রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

বরফ কি আদৌ গলবে!

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিএনপি সংলাপ করেছে গত ১৮ ডিসেম্বর। সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় তার দল খুশি ও আশাবাদী। আর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মনে করেন বিএনপির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন গঠনে সহায়ক। এ ধরনের সংবাদগুলো আমাদের আশা জাগায়। বিএনপি সংলাপ চেয়েছিল আর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ইসি পুনর্গঠনে বিএনপি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব দিক। গেল নভেম্বরে লিখিত আকারে বেগম জিয়া ইসি পুনর্গঠনে কিছু প্রস্তাব রেখেছিলেন। তারা সেই প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির দপ্তরেও পৌঁছে দিয়েছিলেন। ১৮ তারিখ ওই প্রস্তাবগুলোর আলোকেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করল বিএনপি। কিন্তু একটি সংলাপ সব সমস্যার সমাধান এনে দেয় না। টানেলের শেষ মাথায় অনেক দিন ধরেই কোনো আলো নেই। এখন কী সেই আলো জ্বলে উঠল! বরফ কী তাহলে গলতে শুরু করেছে? মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে যেমনি আমরা একটি আশার আলো দেখতে পাই, ঠিক তেমনি ক্ষমতাসীন দলের দু-একজন নেতার বক্তব্যে আবারও আশাভঙ্গ হয়। টানেলের শেষ মাথায় যে আলো জ্বলে উঠল, তা আবার ‘দপ’ করে নিভে না যায়। তবে এই সংলাপ নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেক। প্রশ্ন আছে রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নিয়েও। তার পর বিএনপি বড় দল। আগামী সংসদ নির্বাচনে দলটির অংশগ্রহণ জরুরি। তাই ইসি পুনর্গঠন নিয়ে বিএনপি যে প্রস্তাব দেয় তার গুরুত্ব অনেক।
বেগম জিয়া নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে আলোচনার দাবি রাখে। মোটা দাগে বেগম জিয়ার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইসি গঠিত হবে, একটি বাছাই কমিটি গঠন (৫ সদস্যবিশিষ্ট) এবং বাছাই কমিটির আহ্বায়ক হবেন একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, যিনি সরকারের কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন না, বাছাই কমিটির সদস্যরা হবেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সাবেক সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও একজন জ্যেষ্ঠ নারী। প্রতি পদের বিপরীতে ২ জনের নাম প্রস্তাব করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি ৫ জনকে (ইইসিসহ) মনোনয়ন দেবেন। তত্ত্বগতভাবে এ ধরনের প্রস্তাব ভালো। কিন্তু সমস্যা রয়েছে অন্যত্র। জাতি হিসেবে আমরা এত ‘বিভক্ত’ যে, কোনো সিনিয়র সিটিজেন এ ধরনের পদে নিয়োগ লাভে আদৌ উৎসাহিত হবেন না। তিনি দ্রুত বিতর্কিত হয়ে যেতে পারেনÑ এই আশঙ্কায় কেউই দায়িত্ব নিতে রাজি হবেন না। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমনই যে, আমরা যে কোনো সিদ্ধান্ত যদি আমাদের মনঃপূত না হয়, তাহলে দ্রুত তাকে বিতর্কিত করে ফেলি। অনেক সময় দলের শীর্ষ পদ থেকে যখন মন্তব্য করা হয়, তখন দলের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীরা ওই ব্যক্তির সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশে এখনো বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রয়েছেন, যারা এখনো কর্মক্ষম। তাদের গ্রহণযোগ্যতাও আছে। কিন্তু চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে কেউই রাজি হবেন না দায়িত্ব গ্রহণ করতে। ইসি গঠনে একটি জাতীয় ঐকমত্যের কথা বলেছেন বেগম জিয়া। তত্ত্বগতভাবে এটা ভালো। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। আমাদের মধ্যে বিভক্তি এত বেশি এবং এক দল অপর দলকে বিতর্কিত করতে এত বেশি পারঙ্গম তাতে ঐকমত্যের প্রশ্নটি অবান্তর। আমরা বারবার বলে আসছি একটি ‘কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস’ বা আস্থার সম্পর্ক স্থাপন করা ছাড়া কোনোদিনই ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে না। বিজয়ের ৪৫ বছর যখন পার করে ফেলেছি, এখনো আমরা অতীত নিয়ে অনেক বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করছি। রাজনীতির চেয়ে ব্যক্তি আক্রমণ প্রাধান্য পাচ্ছে বেশি। ওই মানসিকতা যতদিন না আমরা পরিত্যাগ করতে পারব, ততদিন ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ। রাজনীতিবিদদের কিছু অলিখিত কোড অব কনডাক্ট অনুসরণ করা উচিত। জাতীয় ইস্যুতে জাতীয় নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে ন্যূনতম একটা ঐকমত্য থাকা জরুরি। না হলে বিভক্তি, তিক্ততা শুধু বাড়বেই। আর তাতে করে জাতি বিভক্ত থাকবে। রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকবেই। এই মতপার্থক্য যেন শুধু রাজনীতি আর কর্মসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। নির্বাচন কমিশন গঠন ও শক্তিশালীকরণের প্রশ্নে বিএনপির প্রস্তাব থাকতেই পারে। এখন আওয়ামী লীগও এ ধরনের প্রস্তাব দিতে পারে। এখন অবধি আওয়ামী লীগ এ ধরনের প্রস্তাব দেয়নি এবং আমার ধারণা আওয়ামী লীগ কোনো প্রস্তাব দেবে না। বরং বিষয়টি ছেড়ে দেবে রাষ্ট্রপতির ওপর। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর কার্যবিবরণী প্রকাশ এবং আলোচনায় দুটি বড় জোটের (১৪ ও ২০ দলীয় জোট) প্রতিনিধির উপস্থিতির যে কথা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাও বিতর্ক বাড়াতে পারে। একটি কার্যবিবরণী প্রকাশ করার অর্থ হচ্ছে, রাষ্ট্রপতিকে অস্বীকার করার শামিল। রাষ্ট্রপতির ওপর আস্থা রেখেই তো বিএনপি আলোচনায় যাচ্ছে। তাহলে কার্যবিবরণী প্রকাশ কেন?
একটি বাছাই কমিটির অভিজ্ঞতা আমাদের ভালো নয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমেই কাজী রকিবউদ্দীন মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। একজন সাবেক আমলা যে গ্রহণযোগ্য হবেন, তার কোনো মানে নেই। বরং দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় রাষ্ট্রপতি স্বউদ্যোগে সিইসি ও কমিশনারদের একটি তালিকা চাইতে পারেন প্রতিটি দলের কাছে। এর মধ্যে কোনো নাম যদি ‘কমন’ হয়ে যায়, রাষ্ট্রপতি ওই নামগুলো বেছে নিতে পারেন। এর মধ্য দিয়ে এক ধরনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
আমরা এক কঠিন সময় পার করছি। ৫ জানুয়ারির (২০১৪) অভিজ্ঞতা আমাদের ভালো নয়। একদিকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, অন্যদিকে নির্বাচন বয়কট এবং নির্বাচন বয়কটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি ‘কালো দিক’। ‘ভোটারবিহীন’ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রক্ষা করা গেছে বটে, কিন্তু দেশে নির্বাচনী সংস্কৃতির মৃত্যু ঘটেছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য এটা কোনো ভালো খবর নয়। দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য শক্তিশালী একটি বিরোধী দল থাকা দরকার। আমরা ইতোমধ্যে একটি হাস্যাস্পদ সংসদের জন্ম দিয়েছি। জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দলের ‘আসনে’ আছে বটে। আবার তারা মন্ত্রীও হয়েছেন। পার্টিপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দলের ওপর কর্তৃত্ব আছে বলে মনে হয় না। ফলে জাতীয় পার্টি বিএনপির বিকল্প হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা ছিল তা হয়নি। এ কারণে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল সংসদে থাকা দরকার। না হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। গত তিন বছরে অনেক জাতীয় ইস্যু সংসদে আলোচিত হয়নি। অনেক সময় সংসদ সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে সংসদ বসেনি। এর অর্থ অনেক সংসদ সদস্যই সংসদীয় কার্যক্রমের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। এখন সেই ‘পরিস্থিতি’ থেকে ফিরে আসতে হবে। বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। কেননা এই সংসদ নির্বাচনে (২০১৯ জানুয়ারি) বিএনপি অংশ না নিলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। উপরন্তু নেতাকর্মীদের স্থানীয়ভাবে ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার স্বার্থেও বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া জরুরি। তাই বিএনপির জন্য একটি ‘স্পেস’ দরকার।
রাষ্ট্রপতি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি জাতির অভিভাবক। অভিভাবক হিসেবে তার যে ‘ভূমিকা’ রাখার কথা, তিনি তাই রাখবেন। তিনি তার ‘সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা’ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখেন। একজন আইনজীবী অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান তিনি। আজ এক কঠিন সংকটের মুখোমুখি জাতি। একটি সিদ্ধান্ত তিনি দেবেন বটে, কিন্তু তাতে বিএনপিসহ সব দল ‘সন্তুষ্ট’ হবে এটা নাও হতে পারে। কিন্তু আমাদের উচিত হবে না রাষ্ট্রপতিকে বিতর্কিত করা। রাষ্ট্রপতি ইসি গঠনে একটি সার্চ কমিটি গঠন করুন আর নাই করুন, বড় দুটি দলের মাঝে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলাটা জরুরি। এই আস্থার সম্পর্কটা না থাকায় গণতন্ত্রকে আমরা আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারছি না। গত ৪৫ বছরে আমাদের অনেক অর্জন আছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগের ওপরে ধরে রাখা, মাথাপিছু আয় ১৩১৪ ডলারে উন্নীত করা, তৈরি পোশাকশিল্পে বিশ্বব্যাপী আমাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ইত্যাদি। এখন বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে গিয়ে শিল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। যে ১১টি দেশকে পরবর্তী শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ তার অন্যতম। ফলে এই যে ‘অর্জন’, এই অর্জন ধরে রাখতে হলে আস্থার সম্পর্কটা গড়ে তোলা জরুরি। আস্থার সম্পর্ক গড়ে উঠলেই নির্বাচনের একটা পরিবেশ সৃষ্টি হবে। সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে এবং আমরা একটা শক্তিশালী সংসদ পাব।
এখন বিএনপির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শেষ হলো। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও রাষ্ট্রপতির সংলাপ হবে। কিন্তু আমরা চাই না শুধু ‘ফটোসেশন’-এর মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শেষ হোক। বিএনপির মতো অন্যান্য দলও প্রস্তাব দিতে পারে। আওয়ামী লীগও প্রস্তাব দিতে পারে। মূল বিষয় একটাইÑ ইসি পুনর্গঠন। এটা কীভাবে সম্পন্ন হবে? সংবিধান বলছে (১১৮-১) ‘রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’ এই দায়িত্বটি সম্পূর্ণভাবে তার। তিনি যে একটি সার্চ কমিটি গঠন করবেন, তা করতে তিনি বাধ্য নন। সংবিধানেও সার্চ কমিটি বলে কোনো কথা বলা নেই। তবে ‘ডকট্রিন অব নেসাসিটি’ বলে একটা কথা আছে। এটা বিচার বিভাগীয় ভাষা। এই ডকট্রিন অব নেসাসিটি তত্ত্ব প্রয়োগ করে অতীতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি এই সার্চ কমিটি গঠন নাও করতে পারেন। নিশ্চয়ই তিনি আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি ধারণা পাবেন। যতদূর জানি সম্ভাব্য নামের তালিকা (সার্চ কমিটির) নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বিএনপি একটি মতামত দিয়েছে কারা সার্চ কমিটিতে থাকতে পারেন। কোনো নাম দেয়নি। রাষ্ট্রপতিও কোনো নাম চাননি। হতে পারে আলোচনা চলাকালীন বিএনপির কাছে একটি নামের তালিকা চাইতে পারেন রাষ্ট্রপতি।
আসলে মূল কথা একটিই, আস্থার সম্পর্ক গড়ে না উঠলে সার্চ কমিটি গঠন করেও কোনো লাভ হবে না। সংবিধানের ৪৮(৩) ধারামতে রাষ্ট্রপতি ‘সম্ভাব্য সার্চ কমিটি গঠন’ কিংবা ‘কমিশনারসহ সিইসিকে নিয়োগ’দানের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে বাধ্য। এখানেই রয়েছে তার সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা। তাই এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীই হচ্ছেন মুখ্য ব্যক্তি। যদিও প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা তারা মেনে নেবেন। রাষ্ট্রপতির কাছে অনেক বিকল্প আছে। তিনি সার্চ কমিটির ব্যাপারে নাম চাইতে পারেন দলগুলোর কাছে। এককভাবে তিনি সার্চ কমিটি গঠন করতে পারেন। অথবা সরাসরি সিইসিসহ ৫ জনকে নিয়োগ দিতে পারেন। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। তাই একটা সংলাপ হচ্ছে। ভালো হোক, মন্দ হোক, এই সংলাপ একটা আস্থার সম্পর্ক সৃষ্টি করুক, এ প্রত্যাশা আমাদের সবার।
Daily Amader Somoy
20.12.2016

0 comments:

Post a Comment