রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

জঙ্গিবাদ দমনে মার্কিন সহযোগিতা প্রশ্নে কিছু কথা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ঢাকা ও নয়াদিলি্ল সফরের সময় জঙ্গিবাদ দমন প্রশ্নে দুটো গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। এক. কেরির ভাষায় 'আমরা বলেছি আইএসের নেটওয়ার্ক দক্ষিণ এশিয়ায় আছে। তারা দেশীয় সংগঠনের সাথে যুক্ত'। আল জাজিরা আর রয়টার্সের প্রতিবেদনে সরাসরি বলা হয়েছে জন কেরি মনে করেন বাংলাদেশে আইএস আছে। দুই. জঙ্গি দমনে অতিরিক্ত গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগমূলক সহযোগিতার প্রশ্নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র এক হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট ভয়েস অব আমেরিকা আমাদের তিনজনের ডালাস থেকে আমি, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলী রিয়াজ এবং ঢাকা থেকে ইশফাক এলাহি চৌধুরীর সঙ্গে এক টেলি কনফারেন্সের আয়োজন করে। ঢাকা ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেক শ্রোতা প্রশ্ন করেন। সবার প্রশ্নের ধরন ছিল একটিই_ যুক্তরাষ্ট্র যে সহযোগিতার কথা বলছে, তাতে করে কী জঙ্গি দমন কার্যক্রম সফল হবে? ভোক্তার শ্রোতাদের পাশেই যে এই প্রশ্নের উদ্বেগ করেছে, তেমনটি নয়। বরং দেশে অনেকের মনেই এ ধরনের প্রশ্ন উঠেছে যে এই সহযোগিতার ধরনটি আসলে কেমন হবে? এবং জঙ্গি দমনে আমরা সফলতা পাব কিনা? কেননা যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গি দমনে যেখানেই হাত বাড়িয়েছে (আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক) সেখানে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে বৈ কমেনি। ভারতেও তিনি জঙ্গিবাদের কথা বলেছেন। কিন্তু কোনো সহযোগিতার কথা বলেননি। ভারত এ ধরনের সহযোগিতা কখনো চায়ওনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফরের সময় একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যাতে মার্কিন বিমান ভারতীয় বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে জঙ্গিবিরোধী যে কোনো অভিযানে ভারতীয় ঘাঁটি ব্যবহার করার সম্ভাবনা থাকল। আমি এর আগের লেখাগুলোতে বলতে চেষ্টা করেছি যে জঙ্গিবাদ আজ একমাত্র বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা। মুসলমান প্রধান দেশগুলোতে এই সমস্যাটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এর একটা আঞ্চলিক যোগসূত্রও রয়েছে। বাংলাদেশে 'হোমগ্রোন' জঙ্গি রয়েছে। এদের সীমিত কর্মকা- আমরা অতীতে দেখেছি। সাম্প্রতিককালে এইসব 'হোমগ্রোন' জঙ্গিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিশেষ করে আইএসের একটা যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছে। বিশেষ করে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা, তিন বাংলাদেশির ভিডিও টেপে হামলার হুমকি, শোলাকিয়ায় ঈদগাহ ময়দানের পাশে জঙ্গি হামলা_ সব মিলিয়ে স্থানীয় 'হোমগ্রোন' জঙ্গিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়েছে। এই মুহূর্তে তাই প্রয়োজন জনসচেতনতার। জঙ্গি দমনে করণীয় নির্ধারণের জন্য সরকারের উচিত একটি 'জাতীয় সংলাপ' আহ্বান করা। সকল রাজনৈতিক দলগুলোর (বিধিবদ্ধ ও নিবন্ধিত) সঙ্গে সরকার একটি 'সংলাপ' শুরু করতে পারে। আলোচ্য সূচিতে করণীয় নির্ধারণ করতে পারে সরকার। মনে রাখতে হবে সংলাপ চলাকালীন সময়ে যদি দলগুলোর অতীত ভূমিকা আলোচিত হয়, তা কোনো ফল বয়ে আনবে না। অতীতমুখিতা আমাদের কোনো সিদ্ধান্তে আসতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অতীত নয়, বরং সামনের দিকে তাকাতে হবে। নিউইয়র্ক টাইমস যেভাবে বলছে কারা কারা এই জঙ্গি হামলার উৎসাহদাতা, অর্থের যোগানদাতা, তা খুঁজে বের করা জরুরি। এখানে যেন কোনো 'রাজনীতি' কাজ না করে, অপর পক্ষকে দমন করার কোনো অভিপ্রায় যেন কাজ না করে। গোয়েন্দাদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। কোথায় যেন এক ধরনের শৈথিল্য আছে। তাদের মোটিভেশন দরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেতৃত্বে যারা রয়েছেন, তাদের বক্তব্যের ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। যে কোনো সন্ত্রাসী ঘটনায় একজনের বক্তব্য দেয়াই শ্রেয়। নানাজন বক্তব্য দিলে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। জঙ্গি দমন প্রশ্নে কতগুলো বিষয়ের দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু একবার বলেছিলেন, বাংলাদেশে আইএস সম্পৃক্ততার দাবি সরকার উড়িয়ে দিচ্ছে না। এর অর্থ কী? আমরা এর ব্যাখ্যা কীভাবে করব। ইনু সাহেব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। তিনি যখন পরোক্ষভাবে এটা অনেকটা স্বীকার (?) করে নিলেন যে বাংলাদেশে আইএস থাকতে পারে, তখন কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটা স্বীকার করেননি। ফলে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্ত্রীরা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিলে তাতে বিভ্রান্তি আরো বাড়বে। জঙ্গি প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দেয়াই শ্রেয়। এখানে তথ্যমন্ত্রী উপযাচক হয়ে যখন বক্তব্য দেন, বহির্বিশ্বে তার বক্তব্যকেই 'কোট' করবে। তখন কেরি বললেন সে কথা। তথ্যমন্ত্রী ঠিকই জানেন বাংলাদেশে আইএস আছে, এই স্বীকারোক্তি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বাংলাদেশে বিদেশি সৈন্য মোতায়েনের সম্ভাবনা (?) এতে বাড়তে পারে। একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন তথাকথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে এ অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি বাড়ানোর সুযোগ খুঁজছে, ঠিক তখনই ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্র উল্লেখ করে বলেছে 'জেএমবিকে ব্যবহার করে ভারতকে টার্গেট করছে আইএস'। বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থান ভারতের নিরাপত্তাকে বিস্মিত করতে পারে (?) এপ্রশ্ন ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের নেতারা তুলতে পারেন। কলকাতার আনন্দবাজারের উদ্ধৃতি দিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছিল গুলশানের জঙ্গি হামলা তদন্ত করতে ভারত তার ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজির বিশেষ একটি টিমকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। তবে এটা স্পষ্ট নয় ইতোমধ্যে ওই টিম বাংলাদেশে এসেছিল কিনা? পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অবশ্য আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি সংস্থা আসছে না। এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। দু'দেশের গোয়েন্দাদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান জরুরি। এই মুহূর্তে সেটা বড় প্রয়োজন। আমি মনে করি ভারতীয় গোয়েন্দাদের নিজ দেশে আরো সক্রিয়া হওয়া দরকার। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে ২০১৪ সালের অক্টোবরে বিস্ফোরণের ঘটনায় জেএমবির নাম জড়িয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে দু'জন বাংলাদেশি নাগরিক হাফিজ শেখ ও সেলিম রেজা ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কারণে। ফলে এটা স্পষ্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া, বর্ধমানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাংলাদেশি এবং ভারতীয় জঙ্গিদের তথাকথিত ঘাঁটি রয়েছে। সেখানে তাদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ হয়। বাংলাদেশে হলি আর্টিজানে যেসব জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল তাদের প্রশিক্ষণ ওই বর্ধমানে হয়েছিল বলে আমার ধারণা। তাই জঙ্গি উৎখাতে ভারতের গোয়েন্দারা যদি তৎপর না হন তাহলে এরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে নাশকতা করবে। তাই এনএসজি পাঠানোর প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা জঙ্গি দমন ও জঙ্গি নির্মূলের জন্য যথেষ্ট। ভারতকে এখন পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির বন্ধ করতে হবে। শোলাকিয়ার ঘটনায় নিহত জঙ্গি আবির হোসেন ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এর আগে হলি আর্টিজানে হামলায় নিহত জঙ্গিও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। আবিরও নিখোঁজ ছিল বেশ কয়েক মাস। তাই বিষয়টি এখন জরুরি যে প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি 'জঙ্গি পর্যবেক্ষণ সেল' (এটা অন্য নামেও হতে পারে) গঠন করতে হবে, যাদের কাজ হবে ছাত্রদের ডাটাবেজ তৈরি করে অনুপস্থিত ছাত্রদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া। ছেলেরা বিপথগামী কেন হয় এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও উচিত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও এ ধরনের একটি নির্দেশনা গেছে সত্য। কিন্তু তাতে করে সিদ্ধান্তটি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে, এটা বলা যাবে না। তথ্য আদান-প্রদান হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় এনএসজির যেমন আমাদের প্রয়োজন নেই, তেমনি প্রয়োজন নেই কোনো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বাংলাদেশে উপস্থিতি। এতে বরং আরো জটিলতা বাড়বে। বিদেশি গোয়েন্দারা কোনো কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে পারেন। কিংবা আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারেন। এতে করে মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। জঙ্গি তৎপরতা একটি বাস্তব সত্য। আমাদের তরুণ সমাজের একটা ক্ষুদ্র অংশ বিপথগামী হয়েছে। মিডিয়া এই বিপথগামী থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে পারে। এ প্রেক্ষিতে ইসলামিক স্কলারদের ভূমিকা পালন করার কথা থাকলেও, তাদের ভূমিকা লক্ষণীয় নয়। যাদের টিভির পর্দায় নিত্য দেখা যায়, তারা বেশি মাত্রায় সরকার ঘেঁষা। তাদের বক্তব্যে 'প্রকৃত সত্য' ফুটে ওঠে না কখনো। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝেও তাদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই হলি আটির্জান আর শোলাকিয়ার ঘটনায় জাতিকে কতটুকু ঐক্যবদ্ধ করবে, তা নির্ভর করছে রাজনীতিবিদদের ওপর। এই দুই ঘটনা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। সব বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গি দমনে একসঙ্গে কাজ করাই হচ্ছে সর্বপ্রথম অগ্রাধিকার। কতিপয় বিভ্রান্তকারী তরুণের কাছে আমরা আত্মসর্মপণ করতে পারি না। এই তরুণ প্রজন্ম আমাদের ভরসা। বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে একটি 'সফট পাওয়ার' হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে। বিশেষ করে বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান, পোশাক শিল্পে আমাদের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা, ওষুধ শিল্পের মান ইত্যাদি নানা কারণে বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ একটি গ্রহণযোগ্য আসনে গেছে। এখন কিছু বিভ্রান্তকামী যুবকের জন্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে না। আমরা তা হতে দিতে পারি না। আমাদের রাজনীতিবিদদের দূরদর্শিতা দেখানোর সময় এখনই। এটা সত্য হলি আর্টিজানের ঘটনায় কিছু বিদেশিদের হত্যা করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক এবং বিন্দনীয়। কিন্তু সন্ত্রাসীরা যখন হঠাৎ করেই এ ধরনের ঘটনা ঘটায়, তা রোধ করা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। ওরল্যান্ডের সমকামী ক্লাবে একজন সন্ত্রাসী ওমর মতিন যখন হামলা চালিয়ে ৪৯ জন মানুষকে একাই হত্যা করেছিল, তখন ওই হত্যাকা-কে কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দারা বন্ধ করতে পারেনি। প্যারিসে, ব্রাসেলসে কিংবা ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলাও বন্ধ করা যায়নি। সুতরাং সন্ত্রাসীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। এটা রোধ করার জন্য একদিকে যেমন দরকার জনসচেতনতা অন্যদিকে তেমনি দরকার প্রশিক্ষিত, দক্ষ জনবল। জঙ্গি দমনে আমাদের বৈদেশিক সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। বৈদেশিক সহযোগিতায় দেশে বিদেশি গোয়েন্দাদের আসার সুযোগ করে দেয়ার চাইতে এই মুর্হূতে বড় প্রয়োজন আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে আরো দক্ষ করে গড়ে তোলা। প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এই গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আমরা নিতে পারি। এর প্রয়োজন আছে। কিন্তু বিদেশি গোয়েন্দাদের এ দেশে আমন্ত্রণ জানানো ঠিক হবে না। জন কেরি চলে গেছেন। কিন্তু সমঝোতার ও সহযোগিতার যে কথা তিনি বলে গেছেন, আমরা নিশ্চিত নই, এর ধরনটা কী হবে? আমরা এমন কিছু করব না যাতে করে আমাদের জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়। আমাদের স্বার্থটা এখানে প্রধান। জঙ্গিবাদ বাংলাদেশে আছে। স্থানীয় জঙ্গিরা চেষ্টা করছে আইএসের সঙ্গে একটা 'সম্পর্ক' তৈরি করতে। আমরা আস্থা রাখতে চাই আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। এরা জঙ্গি দমনের জন্য যথেষ্ট। সাম্প্রতিক সময়ে সব জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে খ্যাত তামিম চৌধুরীর 'অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭' এ নিহত হওয়ার ঘটনা এর বড় প্রমাণ। তাই মার্কিনি সহযোগিতার আলোকে প্রয়োজন তথ্য বিনিময়, প্রশিক্ষণ ও সেই সঙ্গে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। ডালাস, যুক্তরাষ্ট্র থেকে Daily Jai Jai Din 12.09.2016

0 comments:

Post a Comment