রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সত্তর বছরে কতটুকু এগোতে পারল ভারত





ভারতে কৃষক আত্মহত্যার ‘কাহিনী’ নতুন নয়। খরা কিংবা প্রচুর বৃষ্টি ইত্যাদি কারণে প্রচুর কৃষক আত্মহত্যা করে থাকে। মোদি যখন ২০১৪ সালের মে মাসে ভারতের বিধানসভায় নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন, তখন তিনি এক স্বপ্নের কথা শুনিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে ৪৭৭টি জনসভায় বক্তৃতা করেছিলেন। ৩ লাখ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করেছিলেন। ৫১৮৭টি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ৩৯ লাখ অনুসারি তার টুইটারে। আর ফেসবুকে নির্বাচনের আগে তার ‘লাইক’ এর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর তিনি খুবই কমই গ্রামে গেছেন। তবে ১৯ দেশ সফর করে বিশ্বনেতাদের কাতারে তার নামকে স্থান দিতে পেরেছেন। কি পরিমাণ বদলে গেছেন মোদি, তার বড় প্রমাণ ১০ লাখ রুপির স্যুট পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবাকে নয়াদিল্লিতে আমন্ত্রণ। একসময় ট্রেনে ট্রেনে চা বিক্রি করে যিনি কৈশোরে জীবিকা নির্বাহ করতেন, সেই মোদি কৃষক লাল সিং-এর গত এক বছরে কোনো আশার বাণী নিয়ে আসেননি। গরিব ঘরের সন্তান হয়েও মোদি এখন অভিজাততন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন। জাত-পাত এ বিভক্ত ভারতীয় সমাজের জন্য তিনি কোনো ‘মডেল’ হতে পারেননি এখনো। জমি অধিগ্রহণ বিল নিয়েও একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ভারতে। কংগ্রেস এটাকে পুঁজি করে ভারতব্যাপী একটা জনমত গড়ে তোলার উদ্যোগ নিলেও, তাতে তারা খুব লাভবান হয়েছে, তা বলা যাবে না। কিন্তু ভারতের জন্য যে সমস্যাটা প্রকট, অর্থাৎ সমাজে অসঙ্গতি তা মোদি দূর করতে পারেননি। নিঃসন্দেহে গত তিন বছরে মোদি নিজেকে একজন উদ্যমী ও শক্তিশালী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। দলে আদভানীর (যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন) মত নেতাকে পাশে সরিয়ে রেখে তিনি তার অবস্থানকে শক্তিশালী করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি বড়, তা হচ্ছেÑ তিনি ‘গরিব দেশের ধনী প্রধানমন্ত্রী’। প্রেসিডেন্ট ওবামাকে স্বাগত জানাতে (জানুয়ারি ২০১৫) তিনি ১০ লাখ রুপির স্যুট পরিধান করে তিনি প্রমাণ করেছিলেন তিনি আসলে ধনী শ্রেণিরই প্রতিনিধি! একসময় যে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি কৈশোরে ট্রেনের কামরায় কামরায় চা বিক্রি করতেন, মা পরের বাড়িতে ঝি-এর কাজ করে সংসার চালাতেন (মে মাসের ২০১৫ টাইম সাময়িকীর প্রতিবেদকের কাছে তা তিনি স্বীকারও করেছেন), সেই মোদির সঙ্গে এখন কর্পোরেট জগতের বাসিন্দাদের সম্পর্ক বেশি। ট্রেনে চা বিক্রেতাদের মতো সাধারণ ভারতীয়দের কাছে এখন তিনি ‘অনেক দূরের মানুষ’। তিনি যখন বিদেশ যান, তখন তার সাথে যান ব্যবসায়ীরা, যান কর্পোরেট হাউসের প্রতিনিধিরা। কিন্তু গত তিন বছরে তার শরীরে দশ লাখ রুপির স্যুট উঠেছে সত্য, কিন্তু দরিদ্র ভারতের চেহারা তিনি পরিবর্তন করতে পারেননি। কৃষকদের আত্মহত্যার প্রবণতা তিনি দূর করতে পারেননি। ইন্টারন্যাশনাল কম্পারিজন প্রোগ্রাম এর মতে, জাপানকে হটিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। ২০০৫ সালে ভারত দশম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ছিল, আজ তৃতীয় অবস্থানে (সাধারণ নিয়মে এই অবস্থান সপ্তম)। আর গত বছর জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছেÑ ২০২২ সালে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি চীনের চাইতে বেশি হবে। যেখানে চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ ভাগ, সেখানে ভারতের হবে ৭ দশমিক ৭ ভাগ। নরেন্দ্র মোদি এই ভারতকেই প্রতিনিধিত্ব করছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছেÑ ভারতের জনগোষ্ঠীর ৩৭ ভাগ মানুষ এখনো গরিব। ৫৩ ভাগ জনগোষ্ঠীর কোনো টয়লেট নেই, যারা প্রকাশ্যেই এই ‘কাজটি’ নিত্য সমাধান করেন। পরিসংখ্যান বলে বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ গরিব মানুষের বাস ভারতে, যাদের দৈনিক আয় বিশ্বব্যাংক নির্ধারিত ১ দশমিক ২৫ সেন্টের নিচে। চিন্তা করা যায় প্রতিদিন ভারতে ৫ হাজার শিশু মারা যায় ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০)! সাত বছর আগের এই পরিসংখ্যানে খুব পরিবর্তন এসেছে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। শুধু দারিদ্র্যতা কেন বলি প্রায় ৮০ কোটি লোকের দৈনিক আয় ২ দশমিক ৫০ ডলার। ৭০ ভাগ লোক গ্রামে বসবাস করে। নারী-পুরুষের পার্থক্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেখানে অবস্থান (জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ১৮৬-কে হিসেবে ধরে) ১৪৬, ভারতের সেখানে ১৩৬। নারী নির্যাতন আর নারী ধর্ষণ এত ঘটনা ঘটার পরও বন্ধ হয়নি। নারী নির্যাতনের কাহিনী নিয়ে তৈরি ছবি (যা বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি) গুলাব গ্যাং (উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ডে গ্রামের সত্য কাহিনী) এর কথা নিশ্চয়ই অনেকের মনে আছে। মোদি গত তিন বছরে এদের জন্য কি করেছেন? যদিও মাত্র তিন বছরে দারিদ্র্যতা কমানো সম্ভব নয়, কিংবা বিপুল তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরির সংস্থান করাও সম্ভব নয়। তিনি মনে করেন, বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে। কিন্তু দারিদ্র্যতা কমানো তার জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তার ‘গুজরাট মডেল’ নিয়েও নানা প্রশ্ন আছে। গুজরাটে তিনি সড়ক, মহাসড়ক করেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের ন্যূনতম চাহিদা পূরণে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ অন্যান্য পণ্যের চাইতে গুজরাটে আসলে কম ছিল, মাত্র ১৩ দশমিক ৪ ভাগ (২০১২-১৩ সালে আসামে ছিল ২১.১ ভাগ, উত্তর খন্ডে ২০.৮ ভাগ, মহারাষ্ট্র ১৯.৮ ভাগ)। শিশু মৃত্যুর হার গুজরাটে হাজারে ৩৮, অথচ কেরালাতে ১২, তামিলনাড়– ২১, মহারাষ্ট্র ২১, শিশু জন্ম দেবার সময় মাতৃমৃত্যুর হার গুজরাটে ৯.৫, কেরালাতে ৩.৩, তামিলনাড়– ৫, মহারাষ্ট্র ৫.২। যেখানে গুজরাটে খাবার পানি নিশ্চিত করা হয়েছে জনগোষ্ঠীর ৮৪ দশমিক ১ ভাগ মানুষকে, সেখানে পাঞ্জাবে এ সংখ্যা ৯৭.৬, উত্তরপ্রদেশে ৮৭.৮, দিল্লিতে ৯৭.২।
পাকাঘর হারিয়ানাতে ৯৪ দশমিক ৮ ভাগ মানুষের। দিল্লির ৯৪.৭, উত্তর খন্ড ৯৩.৯। অথচ গুজরাটে মাত্র ৭৫.৭ ভাগ। ইন্ডিয়ান সেনসস থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা। ফলে ‘গুজরাট মডেল’ কিভাবে সারা ভারতের জন্য একটা মডেল হবে, সেটা একটা প্রশ্ন বটে। আসলে সড়ক, মহাসড়ক নির্মাণ করে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব একটি অর্থনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলেছেন গুজরাটে। কিন্তু তাতে করে সাধারণ মানুষের প্রতি তার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। এখন এই মানসিকতায় তিনি যদি ভারতকে পরিচালনা করতে চান তিনি ভুল করবেন। দারিদ্র্যতা দূর হবে না। দারিদ্র্যতা থেকে উঠে আসা নরেন্দ্র মোদি এখন আর দারিদ্র্যতম মানুষগুলোকে স্মরণ করেন না। কাজ পাগলা মানুষ তিনি। সন্দেহ নেই তাতে। মাত্র ৩ ঘণ্টা তিনি ঘুমান একথা নিজেই স্বীকার করেছেন টাইম প্রতিবেদকের কাছে। ‘কম সরকার, অনেক বেশি প্রশাসন’ এই হচ্ছে তার অ্যাপ্রোচ। তাতে করে ভারতকে কতটুকু বদলে দিতে পারবেন তিনি? টাইম মোদিকে নিয়ে প্রচ্ছেদ করেছিল। শিরোনাম ছিল ডযু গড়ফর গধঃঃবৎং? মোদি কেন গুরুত্বপূর্ণ? তিনি গুরুত্বপূর্ণ বলেই গোধরায় ট্রেনে ৫৪ জন হিন্দু পুড়িয়ে মারার প্রতিবাদে গুজরাটে হাজারের মতো মুসলমান হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ট্রাম্প এবং ওবামা তাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিধায় চীনা প্রেসিডেন্ট ছুটে গিয়েছিলেন আহমেদাবাদে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ এবং মাত্র সাড়ে তিন বছরে শীর্ষ বিশ্ব নেতাদের তালিকায় নিজের নামটাকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন (টাইম সাময়িকীর মতে বিশ্বের একশজন প্রভাবশালী নেতার একজন তিনি) তাই খুব সঙ্গত কারণেই মোদি বারবার আলোচনায় থাকলেও, দারিদ্র্যতা দূরীকরণ ও সমাজে যে বৈষম্য তা দূরীকরণের ব্যাপারে কোনো বড় উদ্যোগ নিতে পারেননি। তাই অসন্তোষ বাড়ছে। মোদির জমানায় দলিত শ্রেণি যে কিভাবে প্রতিনিয়ত নিগৃহীত হচ্ছেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় ইন্ডিয়ান টুডের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছেÑ দলিত শ্রেণির স্কুল ত্যাগের হার শতকরা ৫০ ভাগ। প্রতিদিন দুজন করে দলিত খুন হচ্ছেন। দুটি করে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মোদি নিজে নিম্ন-শ্রেণির থেকে উঠে আসলেও, এই শ্রেণির মানুষদের তিনি এখন আর প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি এখন উচ্চ শ্রেণির প্রতিনিধি। ক্ষমতা গ্রহণ করার পর মোদি বলেছিলেন, তিনি গত তিন বছরে দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ উপহার দিতে পেরেছেন! তিনি বলেছিলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি প্রধান পাহারাদার, দেশের সম্পদের পাহারাদার। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমে মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (ভারত নির্মাণ) অভিযানকে অতিরঞ্জিত প্রচার বলে মন্তব্য করা হয়েছে। মোদি সরকারের কাছে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও কর্মসংস্থানের হাল যথেষ্ট খারাপ বলেও মন্তব্য করেছে তারা। প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ২০১৫ সালে মোদি সরকারের একবছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতে ‘মোদির একবছর উচ্ছ্বাসের পর্ব শেষ, সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয়েছিল, ‘ভারতে একবছর আগে পরিবর্তন ও আর্থিক পুনরুজ্জীবনের আশায় নরেন্দ্র মোদি বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু এবার চূড়ান্ত বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছে মোদি সরকার। কর্মসংস্থনের লক্ষ্যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযান শুরু করলেও, ভারতের অর্থনীতি খুড়িয়েই চলছে’। আর নিউইয়র্ক টাইমস-এর মতে, মোদির অধিকাংশ কর্মসূচি এখনো কথার কথাই রয়ে গেছে। নিউইয়র্ক টাইমস এর মতে, দেশের অভ্যন্তরে আর্থিক অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার এখনো বেহাল। ব্যবসায়িক উদ্যোগেও তেমন দানা বাঁধছে না। একইসঙ্গে রাজনৈতিকভাবেও চাপে পড়েছেন মোদি। সমাজের দলিত শ্রেণি তার উপর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে এখন।
এসব মূল্যায়ন মোদি সম্পর্কে কোনো ভাল ধারণা দেয় না। নিশ্চয়ই গত তিন বছরে মোদি অনেককিছু শিখেছেন। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে তিনি নিজস্ব একটি স্টাইল তৈরি করেছেন। হিন্দুত্ববাদ তার মূল আদর্শ। এটা থেকে তিনি বের হয়ে আসতে পারেননি। ধর্মনিরপেক্ষ ভারত হিসেবে যে ভারতের বিশ্বে পরিচিত ছিল, সেই পরিচিতি থেকে ভারত এখন বেরিয়ে আসছে। ভারতের গত ৭০ বছরের রাজনীতিতে এটা একটা বড় পরিবর্তন। এই পরিবর্তন ভারতকে আগামীতে কোথায় নিয়ে যায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আজ ১৫ আগস্ট ভারতের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাক-ভারত উপমহাদেশ দু’টি রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়Ñ একটি পাকিস্তান, অপরটি ভারত। ভারতের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১৫ আগস্ট, আর পাকিস্তানের ১৪ আগস্ট। সত্তর বছর যে রাষ্ট্রটির বয়স, প্রতিষ্টাবার্ষিকী প্রাক্কালে সেই রাষ্ট্রটি সম্পর্কে একাধিক সংবাদ চলতি আগস্ট মাসেই ছাপা হয়েছে। গত সত্তর বছরে ভারতে ধনী শ্রেণি মানুষের সংখ্যা যেমনি বেড়েছে, ঠিক তেমনি বেড়েছে দারিদ্র্যতা। ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে কৃষকদের আত্মহত্যা বেড়েছে, কমেনি। জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে সম্প্রতি উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ সেখানে প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ করে। এই সংখ্যা ভারতের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক। মোদি ‘স্বচ্ছ ভারত’ এর একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, যাতে তিনি ২০১৯ সালের মধ্যে এটি বন্ধ করতে চান। কিন্তু কতটুকু তিনি পারবেন বলা মুশকিল। মোদি ক্ষমতাসীন হয়ে পুরো ভারতকে বদলে দিয়েছেন। ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি। ভারতের জিডিপির পরিমাণ ২ দশমিক ৩০৮ ট্রিলিয়ন ডলার (পিপিপি অর্থাৎ ক্রয় ক্ষমতার হিসেবে ৭ দশমিক ৯৯৬ ট্রিলিয়ন ডলার)। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৩ ভাগ। বিশ্বের ৭ম বড় অর্থনীতি ভারতের (পিপিপিতে এর পরিমাণ তৃতীয়)। কিন্তু ঋণের দায়ে কৃষকের আত্মহত্যা বন্ধের কোনো উদ্যোগ নিতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি।
Amader Orthonity
15.08.2017

0 comments:

Post a Comment