রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

লাদেনের মৃত্যু যেসব প্রশ্নের কোনো জবাব দেয় না

আরব সাগরের নোনা পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিল বিশ্বের ‘এক নম্বর ওয়ান্টেড পারসন’ ওসামা বিন লাদেনের মৃতদেহ। আরব সাগরে টহল দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ ‘কার্ল ভিনসন’ থেকে ওসামার মৃতদেহ যখন ভাসিয়ে দেয়া হলো তখন তার জানাজা না হওয়ারই কথা। যে লোকটি ইসলামের জন্য বিশ্বব্যাপী জিহাদের ডাক দিয়েছিলেন, তার মৃত্যুর পর ইসলামের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ন্যূনতম যে শ্রদ্ধাটুকু তার পাওয়ার কথা, তাও তিনি পাননি। যদিও বলা হচ্ছে, একজন মার্কিন মুসলমান সৈনিক লাদেনের মৃতদেহ সাগরে ভাসিয়ে দেয়ার আগে কোরআন শরীফ থেকে পাঠ করেছিলেন। কিন্তু জাহাজে জানাজা তো হওয়ার কথা নয়! এক টুকরো মাটিও পেলেন না এক সময়ের বিশ্বব্যাপী ঝড় তোলা ওসামা বিন লাদেন। এই মৃত্যু কি তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন? তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে অনেক প্রশ্নেরও আমরা কোনো জবাব খুঁজে পাব না কোনো দিন। প্রথমত, যার মাথার মূল্য যুক্তরাষ্ট্র নির্ধারণ করেছিল আড়াই কোটি ডলার, সেই তিনি, ওসামা বিন লাদেন বউ-বাচ্চা নিয়ে বাস করতেন পাক সেনাবাহিনীর নাকের ডগায় অ্যাবোটাবাদ শহরে! এটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য? যার একটি মাত্র নির্দেশে শত শত যোদ্ধা তাদের নিজেদের জীবন উত্সর্গ করতে প্রস্তুত, তিনি কীনা থাকলেন একাকী, কোনো ধরনের নিরাপত্তা ছাড়াই! তার তো থাকার কথা গহীন পাহাড়ে শত শত জঙ্গি পরিবেষ্টিত অবস্থায়! নাকি, যারা এক সময় লাদেনকে তৈরি করেছিল, তাদের কাছে আর লাদেনের প্রয়োজন নেই। তাই বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেয়া, লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে এবং তার লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। অতীতে যুক্তরাষ্ট্রে চরমপন্থীদের গ্রেফতার করে সাংবাদিকদের ডেকে তাদের উপস্থাপন করা হয়েছে। লাদেনের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটলো কেন? কেনইবা তাকে কবর দেয়া হলো না? বলা হচ্ছে, কোনো দেশ তাঁকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। এ কথাটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য? কেননা, মৃত লাদেনকে পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানের জনগণ গ্রহণ করে নিতেন খুব সহজেই। তার আদর্শের অনুসারীদের সংখ্যাও এ অঞ্চলে কম নয়।
লাদেনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো এমন এক সময় যখন সারা আরব বিশ্বে এক ধরনের টলটলায়মান অবস্থা বিরাজমান। একের পর এক সরকারের পতন ঘটছে এবং সেখানে পরিবর্তন আসছে। দ্বিতীয় আরও একটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তা হচ্ছে গত ১১ এপ্রিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) প্রধান জেনারেল সুজা পাশার ওয়াশিংটন সফর, যেখানে তিনি কথা বলেছেন সিআইএ প্রধান লেওন পেনেট্রার সঙ্গে। কী আলোচনা হয়েছিল, তার বিবরণ কোনো দিনই প্রকাশ করা হয়নি। এই দুটো ঘটনার সঙ্গে লাদেনের হত্যাকাণ্ডের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, তা প্রমাণ করবে আগামী দিনের ইতিহাস। তবে লাদেনকে হত্যার ঘটনায় মার্কিন জনগণ উত্ফুল্ল হলেও এর কতগুলো নেতিবাচক দিক আছে। এক. লাদেনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ হত্যার জন্য। ৯/১১-এর ঘটনায় নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তাতে মারা গিয়েছিলেন তিন হাজার মানুষ। এ ক্ষেত্রে লাদেনের প্রতি অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। ভিন্ন একটি দেশে গিয়ে কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো আন্তর্জাতিক কোনো আইনেই অনুমোদন করে না। কিন্তু যিনি অভিযুক্ত তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজি যুদ্ধাপরাধীদের নুরেমবার্গে বিচার হয়েছিল। উপরন্তু সম্প্রতি দি হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। তাহলে ওসামা বিন লাদেনকে কেন হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখি করা হলো না? পানামার এক সময়ের শক্তমানব নরিয়েগাকে সেখান থেকে ধরে এনে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজ দেশে বিচার করেছিল। লাদেনের ক্ষেত্রে এমনটা হলো না কেন? যুক্তরাজ্যের কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিশেষজ্ঞ নিক গ্রিফ লন্ডনের গার্ডিয়ানে ঠিক এ প্রশ্নটিই তুলেছেন যে, লাদেনের হত্যাকাণ্ড আইনসম্মত ছিল না। অনেকটা একই সুরে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন মানবাধিকার কর্মী জিওফ্রে রবার্টসন। তার মতে, লাদেনকে ধরে নিয়ে আসা উচিত ছিল। নিরস্ত্র লাদেনকে মাথায় গুলি করে হত্যা করার ঘটনার ব্যাখ্যাও দাবি করেছেন তিনি। ওয়ারেন রিচি The Christian Science Monitor-এ সরাসরিই প্রশ্ন তুলেছেন, Was it legal to kill Bin Laden? তিনি জবাবও দিয়েছেন ওই হত্যাকাণ্ড আইনসম্মত ছিল না। দুই. যে কমান্ডো বাহিনী (Navy SEAL Team 6) ৪টি হেলিকপ্টার নিয়ে পাকিস্তানে আফগানিস্তান থেকে প্রবেশ করল, তারা পাকিস্তান সরকারের কোনো অনুমতি নেয়নি। এতে করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন মানবাধিকার কর্মী কার্টিস ডোয়েবলার Ahram Online-এ ঠিক এ প্রশ্নটিই তুলেছেন। একই ধরনের অভিযোগ সাবেক পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফেরও। এর খারাপ দিকটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যাকে ‘শত্রু’ মনে করবে, তাকে হত্যা করতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে এতটুকুও দ্বিধাবোধ করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই ভূমিকা জাতিসংঘ সনদ ৪.১ ও ৪.৪-এর পরিপন্থী, যেখানে ‘সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার’ কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এই ভূমিকা বিশ্বে পুনরায় স্নায়ুযুদ্ধের জন্ম দিতে বাধ্য।
লাদেন নিঃসন্দেহে অন্যায় করেছেন। তিনি ইসলাম ধর্মকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবেন অনেকেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিন্তু ইসলাম ধর্মকে তিনি নতুন এক ‘ব্রান্ড’-এ উপস্থাপন করেছেন, যা সন্ত্রাসী ভাবধারায় প্রভাবান্বিত। এটা ইসলাম নয়। কোটি কোটি মানুষ, যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী তারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে বরং ঘৃণাই করবেন। তবে ভেবে দেখতে হবে ওসামার উত্থান কেন হলো। অনেক গবেষক মনে করেন, ওসামার উত্থানের পেছনে যে বিষয়টি কাজ করে তা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব ব্যবস্থার প্রতি এক ধরনের বিকল্প। ওসামা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘বিকল্প’ উপস্থাপন করেছিলেন (Niall Ferguson-এর প্রবন্ধ Foreign Affairs, April 2005)। ‘বিশ্বায়নের বিকল্প হচ্ছে ইসলাম’ কিংবা মিসরের প্রখ্যাত পণ্ডিত সাঈদ কুতুবের ব্যাখ্যা 'Islam is the solution' (ইসলামই একমাত্র সমাধানের পথ) মতবাদে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা কিছুটা আস্থা খুঁজে পেলেও ওসামা যেভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসলামকে উপস্থাপন করেছেন, সে ব্যাপারে আপত্তি উঠেছিল খোদ মুসলিম বিশ্ব থেকেই। ওসামা মূলত ছিলেন ‘ওয়াহিবিজম’-এর প্রবক্তা। এরা সালাফি বা আদিপন্থী হিসেবেও পরিচিত। সৌদি রাজপরিবার এই ‘ওয়াহিবিজম’ মতবাদে বিশ্বাসী (১৭০৩ সালে জন্ম নেয়া মুহম্মদ ইবন আবদ আল ওয়াহাব ইসলামের নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন)। ‘ওয়াহিবি’ মতবাদে জিহাদের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। ওসামা বিন লাদেন মূলত ওয়াহিবি মতবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বব্যাপী জিহাদের ডাক দিয়েছিলেন। এর সঙ্গে যে ইসলামের আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসলাম সন্ত্রাসবাদকে যে সমর্থন করে না মুসলিম বিশ্ব এটা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আর পরিণামে ৯/১১-এর ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ’ শুরু করেছিল, তা লাদেনের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গেছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এর নতুন এক ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন (Preemptive attack—শত্রু আঘাত করার আগেই শত্রুকে আঘাত করে শেষ করে দেয়া। দৃষ্টান্ত ইরাক)। আর ওবামা এটাকে নতুনভাবে উপস্থাপন করলেন (Humanitarian Intervention, লিবিয়া)। মনে রাখতে হবে, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এ টার্গেট করা হয়েছে মুসলমানদের। শুধু মুসলমানদেরই সন্ত্রাসী বানানো হয়েছে। ইহুদি সন্ত্রাসীদের টার্গেট করা হয়নি। কিংবা ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করলেও ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। প্রেসিডেন্ট ওবামার কায়রো ভাষণ মুসলিম বিশ্বে একটি ইমেজ সৃষ্টি করেছিল। ধারণা করা হয়েছিল, ওবামা মুসলিম বিদ্বেষী ভাবধারা থেকে বেরিয়ে আসবেন। কিন্তু ওসামার হত্যাকাণ্ড, বিশেষ করে অসম্মানিতভাবে তার মৃতদেহ সাগরে ফেলে দিয়ে মাছের খাবারে পরিণত করা তথা ইসলামকে অবমাননা করা, তার মৃতদেহের ছবি প্রকাশ না করা, কিংবা তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেয়া, ইত্যাদি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে বাধ্য। এতে করে ২০১২ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওবামার অবস্থান শক্তিশালী হবে, সন্দেহ নেই তাতে। কিন্তু মুসলমান বিশ্বে তার ইমেজ বৃদ্ধি ঘটবে না।
কিন্তু এরপর কী? অনেকগুলো প্রশ্ন এখন। আল কায়দা কি ধ্বংস হয়ে যাবে? আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা কি ফিরে আসবে? পাকিস্তানের কী হবে? এর জবাব পাওয়া সত্যিই কঠিন। আল কায়দা ধ্বংস হবে না। তবে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যাবে। ওসামা বিন লাদেনের বিকল্প জাওয়াহিরি নন। জাওয়াহিরির একক নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন আছে। ফলে ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আল কায়দা তাদের অপারেশন পরিচালনা করলেও তা কোনো বড় ইমেজ সৃষ্টি করতে পারবে না এবং বিশ্বের কোথাও বড় ধরনের হামলা করতে পারবে বলেও মনে হয় না। আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে না। কেননা, শুধু তালেবানদের দমনই যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র স্ট্র্যাটেজি নয়। আফগানিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব অনেক। একদিকে বিপুল জ্বালানি সমৃদ্ধ মধ্য এশিয়া, অন্যদিকে চীন। জ্বালানি সম্পদ (তেল ও গ্যাস) নিয়ে আগামিতে আঞ্চলিক যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ‘প্রচণ্ড জ্বালানি ক্ষুধা’র কারণে চীনও এই আঞ্চলিক যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই জ্বালানি সম্পদের ব্যাপারে আগ্রহ তো অনেক দিনের। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে না। সেনা প্রত্যাহার করা হলেও (২০১৪) ভিন্ন আঙ্গিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব থেকে যাবে। ন্যাটোর ‘এশীয়করণ’ হবে। এখানে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রশ্নে (যেমনটি হয়েছিল ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর) ন্যাটোর সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। আর মূলধারার তালেবানদের সঙ্গে সংলাপ শরু না করলে আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আসবে না। কারজাই তালেবানদের নামে যাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। আলোচনার জন্য মোল্লা ওমরকেই এখন বেছে নিতে হবে, যদি তা সম্ভব হয়। পাকিস্তান সরকার এখন বড় ধরনের অস্বস্তির মুখে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাব এখন পাকিস্তানে আরও শক্তিশালী হবে। পাকিস্তানি তালেবানদের কর্তৃত্ব ও প্রভাব এখন আরও বাড়বে। বহির্বিশ্বে পাকিস্তানের ভূমিকা (লাদেনকে আশ্রয়, আইএসআই’র ভূমিকা) এখন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। পাকিস্তানকে একটি ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কেরও অবনতি ঘটবে। পাকিস্তানের অস্তিত্বও আজ হুমকির মুখে।
লাদেনের মৃত্যু একটা অধ্যায়ের অবসান হলো মাত্র। জীবিত লাদেনের চেয়ে মৃত লাদেন একটি ‘অবিসংবাদিত শক্তি’তে পরিণত হতে পারেন। ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন একজন লাদেনকে সৃষ্টি করেছিল। জন্ম হয়েছিল শত শত জিহাদির। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল লাদেনের। আজ সেই প্রয়োজনটি নেই। তাই চলে যেতে হলো লাদেনকে। ইতিহাস এখন ওসামা বিন লাদেনকে কীভাবে মূল্যায়ন করবে? একজন সন্ত্রাসী হিসেবে? নাকি একজন রিফর্মার হিসেবে? 

0 comments:

Post a Comment