রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় সংস্কার কেন প্রয়োজন

সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত বিষয়ের একটি হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় সংস্কার। সংবিধান সংশোধনে সংসদীয় কমিটির সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ২৭ এপ্রিল কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু ওই সরকারকে ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে। তারা যদি এটি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মধ্যবর্তী যে রাজনৈতিক সরকার ছিল তাদের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী মূলত আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেই এ প্রস্তাব দেন। দলের পক্ষ থেকে তিনি আরও যেসব অভিমত দিয়েছেন, তার মাঝে রয়েছে ১. বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পরিবর্তে জাতীয় সংসদের কাছে রাখা; ২. অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বিকল্প খুঁজতে সংসদে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা; ৩. ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম চালু; ৪. সরকার ও বিরোধী দলের ৫ জন করে মোট ১০ জনের একটি কমিটি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ঠিক করা; ৫. বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে রাখা; ৬. আদিবাসীদের ব্যাপারে সংবিধানে কিছু না রাখা; ৭. ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুসরণ করা; ৮. সংরক্ষিত আসন ৪৫-এর পরিবর্তে ৫০-এ উন্নীত করা; ৯. অবৈধ উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এবং এ অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা ইত্যাদি।

একজন প্রধানমন্ত্রী যখন বিশেষ কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়ে এ ধরনের মন্তব্য করেন, তখন তাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারা যায় না। প্রধানমন্ত্রী যেসব মন্তব্য করেছেন, তা আলোচনার দাবি রাখে। বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ‘ব্যক্তি’, অর্থাৎ সাবেক (অবসরপ্রাপ্ত) প্রধান বিচারপতি মুখ্য হয়ে উঠেছেন; পদ্ধতিটি মুখ্য হয়ে ওঠেনি। অতীতেও দেখা গেছে, ২০০৬ সালে চারদলীয় জোট ক্ষমতা ছাড়ার আগে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুখ্য হয়ে উঠলেন। মুখ্য হল না পদ্ধতি। তখন আপত্তি উঠেছিল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। শুধু আপত্তি বললে ভুল বলা হবে। আওয়ামী লীগ ওই সময় এই প্রশ্নে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। শেষ পর্যন্ত ওই সময়ে অবসরপ্রাপ্ত সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও তাতে সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। এখন পরিস্থিতি অনেকটা সেদিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বর্তমান প্রধান বিচারপতি অবসরে যাবেন ১৮ মে। এরপর কী হবে? কেন্দ্রবিন্দু এখন আবারও ‘ব্যক্তিকে’ নিয়ে। অর্থাৎ সিনিয়র বিচারপতি একজন এখনও আছেন, যিনি কাজে যোগ দিয়েছেন। বিচারপতি শাহ আবু নাইম মোমিনুর রহমান যদি আবারও ‘সুপারসিডেড’ হন, তাহলে ১৮ মে অবসরে যাওয়া প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক হবেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান। তিনিই দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন আয়োজন করবেন। বিএনপি ইতিমধ্যে তার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে। এটা সত্যিই দুঃখজনক যে, আমরা বারবার আমাদের প্রধান বিচারপতিদের বিতর্কিত করছি। এরা আমাদের শ্রদ্ধাভাজন। জাতীয় গার্জিয়ান জাতিকে অনেক পথ নির্দেশনাও দিতে পারেন।

এক্ষেত্রে যা করা যায়, তা হচ্ছে ৫৮গ (৩) ধারায় পরিবর্তন এনে এখানে একটি ‘এলডার্স কাউন্সিল’ গঠন করা যেতে পারে, যারা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে একজনের নাম প্রস্তাব করবেন, যার ব্যাপারে কোন আপত্তি উত্থাপন করা যাবে না। একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, একজন শিক্ষাবিদ ও একজন বুদ্ধিজীবীর সমন্বয়ে এই ‘এলডার্স কাউন্সিল’ গঠন করা যেতে পারে। বিকল্প হিসেবে এ ধারাটি ঠিক রেখে নিম্নোক্ত বাক্যটি যোগ করা যেতে পারে- “তবে তিনি যদি ‘সুপারসিডেড’ হয়ে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হবেন না।” একই সঙ্গে ৫৮গ(৪) ও ৫৮ গ(৫) ও ৫৮গ(৬) ধারাগুলোর বিলুপ্তিও প্রয়োজন। এসব ধারায় একজন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে প্রধান উপদেষ্টা, সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও রাষ্ট্রপতিকে তার দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণ করার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন বাধ্যতামূলক করা ও নীতিনির্ধারণী কোন সিদ্ধান্ত না নেয়ার কথাও সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। কেউ কেউ সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের কথা বলছেন।

এটা পরিবর্তন করা ঠিক হবে না (দলের বিপক্ষে ভোটদান প্রসঙ্গে)। এটা করা হলে ‘হর্স ট্রেডিং’ হবে, সংসদ সদস্যরা বিকিকিনির শিকার হবেন। সংবিধানের ষষ্ঠভাগে ৯৫নং অনুচ্ছেদ, ৯৬ ও ৯৮নং অনুচ্ছেদেও পরিবর্তন প্রয়োজন। ষষ্ঠভাগে বিচারপতি নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন [৯৬ (৩)] ও শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি। সপ্তমভাগে (১১৮নং অনুচ্ছেদ) নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করা ও আর্থিকভাবে সরকারের ওপর নির্ভরশীল না থাকার বিধান সংযোজন করা যেতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রীর দুটি বক্তব্য যুক্তিসঙ্গত নয় বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে এটা ঠিক আছে (এবং সেই সঙ্গে তারা কোন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না), কিন্তু না পারলে পূর্ববর্তী রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, এটা ঠিক নয়। কেননা আমাদের যে রাজনৈকি সংস্কৃতি তাতে বিভক্তি এত বেশি যে, আমরা নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করব, এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারকেও বিতর্কিত করব। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে পূর্ববর্তী সরকার অর্থাৎ মহাজোট সরকার নির্বাচন করবে। তাতে তো বিতর্ক আরও বাড়বে। আওয়ামী লীগ এই বিতের্কর ভাগিদার কেন হবে? প্রধানমন্ত্রী কেন বিতর্কিত হবেন? দ্বিতীয়ত, ৫ জন করে কমিটি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান করা। এটাও গ্রহণযোগ্য হবে না। দুটি দল কেন? সংসদে তো জাতীয় পার্টিও আছে। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে তৃতীয় বৃহত্তম দল। জামায়াতও আছে। তাহলে কোন যুক্তিতে আমরা জাতীয় পার্টিকে বাদ দেব? অতীতে জলিল-মান্নান ভূঁইয়া আলোচনার কাহিনী আমরা জানি। অতীতে যেমন কিছুই হয়নি, আগামীতে হবে- এমন সম্ভাবনাও দেখছি না। সুতরাং দুটো বড় দলের মাঝে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নির্ধারণ করার দায়িত্ব অর্পণ করা ঠিক হবে না। এতে সময়ক্ষেপণ হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ইতিমধ্যেই এ ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। এটা ঠিক হবে না। বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে দেয়াও ঠিক হবে না। কেননা মাঝে মধ্যে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যরা সংসদে যে ধরনের আচরণ করেন, তা আমাদের বড় ধরনের হতাশায় ফেলে দেন। তারা সংসদে অসংযত ভাষায় কথা বলেন। সবচেয়ে বড় কথা, তারা দল করেন। রাজনীতি তাদের পেশা। সুতরাং রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচারপতিদের অভিশংসনের বিষয়টি তারা দেখাতে পারেন। তাতে ‘রাজনীতি’ প্রাধান্য পাবে, ‘বিচার’ প্রাধান্য পাবে না। বরং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে আরও শক্তিশালী করার দাবি যুক্তিসঙ্গত।

সংবিধানের ৮(১) অনুচ্ছেদে যেখানে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’-এর কথা বলা হয়েছে, তার কী হবে, সে ব্যাপারেও অস্পষ্টতা রয়েছে। সংবিধানের ২(ক) ধারায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের কথা বলা হয়েছে। দুটো ক্ষেত্রেই কোন পরিবর্তন আনা ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সঠিক ও যুক্তিসঙ্গত। এটা করা না হলে এ দেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা জন্ম নিতে পারে। ইসলামপন্থী দলগুলো এটা থেকে ফায়দা লুটতে পারে। ইউরোপের অনেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়। আমেরিকার মতো রাষ্ট্রেও প্রেসিডেন্ট বাইবেলে হাত রেখে শপথ নেন। বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম যদি থাকে, তাহলে তাতে ক্ষতির কিছু নেই। রাষ্ট্রধর্ম ও ধর্মনিরপেক্ষতা পরস্পরবিরোধী হলেও রাষ্ট্রধর্ম রাখলে রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতার চরিত্রে তেমন কোন বাধা আসবে না। এখন রাষ্ট্রধর্ম বাদ দিলে সংবিধানের ২৫ (২) ধারা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র ইসলামী সংহতির ভিত্তিতে মুসলিম দেশসমূহের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক সংহত, সংরক্ষণ এবং জোরদার করিতে সচেষ্ট হইবেন।’ এটা তো আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক চরিত্র। এটা যদি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশ ইমেজ সংকটের মুখে পড়বে।

বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র বিকশিত হয়েছে, তাতে করে গণতন্ত্রের নামে প্রধানমন্ত্রীর একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সংবিধানে ৫৫ (১), ৫৫ (২), ৫৬ (১), ৫৮ (২) ইত্যাদি ধারা এমনভাবে সংযোজিত হয়েছে যে, তাতে করে প্রধানমন্ত্রীকে অগাধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, যাকে ‘প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতন্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করা যায়। এখানে মন্ত্রিসভার যৌথ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। গণতন্ত্রে এই যৌথ নেতৃত্বই আসল। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতিকে কিছুটা ক্ষমতা দেয়ার পক্ষপাতী আমি। বর্তমান সংবিধানে ৪৮(৩) ধারায় রাষ্ট্রপতির দুটো ক্ষমতা আছে। এক. প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও দুই. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ। এর বাইরে প্রতিটি সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী সম্পন্ন করবেন। এ ধারায় পরিবর্তন প্রয়োজন। শ্রীলংকা ও ফ্রান্স রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হলেও সংসদ ও প্রধানমন্ত্রী কিছু ক্ষমতা ভোগ করেন। আমরা বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতির হাতে কিছু ক্ষমতা তুলে দিতে পারি। অতীতে সংবিধানে যে ১৪টি সংশোধনী আনা হয়েছে, তা কখনও গণভোটে প্রেরণ করা হয়নি। কিন্তু ১৪২(১ক)(১) ধারায় গণভোটে প্রেরণের বিধান রয়েছে। এখন উচ্চ আদালতের রায়ে ‘সংবিধান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে গেছে।’ যদি তাই হয়, তাহলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা সংক্রান্ত ১৪১(ক)(১) ধারার কী হবে? ১৯৭২ সালের সংবিধানে তো জরুরি অবস্থা ঘোষণার কোন বিধান ছিল না। ঠিক তেমনি চতুর্থ সংশোধনীসহ আরও অনেক সংশোধনী নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে।

সংবিধান সংশোধন খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। এতে যে দল বিগত নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের ৩২.৪৫ ভাগ ভোট পেয়েছিল (জোটগতভাবে প্রায় ৩৮ ভাগ), সংবিধান সংশোধনীতে তাদের যদি কোন বক্তব্য না থাকে অথবা তাদের বক্তব্য যদি অন্তর্ভুক্ত করা না যায়, তাহলে তো প্রশ্ন থেকেই যাবে। তাই যে কোন প্রকারে বিরোধী দলের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশেষ কমিটির দায়িত্ব তাই অনেক বেশি। মনে রাখতে হবে, সংবিধান সংশোধন কোন একক দলের বিষয় নয়। সবাইকে নিয়েই সংবিধান সংশোধন করা বাঞ্ছনীয়। এ ব্যাপারে সরকার ও বিরোধী দল উভয়কেই উদার হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে মন্তব্য করেছেন। এখন বিরোধী দলনেত্রীও এ ধরনের মতামত দিতে পারেন। এতে করে বিশেষ কমিটির জন্য কাজটি সহজ হয়ে যাবে।
ড. তারেক শামসুর রেহমান : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[সূত্রঃ যুগান্তর,ে ০৩/০৫/১১]

0 comments:

Post a Comment