রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

নির্বাচন হবে, নির্বাচন হবে না

নির্বাচন হবে, কি নির্বাচন হবে না, এটা এখন আর শুধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকেই আলোড়িত করেনি; বরং সুদূর আমেরিকাতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মাঝেও বেশ আলোড়ন তুলেছে। দুটি বড় দলের মাঝে সংলাপ সম্ভাবনার যখন ‘মৃত্যু’ ঘটেছিল, ঠিক তখনই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই নেত্রীকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানালেন। এই আহ্বানে দুই দল আদৌ সাড়া দেবে, এটা মনে করারও তেমন কোনো কারণ নেই। এর মধ্যে এসেছে দুটি খবর। প্রথমত, বিএনপি বলছে তারা ২৫ অক্টোবরের পর সরকার পতনে লাগাতার কর্মসূচি দেবে। দ্বিতীয়ত, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খুব শিগগিরই দলের পক্ষ থেকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা উপস্থাপন করা হবে। বিএনপির এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। কেননা সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, বিএনপিকে সংসদে যেতে এবং সেখানে তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করতে। এখন বিএনপি যদি একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা উপস্থাপন করে, আমাদের বিশ্বাস তা আলোচনার পথ উন্মুক্ত করবে। এখানে বেশ কিছু সাংবিধানিক সমস্যা রয়েছে। এটা বিবেচনায় রেখেই বিএনপিকে এই প্রস্তাব দিতে হবে। প্রথম বিষয় হচ্ছে, বিএনপিকে সংবিধানের আলোকেই এই প্রস্তাব দিতে হবে। বর্তমানে সংবিধানের বাইরে গিয়ে বিএনপি যদি কোনো প্রস্তাব দেয়, তা সঙ্গত কারণেই সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে একই সঙ্গে বিএনপি সংবিধান সংশোধনের দাবি অব্যাহত রাখতে পারে। এই দাবি অব্যাহত রেখেই সংলাপ হতে পারে। দ্বিতীয়ত, প্রস্তাবটা হবে তিন মাসের জন্য একটি সরকার, যে সরকার নীতি-নির্ধারণ সংক্রান্ত কোনো ‘কাজ’ করবে না, তাদের দায়িত্ব হবে শুধু নির্বাচন পরিচালনা করা। তৃতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেখেও এই সরকার গঠন করা যায়। এ ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বটি দিতে হবে বিরোধী দলের প্রধান অথবা তাদের দলীয় একজন এমপিকে। প্রধানমন্ত্রী কোনো নির্বাহী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তিনি কোনো প্রটোকল পাবেন না। দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। টিভি, বেতার, সরকারি মিডিয়া তিনি ব্যবহার করতে পারবেন না। তিনি দলীয় প্রধান হিসেবে যদি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে চান, তাহলে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। চতুর্থত, বিকল্প হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীকে নিয়ে একটি যৌথ সরকার গঠন করা যায়, যেখানে বিরোধীদলীয় নেত্রীর হাতে থাকবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও সংবিধান এ ক্ষেত্রে বড় বাধা। তবে বিরোধী দলের হাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থাকলে সমস্যা কম। নির্বাচন-পূর্ববর্তী তিন মাস পুরো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দু’দলের পক্ষ থেকে ৫ জন করে ১০ জন সহকর্মী থাকবেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিচালনা করবেন। তবে কথা থাকে, এই ১০ জন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। পঞ্চমত, একটি ‘সাহাবুদ্দীন ফর্মুলা’ ব্যবহৃত হতে পারে। অর্থাৎ প্রধান বিচারপতি সাবেক সাহাবুদ্দীন আহমদকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নব্বইয়ের আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে সব দল নীতিগতভাবে রাজি হয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বর্তমান প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন এই দায়িত্বটি পালন করতে পারেন। তবে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মতো তাকেও তিন মাস পর তার স্বপদে ফিরে আসার সুযোগ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি যদি দায়িত্ব নেন, তাহলে প্রশাসনিক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনের দায়িত্বটি তাকে দিতে হবে। ষষ্ঠত, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থেই একটি নয়া নির্বাচন কমিশন দরকার। বর্তমান সিইসি ও কমিশনাররা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন এবং নয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে নয়া সিইসি ও কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। সার্চ কমিটির সদস্যদের কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারবে না। নয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধানকে এককভাবে সার্চ কমিটির সদস্যদের নিয়োগের এখতিয়ার দিতে হবে। তার সিদ্ধান্তে কোনো আপত্তি চলবে না। সপ্তম, একটি নির্বাচনকালীন ‘কোড অব কনডাক্ট’ প্রণয়ন করা জরুরি। নির্বাচনকালীন সহিংসতা এড়ানোর জন্য কোনো দলকে জনসভা করতে দেয়ার অনুমতি দেয়া হবে না। টিভি ও বেতারে তারা কর্মসূচি উপস্থাপন করবেন। কোনো নেত্রী, নেতা সম্পর্কে কটূক্তি করা যাবে না। অষ্টম, সাংবিধানিকভাবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সংসদ বৈধ। তবে এর ৯০ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভেঙে দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবেন। সংসদ ভেঙে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। এই সময়ে দুই নেত্রী সমান প্রটোকল পাবেন। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সংসদ রেখেই দেশে নির্বাচন হবে। ‘সংসদ রেখে নির্বাচন’-এমন বক্তব্য সংবিধান সম্মত নয়। প্রধানমন্ত্রী সব সময় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করার কথা বলেন। সংবিধানের প্রতিটি ধারা, উপধারা তিনি ভালো বোঝেন, এটা আমাদের বিশ্বাস। কিন্তু ‘সংসদ রেখে নির্বাচন’ কোন ধারায় আছে, আমি তা খুঁজে পাইনি কোথাও। বরং সংবিধানের ১২৩ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে রেখে যে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, তা বাস্তবায়ন করতে হলে বিএনপির সম্মতি যেমনি প্রয়োজন, ঠিক তেমনি প্রয়োজন ২৪ অক্টোবরের পর সংসদ ভেঙে দেয়া। ওই তিন মাস প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। তবে সংসদ থাকবে না।
সংসদ থাকলে কী ধরনের জটিলতা তৈরি হবে, তা ইতোমধ্যে আমরা একাধিকবার আলোচনা করছি। এখন যে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে পারে তা হচ্ছে সংবিধানের আওতায় কীভাবে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যায়। টিভি টক-শো আর সরকারি বুদ্ধিজীবীদের যুক্তিহীন বক্তব্যে এর সমাধান হবে না। ২৪ অক্টোবরের আগেই সরকার আর বিরোধী দলের সংবিধান বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সংলাপ করতে হবে। এখানে মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠকের কোনো প্রয়োজন নেই। স্পিকারের সভাপতিত্বে দু’দলের সংবিধান বিশেষজ্ঞরা সংলাপ করতে পারেন। ওই সংলাপে একটা সমাধান বের হয়ে আসতে পারে। একটা বিষয় এখন স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী নিজে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থেকে যেতে চান এবং নির্বাচন পরিচালনা করতে চান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যা বুঝতে পারছেন না, তা হচ্ছে : ১. তিনি যদি অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও থেকে যান, তাহলে সুবিধাভোগীরা তাকে দিয়ে ক্ষমতা না ছাড়ার নানা ষড়যন্ত্র (?) করতে পারে; ২. তার আমলে প্রশাসনে নিয়োগপ্রাপ্তদের দিয়ে তিনি নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে পারেন; ৩. নির্বাচন কমিশনাররা (সিইসি বাদে) তার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। নির্বাচন কমিশনাররা ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডে’ জড়িয়ে পড়তে পারেন; ৪. নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন না হলে স্থানীয় পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এসবই আশঙ্কার কথা। বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, তাতে এ ধরনের শংকার কথা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এখন যদি সরকার সত্যিকার অর্থেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে চায়, তাহলে বিরোধী দলের আস্থা সরকারকে অর্জন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে তার উপদেষ্টারা কিংবা নীতি-নির্ধারকরা সঠিক উপদেশটি দিচ্ছেন বলে মনে হয় না। প্রধানমন্ত্রীকে এটা উপলব্ধি করতে হবে যে, বাংলাদেশে গত ৪১ বছরের মধ্যে সংবিধানের ইতিহাসে এবারের মতো এত বড় সংকট অতীতে কখনো চোখে পড়েনি। এরশাদ জমানার শেষের দিকে কীভাবে এরশাদ ক্ষমতা সংবিধানের আওতায় হস্তান্তর করবেন এ প্রশ্ন উঠলেও বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান করে একটা সমাধান বের করা সম্ভব হয়েছিল। সাংবিধানিক সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছিল। সংকটের বৃত্ত মুক্ত হওয়া কঠিন কিছু নয়, তবে এজন্য চাই সবার সমান মনোভাব। বড় দলগুলোর আন্তরিকতার এবং সরকারের বড় উদ্যোগের প্রয়োজন। এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। জাতিসংঘের মহাসচিব, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্ব রাজনীতির ‘তিন অ্যাক্টর’ সবাই এক রকম বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ‘হস্তক্ষেপ’ করছে। এটা কোনো মতেই কাম্য নয়। এর মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হলো আমরা নিজেরা আমাদের সমস্যার সমাধান করতে পারছি না। আমাদের নীতি-নির্ধারকদের এটা বুঝতে হবে যে, পরিস্থিতির গভীরতা এত বেশি যে, বান কি মুন বা জন কেরির মতো বিশ্ব নেতাকে পর্যন্ত আহ্বান জানাতে হয়েছে একটি সমঝোতার। আর সমঝোতার কেন্দ্রবিন্দু একটি-নির্বাচনকালীন সরকার। এখানে নানা সাংবিধানিক তথা রাজনৈতিক সমস্যাও রয়েছে। এই সমস্যার সমাধান করা যায় শুধু পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করার মধ্য দিয়েই। এটা যে সম্ভব নয়, তা নয়। পাঠক স্মরণ করুন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দেশে ছিল তখন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি দলীয়ভাবে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে বিশ্বাসী হলেও পঞ্চম সংসদে বিএনপিই সংসদীয় সরকারের বিল এনেছিল। সেদিন সংবিধানের ১২তম সংশোধনী (রাষ্ট্রপতি থেকে সংসদীয় পদ্ধতি) পাস করতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এক হয়েছিল। বাংলাদেশে সংসদীয় সরকারের বিকাশ ও এর প্রাকটিস নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৩ দিনের সংসদে (ষষ্ঠ সংসদ) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনের বিল (ত্রয়োদশ সংশোধনী) পাস হয়েছিল। ওই সংসদে (ষষ্ঠ) আওয়ামী লীগ না থাকলেও, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। এর পরের ইতিহাস আমাদের সবার জানা। সপ্তম, অষ্টম এবং নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায়। কিন্তু ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ঘোষিত হয়। যদিও উচ্চ আদালতের রায়ে আরো দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় আয়োজন করার পক্ষে মত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সংসদ আদালতের এই অভিমতটি গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশ আজ এক কঠিন সাংবিধানিক সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ‘অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে যদি ‘প্রধান নির্বাহী’ হিসেবে থেকে যান এবং তার ঘোষণা অনুযায়ী যদি শেষ দিন পর্যন্ত সংসদ কার্যকর থাকে, তাহলে নানা সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে। সরকারের পক্ষে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে কি-না বলা মুশকিল। সরকারকে একদলীয় নির্বাচনের ঝুঁকি গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই; বরং কৃতিত্ব আছে সমঝোতার। ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ গঠনকল্পে দুটি বিকল্প হতে পারে। ‘সাহাবুদ্দীন ফর্মুলা’ অথবা বিরোধীদলীয় নেত্রীকে সমমর্যাদায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি (নির্বাচিত) নিয়ে একটি সরকার। প্রয়োজনে সংবিধানের আওতায় এটা কীভাবে সম্ভব, সে ব্যাপারে আপিল বিভাগে একটি রেফারেন্স চাওয়া যেতে পারে।
টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩
লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও
রাজনৈতিক বিশ্লেষক
দৈনিক মানবকন্ঠ ২৩ সেপ্টেম্বর।
- See more at: http://www.manobkantha.com/2013/09/23/139888.html#sthash.UzlMR3Mx.jU0cexGx.dpuf


0 comments:

Post a Comment