শেষ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন কালে আলোচিত গুয়ামে
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘আপাতত’ স্থগিত ঘোষণা করেছেন। এ তথ্যটি আমাদের দিয়েছে
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ, যা বিশ্বের সব গণমাধ্যম প্রচার
করেছে। কেসিএনএ আরও জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া এখন দেখতে চায়, যুক্তরাষ্ট্র
কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ওই পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করেই পরবর্তী কার্যক্রম
নির্ধারণ করবেন কিম জং উন। কিমের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ডোনাল্ড
ট্রাম্প। কিমের এ সিদ্ধান্তকে তিনি ‘বিচক্ষণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এক
টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন বিচক্ষণ ও যৌক্তিক
সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এর বিকল্প হতো ভয়াবহ ধ্বংসজজ্ঞ, যা গ্রহণযোগ্য নয়।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ টুইটবার্তা উত্তেজনা হ্রাসে কতটুকু সাহায্য করবে,
বলা মুশকিল। কেননা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের সঙ্গে মিলে কোরীয়
উপত্যকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গিয়ে সামরিক মহড়া চালিয়েছে। এ ধরনের সামরিক
মহড়া যখনই হয়, তখনই উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। আর উত্তর
কোরিয়া তার আশপাশের এলাকায় যে কোনো সামরিক মহড়াকে এক ধরনের উসকানি হিসেবে
বিবেচনা করে। এখন যে প্রশ্নটি অনেকে করার চেষ্টা করেন, তা হচ্ছে উত্তর
কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘স্থগিত’ করার ঘোষণার পর তাকে
কতটুকু আস্থায় নেয়া যায়? এর মধ্য দিয়ে কি এ অঞ্চলে উত্তেজনা হ্রাস হলো?
এখানে বলা ভালো, উত্তর কোরিয়া গেল জুলাইয়ে দুইটি আন্তঃমহাদেশীয়
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে
জাতিসংঘ দেশটির ওপর কঠোর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে যুদ্ধ হতে
উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চূড়ান্ত সতর্কবার্তা’ দিতে আগস্টের মাঝামাঝি
প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপের কাছে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র
নিক্ষেপের হুমকি দেয়। এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ‘সমঝোতা’ যদি
শেষ পর্যন্ত না হয়, তাহলে এ অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া বিচিত্র কিছু নয়।
উত্তেজনা বাড়লে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র শুধু গুয়ামেই আঘাত করবে না
(উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র ১৪ মিনিটে গুয়ামে পৌঁছবে), বরং একই
সঙ্গে সিউলেও আঘাত করতে পারে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায়
THAAD (Terminal High Altitude Area Defence) ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে,
তারপরও কথা থেকে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুনজে ইন
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এক ধরনের সমঝোতায় যেতে চান। এখানে বলা ভালো, কিম জং
ইলের মৃত্যুর পর ২০১১ সালে তার ছেট সন্তান কিম জং উনকে উত্তর কোরিয়ায়
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে নানা কারণে উন বিতর্কিত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তার আস্থা কম। প্রচলিত আইন-কানুন তিনি মানেন না।
কিছুটা খ্যাপাটে স্বভাবের মানুষ তিনি। বালকসুলভ তার চেহারা। ধারণা করা হয়,
মধ্য ত্রিশের ঘরে তার বয়স। কিন্তু প্রচ- হিংস্র প্রকৃতির তিনি। নিজের
সৎভাইকে পর্যন্ত ‘খুন’ করতে দ্বিধাবোধ করেননি তিনি। এমনকি তাকে পরিপূর্ণ
সম্মান না দেয়ায় সিনিয়র জেনারেল ও দেশরক্ষামন্ত্রীকে পর্যন্ত তিনি ফায়ারিং
স্কোয়াডে পাঠিয়েছিলেন। সুতরাং পশ্চিমাবিশ্ব তার সঙ্গে পারমাণবিক
নিরস্ত্রীকরণ প্রশ্নে আলোচনা করে কোনো ফল পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল না।
এমনকি দুই কোরিয়ার মধ্যে পুনরেকত্রীকরণের আলোচনার সম্ভাবনাও ক্ষীণ
পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে।
অনেকেই এটা বলার চেষ্টা করছেন, এটা এক ধরনের ‘প্রক্সি ওয়ার’। এ ‘প্রক্সি
ওয়ার’-এ একদিকে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; অন্যদিকে রয়েছে চীন ও রাশিয়া। সর্বশেষ
খবর অনুযায়ী, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ যখন কোরীয় উপদ্বীপের আশপাশে অবস্থান করছে,
ঠিক তখনই একটা সংবাদ এলো যে, উত্তর কোরীয় সীমান্তে সেনা সমাবেশ করেছে
রাশিয়া। লন্ডনের ডেইলি মেইল জানিয়েছে, পুতিনের আশঙ্কা যদি ট্রাম্প উত্তর
কোরিয়ায় হামলা চালায়, তাহলে দেশটির নাগরিকদের একটা বিশাল অংশ শরণার্থী হয়ে
রাশিয়ায় ঢুকে পড়তে পারে। এর আগে চীন তার উত্তর কোরীয় সীমান্তে ১ লাখ ৫০
হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছিল। এর অর্থ হচ্ছে, শরণার্থী ঠেকাতে চীন ও রাশিয়া
তাদের নিজ নিজ সীমান্তে সৈন্য মোতায়েন করলেও পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের
জন্য এটা একটা ‘হুমকি’, অর্থাৎ যুদ্ধ যদি শুরু হয় তাহলে ধারণা করা হচ্ছে
তারা উত্তর কোরিয়ার পক্ষে গিয়েই দাঁড়াবে। এর আগে উত্তর কোরিয়ার
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা
পরিষদে যে নিন্দা প্রস্তাব এনেছিল, রাশিয়া তাতে ভেটো দিয়েছিল। বলা ভালো, এ
ব্যাপারে জাতিসংঘের সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা ছিল। ওই নিষেধাজ্ঞা আমান্য করেই
উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল। এখন নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর
হলো।
কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা এখনও রয়ে গেছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের সিউল
সফরের পরও দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা সংকট কাটেনি। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট
মুন জে ইন এক ধরনের আশ্বাস চান যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। তিনি জানিয়েছেন,
প্রয়োজনে তিনি একজন দূতকে উত্তর কোরিয়ায় পাঠাতে চান। এ ব্যাপারে তিনি উত্তর
কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মতামত চেয়েছেন। কিন্তু এ মতামত দক্ষিণ কোরিয়ার
প্রেসিডেন্ট পাবেন, তা মনে হয় না। কেননা ‘থাড’ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের
বিষয়টিকে উত্তর কোরিয়া খুব ভালো চোখে নেয়নি। ফলে দুই কোরিয়ার মাঝে
আস্থাহীনতার সম্পর্ক রয়ে গেছে। এখন ট্রাম্প যে মানসিকতার মানুষ, তাতে তার
ওপরও আস্থা রাখতে পারছেন না কেউ। কিম জং উনও অনেকটা একই মানসিকতার মানুষ।
ফলে এদের দুইজনের কারণে কোরীয় উপদ্বীপে যে কোনো সময় ‘যুদ্ধ’ শুরু হয়ে যেতে
পারে। ভয়টা হচ্ছে এখানে যে, খ্যাপাটে স্বভাবের উন কোনোকিছুর তোয়াক্কা না
করেই গুয়াম এবং একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার
করতে পারেন। চীন উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও চীনের কথা কিম জং উন
কতটুকু শুনবেন, সেটাও একটা প্রশ্ন। অতীতে উত্তর কোরিয়া যুক্তি দেখিয়েছিল
যে, তাদের পারমাণবিক প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে অভ্যন্তরীণভাবে জ্বালানি
চাহিদা মেটানো। সেক্ষেত্রে পশ্চিমাবিশ্ব উত্তর কোরিয়াকে অতিরিক্ত জ্বালানি
সরবরাহ করেছিল; খাদ্যশস্য সরবরাহ করেছিল। এরপর উত্তর কোরিয়া তাদের
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পশ্চিমা বিশেজ্ঞদের জন্য খুলে দিয়েছিল। এবার
তেমনই এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমাবিশ্ব যদি ফের খাদ্য ও জ্বালানি
সরবরাহের আশ্বাস দেয়, আমার ধারণা সেক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক
কর্মসূচি ‘আপাতত’ পরিত্যাগ করতে পারে। গুয়াম হামলার হুমকি একটা
‘অসিলা’মাত্র। কিন্তু এটা কোনো সমাধান নয়। এমনিতেই উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রটির
বহির্বিশ্বে তেমন কোনো সম্মান নেই (বাংলাদেশের রিজার্ভের টাকা হ্যাকিংয়ে
উত্তর কোরিয়ার নাম এসেছে)। রাষ্ট্রটিকেSopranos State হিসেবে উল্লেখ করা হয়
(দেখুন Sheena chestnut, International Security, 23 July, 2007, P-19)।
যে রাষ্ট্র ও শাসকরা ক্রিমিনাল তৎপরতার সঙ্গে জড়িত, তাদের Sopranos state
হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এর অর্থ হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া একটি মর্যাদাহীন
রাষ্ট্র। তাকে যদি আরও ‘চাপ’ এর মধ্যে রাখা হয়, তাহলে দেশটি আরও অপতৎপরতার
সঙ্গে জড়িয়ে যাবে। এখন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় THAAD মোতায়েন করেছে
(একটি ‘থাড ব্যাটারি স্থাপনে ব্যয় ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার)। সংগত কারণেই
উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপ্তি বাড়াবে। ফলে আপাতত যদি
উত্তেজনা হ্রাসও পায়, এ ধরনের আস্থাহীনতার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উত্তর
কোরিয়াকে চাপে না রেখে বরং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান বের করা মঙ্গল।
একই সঙ্গে কোরীয় উপসাগরে টহল দেয়া সব মার্কিন যুদ্ধজাহাজ প্রত্যাহার করে
নেয়াও জরুরি। এ অঞ্চলে মার্কিনি জাহাজগুলো যদি টহল অব্যাহত রাখে, তাহলে এক
ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপে থাকবে উত্তর কোরিয়া। এ মনস্তাত্ত্বিক চাপ দেশটিকে
তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে নিতে আরও উৎসাহ জোগাবে। সুতরাং এ
অঞ্চলে একটি ‘স্ট্যাটাস কো’ বজায় থাকা জরুরি।
অতীতে এ অঞ্চলে যুদ্ধ হয়েছে। ১৯৫০ সালের ২৫ জুন উত্তর কোরিয়ার বাহিনী ৩৮তম
সমান্তরাল রেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করলে যুদ্ধ বেধে
গিয়েছিল। জাতিসংঘ এ যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়াকে সমর্থন করার জন্য সব রাষ্ট্রের
প্রতি ওই সময় আহ্বান জানিয়েছিল। জাতিসংঘ বাহিনী মঞ্চুরিয়া সীমান্তে উপস্থিত
হলে ১৯৫০ সালের ২৬ নভেম্বর চীন উত্তর কোরিয়ার পক্ষে যুদ্ধে জড়িয়ে যায় এবং
চীনা সৈন্যরা দক্ষিণ কোরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। ১৯৫১ সালের এপ্রিলে
জাতিসংঘ বাহিনী ৩৮তম সমান্তরাল রেখা পুনরুদ্ধার করে। এরপর ১৯৫৩ সালে
স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিবলে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী
মোতায়েন থাকলেও উত্তর কোরিয়ায় কোনো চীনা সৈন্য মোতায়েন ছিল না। যদিও উত্তর
কোরিয়া চীনের সঙ্গে ১৯৬১ সালে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক চুক্তি
স্বক্ষর করেছিল। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতিতে যে পরিবর্তন এসেছে, তাতে চীন যে
কোনো সম্ভাব্য যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ অবলম্বন করে অংশ নেবে, এটা মনে হয়
না। আর যুদ্ধের ভয়াবহতা মোটামুটি সবাই অবগত। প্রথম কোরীয় যুদ্ধে
(১৯৫০-১৯৫৩) দক্ষিণ কোরিয়ার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪০৫ জন নাগরিক প্রাণ
হারিয়েছিলেন। আর উত্তর কোরিয়ার এ সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৭ হাজার ২৮৩ জন।
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তাদের নাগরিকের মৃতের
সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার ৫৭৪। চীন ছিল উত্তর কোরিয়ার পক্ষে। তাদের পক্ষে মারা
গিয়েছিল ১ লাখ ৫২ হাজার। ৬৭ বছর পর নতুন করে যদি যুদ্ধ শুরু হয়, তাতে
অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাতে মৃত্যুর সংখ্যাও
বাড়তে পারে। চীন সব পক্ষকে সংযত আচরণ করার কথা বলেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে
কোনো কোনো ডেমোক্র্যাট-দলীয় সদস্যও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ‘ঠা-া মাথায়’
সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলছে। তবে এটা তো ঠিক, উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র
উভয় দেশেই কিছু যুদ্ধবাজ জেনারেল রয়েছেন, যারা যুদ্ধ চান। এরই মধ্যে উত্তর
কোরিয়ার দেশরক্ষামন্ত্রী জেনারেল পাক ইয়ং সিক মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের
‘উসকানিতে’ এ অঞ্চলে পারমাণবিক যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে হুমকি দিয়েছেন।
পেন্টাগনেও এ ধরনের জেনারেলের সংখ্যা একেবারে কম নয়।
গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে উত্তর কোরিয়া আপাতত ‘যুদ্ধ’
এর সম্ভাবনা কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে এটা সত্য। কিন্তু সীমিত যুদ্ধের
সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক
ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলো সীমিত আক্রমণ চালিয়ে ধ্বংস করে দিতে পারে। এটা
হবে বড় ধরনের বোকামি। আর এতে যুদ্ধের সম্ভাবনা আরও বাড়বে। এ মুহূর্তে যা
প্রয়োজন, তা হচ্ছে ‘স্ট্যাটাস কো’ বজায় রাখা। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে
বহুপক্ষীয় আলোচনা শুরু করাও জরুরি।
Daily Alokito Bangladesh
20.08.2017
0 comments:
Post a Comment