরেজিতেই বলল, ‘মিনিস্টার আই হ্যাভ এ কোয়েশ্চেন’। তারপর জানাল তার অভিযোগ। মন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গেই সমাধান দিলেন। নির্দেশ দিলেন মেয়েদের বাসে নেওয়ার। সেই সঙ্গে গুলিস্তান-আব্দুল্লাহপুর ১২৩নং রুটে বিআরটিসি বাসে কেন শতাব্দীর মতো মেয়েদের নেওয়া হলো না, সেটাও জানতে চাইলেন। সামাজিক মাধ্যমে শতাব্দীর ছবিসহ মন্ত্রীর ছবি ও বক্তব্য ছাপা হয়েছে। এরপর তো কেটে গেছে আরও কয়েকটি দিন। বিআরটিসির বাস এখন শেওড়াপাড়ায় থামে। মেয়েদের তুলে নেয়। আমি ঠিক জানি না এটা ক’দিন চলবে? কিন্তু এটা জানি মন্ত্রীকে ওই ধরনের নির্দেশ আরও দিতে হবে। নতুন রুট খুলতে হবে। পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বা হবে, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
তবে শতাব্দীর মতো আমিও সাহস করে একখান কথা বলতে চাই। মন্ত্রীকে পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। তাই ভরসা এই সংবাদপত্র।
কোয়েশ্চেন নম্বর ‘ওয়ান’Ñ মাননীয় মন্ত্রী আপনি নির্দেশ দিয়েছিলেন মহাসড়কে কোনো ‘থ্রি হুইলার’ চলবে না। আমরা আপনার এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছিলাম। কেননা মহাসড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই ‘থ্রি হুইলার’, রিকশা ও স্কুটার। আপনার ওই আদেশকে আমি যদি ‘নির্দেশ’ হিসেবে ধরে নিই, তাহলে এখনো আমিনবাজার-সাভার-মানিকগঞ্জ মহাসড়কে নিত্য রিকশা, ভ্যান ও স্কুটার চলছে কীভাবে? লাইসেন্সবিহীন গাড়িও বা চলছে কীভাবে? উল্টোপথে ট্রাক চলছে অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই। এটা দেখবে কে? আপনি তো নির্দেশ দিয়েই খালাস। কিন্তু মনিটরিং করবে কে? আপনার বিআরটিএ কোথায় মাননীয় মন্ত্রী? কোয়েশ্চেন নম্বর ‘টু’ : মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধকল্পে হাইওয়ে পুলিশ গঠন করেছিল সরকার। তাদের জন্য যানবাহন ও জনবলও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী আবারও আমিনবাজার-মানিকগঞ্জ মহাসড়কের কথা বলি। আমি নিত্যদিন এ পথে চলাচল করি। বলতে পারেন আমার ‘জানটাকে’ হাতে নিয়েই আমার ব্যক্তিগত গাড়িতে সপ্তাহে একাধিকবার আমার পেশাগত কাজে এ পথে চলাচল করতে হয়। মাননীয় মন্ত্রী আমাকে ক্ষমা করবেন এই রুটে আমি কোনো হাইওয়ে পুলিশের পেট্রোল দেখিনি। হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি কিংবা পেট্রোল থাকলে বাসচালকরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে পারে না। সেই সঙ্গে এই রুটে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট বসানো উচিত। এই কাজটি কী আপনি করবেন? আমি দেখতে চাই আপনি একদিন টিভি ক্যামেরা নিয়ে সাভার রুটে মোবাইল কোর্ট বসিয়েছেন। আমি দিব্যি দিয়ে বলতে পারি সাধারণ মানুষ আপনাকে সমর্থন করবে। কোয়েশ্চেন নম্বর ‘থ্রি’: আপনি প্রায়ই ঢাকা শহরে সড়কে নেমে যান। বাসে উঠে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। এটা ভালো। এতে করে কি যানজট কমাতে পারছেন? দুটো দৃষ্টান্ত দিই। গাবতলীতে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেছিলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র। আপনি নিজেও এ ধরনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শতকরা আশি ভাগ উচ্ছেদ হয়েছে, এটা সত্য। কিন্তু এখনো দেখি মূল সড়কে দু-একটা বাস দাঁড়িয়ে থাকে। আর একটু দূরে আমিনবাজার ব্রিজে কোনো বাসস্ট্যান্ড না থাকলেও সেখানে বাসচালকরা অবৈধ একটা স্ট্যান্ড বানিয়ে নিয়েছে। সেখানে একাধিক বাস দাঁড়িয়ে থেকে নিত্যদিন যাত্রী উঠায়। ফলে যানজট তৈরি হয়। আমি দুঃখজনকভাবে লক্ষ করেছি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট, ট্রাফিক পুলিশ খোশগল্প করে! এখন যাদের ওপর দায়িত্ব ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা তারা যদি নিয়ন্ত্রণ না করে তাহলে আমরা কোথায় যাই মাননীয় মন্ত্রী। শতাব্দীর মতো সাধারণ একজন নাগরিক হিসেবে এ প্রশ্ন রাখলাম। এখানে আপনি ভালো ফল পাবেন যদি দুটো কাজ করেন। এক. প্রতি সপ্তাহে এখানে ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশদের বদলি। এটা করলে অবৈধ বাসচালকদের কাছ থেকে সার্জেন্টরা আর ‘বখরা’ নিতে পারবে না। তাদের সখ্যও তৈরি হবে না। দুই. এখানে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট বসান। মোবাইল কোর্ট থাকলে বাসচালকরা ভয় পাবে। অবৈধভাবে যাত্রী উঠানোর জন্য রাস্তার ওপর বাস দাঁড় করিয়ে রাখবে না। তবে আপনাদের এখন সিরিয়াসলি ভাবতে হবে গাবতলীতে আদৌ আপনারা আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড রাখবেন কিনা? ঢাকা বড় হয়েছে। মানুষ বেড়েছে। মানুষদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়া আপনাদের দায়িত্ব। কোয়েশ্চেন নম্বর ‘ফোর’ : ঢাকার যানজট কমানোর অনেক উদ্যোগের কথা আমরা শুনি। কোটি টাকা খরচ করে ট্রাফিক ব্যবস্থা ডিজিটাল করা হয়েছিল। তা এখন কোনো কাজ করে না। একদম পানিতে গেল এতগুলো টাকা! টক শোতে ‘মহাবিশেষজ্ঞরা’ মহাকথা বলেন। সবাই সেখানে বিশেষজ্ঞ! যানজট কমাতে হলে ট্রাফিক পুলিশকে কঠোর হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে বাড়াতে হবে মোবাইল কোর্টের সংখ্যা। কেন যানজট হয়? এখানে ট্রাফিক পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি একটা বড় সমস্যা। আবারও দৃষ্টান্ত দিই। শ্যামলীর রিংরোডে রাত ৮টা বাজার আগেই আন্তঃজেলা বড় বাসগুলো রাস্তা দখল করে নেয়। আগে দেখতাম ছোট ছোট গাড়িতে করে যাত্রীদের মূল বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হতো। এখন আটটার আগেই বাসগুলো রাস্তা দখল করে যানজট সৃষ্টি করে। এটা দেখার কেউ নেই। আমি নিজে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পশ্চিম জোনের (ট্রাফিক) ডিসি মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। খুব সজ্জন ব্যক্তি তিনি। আমার সম্মুখেই নির্দেশ দিলেন। তারপরও যা ছিল তাই রয়ে গেছে। রিংরোডে সন্ধ্যার পর অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হয়। এখানে প্রিন্সবাজার তাদের একটি নতুন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর চালু করেছে। রাস্তার ওপরই ক্রেতাদের গাড়ি পার্ক করা থাকে ডজন ডজন। মূল রাস্তা এতে সংকুচিত হয়। অথচ প্রিন্সবাজারের নিজস্ব ‘পার্কিং প্লেস’ থাকার কথা। উচ্চ আদালতের এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু প্রিন্সবাজার তা মানছে না। এসব দেখার দায়িত্ব কার? পত্রিকায় দেখলাম রাজউক উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে। ভালো কথা। রাজউক কী দেখবে ‘পার্কিং প্লেস’ ছাড়া কী করে প্রিন্সবাজারকে তাদের স্টোর চালু করতে অনুমতি দেওয়া হলো? একই কথা প্রযোজ্য প্রিন্সবাজারের পাশে নতুন চালু একটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজকে নিয়েও (সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল)। এই হাসপাতালের কারণে সেখানে যানজট এখন নিত্যসঙ্গী। মাননীয় মন্ত্রী আপনাকে সন্ধ্যায় আমন্ত্রণ জানাচ্ছি এই এলাকায়। নাগরিক হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। ট্রাফিক ডিসিকে অনুরোধ করেছি। দিনের বেলায়ও এখানে রাস্তা ব্লক করা থাকে! এটা কী কোনো নির্দেশ কারও? দিনের বেলা কি গাড়ি তল্লাশি হয়েছে কখনও? হয় না। কিন্তু মন্ত্রী বাহাদুর আসুন রিংরোডের সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল ও কলেজের সম্মুখে। ব্লকগুলো সরানোর কেউ নেই। এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তার জবাবÑ ওপরের নির্দেশ! আমি ধরে নিচ্ছি ট্রাফিক পশ্চিমের ডিসি মহোদয়ের নির্দেশেই দিনের বেলায়ও রাস্তাটিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে! ওপরের নির্দেশ তো, তাই আমরা মানছি মাননীয় মন্ত্রী! কোয়েশ্চেন নম্বর ‘ফাইভ’ : চন্দ্রিমা উদ্যানের পাশে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। এই বাসভবনকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রাত আটটার পরপরই যদি মূল রাস্তার পাশে আন্তঃজেলা চলাচলের জন্য বাসগুলো এনে রাখা হয় এবং যাত্রী উঠানো হয় এবং তাতে করে এ এলাকায় যে যানজট সৃষ্টি হয়, তা না হয় বাদ দিলাম, কিন্তু এতে করে কী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তা বিঘিœত হয় না? এটা কে দেখবে? দেখার দায়িত্ব ট্রাফিকের। বিশ্বাস করবেন মাননীয় মন্ত্রী যেখানে মূল রাস্তায় বাসগুলো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়, সেখান থেকে ট্রাফিক ডিসি মহোদয়ের কার্যালয়ের দূরত্ব মাত্র ৫০০ গজ। তার কী নজরে পড়েনি কখনো? তিনি কী এটা উপলব্ধি করতে পারেননি যে, এভাবে বাসগুলো দাঁড়িয়ে থাকলে, প্রচুর যাত্রী একসঙ্গে থাকলে, তা এক ধরনের নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি করতে পারে। কোয়েশ্চেন নম্বর ‘সিক্স’ : মাননীয় মন্ত্রী সড়কে রিকশা চলে কীভাবে? মিরপুর রোডে এখন রিকশার স্রোত! আগে তো বড় রাস্তায় রিকশা চলত না। এখন চলে কীভাবে? কারা অনুমতি দিয়েছে? মাননীয় মন্ত্রী আপনি কী জানেন ও বোঝেন যে ঢাকা এখন রিকশার নগরীতে পরিণত হয়েছে। অলিগলিতে রিকশার গ্যারেজ তৈরি করে অবৈধ রিকশা তৈরি করা হচ্ছে। এটা তো একটা ভালো ব্যবসা। এসব গ্যারেজ কারা নিয়ন্ত্রণ করে? মাননীয় মন্ত্রী আপনি একটু খোঁজ করলেই জানতে পারবেন কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত। সড়কে যদি রিকশা চলে, তাহলে তো অন্য যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। সৃষ্টি হবে যানজট। এখন রিকশা নিয়ন্ত্রণ করবে কে? গলিতে রিকশা চলুক, কেউ আপত্তি করবে না। কিন্তু সড়কে কেন? ট্রাফিক বিভাগ থেকে প্রায়ই একটা কথা বলা হয়Ñ তা হচ্ছে তাদের জনবল কম। এটা হয়তো সত্য। যদি জনবল কম থাকে, তাহলে ‘আউটসোর্সিং’ করে জনবল বাড়ানো যায়। আনসার সদস্যদের তো নিয়োগ করা হয়। এদের সংখ্যা আরও বাড়ালে ক্ষতি কী?
মাননীয় মন্ত্রী আসুন আমরা সবাই মিলে এই ঢাকা শহরকে বসবাসের উপযুক্ত করে গড়ে তুলি। আপনি রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এটা শোভন নয়। এতে সাময়িক ফল পাওয়া যায় বটে, কিন্তু একজন মন্ত্রী কেন রাস্তায় নামবেন! সমস্যা হচ্ছে যার যা দায়িত্ব, তারা সেই দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করছেন না। রাজনৈতিকভাবে পরিবহন শ্রমিকদের ‘প্রটেকট’ করা হয়। তাদের উৎসাহিত করা হয়। ফলে ড্রাইভারদের আর হেল্পারদের কোনো ভয়-ডর থাকে না। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে, মানুষ হত্যা করে এরা পার পেয়ে যায়। তাই দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ে বৈ কমে না। ছোট শতাব্দীর সমস্যা আপনি সমাধান করেছেন। কিন্তু আমরা যারা আমজনতা, রাষ্ট্রকে কর দিই যাতে করে রাষ্ট্রাযন্ত্র চলে, আমাদের সমস্যার সমাধান করবে কে?

1 comments:

  1. অনেক ভাল একটি লেখা। তবে মনে হয় না কোন কাজে আসবে আপনার প্রস্তাবগুলো। আমাদের নৈতিকতায় ঘুনে পোকার রাজত্ব রেখে আর যাই হোক পরিবর্তন আশা করাই যে মহাপাপ!!

    ReplyDelete