সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ভারতীয় সংবাদপত্র পাঠ করলে একটা ধারণা হওয়া স্বাভাবিক
যে, চীন ও ভারতের মধ্যে আবার বুঝি যুদ্ধ লেগে যাচ্ছে! গত প্রায় দুমাস
ডোকলাম নিয়ে একটা যুদ্ধ-যুদ্ধভাব সেখানে বিরাজ করছে। ভুটানের পশ্চিমাংশে
একটি ছোট্ট মালভূমির নাম ডোকলাম। এই মালভূমিটি খুব একটা বড় নয়। ১৮৯০ সালের
কনভেনশন অনুযায়ী মাত্র ৮৯ বর্গকিলোমিটারের মালভূমিটি নিজের বলে মনে করে
চীন। ডোকলামের চীনা নাম দংলাং। অন্যদিকে ভুটান মনে করে এই অঞ্চলটি তাদের।
চীন ডোকলামে সড়ক নির্মাণ করলে ভারতীয় বাহিনী সেখানে নিরাপত্তার প্রশ্ন তোলে
এবং একপর্যায়ে ভারত-ভুটান মৈত্রী চুক্তি অনুযায়ী ভারত সেখানে সেনা মোতায়েন
করে। গত প্রায় দুমাস ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে
আছে। যুদ্ধ হবে কিনা বলা মুশকিল। তবে উত্তেজনা আছে। ভারত ডোকলাম নিয়ে
আলোচনার কথা বললেও চীন বলছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ওই অঞ্চল থেকে প্রত্যাহার
না করা পর্যন্ত কোনো আলোচনা হবে না। এর আগে বহুল আলোচিত ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান
রোড’ (ওবেওআর)-এর একটি মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে বেইজিংয়ে, যেখানে ভারত
যোগ দেয়নি।
সাম্প্রতিককালে একাধিক ইস্যুতে ভারত ও চীনের মধ্যে এক ধরনের যুগ্ম
প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যায়। গত ১৬ মে বেইজিংয়ে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবেওআর)
শীর্ষক যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, তাতে ভারত অংশ নেয়নি।
অথচ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তথা মধ্য এশিয়ার প্রায় সব সরকারপ্রধান ওই সম্মেলনে
যোগ দিয়েছিলেন। ওবেওআরের মাধ্যমে চীন তার দুই অঞ্চলের সঙ্গে প্রায় ৬১টি
দেশকে সমুদ্র, সড়ক ও রেলপথে সংযুক্ত করছে। চীনের এই মহাপরিকল্পনার ব্যাপারে
ভারতের আপত্তি রয়েছে। ভারত গেল জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও
জাপানকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে একটি সামুদ্রিক নৌমহড়া করেছে, যা চীন
সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখেছে। আর সর্বশেষ ঘটনায় ভুটানের পশ্চিমাংশে ডোকলাম
মালভূমি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে চীন ও ভারত। এর আগেও ১৯৬৬ সালে চীন
ডোকলাম দখল করার চেষ্টা করেছিল। তখনো ভারতের সাহায্য নিয়েছিল ভুটান। ১৯৮৮ ও
১৯৯৮ সালে চীন ও ভুটান লিখিত চুক্তিবলে সম্মত হয় যে, তারা দুই দেশের
সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। চীনের এ অঞ্চলে মহাসড়ক
নির্মাণকে ওই চুক্তির লঙ্ঘন বলে মনে করে। এই অঞ্চলের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব
রয়েছে ভারতের কাছে। এই মালভূমি আবার ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ শিলিগুড়ি করিডরের
কাছে। এই করিডর উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সঙ্গে পুরো ভারতকে যুক্ত করেছে। এখানে
চীনা সেনাবাহিনীর উপস্থিতিকে ভারত হুমকি হিসেবে দেখছে। শুধু ডোকলাম নয়, বেশ
কিছু বিষয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে কিছুদিন ধরে দ্বিমতও বিভাজন আছে। কিন্তু
বাণিজ্যিক সম্পর্ক এতদিন এই বিভাজন আর বিদ্বেষকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। অন্য
সীমান্ত নিয়ে যে সমস্যা ছিল তা রয়েই গেছেÑ চীন অরুণাচল প্রদেশের একটা অংশকে
তাদের নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে। এই দাবি চীন পরিত্যাগ করেনি। নরেন্দ্র
মোদির বেইজিং উপস্থিতির সময় (মে ২০১৫) চীনা সরকারি টিভিতে ভারতের যে ম্যাপ
দেখানো হয়েছিল তাতে কাশ্মীর ও অরুণাচলকে ভারতীয় অংশ হিসেবে দেখানো হয়নি।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে চীন সড়ক নির্মাণ শেষ করছে ভারতের
আপত্তি সত্ত্বেও। চীন এই সড়ক নির্মাণ বন্ধ করেনি। দক্ষিণ চীন সাগরে চীন
একটি বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করছে, যা কিনা জাপানের নিরাপত্তার প্রতি
হুমকিস্বরূপ। এ ধরনের কর্মকা- ভারতের নিরাপত্তা স্ট্র্যাটেজিস্টদের আতঙ্কিত
করেছে। ভারত তার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও চীন তাতে সম্মান দেখায়নি। নেপাল ও
মিয়ানমারে চীনা প্রভাব বাড়ছেÑ এটাও ভারতীয়দের উৎকণ্ঠার অন্যতম একটি কারণ।
২০১৫ সালে ভূমিকম্পকবলিত নেপালে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে এক
ধরনের ‘ঠা-া লড়াই’ও আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম। ভারত গেল বছরও ভারত মহাসাগরে
জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে একটি বড় ধরনের নৌ সামরিক মহড়ায় অংশ
নিয়েছিল। এটা নিঃসন্দেহে চীনাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ভারত একটি
পারমাণবিক শক্তি। ভারত এখন পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে (এনএসজি)
অন্তর্ভুক্ত হতে চায়। কিন্তু তাতে আপত্তি রয়েছে চীনের। ওষুধ,
তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষিপণ্য নিয়ে ভারত চীনা বাজারে ঢুকতে চায়। কিন্তু তাতে
রয়েছে চীনাদের আপত্তি। আগামীতে চীনাদের একটা বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে
ভারতের প্রাচীন ‘কটন রুট’র পুনরুত্থান। প্রাচীন যুগে ভারত ভারত মহাসাগরকে
কেন্দ্র করে তার সুতিশিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছিল। প্রাচীন ভারতে বণিকরা ভারত
মহাসাগরের কয়েকটি রুট ব্যবহার করে তাদের পণ্যসামগ্রী, বিশেষ করে ভারতীয়
সুতি কাপড় নিয়ে সুদূর আফ্রিকা পর্যন্ত যেত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতীয়
সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল এ পথ ধরেই। অথচ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের
ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড মহাপরিকল্পনার সঙ্গে মোদির প্রস্তাবিত কটন রুটের ধারণা
সাংঘর্ষিক। প্রাচীন কটন রুটকে নতুন করে সাজানোর মধ্য দিয়ে ভারত এক
মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেÑ অর্থাৎ ভারত মহাসাগরে তার সামরিক উপস্থিতি
নিশ্চিত করা। অনেকেই স্মরণ করতে পারবেন, মোদি ২০১৫ সালের মার্চ মাসে
মরিশাস, সিসিলি ও শ্রীলংকা সফর করেছেন। মরিশাস সফরের সময় মরিশাসের সঙ্গে
সেখানে একটি ভারতীয় নৌঘাঁটি স্থাপনের ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। মালদ্বীপ ও
শ্রীলংকার সঙ্গে একটি মৈত্রী জোট গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিল ভারত এবং ওই জোটে
মরিশাস ও সিসিলিকে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকার আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। এটা
যদি কার্যকর হয়, তাহলে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূল থেকে শ্রীলংকা,
দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের সিসিলি, মরিশাস কিংবা সুদূরের ওমান-মোজাম্বিকও একই
প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এর অর্থ পরিষ্কার বিশাল ভারত মহাসাগরে ভারত
তার নৌবাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় এবং ‘ইন্ডিয়ান ওসেন রীম’ বা ভারত
মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে অন্যতম একটি শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়। অথচ চীন
ইতোমধ্যে তার ‘মুক্তার মালা’ নীতির মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে উপস্থিতি নিশ্চিত
করেছে। জিবুতিতে একটি নৌঘাঁটি নির্মাণ শেষ করেছে চীনÑ এ খবর সম্প্রতি
প্রকাশিত হয়েছে। তবে চীনের জন্য একটি খারাপ খবর হচ্ছে, শ্রীলংকায় তার যে
প্রভাব ছিল, তা এখন কমতির দিকে। সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের ‘অতি
চীননির্ভর’ নীতির কারণে তাকে ক্ষমতা হারাতে হয়েছিল। সিরিসেনার নেতৃত্বে
একটি ‘ভারত বাজ’ সরকার সেখানে ক্ষমতাসীন হয়েছে। ফলে আগামী দিনে ভারত
মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে চীন ও ভারতের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার প্রতিযোগিতা
যে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
ভারত ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বত্র তার রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা
করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় তার সীমান্তবর্তী যেসব দেশ রয়েছে, প্রতিটি দেশের
সঙ্গে তার সম্পর্ক শুধু ভালোই নয়, বরং সর্বকালের সেরা সম্পর্ক রয়েছে এখন। এ
অঞ্চলে ভারতের অর্থনৈতিক, সামরিক ও স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।
অতীতে ভারতের মনমোহন সিং সরকার যা করতে পারেনি, তা মোদি সরকার করে
দেখিয়েছে। নেইবারহুড ফাস্টের অংশ হিসেবে ভারত এ অঞ্চলের দেশগুলোকে তার
পতাকাতলে আনছে। এটা অনেকটা ‘মনরো ডকট্রিনের’ ভারতীয় সংস্করণÑ অর্থাৎ ভারত
চাইবে না এ অঞ্চলে অন্য কোনো শক্তি কর্তৃত্ব করুক অথবা প্রভাব বিস্তার
করুক। চীন এ অঞ্চলের নিকট-প্রতিবেশী। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে চীনা সীমান্ত
খুব বেশি দূরে নয়। এ অঞ্চলে চীনের প্রভাবকে সংকুচিত করার উদ্দেশ্য নিয়েই
ভারত কাজ করে যাচ্ছে। ভারতের আপত্তির কারণে ভুটানে এখন অবধি চীন তার
দূতাবাস খুলতে পারেনি। তাই চীন-ভারত সম্পর্কটা অনেকের কাছেই আলোচনার অন্যতম
একটি বিষয়। এই সম্পর্ককে অনেক পর্যবেক্ষক ‘ভারতের হাতি বনাম চীনের ড্রাগন’
(ওহফরধহ ঊষবঢ়যধহঃ াং ঈযরহবংব উৎধমড়হ) হিসেবে অভিহিত করেছেন। অর্থাৎ চীনের
পরিচিতি যেখানে ড্রাগনকে দিয়ে, ঠিক তেমনি ভারতের পরিচিতি হাতিকে দিয়ে।
‘হাতি বনাম ড্রাগন’ দ্বন্দ্ব নিঃসন্দেহে একুশ শতকের মধ্যভাগে শুধু এ
অঞ্চলেই নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে। অনেকেই স্মরণ করতে পারেন
১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধের কথা, যে যুদ্ধে ভারতের একটা বিশাল এলাকা চীন
দখল করে নিয়েছিল। এর আগে মধ্য পঞ্চাশের দশকে ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই’ সেøাগান
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। তিব্বতকে কেন্দ্র করে ভারত
ও চীন যে ‘পঞ্চশালা নীতি’ গ্রহণ করেছিল, যা ন্যাম বা জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন
প্রতিষ্ঠায় একটি ভিত্তি দিয়েছিল। তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশের পররাষ্ট্রনীতির
একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই পঞ্চশালা নীতি। যেমন বলা যেতে পারে
ইন্দোনেশিয়ার কথা। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিতে এই পঞ্চশালার কথা বলা আছে।
মধ্য পঞ্চাশের সেই ‘নেহরু-চৌ-এনলাই’ ইমেজ আবার ফিরে এসেছিল ‘মোদি-শি
জিনপিং বহুত্বের মধ্য দিয়ে। এটি এখন কতটুকু কার্যকর হবে, মোদির সেপ্টেম্বরে
বেইজিং সফর (২০১৭) দুদেশের সম্পর্ককে কত উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে, তা শুধু
আগামী দিনগুলোই বলতে পারবে। এখানে মূল সমস্যা হচ্ছে মানসিকতার। ভারতের
ব্যুরোক্রেসি ভারতকে একটি বিশ্বশক্তি হিসেবে দেখতে চায়। রাজনৈতিক নেতৃত্বের
পক্ষে এই প্রভাব কাটানো কঠিন। মনমোহন সিং পারেননি। এখন দেখার পালা মোদি
কতটুকু পারেন? তবে এটা তো সত্য মোদির নিজস্ব একটা স্টাইল আছে। তিনি
রাজনীতিকে পাশে ঠেলে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশি। তার চাই
উন্নয়ন। চাই বিনিয়োগ। চাই ব্যবসা। সে কারণে পুরনো বৈরিতা ভুলে গিয়ে তিনি
প্রথম চীন সফরে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েছিলেন বেশি। তার বৈদেশিক
নীতির এটাই বড় বৈশিষ্ট্য। তার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং সর্বশেষ চীন ও
দক্ষিণ কোরিয়া সফরের উদ্দেশ্য ছিল একটাইÑ তার ‘মেক ইন ইন্ডিয়ান’ কর্মসূচিকে
সফল করা।
এখন ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দ্বন্দ্ব যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে মোদি তার
মেক ইন ইন্ডিয়া নিয়ে তিনি বেশিদূর যেতে পারবেন না। তিনি ভারতবাসীকে
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী সবার জন্য
কাজের ব্যবস্থা করবেন। প্রতিবছর ১২০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ সেখানে ‘জব
মার্কেটে’ প্রবেশ করছে। এদের জন্য কাজ দরকার। চীনের মতোই ভারতকে একটি
‘পণ্যের উৎপাদনশীল’ দেশে পরিণত করতে চান মোদি। চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়লে,
সেনাবাহিনী চাইবে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ভার বাড়ানোর। ভারত তার নৌ ও
বিমানবাহিনী আধুনিকীকরণ করছে। নৌবাহিনীতে মোট ২৮টি সাবমেরিন সংযোজনের
(বর্তমানে আছে ১৫টি) উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। বিমানবাহিনীতে নতুন বিমান আসছে।
ভারত এখন নিজেই তৈরি করবে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। লকহিডের সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে।
ফলে এ অঞ্চলে উত্তেজনা আগামীতে আরও বাড়বে। সীমান্ত সমস্যা, বিশেষ করে
ডোকলাম সমস্যার সমাধান যদি না হয়, তাহলে এই উত্তেজনা অন্য অঞ্চলেও
সম্প্রসারিত হবে। খুব সঙ্গত কারণেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো তাতে আক্রান্ত
হবে, যা এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কোনো ভালো খবর নয়। আগামী মাসে বেইজিংয়ে
অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলন। নরেন্দ্র মোদির সেখানে যাওয়ার
কথা এবং মোদি-শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনাও বেশি। কিন্তু দুপক্ষ
যদি নমনীয় না হয় এবং সেখানে যদি ‘স্ট্যাটাস কো’ বজায় না থাকে, তাহলে
আগামীতে ব্রিকস ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকবে। তাই এ মুহূর্তে ডোকলাম থেকে সব
পক্ষের সৈন্য প্রত্যাহার জরুরি।
Daily Amader Somoy
17.08.2017
0 comments:
Post a Comment